মহান আল্লাহপাক মানবজাতিকে সৃষ্টি করে তাদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য যুগে যুগে অগণিত নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনের মধ্যে দিয়ে নবুওতের পরিসমাপ্তি ঘটে। নবী (সা.) এর ওফাতের পর তাঁর সুচারু দায়িত্ব পালন করেন সাহাবায়ে কেরাম এরপর এই মহান দায়িত্ব পালন করবেন উলামায়ে কেরামগণ। এটাই ইসলামের মূলকথা। খোলাফায়ে রাশেদীনের শাসনের শেষ দিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক গোলযোগকে কেন্দ্র করে নানা দল উপদলের সৃষ্টি হয়। তখন ধর্মীয় বিষয়াদির ব্যাখ্যায়ও বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। মহান আল্লাহপাক তখন মুসলিম উম্মাহর উপর দয়াপরবশ হয়ে কুরআন-হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা দেয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কয়েকজন মুজতাহিদ আলেমের আবির্ভাব ঘটান। ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, আবুল হাসান আশআরী, আবু মনসুর মাতুরিদী, ইমাম তাহাবী ও ইমাম গাজ্জালী (রহ.) এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এরা মুসলিম জনতার মধ্যে কুরআন-হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। ফলে গোটা মুসলিম উম্মাহ পেয়ে যায় সত্য ও সঠিক পথের সন্ধ্যান। ইমাম আবু হানিফা (৮০-১৫০ হিজরি), ইমাম মালিক (৯৩-১৭৯ হিজরি), ইমাম শাফিয়ী (১৫০-২০৪ হিজরি), ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (১৬৪-২৪১ হিজরি), প্রত্যেকে এক একটি মাজহাব গঠন করেন। তৎকালীন বিশ্বের সকল উলামায়ে কেরামগণ একথায় একমত হন যে, উক্ত চার মাজহাবের চার ইমামই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজতাহিদ এবং তাদের ইজতেহাদই সত্য, সঠিক ও নির্ভূল। যে কেউ উক্ত চার ইমামের যে কোন একজনের অনুসরণ করবে, সেই ব্যক্তিই সত্য ও সঠিক পথের অনুসারীই বলে গণ্য হবে। তবে উক্ত চার ইমামের মধ্যে ইমাম আবু হানিফা (রা.)-ই সর্বাধিক সমাদৃত। বিশ্বের সিংহভাগ মুসলমানও ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর মাজহাবের অনুসারী।
মুসলমান মাত্রই ইসলামী শরীয়তের সকল বিধি-বিধান পালন করতে হবে, এটা প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরজ। কুরআন-হাদিসের সঠিক মর্ম উদঘাটন করা বা শরীয়তের সকল বিধান বুঝে নেয়া সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য কুরআন-হাদিসকে সঠিকভাবে বুঝা এবং ইসলামের বিধি-বিধানকে পরিস্কারভাবে জানার জন্য ইলমে শরীয়ত ও ইলমে তাসাউফে অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী মুজতাহিদ আলেমের দ্বারস্থ হতে হবে। মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছেন, চার মাজহাবের চার ইমাম। অর্থাৎ শরীয়তের বিধানাবলীকে সঠিকভাবে উপলব্দি করার জন্য চার মাজহাবের যেকোনো ইমামের অনুসরণ করতেই হবে। সত্য ও সঠিক পথে চলার নিমিত্তে যে কোনো মাজহাবের অনুসরণ বা ইলমে শরীয়ত ও ইলমে তাসাউফে অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী মুজতাহিদ আলমের অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন-
