নবী করীম (ﷺ) এর অলৌকিক ঘটনাবলী সম্পর্কে কিছু আমাদেরকে বর্ণনা কর।


নবী করীম (ﷺ) এর অলৌকিক ঘটনা সমূহের মধ্যে সবচেয়ে মহান মুজিযা হচ্ছে মহান আল কুরআন যা- ফিরিস্তা ও মানব- দানব সকলকে অপারগ করে দিয়েছে। তাঁর অলৌকিক মুজিযাবলীর অন্যতম হচ্ছে পূর্ণিমার রাত্রে চন্দ্র দ্বিখন্ডিত করণ, আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে একটি ছোট পেয়ালায় পানির ঝর্ণা নির্গত হওয়া। যা হতে সেনা বাহিনী পান করেছেন ও অজু করেছেন। এক চা (দুই সের চৌদ্দ ছটাক চার তোলা) থেকেও কম পরিমাণে কম খাবার এক হাজার লোক উদর ভরে ভক্ষণ করণ। গাছ ও পাথর তার (ﷺ) সাথে কথোপকথন করণ। 


(ﷺ)  مِنَ الزِّيَادَةِ فَثُلُثٌ لِطَعَامِهِ وَثُلُثٌ لِشَرَابِهِ وَثُلُثٌ لِنَفْسِهِ وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَدَاوَوْا عِبَادَ اللهِ فَاِنَّ اللهَ لَمْ يَضَعْ دَاءً اِلَّا وَضَـعَ لَهُ دَوَاءً غَيْرَ دَاءٍ وَاحِدٍ اَلْـهَـرَمُ .


اُذْكُرْ لَـنَا بَعْضًا مِنْ مُعْجِزَاتِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟

اَعْظَمُ مُعْجِزَةٍ لِلنَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَالْقُرْاٰنُ الَّذِىْ اَعْجَزَ الْمَلَكَ وَالْاِنْسَ وَالْجَانَّ، وَمِنْ مُعْجِزَاتِه اِنْشِقَاقُ الْقَمَرِ لَيْلَةَ اَرْبَعَةَ عَشَرَ، وَمِنْهَا نَبْعُ الْمَاءِ مِنْ بَيْنِ اَصَابِعِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِىْ قَدْحٍ صَغِيْرٍ حَتّٰى شَرِبَ الْعَسْكَرُ وَتَوَضَّؤُا، وَمِنْهَا اِطْعَامُ اَلْفٍ مِنْ أَقَلِّ مِنْ صَاعٍ ، مِنْهَا كَـلَامُ الشَّجْرِ وَالْحَجَرِ، وَمِنْهَا حَنِيْنُ الْجَذْعِ اَىْ


খেজুর গাছের শুকনা খুঁটির ক্রন্দন করা অর্থাৎ তাঁর বিচ্ছেদ জ্বালার বহি:প্রকাশার্থে উষ্ট্রীর আওয়াজের ন্যায় উচ্চস্বরে ক্রন্দন করা যা উপস্থিত সকলেই শুনেছিলেন। অবশেষে রাসুলে পাক (ﷺ) তাকে জড়িয়ে ধরলে শান্ত হয়ে যায়। ভূমি তাঁর (ﷺ) জন্যে গুটিয়ে যাওয়া (সঙ্কুচিত হওয়া) অর্থাৎ পৃথিবীর একপ্রান্ত অন্যপ্রান্তের সাথে মিলে যাওয়া যা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন এবং পৃথিবীর পূর্বপশ্চিম প্রান্ত (গোটা পৃথিবী) দেখতে পেয়েছেন। তাঁর (ﷺ) হাতে কংকরের তাসবীহ পাঠ এবং উপস্থিতকৃত খাবারের তাসবীহ পাঠ করণ। হযরত ক্বাতাদার (رضي الله عنه) একটি চক্ষু ফিরায়ে দেয়া যা পরবর্তীতে অন্যটির তুলনায় অধিক ভাল ছিল। 

