আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন

আমাদের প্রিয় নবীজী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূর এ মুজাস্সাম। সর্ব
প্রথম আল্লাহ পাক উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন। এ
প্রসঙ্গে সহীহ হাদীস শরীফে বর্নিত আছে। হাদীস
শরীফখানা বর্ননা করেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম
রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের উস্তাদের উস্তাদ।
ইমাম আহমদ বিন হাম্মল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার
উস্তাদ,ইমামে আযম আবু
হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ছাত্র, বিখ্যাত
মুহাদ্দিস , তাবে তাবেয়ী, হাফিজে হাদীস,
আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার
বিখ্যাত হাদীস শরীফ গ্রন্থ “মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক”
১ম খন্ড ৯৯ পৃষ্ঠায় ১৮ নং হাদীস শরীফে।
ইমাম হযরত আব্দুর রাজ্জাক
রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফ বর্ননা করেন
হযরত মা’মার বিন রশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে,
তিনি বর্ননা করেন মুহম্মদ বিন মুনকদার
রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি বর্ণনা করেন
বিখ্যাত ছাহাবী জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু
আনহু থেকে। হাদীস শরীফ – ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺭﺻﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﻠﺖ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ
ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺑﺎﺑﻲ ﺍﻧﺖ ﻭ ﺍﻣﻲ ﺍﺧﺒﺮﻧﻲ ﻋﻦ ﺍﻭﻝ ﺷﻴﻲﺀ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ
ﻗﺎﻝ ﻳﺎ ﺟﺎﺑﺮ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﻓﺠﻌﻞ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﻳﺪﻭﺭ
ﺑﺎﻟﻘﺪﺭﺓ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻓﻲ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻮﻗﺖ ﻟﻮﺡ ﻭﻻ ﻗﻠﻢ ﻭﻻ ﺟﺘﺔ ﻭﻻ ﻧﺎﺭ ﻭﻻ ﻣﻠﻚ
ﻭﻻ ﺳﻤﺎﺀ ﻭﻻ ﺍﺭﺽ ﻭﻻ ﺷﻤﺲ ﻭﻻ ﻗﻤﺮ ﻭﻻ ﺟﻨﻲ ﻭﻻ ﺍﻧﺴﻲ .… ﺍﻟﻲ ﺍﺧﺮ
অর্থ: হযরত জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,
তিনি বলেন, আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার
পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবানি হোক,
আপনি আমাকে জানিয়ে দিন যে, আল্লাহ পাক সর্ব
প্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন? তিনি বলেন,
হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক
সর্ব প্রথম সব কিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর মুবারক
সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর সেই নূর মুবারক আল্লাহ পাক
উনার ইচ্ছা অনুযায়ী কুদরতের মাঝে ঘুরছিলো।আর
সে সময় লওহো, ক্বলম, জান্নাত, জাহান্নাম, ফেরেশতা,
আসমান, জমিন, চন্দ্র, সূর্য, মানুষ ও জ্বিন কিছুই
ছিলো না। “
দলীল সমুহ —
(১) মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক ১/৯৯, হাদীস ১৮
(২) দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩
(৩) মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া ১/৯
(৪) মাদারেজুন নবুওয়াত ২/২
(৫) যুরকানী ১/৪৬
(৬) রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫
(৭) সিরাতে হলবীয়া ১/৩০
(৮) মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ
(৯) ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ
(১০) নি’ মাতুল কুবরা ২ পৃ
(১১) হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫
(১২) দাইলামী শরীফ ২/১৯১
(১৩) মকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ নং মকতুব
(১৪) মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ
(১৫) ইনছানুল উয়ুন ১/২৯
(১৬) নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ
(১৭) আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃ
(১৮) আফদ্বালুল ক্বোরা
(১৯) তারীখুল খমীস ১/২০
(২০) নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড
(২১) দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ
(২২) কাশফুল খফা ১/৩১১
(২৩) তারিখ আননূর ১/৮
(২৪) আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮
(২৫) আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০
পৃষ্ঠা ।
(২৬) তাওয়ারীখে মুহম্মদ
(২৭) আনফাসে রহীমিয়া
(২৮) মা’ য়ারিফে মুহম্মদী
(২৯) মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০
(৩০) নশরুতত্বীব ৫ পৃ
(৩১) আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩
(৩২) শিহাবুছ ছাকিব ৫০
