কিতাবঃ মানাকিবে আহলে বাইত

সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি



আহলে বাইতের নামের পরে (عليه السلام) এর ব্যবহার



আহলে বাইত এর নামের শেষে (عليه السلام) বলার প্রমাণ।

بِسْــــــــــــــــمِ اﷲِالرَّحْمَنِ الرَّحِيم


১.‘(عليه السلام)’ যে কেবল নবী-রাসূলদের নামের শেষে ব্যবহার করা হয় তা কিন্তু নয়। যেমন-আমরা হযরত লোকমান, হযরত মারিয়াম এবং ইমাম মাহদীর নামের শেষে ‘(عليه السلام)’ ব্যবহার করি অথচ তারা কেউই নবী-রাসূল নন। শুধু তাই নয়, ফেরেশতাদের নামের সাথেও আমরা ‘(عليه السلام)’ ব্যবহার করি।


আমরা আরেকটি প্রশ্ন তুলতে পারি যে, পবিত্র কোরআন বা হাদীসের কোথাও কি এমন বর্ণনা রয়েছে যে, কোনো মুসলমানের নামের পর “(عليه السلام)” বা সংক্ষেপে (عليه السلام) ব্যবহার করা যাবে না বা এ ধরনের ব্যবহার হারাম?


আমাদের জানামতে কোরআন-হাদীসের কোথাও এমন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করা হয়নি কিংবা এ ধরনের ব্যবহার যে অপছন্দনীয় তাও কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। বরং পবিত্র কোরআনের নানা আয়াতের বর্ণনা অনুযায়ী আল্লাহ মুমিনদের, পরহিজগারদের ও বেহেশতীদের সালাম দিয়েছেন। যেমন- 


  • সুরা ইয়াসিনের ৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম।’

  • অনুরূপ বক্তব্য রয়েছে সুরা ত্বাহার ৪৭ নম্বর আয়াতে এবং সুরা আরাফের ৪৬ নম্বর আয়াতে।

  • “আলাইহিসসালাম” শব্দের অর্থ তার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।


এটি এক বিশেষ প্রার্থনা। আমরা মুসলমানরা সবাই একে-অপরকে সালাম দিয়ে থাকি।

এবার আমরা বিশ্বনবী (صلى الله عليه و آله و سلم) -এঁর আহলে বাইতের সদস্যদের নামের পাশে কিংবা আল্লাহর ওলীগণের নামের পাশে “আলাইহিসসালাম” বা সংক্ষেপে (عليه السلام) ব্যবহার যে বৈধ তার কিছু প্রমাণ তুলে ধরছি:


সহিহ বুখারীঃ


প্রমাণ ১: 


আহলুস সুন্নাহর সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বা নির্ভরযোগ্য হাদীস গ্রন্থ বুখারী শরীফের ” কিতাবুল ফাজায়েলে সাহাবিহ” অধ্যায়ের (৩৭/৬২ নম্বর অধ্যায়) “বাবুল মানাক্বিবে ফাতিমাতু” শীর্ষক পর্বে (পর্ব নম্বর ৫৯/২৯) হযরত ফাতিমা (رضي الله عنه) এঁর নামের পর “আলাইহিসসালাম” ব্যবহার করা হয়েছে।


প্রমাণ ২: 


একই হাদীস গ্রন্থের অর্থাৎ বুখারী শরীফের “বাবুল মানাক্বিবি ক্বুরাবাত্বা রাসুলুল্লাহ ওয়া মানাক্বিবাতি ফাতিমাতা আলাইহিসসালাম বিনতি নাবী” শীর্ষক আলোচনায় (পর্ব নম্বর-৪১/১২) “আলাইহিসসালাম” ব্যবহার করা হয়েছে, যা এই শিরোনামের মধ্যেই লক্ষ্যনীয়।


প্রমাণ ৩:


হাদীস শরীফের অন্যতম কিতাব “সহীহ বুখারী” শরীফে একাধিক স্থানে হযরত আলী (عليه السلام), হযরত ফাতেমুয যাহারা (عليه السلام), হযরত ইমাম হুসাইন (عليه السلام) এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। (عليه السلام) ব্যবহার যদি শিয়া হয় তবে কি ওহাবীরা ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে শিয়া বলবে?