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরণ কর এবং তোমাদের মধ্যে যারা ‘উলিল আমর’ বা মুজতাহিদ আলেম, তাদের অনুসরণ কর’ (সূরা- নিসা : আয়াত-৫৯)।
‘যখন তাদের কাছে শান্তি অথবা শংকা বিষয়ক কোনো সংবাদ আসে, তখন তারা তার প্রচারে লেগে যায়, অথচ বিষয়টি যদি তারা রাসূল এবং তাদের মধ্যে যারা ‘উলিল আমর’ আছেন তাদের কাছে পেশ করতো, তাহলে সুক্ষ বিচার শক্তির অধিকারী ব্যক্তিগণ বিষয়টির যথাযর্থতা উদঘাটন করতে পারতেন’ (সূরা-নিসা : আয়াত-৮৩)। 
উক্ত আয়াত দু’টিতে ‘উলিল আমর’ বলতে মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামকে বুঝানো হয়েছে এবং শরীয়ত বিষয়ে তাদের অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 
‘তোমাদের ইলিম না থাকলে আহলে জিকির বা আহলে ইলিমদের নিকট জিজ্ঞেস করে জেনে নাও’ (সূরা-নাহ্ল : আয়াত-৪৩, সূরা-আম্বিয়া : আয়াত-৭)।
উক্ত আয়াতে ও ‘আহলে জিকির’ দ্বারা মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামের অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
‘এদেরকে আল্লাহ সৎপথ দান করেছেন সুতরাং তোমরা তাদেরকে অনুসরণ করে’ (সূরা-আনআ’ম : আয়াত-৯০)।
‘ইলমে দ্বীন অর্জনের জন্য প্রত্যেক দল থেকে একটি উপদল কেন বের হয় না? যেন ফিরে এসে স্বজাতিকে তারা সতর্ক করতে পারে’ (সূরা-তাওবা : আয়াত-১২২)।
উক্ত আয়াত গুলোতেও আল্লাহপাক আমাদেরকে মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামের অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। উক্ত আয়াতগুলো দ্বারা মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামের অনুসরণকে আল্লাহপাক আমাদের উপর ফরজ করে দিয়েছেন। অতএব, দিবালোকের ন্যায় প্রমাণ হল- মাজহাব মানা আমাদের উপর ফরজ। সত্য ও সঠিক পথ পেতে হলে মাজহাব অবশ্যই মেনে নিতে হবে।
ইসলামে মাজহাব মানার গুরুত্ব অপরিসীম। কোনো সমস্যার সমাধান সরাসরি কুরআন-হাদিসে না পেলে কুরআন-হাদিসের আলোকের উপর ইজতিহাদ করে উদঘাটিত বিষয়ের উপর আমল করার প্রতি হাদিসে অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
দ্বীনি বিষয়ে মুজতাহিদ আলেমের তাকলীদ বা অনুসরণকে রাসূলেপাক (সা.) অপরিহার্য ঘোষণা করেছেন। এ ব্যাপারে অগণিত হাদিস রয়েছে-
হযরত হুজাইফা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসূলেপাক (সা.) ইরশাদ করেন- ‘জানিনা, আমি আর কতোদিন তোমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবো। তবে আমার পরে তোমরা আবু বকর ও ওমর এ দু’জনের অনুসরণ করে যাবে’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ ও আহমদ)। 
হযরত ইরবাজ ইবনে সারিয়া (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- ‘তোমরা আমার সুন্নতকে এবং খোলাফায়ে রাশিদ্বীনের সুন্নতকে আঁকড়ে ধরবে’ (আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)।
অন্যান্য হাদিসে নবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামের ইকতেদা বা অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- তোমরা আমাকে দেখে আমার অনুসরণ কর আর তোমাদের পরবর্তীরা তোমাদের দেখে অনুসরণ করবে (বুখারী ও মুসলিম)। 
