অবশেষে আপুর বিয়েটা হয়েই গেল,,,
ভাইয়ার অনেক কষ্ট হয়েছে সবকিছু সামাল দিয়াতে,,হবেও বা না কেন বাবা ছাড়া বড় ছেলের যে পরিমাণ দায়িত্ব,কর্তব্য,কত টেনশনে থাকতে হয় তা শুধু বড় ছেলেরাই ভাল যানে!
নিজের,ছোট ছোট ভাই-বোনদের লেখাপড়ার খরচ চালানো,,সংসারের হাল ধরে থাকা সত্যিই অসম্ভব কষ্টের।

ইন্টার তো পাশ করেছি,,ভাবলাম ভাইয়া কে একটু সাহায্য করলে কেমন হয়,কতইনা কষ্ট করে।
যেই ভাবা সেই কাজ,,বন্ধুদের মধ্যে অনেকজন কে বললাম যদি একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারে ভালই হয়,,

আলহামদুলিল্লাহ!
খবর একটা পাওয়া গেল,,আগামীকাল ইন্টারভিউ দিতে যেতে হবে.
আমি জানতাম কেউ রাজি হবেনা তাই কাউকে কিছু না বলেই সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়ি,,আলহামদুলিল্লাহ ইন্টারভিউ তে টিকে গেলাম!
ভাবতেই ও পারছি আমি চাকরি পেলাম,,,আনন্দের সীমা নেই এইভেবে যে,,আমিও দায়িত্ব নিতে পারি ভাইয়া কে সাহায্য করতে পারবো এর চেয়ে বড় কিছু স্বপ্নেও ছিলনা,,

যাই হোক,,অনেক কষ্টে আম্মু কে ম্যানেজ করলাম,,তবে একটা শর্ত ভাইয়া যেন না জানে,,,জানলে খুব কষ্ট পাবে আর খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে বলছে।

আজ অফিসের প্রথম দিন,,,খুব অস্বস্তি লাগছে!
এত মানুষ কোন জাতের তা মিল পাওয়া যাচ্ছেনা!
তবুও অনেক সাহস করে ভিতরে প্রবেশ করলাম,,
মাশাআল্লাহ অফিসের ভিতরের পরিবেশটা অনেক সুন্দর,
যে যার মত কাজ করছে,,
কিন্তু কয়েকজন আমাকে দেখে তো হা হয়ে গেছে মনে হয় জীবনে ও কোনো মেয়ে মানুষ দেখেনি,,ওই দিকে না থাকিয়ে নিজের কাজের জায়গাতে গেলাম,,
একজন এসে আমায় কাজ বুঝিয়ে দিল ভালই লাগছে,,
নিজেকে অনেক বড় মনে হচ্ছে,,কত দায়িত্ব আজ আমার!

এইভাবেই শুরু হলো আমার ব্যস্ত জীবন,,,
এক্সিডেন্টে টা হওয়ার পর নিজেকে নিয়ে আর ভাবা হয়নি এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষগুলোর মধ্যে আমি একজন!!
অন্তত পরিবারের জন্য কিছু করতে পারবো এটা ভেবেই খুব আনন্দিত,

কাজ,,অফিস,বাসা,,এই নিয়েই খুব ভালোই কাটছে দিন..
জীবনের সেকেন্ড পার্ট শুরু হয় একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে,, শুরু করা যাক সেটা,,

@একদিন অফিস যাওয়ার পথে একজন মুরব্বি কে দেখলাম মানুষের কাছে সাহায্য চাচ্ছেন,,কিন্তু আমার কাছে উনাকে দিয়ার মতই কিছু ছিলনা,,ছিল একটা আপেল যেটা টিফিনের জন্য এনেছিলাম,,আমি উনাকে আপেলটা দিলাম যাতে কেউ না দেখে,,
হঠাৎ দেখলাম পিছনে একজন ডাক দিল আমি শুনেও না শুনার ভান করে চলে আসবো তখনি একজন হাপাঁতে হাপাঁতে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলছে প্লিজ একটা সেল্ফি হবে...!!???
আমি তো পুরায় অবাক কি বলে এইসব!

গল্পের নায়ক হচ্ছেন,,মধ্যবিত্ত পরিবারের মা-বাবা ছাড়া দুই বোনের এক ভাই,,ওহাবী আকিদার অনেক স্মার্ট,,বিলাস বহুল জীবনের পথযাত্রী সাজ্জাদ হোসেন,,আর নায়িকা হচ্ছেন সুন্নী মতাদর্শের পাক্কা অনুসারী,,আর মধ্যবিত্ত পরিবারের মায়ের আদরের মেয়ে দুই ভাইয়ের কলিজা বোনের প্রিয় সঙ্গী,,নাম আয়শা
ভাইকে সাহায্য করতে গিয়েই শুরু হয় জীবনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!
দেখা যাক শেষে গিয়ে কি হয়

#গল্প-মুসলিম সংসারের বউ
১ম পর্ব
(নায়ক-নায়িকা ছাড়া তো গল্প হয়না,,তাই একটু ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করা হবে।)
 
Top