দারু শুয়াব, কাহেরা মিশর থেকে প্রকাশিত বুখারী শরীফে ৪৯৪৭ নম্বর হাদীস শরীফের ইবারতটা নিম্নে দেয়া হলোঃ

حَدَّثَنَا يَحْيَى ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ عَلِيٍّ – عَلَيْهِ السَّلاَمُ– قَالَ : كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ وَقَدْ كُتِبَ مَقْعَدُهُ مِنَ الْجَنَّةِ وَمَقْعَدُهُ مِنَ النَّارِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ أَفَلاَ نَتَّكِلُ قَالَ : لاََ اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ ثُمَّ قَرَأَ

উক্ত হাদীস শরীফের সনদটা পড়ে দেখুন। হযরত আলী (عليه السلام) লেখা আছে।


প্রমাণ ৪:


বুখারী শরীফের باب المرأة تطرح عن المصلي شيئا من الأذى তে ৫২০ নম্বর হাদীস শরীফে হযরত ফাতিমা (عليه السلام) বলা হয়েছে। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে ,

 وَضَعَهُ بَيْنَ كَتِفَيْهِ وَثَبَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَاجِدًا فَضَحِكُوا حَتَّى مَالَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ مِنَ الضَّحِكِ فَانْطَلَقَ مُنْطَلِقٌ إِلَى فَاطِمَةَ – عَلَيْهَا السَّلاَمُ – وَهْيَ جُوَيْرِيَةٌ فَأَقْبَلَتْ تَسْعَى

ইবারতটা দেখুন যেখানে হযরত ফাতেমা (عليه السلام) বলা হয়েছে সেখানে আন্ডার লাইন করে দেয়া হয়েছে। দেখা গেলো সহীহ বুখারী শরীফে আহলে বাইতের অন্যতম হযরত যাহরা (عليه السلام) উনার নাম মুবারকের সাথেও “(عليه السلام)” লেখা আছে। শুধু তাই নয় আহলে বাইতের তৃতীয় ইমাম হযরত ইমাম হুসাইন (عليه السلام) উনার নাম মুবারকের সাথেও “(عليه السلام)” লেখা আছে। 


প্রমাণ ৫: 


حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ ، قَالَ : حَدَّثَنِي حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ ، عَنْ مُحَمَّدٍ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، أُتِيَ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ زِيَادٍ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ – عَلَيْهِ السَّلاَمُ – فَجُعِلَ فِي طَسْتٍ فَجَعَلَ يَنْكُتُ وَقَالَ فِي حُسْنِهِ شَيْئًا فَقَالَ أَنَسٌ كَانَ أَشْبَهَهُمْ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ، وَكَانَ مَخْضُوبًا بِالْوَسْمَةِ

দেখুন ইমাম হুসাইন (عليه السلام) উনার নাম মুবারকের সাথে “ (عليه السلام)” লেখা রয়েছে।

বর্তমানে হাদীস শরীফ বা বিভিন্ন কিতাবের ভান্ডর হচ্ছে “মাকতাবায়ে শামেলা” এবং “জামেউল কালিম”।  এই দুইটা সপ্টওয়ারে আন্ডারলাইনকৃত অংশ সার্চ করে দেখেন। দেখবেন হুবুহু (عليه السلام) সহ এই হাদীস শরীফ পেয়ে যাবেন। মাকতাবায়ে শামেলাতে  বুখারী শরীফের রেফারেন্সে ৯ স্থানে আহলে বাইতের নাম মুবারকের সাথে (عليه السلام) রয়েছে। সুবহানাল্লাহ।


প্রমাণ ৬: 


তাওহীদ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বুখারী শরীফের ৩য় খন্ড ৬২৯ পৃষ্ঠা। এখানে একটা বাব রয়েছে , বাবে নাম হচ্ছে “বাবু মানাকিবি কারিবাতি রসূলিল্লাহি (ﷺ) ওয়া মানাক্বাবাতি ফাতিমাতা (عليه السلام) বিনতি নাব্যিয়্যি (ﷺ)”। খুব ভালো করে দেখেন হযরত ফাতিমাতুয যাহরা (عليه السلام) উনার নাম মুবারকের সাথে “(عليه السلام)” লেখা আছে। আর ৩৭১১ নম্বর হাদীস শরীফের চিহিৃত ইবারত লক্ষ্য করেন।


তিরিমিজি শরীফঃ


প্রমাণ ৭: 


একই ধরণের ব্যবহার রয়েছে আরেকটি বিখ্যাত হাদীস গ্রন্থ তিরিমিজি শরীফের হাদীসে। যেমন, কিতাবুল মানাক্বিবিত তিরমিজি’র “ফাজলি ফাতিমাতা বিনতি মুহাম্মাদ সাল্লিল্লাহু আলাইহিমা ওয়া সাল্লাম” উপপর্বে। (৫০/৬১ নম্বর অধ্যায়, অর্থাৎ কিতাব নম্বর ৫০, বাব নম্বর ৬১) এখানেও শিরোনামের মধ্যেই “সাল্লিল্লাহু আলাইহিমা ওয়া সাল্লাম” শব্দটির ব্যবহার লক্ষ্যনীয়।