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- জাবিয়া নামক স্থানে একবার খুতবা দান কালে ওমর (রা.) বললেন, হে লোক সকল কুরআন সম্পর্কে তোমাদের কোনো প্রশ্ন থাকলে উবাই ইবনে কা’বের কাছে, ফারায়েজ সম্পর্কে কিছু জানতে হলে জায়েদ বিন সাবেতের কাছে, ফিকাহ সম্পর্কে কিছু জানতে হলে মু’আজ বিন জাবালের কাছে যাবে; আর অর্থ সম্পদ বিষয়ক কোনো প্রশ্ন থাকলে জানার জন্য আমার কাছেই আসবেন। কেননা আল্লাহ আমাকে এর বন্টন ও তত্ত্বাবধানের কাজে নিযুক্ত করেছেন (তিবরানী)।
সাহাবায়ে কেরামের সময়ের কথা পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই যাদের ইজতেহাদী যোগ্যতা ছিলনা তারা নিঃসংকোচে ফকীহ ও মুজতাহিদ সাহাবাগণের স্মরণাপন্ন হতেন এবং বিনা দলীলেই তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সে মোতাবেক আমল করে যেতেন। 
হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদকে কুফায় পাঠানোর প্রাক্কালে কুফাবাসীদের নামে লেখা এক চিঠিতে হযরত ওমর (রা.) বলেছেন- আম্মার ইবনে ইয়াসিরকে শাসক এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদকে শিক্ষক ও পরামর্শদাতারূপে আমি তোমাদের কাছে পাঠালাম। এরা বিশিষ্ট বদরী সাহাবী। তোমরা তাদের অনুসরণ করবে এবং যাবতীয় নির্দেশ মেনে চলবে।’
হযরত মু’আজ ইবনে জাবাল (রা.) কে ইয়ামন পাঠানোর সময় রাসূল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন- হে মু’আজ! উদ্ভূত সমস্যার সমাধান তুমি কিভাবে করবে? হযরত মু’আজ (রা.) বললেন, কুরআনের আলোকে সমস্যা সমাধান করবো। রাসূল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কুরআনে এর সমাধান না পেলে কি দিয়ে সমাধান করবে? হযরত মু’আজ (রা.) হাদিসের আলোকে এর সমাধান করবো। রাসূল (সা.) আবার মু’আজ (রা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, হাদিসেও সমাধান খুঁজে না পেলে কি করবে? হযরত মু’আজ (রা.) বললেন, কুরআন-হাদিসে সমাধান না পেলে আমি ইজতিহাদ করবো এবং সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো এতে কোনো ক্রটি করবো না। হযরত মু’আজ (রা.) এর কথা শুনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে রাসূল (সা.) তাঁর পবিত্র হাত মোবারক দ্বারা মু’আজ (রা.) এর বুকে মৃদু আঘাত করে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহপাক তাঁর রাসূলের দূতকে রাসূলের সন্তুষ্টি মোতাবেক কথা বলার তওফিক দিয়েছেন (আবু দাউদ, তিরমিজি)।
উক্ত হাদিস দ্বারা দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত, কুরআন-হাদিসে সরাসরি নেই এমন বিষয়ে ইজতিহাদ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে যিনি ইজতেহাদ করবেন তাকে অবশ্যই ইলমে শরীয়ত ও ইলমে তাসাউফে অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী মুজতাহিদ আলেম হতে হবে (যার মধ্যে ইলমে শরীয়ত ও ইলমে তাসাউফ উভয় প্রকার ইলিম আছে তাকেই আলেম বলে)। মুজতাহিদ পর্যায়ের আলেম ইজতেহাদ করে যে মাসআলা বের করবেন তার উপর আমল করা যে ফরজ তা উক্তি হাদিস গুলো দ্বারা দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত। উল্লেখ্য যেসকল বিষয়ে আগেকার মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামগণ চূড়ান্ত ফয়সালা দিয়ে গেছেন যে সব বিষয়ে আর ইজতেহাদ করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ আগেকার আলেমগণ ছিলেন তীক্ষ্ম মেধার অধিকারী, ইলিম ও আমলে ছিলেন শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী তাদের ফতোয়াই ছিল সঠিক ও নির্ভুল। তারাই অগ্রগণ্য। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- ‘আর অগ্রবর্তীগণই তো অগ্রবর্তী, উহারাই নৈকট্যপ্রাপ্ত’ (সূরা : ওয়াক্বিয়া, আয়াত : ১০-১১)।