(৩৩) মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ
(৩৪) রেসালায়ে নূর ২ পৃ
(৩৫) হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ
(৩৬) দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদ কৃত বুখারী শরীফ ৫/৩
আমাদের সমাজের অনেক দেওবন্দী/ খারেজী/ওহাবী/
লা মাযহাবী/ তাবলীগি ইত্যাদি বাতিল ফির্কা এই
হাদীস শরীফকে নিজেদের সার্থ চরিতার্থ করার জন্য
জাল/দুর্বল বলে থাক। আসুন আমরা সত্যতার
মাপকাঠিতে হাদীস শরীফটির সনদ যাচাই করে দেখি।
যিনি এ হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন তিনি হচ্ছেন
হাফিজে হাদীস,ইমাম আব্দুর রাজ্জাক
রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম আব্দুর রাজ্জাক
রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হলেন মুসলিম উম্মাহের
সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীস ইমাম
বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দাদা উস্তাদ।
যদি বিতর্কের খাতিরে ধরেই নেই আব্দুর রাজ্জাক
রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে দুর্বল হাদীস
উল্লেখ করেছেন তাহলে বলতে হয় বুখারী শারীফেও
দুর্বল হাদীস আছে যেহেতু ইমাম
বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদীস শাস্ত্রের
জ্ঞান লাভ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক
রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর কাছ থেকে। কিন্তু
বুখারী শারীফে দুর্বল হাদীস আছে সেটা কেউই বলেন
না। তাই “হাদীসটি দুর্বল/জাল” কথাটি ভুল প্রমাণীত
হল।
হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ :
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু

মুহাম্মাদ বিন মুঙ্কদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি

মা’মার বিন রাশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি

আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি।
সুবহানাল্লাহ্ !!!
এবার দেখা যাক বর্নিত হাদীস শরীফ উনার রাবীদের
সম্পর্কে মুহাদ্দীসগণের মন্তব্য : হাফিজে হাদীস,
তাবে তাবেয়ীন ইমাম আব্দুর রাজ্জাক
রহমাতুল্লাহি আলাইহি : আহমাদ ইবন সালীহ
রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আমি একবার আহমাদ
বিন হাম্বল
রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনকে জিজ্ঞাসা করলাম,
আপনি হাদীস শাস্ত্রে আব্দুর রাজ্জাক
রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে নির্ভরযোগ্য আর
কাউকে পেয়েছেন? আহমাদ বিন হাম্বল
রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, না”।
দলীল-
√ তাহজিবুত তাহজিব লি হাফিয ইবনে হাজর
আসক্বলানী ২/৩৩১
হাদীস শরীফ উনার অপর রাবী মা’মার বিন রাশীদ
রহমাতুল্লাহি আলাইহি :
উনার সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল
রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি বাসরার সকল হাদীস
শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞের থেকে মুসান্নাফ আব্দুর
রাজ্জাকে মা’মার বিন রাশীদ এর
সূত্রে পাওয়া হাদীসগুলো পছন্দ করি। ইবন হাজর
আসকলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে প্রখর
স্বরনশক্তি সম্পন্ন এবং নির্ভরযোগ্য বলেন।
দলীল-
√ তাহজিবুত তাহজিব ১/৫০৫
√ আসমাউর রেজাল।
উক্ত মা’মার বিন রাশীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার
সূত্রে বর্ণিত বুখারী শারীফের হাদীস সংখ্যা প্রায়
২২৫ এবং মুসলিম শারীফে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা প্রায়
৩০০ টি।
সুবহানাল্লাহ্ !
হাদীসটির আরেক রাবী হলেন মুহাম্মাদ বিন মুকদার
রহমাতুল্লাহি আলাইহি : ইমাম
হুমায়দি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মুকদার
রহমতুল্লাহি আলাইহি একজন হাফিজ,ইমাম জারাহ
তাদীলের ইমাম ইবন মা’ঈন
রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উনি নির্ভরযোগ্য।
দলীল-
√ তাহজিবুত তাহজিব ০৯/১১০৪৮
√ আসমাউর রেজাল ।
হযরত মুনকদার রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত
হাদীসের সংখ্যা বুখারী শারীফে ৩০টি এবং মুসলিম
শারীফে ২২টি। সুবহানাল্লাহ্ !! আর মূল
বর্ননাকারী হলেন হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহাবী। বুখারী ও মুসলিম শারীফের
উনার থেকে বর্ণিত অনেক হাদীস আছে।
সুতরাং বুঝা গেল। হাদীসটির সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য
এবং উনাদের সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শারীফেও হাদীস
বর্ণিত আছে। সুতরাং বলা যায়, ইমাম বুখারী ও মুসলিম
রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উভয়ের হাদীস
শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ। সুবহানাল্লাহ্ !!