প্রমাণ ৮: 


একই হাদীস গ্রন্থের “মানাক্বিব আল হাসান ওয়া আল হুসাইন আলাইহিমা ওয়া সাল্লাম” শীর্ষক আলোচনার শিরোনামেই এই শব্দের ব্যবহার লক্ষ্যনীয়।


এটা স্পষ্ট যে বিশিষ্ট সাহাবীদের বর্ণিত এসব হাদীসে হযরত ফাতিমা (رضي الله عنه) এবং হযরত ইমাম হাসান ও হোসাইন (رضي الله عنه)’র নামের পর “আলাইহিসসালাম” ব্যবহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলে সাহাবীরা তাঁদের বর্ণনায় কখনও এ শব্দ ব্যবহার করতেন না, বরং শুধু “রাজিয়াল্লাহু আনহু” বা এ জাতীয় অন্য কোনো শব্দ ব্যবহার করতেন। “রাজিয়াল্লাহু আনহু” শব্দের অর্থ আল্লাহ তাঁর ওপর সন্তুষ্ট হোক।


ইমাম ফাখরুদ্দিন রাজিঃ


প্রমাণ ৯: 


ইমাম ফাখরুদ্দিন রাজিও বিশ্বনবী (صلى الله عليه و آله و سلم) -এঁর আহলে বাইতের সদস্যদের নামের পর “আলাইহিসসালাম” দোয়াটি ব্যবহার করেছেন।

তিনি বলেছেন, রাসূল (صلى الله عليه و آله و سلم) ‘র আহলে বাইত (عليه السلام) এঁর ক্ষেত্রেও রাসূল (صلى الله عليه و آله و سلم) -এঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মত সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। সালাম এসবের মধ্যে অন্যতম। মহান আল্লাহ কোরআনে বিশ্বনবী (صلى الله عليه و آله و سلم) ও তাঁর পবিত্র বংশধরদের প্রতি সালাম দিয়েছেন “আলে ইয়াসিনের ওপর সালাম” শব্দের মাধ্যমে।


ইবনে হাজার মাক্কীঃ


প্রমাণ ১০: 


ইবনে হাজার মাক্কীও মনে করেন, কোরআনে বর্ণিত “আলে ইয়াসিন” শব্দের অর্থ আলে মুহাম্মাদ (صلى الله عليه و آله و سلم) বা মুহাম্মাদের বংশধর। ইয়াসিন বিশ্বনবী (صلى الله عليه و آله و سلم) -এঁরই অন্যতম নাম।

৫-বিশ্বনবী (صلى الله عليه و آله و سلم) -কে প্রশ্ন করা হয়েছিল কিভাবে আমরা আপনার প্রতি দরুদ পাঠাব? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, তোমরা বলবে ” আল্লাহুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদ ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদ”। সালামের মত দরুদ তথা সালাওয়াত পড়া বা সাল্লি আলা বলাও এক ধরনের দোয়া। এর অর্থ কল্যাণ কামনা করা।


[সূত্রঃ সহিহুল বুখারী, খণ্ড ৩; মুসলিম সহিহ, খণ্ড ১; সুলাইমান বালখী রহঃ তদীয় ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দা; ইবনে হাজর রহঃ তদীয় কিতাব সাওয়ায়িকে ক্বাব বিন আযযার বরাতে। ইমাম ফাখরুদ্দীন রাজী রহঃ তদীয় তাফসীরে কাবীর এর খণ্ড ৬-এ।]


প্রমাণ ১১.সূরা নমল-এর উক্ত আয়াত শরীফ-এর তাফসীরঃ 

এ বর্ণিত রয়েছে-

 والارجح فى مثل لقمان ومريم والـخضر والاسكندر الـمختلف فى نبوته ان يقال رضى الله عنه او عنها ولو قال عليه السلام او عليها السلام لا بأس به 

অর্থ: অতএব প্রণিধানযোগ্য উদাহরণ হলো: হযরত লুক্বমান, হযরত মারইয়াম, হযরত খিযির, হযরত সেকেন্দার যুল ক্বরনাইন। উনাদের নবী হওয়ার ব্যাপারে ইখতিলাফ থাকার করণে উনাদের শানে (রাদিঅাল্লাহু আনহু)  বলা হয়। আর কেউ যদি উনাদের শানে (عليه السلام) অথবা (عليه السلام) বলে, এতে কোনই অসুবিধা নেই।” [তাফসীরে রূহুল বয়ান ৭ম খ- ২২৮ পৃষ্ঠা]