হযরত আলীর (رضي الله عنه) রুগ্ন চোখে থুথু মোবারক দিয়ে আরোগ্য করণ যা পরবর্তীতে কখনো রুগ্ন হয়নি। হযরত আলীর (رضي الله عنه) জন্যে ঠান্ডা ও গরম প্রতিরোধের দোআ করা। পরবর্তীতে তিনি কোনদিন গরম ঠান্ডা অনুভব করেননি। হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাসের জন্য ধর্মীয় জ্ঞানে বিচক্ষণতার দোআ করলে তিনি ধর্মীয় জ্ঞানের সাগরে পরিণত হন। হযরত আনাস বিন মালিকের জন্য ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি ও দীর্ঘায়ুর জন্যে দোয়া করলে তাঁকে একশসন্তান-সন্ততি ও একশবছরের হায়াত দান করা হয়। তাঁর খেজুর বাগান বৎসরে দুবার ফলদায়ক হয়। 


  شَوْقُهُ لَمَّا فَارَقَهُ حَتّٰى سَمِعَ مِنْهُ  كَحَنِيْنِ الْنَاقَةِ فَضَمَّهُ اِلَيْهِ فَسَكَنَ وَمِنْهَا اِنْزَاوَاءُ الْاَرْضِ اَىْ جَمْعُ الْاَرْضِ وَضَمُّ بَعْضِهَا اِلٰى بَعْضٍ لَهُ عَلَيْهِ الصَّلوٰةُ وَالسَّلَامُ حَتّٰى شَاهَدَهَا فَرَائَ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا، وَمِنْهَا تَسْبِيْحُ الْحَصٰى بِكَفِّهِ وَالطَّعَامِ لِحَضَرَتِه، وَمِنْهَا رَدُّ عَيْنِ قَتَادَةَ فَكَانَتْ اَحْسَنَ عَيْنَيْهِ .

وَمِنْهَا تَفْلُهُ اَىْ بَصَقُهُ فِىْ عَيْنِ عَلِىٍّ وَهِىَ رَمْدَاءُ فَبَرِئَتْ وَلَمْ يَرْمُدْ بَعْدُ. وَمِنْهَا دُعَائُهُ لَهُ بِمَنْعِ الْحَرِّ وَالْبَرْدِ فَلَمْ يُحِسُّ بِهِمَا بَعْدُ، وَمِنْهَا دُعَاؤُهٗ لِاِبْنِ عَبَّاسٍ بِالتَّفَقُّهِ فِىْ الدِّيْنِ، فَصَارَ الْبَحْرَ اَلْمُعِيْنَ اَىْ اَلْوَاسِعَ، وَمِنْهَا دُعَائُهُ لِاَنَسِ بْنِ مَالِكٍ بِالْمَالِ وَالْوَلَدِ وَالْعُمْرِ فَرُزِقَ مِائَةَ وَلَدٍ، وَعَاشَ مِائَةَ سَنَةٍ، وَصَارَ نَخْلُهُ يَحْمِلُ فِى الْعَامِ مَرَّتَيْنِ، وَمِنْهَا مَسْحُ رِجْلِ اِبْنِ عَتَيْكٍ لَمَّا اِنْكَسَرَتْ فَصَحَّتْ،


ইবনে আতিকের পা ভেঙ্গে যাওয়ার পর রাসুলে খোদা (ﷺ) হাত মসেহ করে দিলে তা সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যায়। বদর ও হুনাইন যুদ্ধে একমুষ্টি মাটি নিয়ে কাফিরের দিকে নিক্ষেপ করলে তা তাদের প্রত্যেকের চোখে পতিত হয়, ফলে তারা যুদ্ধে শোচনীয় ভাবে পরাজয় বরণ করে। বন্ধ্যা ছাগলের স্তনে তাঁর (ﷺ) হাত মোবারক মসেহ করলে তৎক্ষণাৎ দুধে স্তন পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এছাড়া অসংখ্য অলৌকিক ঘটনা আছে, যা গণনা করে আয়ত্তে আনা সম্ভব নয়। 
 
Top