#গুণাহের_চিকিৎসা..(পর্ব-৪)
-স্বাধীন আহমেদ। 


#আল্লাহ_প্রদত্ত_রিজিক_খেওনা:
প্রিয় ইসলামী ভাইয়ের ও বোনেরা!হযরতে সায়্যিদুনা ইবরাহীম বিন আদহাম(রহ.)কতই না উত্তম পদ্ধতিতে গুনাহের চিকিৎসা করলেন।প্রথম চিকিৎসা যা তিনি ঐ ব্যক্তিকে ইরশাদ করেছিলেন তা এটা ছিল যে,গুনাহ যদি করতেই হয় তাহলে করে ফেল,কিন্তু এই অবস্থায় আল্লাহর রিজিক খাওয়া বন্ধ করে দাও।ঐ ব্যক্তি আরজ করল,"এটা কিভাবে সম্ভব যে,আমি তাঁর রিযিক খাওয়া বন্ধ করে দেব?তিনিই তাে রিযিকদাতা।"

তিনি (রহ.) ইরশাদ ফরমালেন,"তাঁর প্রদত্ত রিযিক আহার করে তারই নাফরমানী করছ এটা কতইনা আশ্চর্য্যকর কথা।"এ কথাকে দুনিয়াবী উদাহরণে এভাবে বুঝে নিন যে,আমরা যদি কাউকে কিছু আহার করাই যদিও তা আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামত কিন্তু এরপরও তার কাছ থেকে (খাওয়ার বদলা)কয়েকগুণ উসল করতে চেষ্টা করি।

যেমন,নিজেদের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের থেকে পূর্ণ ডিউটি আদায় করে থাকি।যদি সে (কর্মচারী) কখনাে দেরিতে আসে তখন তাকে গর্জে উঠে (মালিক) বলে থাকি যে,এত দেরিতে কেন এসেছ?তিন হাজার টাকা বেতন নিচ্ছ আর সাড়ে আটটার স্থলে দেড় ঘন্টা দেরি করে দশটায় এসেছ।আগামীতে যদি আর কখনাে এরকম দেরি কর,তাহলে বেতন কর্তন করা হবে।এতটুকুতেই শেষ না,কোন কোন সময় এমনকি গালিগালাজ পর্যন্ত করা হয়।আর যদি কর্মচারী বেশী দুর্বল হয়,তখন তাকে প্রহার পর্যন্ত করা হয়।

গরীব কর্মচারী বেচারা কষ্ট করে হলেও তাই প্রতিষ্ঠানে থেকে যায়।তার কাছ থেকে নির্ধারিত দায়িত্বের চেয়েও অতিরিক্ত কাজ আদায় করা হয়।
যদি মনে করেন ছুটির সময় ছয়টা,কিন্তু তদস্থলে আটটা বা নয়টা বাজলেও  তাকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় না,ছুটির দিনেও কাজে আসতে বলা হয়।মূল কথা হল,বান্দা কাউকে যদি নিজের কাজে রাখে এবং তাকে মাসিক বেতন প্রদান করে থাকে;তখন শুধুপূর্ণ ডিউটি নয় মাঝে মধ্যে তার থেকে অতিরিক্ত কাজও আদায় করে থাকে।

কিন্তু এটা কতইনা বেওয়াফায়ী কথা যে,আল্লাহ প্রদত্ত রিযিক খেয়ে তাঁর পক্ষ থেকে অর্পিত দায়িত্ব আদায় করবে না। তিনি দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন,কিন্তু মানুষ তা আদায়ে অবহেলা করে,রমজান মাসে রােজা রাখার দায়িত্ব দিয়েছেন,সেটাও আদায় করছে না,তিনি অনেক সম্পদ বান্দাদের দিয়েছেন এবং শর্তমত বার্ষিক মাত্র শতকরা আড়াই ঢাকা যাকাত ফরজ করেছেন,কিন্তু তা আদায়েও মানুষ গড়িমসি করে।তিনি শষ্য শ্যামল ক্ষেত ও ফুলে ফুলে ভরপুর বাগান দান করেছেন এবং তা হতে "ওশর" তথা এক দশমাংশ যাকাত ফরজ করেছেন,তাও আদায় করছে না।

তিনি আদেশ করেছেন অমুক অমুক কাজ করাে না,এরপরও বান্দাগণ ঠিকই নাফরমানী করে যাচ্ছে।এটা কতই নির্লজ্জের কথা যে,তাঁর রিযিক খেয়ে চলেছে আর তা সত্ত্বেও তাঁর নাফরমানীর বাজার গরম রেখেছে।


🤲দোয়া প্রার্থী: স্বাধীন আহমেদ।

 
Top