আলহামদুলিল্লাহ ! আমরা পরিস্কার
এবং বিশুদ্ধ সনদের মাধ্যমে হাদীস শরীফটির
গ্রহনযোগ্যতা জানতে পারলাম। এবার আসুন
আমরা দেখি উক্ত হাদীস শরীফ সম্পর্কে মুহাদ্দিস
এবং হাদীস শরীফ বিশারদগন কি বলেছেন।
উক্ত বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ খানা নিজ কিতাবে সহীহ
বলে উল্লেখ করেছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস
আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম
বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বলা হয় – ”
ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন স্বীয়
যুগের হাদীস শরীফ এবং ফিক্বাহ শাস্ত্রের
অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিত্ব। উম্মত যাদের মাধ্যমে খুব
উপকৃত হয়েছে এবং হাফিজে হাদীস এমন সাত
ব্যক্তি ছিলেন তাদের যাদের গ্রন্থ সবচাইতে উৎকৃষ্ট
বলে স্বীকৃত। সেই সাত জনের একজন হলেন, ইমাম
বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।”
দলীল-
√ আসমাউর রেজাল-বাবু আইম্মাতুল হাদীস।
এই জগৎবিখ্যত মুহাদ্দিস ইমাম,
আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার
কিতাবে বর্ননা করেন–
ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ
“….. নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম উনার
নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার “নূর”
মুবারক সৃষ্টি করেন।”
দলীল-
√ দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী ১৩ তম খন্ড ৬৩
পৃষ্ঠা।
বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস, যিনি এই উপমহাদেশে হাদীস
শরীফের ব্যাপক প্রচার প্রসার করেছেন, সু দীর্ঘ সময়
মদীনা শরীফে যিনি ইলিম চর্চা করেছেন।
যিনি প্রতিদিন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাত লাভ করতেন,
ইমামুল মুহাদ্দিসীন শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস
দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত
হাদীসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বা নূর সংক্রান্ত
হাদীস শরীফকে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি উনার কিতাবে লিখেন – ﺩﺭﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ ﻭﺍﺭﺩ ﺷﺪ ﻛﻪ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ
ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻱ
অর্থ: “সহীহ হাদীস শরীফে” বর্নিত হয়েছে যে, হুজুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম আমার নূর মুবারক
সৃষ্টি করেন!”
দলীল-
√ মাদারেজুন নবুওয়াত ২য় খন্ড ২ পৃষ্ঠা।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আরেফ বিল্লাহ,
সাইয়্যিদিনা আব্দুল
গনী নাবেলসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস
শরীফকে সরাসরি সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন – ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻛﻞ ﺷﻴﻲ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻛﻤﺎ ﻭﺭﺩ ﺑﻪ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ
ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ
অর্থ: নিশ্চয়ই প্রত্যেক জনিস হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক
থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যেমন এ ব্যাপারে ‘সহীহ’ হাদীস
শরীফ বর্নিত রয়েছে।”
দলীল-
√ হাদীক্বায়ে নদীয়া- দ্বিতীয় অধ্যায়-৬০ তম
অনুচ্ছেদ-২য় খন্ড ৩৭৫ পৃষ্ঠা।
ইমামুল মুফাসরিরীন, মুফতীয়ে বাগদাদ, হযরত
আলূসী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস
শরীফকে নির্ভরযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি উনার কিতাবে লিখেন – ﻭﻟﺬﺍ ﻛﺎﻥ ﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ
ﺍﻭﻝ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﺎﺕ ﻓﻔﻲ ﺍﻟﺨﺒﺮ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ ﻳﺎﺟﺎﺑﺮ
অর্থ : সকল মাখলুকাতের মধ্যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হলো,
নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যেমন-
হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু
আনহু! আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আপনার নবী ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন।”
দলীল-
√ রুহুল মায়ানী ১৭ তম খন্ড ১০৫ পৃষ্ঠা।
বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন,আল্লামা ইমাম মুহম্মদ মাহদ
ইবনে আহমদ ফার্সী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত
হাদীস শরীফকে সহীহ বলে নিজের কিতাব
মুবারকে উল্লেখ করেছেন। তিনি বর্ননা করেন – ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ
ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻩ ﻭﻣﻦ ﻧﻮﺭﻱ ﺧﻠﻖ ﻛﻞ ﺵﺀﻱ
অর্থ : মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক
সৃষ্টি করেন এবং আমার নূর মুবারক থেকে সবকিছু
সৃষ্টি করেন।”
দলীল-
√ মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃষ্ঠা ।
উক্ত হাদীস শরীফের সমর্থনে বিখ্যাত মুহাদ্দিস,
ছহীবে মেরকাত, ইমামুল মুহাদ্দিসীন
মুল্লা আলী কারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন –
ﻭﺍﻣﺎﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﻏﺎﻳﺎﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﻈﻬﻮﺭ ﺷﺮﻗﺎ ﻭ ﻏﺮﺑﺎ ﻭﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ
ﻧﻮﺭﻩ ﻭﺳﻤﺎﻩ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ﻧﻮﺭﺍ
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার নূর মুবারক পূর্ব ও পশ্চিমে পূর্নরুপে প্রকাশ
পেয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম উনার নূর
মুবারক সৃষ্টি করেন। তাই নিজ কিতাব কালামুল্লাহ
শরীফে উনার নাম মুবারক রাখেন ‘নূর’।”
দলীল-
√ আল মওযুআতুল কবীর ৮৩ পৃষ্ঠা।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আল্লামা আবুল হাসান বিন
আব্দিল্লাহ আল বিকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন
— ﻗﺎﻝ ﻋﻠﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻻ ﺷﻲﺀ ﻣﻌﻪ ﻓﺎﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﻧﻮﺭ ﺣﺒﻴﺒﻪ ﻗﺒﻞ ﺍﻥ ﻳﺨﻠﻖ
ﺍﻟﻤﺎﺀ ﻭﺍﻟﻌﺮﺵ ﻭﺍﻟﻜﺮﺳﻲ ﻭﺍﻟﻠﻮﺡ ﻭﺍﻟﻘﻠﻢ ﻭﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺍﻧﺎﺭ ﻭﺍﻟﺤﺠﺎﺏ
অর্থ: হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস
সালাম বলেন, শুধুমাত্র আল্লাহ পাক ছিলেন, তখন অন্য
কোন অস্তিত্ব ছিলো না। অতঃপর
তিনি পানি,আরশ,কুরসী, লওহো,ক্বলম,জান্নাত,
জাহান্নাম ও পর্দা সমূহ ইত্যাদি সৃষ্টি করার
পূর্বে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন।”
দলীল-
√ আল আনওয়ার ফী মাওলিদিন নাবিয়্যিল মুহম্মদ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ পৃষ্ঠা।
বিখ্যাত তাফসির কারক,ইমামুল মুফাসসিরীন,
আল্লামা ইসমাঈল
হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﺟﻤﻴﻊ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻣﻦ ﻧﻮﺭ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻭﻟﻢ ﻳﻨﻘﺺ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ
ﺳﻲﺀ
অর্থ: এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, নিশ্চয়ই মহান
আল্লাহ পাক সকল মাখলুকাত “নূরে মুহম্মদী” ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সৃষ্টি করেছেন। অথচ