ইসলামে মাজহাব মানার গুরুত্ব অপরিসীম। মাজহাব মানার বিষয়টি কুরআন হাদিস দ্বারাই সুস্পষ্ট প্রমাণিত। যারা মাজহাব মানে না তারা পথভ্রষ্ট হতে বাধ্য। কেউ কেউ বলতে পারেন- আমরা সরাসরি কুরআন হাদিস থেকে মাসআলা বের করে আমল করবো। কিন্তু কোনো ইমামের মাজহাব মানবো বা। আমি এর জবাবে বলবো, যারা ইসলাম সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের অধিকারী মনে করলাম তারা কিছুটা মাসআলা বের করে আমল করলো কিন্তু যারা জাহিল বা অজ্ঞ তারা কি কুরআন-হাদিস থেকে মাসআলা বের করতে পারবে? তারা তো কোনোক্রমেই তা পারবে না। প্রশ্ন হল এরা কিভাবে ইসলামী জীবন-যাপন করবে? আজ যারা নিজেদেরকে আলেম দাবি করে মাজহাব অস্বীকার করছেন, মাজহাব মানছেন না। তারা কি কখনও চার মাজহাবের চার ইমামের কারো মতো আলেম হতে পেরেছেন? বা কখনও এরূপ আলেম হতে পারবেন? আমি এর জবাবে বলবো আজকে যে যতবড় আলেম দাবি করেন না কেন তিনি কখনও সেই চার মাজহাবের চার ইমামের কারো মতো আলেম হতে পারবেন না। তাই আমি বলবো আলেম হোক বা জাহিল হোক সবাইকে অবশ্যই মাজহাব মানতে হবে। মাজহাব মানা সকলের জন্য অতি জরুরি।
মাজহাব মানে পথ, মত ও নীতি। একজন মুজতাহিদ আলেম আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নীতি অনুসারে যে নীতি প্রণয়ন করেন সেটাই হচ্ছে মাজহাব। যারা মাজহাব মানেন না, তারা মাজহাব বিরোধী নানা ধরনের অবান্তর প্রশ্ন করে থাকেন। তারা যেসব প্রশ্ন করে থাকেন তা হচ্ছে- রাসূল (সা.) এর মাজহাব কি ছিল? সাহাবায়ে কেরামের মাজহাব ছিল কোনটি? চার মাজহাবের চার ইমাম কোনো মাজহাবের অনুসারী ছিলেন? আমি এর জবাবে বলবো- রাসূল (সা.) ছিলেন স্বয়ং শরীয়ত প্রণেতা ও শরীয়তের মূল ব্যাখ্যাদাতা। তিনি তো সর্ববিষয়ে আল্লাহর অনুসরণ করেছেন। সাহাবায়ে কেরামগণ সরাসরি রাসূল (সা.) এর অনুসরণ করেছেন। রাসূল (সা.) এর আদর্শই ছিল সাহাবায়ে কেরামের মাজহাব। আর চার মাজহাবের চার ইমাম বড় বড় সাহাবী ও তাবেয়ীদের সাহচর্য লাভ করে তাদের অনুসরণ করেছেন। এভাবে চার মাজহাব সৃষ্টি হওয়ার আগে যারা মারা গিয়েছেন তারা কোনো না কোনো মুজতাহিদ আলেমের অনুসারী ছিলেন। আমাদের মধ্যে অনেকে মাজহাব মানেন কিন্তু তারা মাজহাব মানতে ভুল করে থাকেন। যেমন- তারা নামাজের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফার মাসআলা গ্রহণ করেন কিন্তু রোজার ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফার মাসআলার বিরোধীতা করে থাকেন। এরূপ যারা করেন তাদের মাজহাব মানা হবে না, এরূপ করা মাজহাব অস্বীকার করার নামান্তর। মাজহাব মানার ক্ষেত্রে কখনও সুবিধাবাদী হওয়া যাবে না। যে ইমামের মাজহাব অনুসরণ করবেন সকল মাসআলার ক্ষেত্রে সেই ইমামের ফতোয়া অবশ্যই মেনে নিতে হবে। মাজহাব মানা ফরজ। সত্য ও সঠিক পথে চলতে হলে চার মাজহাবের যে কোনো ইমামের মাজহাব মেনে নেয়া উচিত।
 
Top