প্রমাণ ১২.সূরা নমল-এর ৫৯নং আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-

 قل الحمد لله وسلام على عباده الذين اصطفى 

অর্থ: হে আমার হাবীব (ﷺ)! আপনি বলুন, সমস্ত প্রশংসাই মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যে এবং সালাম বা শান্তি বর্ষিত হোক উনার মনোনীত বান্দাগণ উনাদের প্রতি।”

রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতে আছে, আয়াত শরীফ-এ عباده الذين اصطفى ‘মনোনীত বান্দা’ বলতে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে বোঝানো হয়েছে। হযরত ইমাম ছুফিয়ান ছওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও এ মতই গ্রহন করেছেন। মূলত عباده الذين اصطفى এ আয়াতে কারীমা দ্বারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাসহ সমস্ত আওলিয়ায়ে কিরাম উনাদেরকে বোঝানো হয়েছে। (তাফসীরে মাযহারী, তাফসীরে কুরতুবী, ইবনে কাছীর, তাফসীরে কবীর ইত্যাদি)


‘সুনানে দারু কুতনীর” ৯ জায়গায় হযরত আবু বকর সিদ্দীক (عليه السلام) ও ৩৪ স্থানে হযরত উমর (عليه السلام) লেখা আছেঃ


প্রমাণ ১৩: 


হাদীস শরীফের অন্যতম নির্ভযোগ্য কিতাব ‘সুনানে দারু কুতনীর” ৯ জায়গায় হযরত আবু বকর সিদ্দীক (عليه السلام) ও ৩৪ স্থানে হযরত উমর (عليه السلام) লেখা আছে। সকলে জানার জন্য কয়েকটা ইবারত উল্লেখ করা হলো-

30 – حدثنا أبو بكر ، أحمد بن محمد بن إسماعيل الآدمي قال : نا محمد بن الحسين الحنيني ، قال : نا عبد العزيز بن محمد الأزدي ، قال : نا حفص بن غياث ، قال : سمعت جعفر بن محمد ، يقول : ما أرجو من شفاعة علي عليه السلام شيئا ، إلا وأنا أرجو من شفاعة أبي بكر عليه السلام مثله ، ولقد ولدني مرتين

উক্ত কিতাবের ফাদ্বায়িলুছ ছাহাবা অধ্যায়ে এ্ই হাদীস শরীফ পাবেন যেখানে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (عليه السلام) লেখা আছে। যা আপনারা মাকতাবায়ে শামেলাতেও পাবেন। 


প্রমাণ ১৪: 


“দারু কুতনী কিতাবের ফাদ্বায়িলুছ ছাহাবা অধ্যায়ে” হযরত উমর (عليه السلام) উনার নাম মুবারকের সাথে “ (عليه السلام)” লেখা আছে। নিম্নে ইবারত ও সনদ দেয়া হলো:

3 – حدثنا محمد بن منصور بن أبي الجهم ، نا السري بن عاصم ، قال : نا أبو معاوية ، عن الحجاج بن أرطأة ، عن من ، أحبوه ، عن الشعبي ، قال : قال علي عليه السلام : لم أكن لأحل عقدة عقدها عمر عليه السلام

দেখুন মাকতাবেয়া শামেলাতে দারু কুতনীতে হযরত উমর (عليه السلام) উনার নামে সাথে “ (عليه السلام)”লিখে অনুসন্ধান করলে কতগুলো রেজাল্ট আসে।


প্রমাণ ১৫.জামিউল কালিম ও ইমাম আহমদ বিন হাম্বলঃ


হাদীস শরী্ফের অন্যতম সপ্টওয়ার জামিউল কালিমে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি  আলাইহি উনার কিতাবুয যুহদ এর দলীল আছে। উক্ত কিতাবে একটা অধ্যায় আছে যার নাম হচ্ছে  زُهْدُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ عَلَيْهِ السَّلامُ  

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে (عليه السلام)


ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহতুল্লাহি আলাইহি রচিত “ফাদ্বায়েলুছ ছাহাবা” কিতাবে হযরত আলি (عليه السلام) লেখা আছে। 


প্রমাণ ১৬.মুফতী শফীর মা’রেফুল কুরআনেঃ


দেওবন্দীদের অন্যতম মুরুব্বী মুফতী শফীর মা’রেফুল কুরআনে’ নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম সালাম ছাড়া অন্যদের বেলায় (عليه السلام) বলা বৈধতা প্রমাণ হয় বলে উল্লেখ আছে। (মারেফুল কুরআন ৬ষ্ঠ খন্ড ৬৫৫ পৃষ্ঠা : প্রকাশনা- ইসলামী ফাউন্ডেশন)

 
Top