“নূরে মুহম্মদী” ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
হতে কিঞ্চিত পরিমানও কমে নাই।”
দলীল-
√ তাফসীরে রুহুল বয়ান ৭ম খন্ড ১৯৭-১৯৮ পৃষ্ঠা।
হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু
হতে বর্নিত হাদীস শরীফ খানা অত্যন্ত সহীহ। আর
সহীহ বলেই সকল জগৎ বিখ্যাত মুহাদ্দিসগন উনাদের
কিতাবে উক্ত হাদীস শরীফ খানা বলিষ্ঠ
ভাবে বর্ননা করেছেন। আমরা উপরে কিছু ইমামদের
মতামত উল্লেখ করেছি। এছাড়াও আরো যারা উক্ত
হাদীস শরীফকে বিশুদ্ধ বলে নিজেদের
কিতাবে উল্লেখ করেছেন তাদের কথা উল্লেখ
করা হলো–
→ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকারক, হাফিজে হাদীস
আল্লামা কুস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার
“মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া” কিতাবের ১ম খন্ড ৯ পৃষ্ঠা।
→ হাফিজে হাদীস,আল্লামা যুরকানী রহমাতুল্লাহি
আলাইহি উনার “যুরকানী আলা শরহে মাওয়াহেব”
কিতাবের ১ম খন্ড ৪৬ পৃষ্ঠা।
→ বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে হাজর
হায়তামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার
“ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া” কিতাবে ১৮৯ পৃষ্ঠা ।
→ মুহাদ্দিস আলী ইবনে ইব্রাহীম
রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “সিরাতুল হলবীয়”
কিতাবে ১ম খন্ড ৩০ পৃষ্ঠা।
→ হাফিজে হাদীস, হযরত ইবনে হাজার
মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “আফদ্বালুল কোরা”
কিতাবে।
→ বিশিষ্ট আলেম, শায়খুল আল্লামা, হযরত দিয়ার
বাকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “তারীখুল
খামীস” কিতাব সহ শতশত কিতাবে উক্ত হাদীস শরীফ
খানা বর্ননা করা হয়েছে ।
প্রত্যকেই উক্ত হাদীস শরীফ এর উপর আস্থা স্থাপন
করেছেন বিনা দ্বিধায়। সুবহানাল্লাহ্ !! যেটা উছুলের
কিতাবে বলা হয়েছে – ﻓﺎﻥ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻳﺘﻘﻮﻱ ﺑﺘﻠﻘﻲ ﺍﻻﺀﻣﺔ ﺑﺎﻟﻘﺒﻮﻝ ﻛﻤﺎ ﺍﺷﺮ ﺍﻟﻴﻪ
ﺍﻻﻣﺎﻡ ﺍﻟﺘﺮ ﻣﺬﻱ ﻓﻲ ﺟﺎﻣﻌﻪ ﻭﺻﺮﺡ ﺑﻪ ﻋﻠﻤﺎﺀﻧﺎ ﻓﻲ ﺍﻻﺻﻮﻝ
অর্থ: কোন হাদীস শরীফকে ইমামগন নিঃসংকোচে কবুল
করে নেয়াই উক্ত হাদীস শরীফ
খানা শক্তিশালী বা সহীহ হওয়ার প্রমান। ইমাম
তিরমিযী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “জামে”
তে এদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আর আলেমগন তা উছুলের
কিতাবে সুস্পষ্ট ভাবে বর্ননা করেছেন।”
সূতরাং এরপরও যারা বলবে, উক্ত হাদীস শরীফ
খানা সহীহ নয়, তারা হাদীস শরীফের উছুল
সম্পর্কে নেহায়েত অজ্ঞ। উক্ত হাদীস শরীফ
খানা হাফিজে হাদীস ইমাম আব্দুর রাজ্জাক
রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব “মুসনাদে আব্দুর
রাজ্জাক” কিতাবে সহীহ সনদে বর্ননা করেছেন
এবং পৃথিবীর সকল ইমাম,মুহাদ্দিস গন উক্ত হাদীস
শরীফের প্রতি আস্থা স্থাপন করে স্ব স্ব
কিতাবে উল্লেখ করেছেন। সূতরাং প্রমান হলো উক্ত
হাদীস শরীফ খানা সর্বোচ্চ মানের সহীহ একটি হাদীস
শরীফ।

এখন মজার ব্যাপার দেখুন, যেসকল
ওহাবী দেওবন্দীরা উক্ত হাদীস শরীফ
নিয়ে আপত্তি করে তাদের অন্যতম গুরু আশরাফ
আলী থানবী নিজেই উক্ত হাদীস শরীফকে তার কিতাব
“নশরুত তীব” উল্লেখ করেছে। এবার দেখুন থানবী তার এই
কিতাবে কি লিখেছে — থানবী এই কিতাবে প্রথম
যে অধ্যায় রচনা করেছে তার নাম দিয়েছে ”
নূরে মুহম্মদীর বিবরন”।
যাইহোক, এখানে প্রথমেই যা লিখেছে তা হলো- ” আব্দুর
রাজ্জাক তাঁর সনদসহ হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ
থেকে বর্ননা করেছেন যে, আমি আরজ করলাম :
ইয়া রসূল্লাল্লাহ আমার পিতা মাতা আপনার জন্য
কোরবান হউক, আমাকে এই খবর দিন যে, আল্লাহ পাক
সর্ব প্রথম কোন বস্তুটি সৃষ্টি করেছেন?
প্রিয়নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ
করলেন, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! আল্লাহ পাক
সবকিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন অর্থাৎ
হাদীসে জাবির বর্ণনা করেছে দেওবন্দী আশরাফ
আলী থানবী নিজ কিতাবে। মজার
কথা হলো থানবী মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাকে হাদীসের
সনদ খুজে পেল আর বর্তমানে তারই
অনুসারী ওহাবী দেওবন্দীরা সনদ খুজে পায় না। কত
হাস্যকর লজ্জাজনক বিষয় নিজেরাই চিন্তা করুন। শুধু
তাই নয়, আশরাফ আলী থানবী উক্ত “নশরুত্বীব”
কিতাবের প্রথম অধ্যায়ে “নূরে মুহম্মদীর বিবরন” শীর্ষক
বর্ননায় আরো একটি হাদীস শরীফ উল্লেখ করেছে –
ইমাম জয়নুল আবেদীন আলাইহিস সালাম উনার
পিতা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম
থেকে এবং তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু
থেকে বর্ননা করেন যে, হুজুর ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি আদম
আলাইহিস সালাম উনার জন্মের ১৪ হাজার বছর
পূর্বে আমার পরওয়ারদিগারের দরবারে একটি “নূর”
ছিলাম।” সুবহানাল্লাহ্ !!!
দেওবন্দী/কাওমীরা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম নূর হিসাবে সৃষ্টি এই
হাদীস অস্বীকার করলে কি হবে এদের একমাত্র
অবিভাবক ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ আবার এই হাদীস
স্বীকার করে ফতোয়া দেয়। সবাই দেখুন ভারতের
দেওবন্দীরা আশরাফ আলি থানভি সাহেবের কিতাব
থেকেই তাদের ওয়েবসাইটে ফতোয়া বিভাগে দলীল
দিচ্ছে–> Question: 3126 >Is the Prophet peace be upon him’s
nur the first thing to be created? Also, was it created before
Adam alayhis salam’s? Answer: 3126 Jan 29,2008 (Fatwa:
903/876=D)
Hazrat Hakimul Ummah, Maulana Ashraf Ali Thanwi has
mentioned a Hadith in his book ﻧﺸﺮ ﺍﻟﻄﯿﺐ ﻓﯽ ﺫﮐﺮ ﺍﻟﻨﺒﯽ ﺍﻟﺤﺒﯿﺐ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ
ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ with reference of Ahkam bin Al- Qattan that Hazrat Ali
bin Al- Hussain (Zainul Abdeen) narrated from his father Hazrat
Hussain ( ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ) and he narrated from his father (Hazrat
Ali ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ) that the Prophet ( ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ) said: ?I was a
noor (light) in front of my Lord some forty thousand years
before the birth of Hazrat Adam ( ﻋﻠﯿﮧ ﺍﻟﺴﻼﻡ )?. There are some
more traditions which prove that the noor of the Prophet ( ﺻﻠﯽ
ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ) was created in the earliest time, some traditions
say that his noor was created before the Tablet, the Pen, earth,
sky and even before all creatures. Allah (Subhana Wa Ta’ala)
knows Best Darul Ifta, Darul Uloom Deoband. ভারতের দারুল
উলুম দেওবন্দের ফতোয়ার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক – ->>>
http://darulifta-deoband.org/showuserview.do? function=answerView&all=en&id=3126

আবার উক্ত হাদীসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু
দেওবন্দীদের আরেক মৌলবী দেওবন্দীদের মৃত শায়খুল
হদস আজিজুল হক তার বুখারী শরীফের অনুবাদে ৫ম খন্ড
৩ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছে।
অর্থাৎ বিরোধিতা কারীদের কিতাবেও উক্ত হাদীস
শরীফ খানা নির্ভরযোগ্য
হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন
হচ্ছে বর্তমানে দুই পয়সার
বাজাইরা ওহাবী মৌলবীরা উক্ত হাদীস শরীফের
বিরোধিতা করে কেন ?????
যাইহোক, উপরোক্ত আলোচনা থেকে দিবালোকের মত
প্রমান হলো, আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম হুজুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক
সৃষ্টি করেছেন। এবং সেই নূর মুবারক থেকে সবকিছু
সৃষ্টি করেন। এটাই হলো আহলে সুন্নত ওয়াল
জামায়াতের আক্বীদা, এবং এর বিপরীত
আক্বীদা পোষন করা কুফরী। আল্লাহ পাক আমাদের সত্য
বোঝার তৌফিক দান করুন। আমীন !!


 
Top