মাযহাবের তাক্বলিদ

সংকলনঃ সুন্নি-বিশ্বকোষ 


মাযহাব না মানলে বুখারী মুসলিম মানা যায় না


কথোপকথন : সহিহ্ বিনোদন

আহলূস সুন্নাহ্ Vs আহলে হাদিস


✧ আহলে হাদিস : আপনার লিখা দেখে মনে হয় আপনি মাযহাব অনুসরণ করেন। আপনাকে একটি উপদেশ দিচ্ছি, বুখারী মুসলিম পড়ুন আর মানুন, ঐসব মাযহাব অনুসরণ করা বাদ দিয়ে দিন, কারণ মাযহাব অনুসরণ করা স্পষ্টতই কুফরী, বিদয়াতী, গোমরাহী।
✧ আহলূস সূন্নাহ্ : আপনি নিশ্চিত তো মাযহাব অনুসরণ করা স্পষ্টতই কুফরী, বিদয়াতী, গোমরাহী?
✧ আহলে হাদিস : হ্যাঁ, অবশ্যই। আমার কাছে কুরআন হাদীসের দলীল আছে।
✧ আহলূস সূন্নাহ্ : তাহলে ভাই আপনি নিজেই তো বুখারী মুসলিম পড়তে পারবেন না, মানা তো দূরের কথা! কারণ আপনিতো বুখারী, মুসলিম পড়ার অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন।
✧ আহলে হাদিস : কী বলছেন!, পড়তে পারব না কেন? (সে অবাক হয়ে বলল)
✧ আহলূস সূন্নাহ্ : দেখুন, ইমাম বুখারী তো আর আপনাকে নিজ হাতে তাঁর বুখারী শরীফটি দিয়ে যাননি, তাই না?
✧ আহলে হাদিস : হ্যাঁ, অবশ্যই। তো, তাতে কী!
✧ আহলূস সূন্নাহ্ : এবার শুনুন, এই পৃথিবীতে বুখারী শরীফের অনেকগুলো নুছকা পাওয়া যায়।


তবে তার মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হচ্ছে ৪টি।
এই চারটি নুছকা যাদের তাদের নাম হলো :
০১ ইবরাহীম বিন মা’কাল বিন হাজ্জাজ আন নাসাফী (رحمة الله)। তিনি ২৯৪ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন।
০২ হাম্মাদ বিন শাকের আন নাসাফী (رحمة الله)। যিনি ৩১১ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন।
০৩ মুহাম্মদ বিন ইউসুফ আল ফিরাবরী (رحمة الله)। তিনি ৩২০ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন।
০৪ আবু তালহা মানসুর বিন মুহাম্মদ (رحمة الله)। তিনি ২৬৯ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন।


আপনি লক্ষ্য করুন,
এই ৪জনের মাঝে প্রথম দুইজন :
০১ ইবরাহীম বিন মা’কাল বিন হাজ্জাজ আন নাসাফী (رحمة الله) এবং
০২ হাম্মাদ বিন শাকের আন নাসাফী (رحمة الله) 

ইমাম আবু হানীফা (رحمة الله) এর মাযহাবভূক্ত।
আর অন্য দুজন হলেন শাফেঈ মাযহাবের অনুসারী।
কিছু কী বুঝতে পারছেন!
অর্থাৎ বুখারী শরীফকে যারা পৃথিবীর বুকে টিকিয়ে রেখেছেন, তারা সবাই মাযহাবী ছিলেন, কেউ আপনাদের মত লা-মাযহাবী বা গায়রে মুক্বাল্লেদ ছিলেন না।
শুনে আরও অবাক হবেন, মুসলিম শরীফের শুধুমাত্র একটি নুছকা পাওয়া যায়।
আর এ নুছকাটি যাঁর তিনিও একজন হানাফী।
অর্থাৎ মুসলিম শরীফকেও পৃথিবীতে টিকিয়ে রেখেছেন হানাফী।
আরও শুনুন,
বিশ্ব বিখ্যাত হাদিস সংকলন মুয়াত্তা; যে কিতাবটিকে উম্মুল সহীহাইন অর্থাৎ বুখারী মুসলিম কিতাব দু'টির ``মা`` বলা হয় এবং বুখারী মুসলিমের আগে সংকলিত বলা হতো, আর এর প্রসিদ্ধি হলো দুনিয়ার বুকে কোরআনের পর সবচেয়ে বিশুদ্ধ কিতাব মুয়াত্তা; সেই মুয়াত্তার ২টি নুছকা পাওয়া যায়।
তার মধ্যে একটি হলো ইমাম মুহাম্মদ (رحمة الله) এর।
অন্য নুছকাটি হল ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া আল লাইছি আল মাসনুদের। যেটাকে পৃথিবীর সকলে মুয়াত্তা মুহাম্মদ বলে থাকি।
কিছু বুঝতে পারছেন!
শুনুন,
ঐ ২ জনের প্রথম জন হলেন হানাফী আর দ্বিতীয়জন হলেন মালেকী।
অর্থাৎ মুয়াত্তাকেও দুনিয়ার বুকে টিকিয়ে রেখেছেন মাযহাব অনুসরনকারীরা।
এবার আপনার কথাতেই আসুন,
যদি মাযহাব অনুসরণ করা স্পষ্টতই কুফরী, বিদয়াতী, গোমরাহী হয়ে থাকে তবে এ সমস্ত নুছকা যারা আমাদের কাছে নিয়ে এসেছেন তারা সবাই কুফর করেছেন, তারা সবাই বিদয়াতী, গোমরাহ্, কাফীর (নাউযুবিল্লাহ্,আস্তাগফিরুল্লাহ্)।

তাহলে এবার আমাকে বলুন,
আপনি কিভাবে এমন ব্যক্তিদের নিয়ে আসা হাদীসের কিতাব পড়ছেন, আর মানছেন যাঁরা নিজেরাই কি না কুফর, বিদয়াত, গোমরাহীতে লিপ্ত ছিল!
কোন যুক্তিতে তাদের দেয়া কিতাব অনুসরণ করা জায়েয হবে? কারনটি কি বলবেন? আর যদি তাদের দেয়া কিতাব পড়ার কোন যৌক্তিকতা না থাকে তবে, এখন হয়, আপনি আজ থেকে বুখারী মুসলিম পড়া ছেড়ে দিন, আর না হয় আপনার নিজের জ্ঞানকে আরেকবার পরিশুদ্ধ করে নিন।


মাযহাব মানা ওয়াজিব ও ইমামগণের ইজমা
——————————————————



❏ ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের উস্তাদ, হাদীসের জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বজন স্বীকৃত ইমাম বিশেষত হাদীস যাচাই-বাছাই বা ইল্মুল্ জারহ্ অ-তা’দীলের অতুলনীয় ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্যাসাগর ইমাম ইয়াহ্ইয়া ইবনে মঈন (رحمة الله) অসীম জ্ঞানের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি বল্গাহীন পথ পরিহার করে ইমাম আবু হানীফার তাক্বলীদ করে চলতেন। “ আমার নিকট গ্রহণযোগ্য ক্বিরাআত হামযার ক্বিরাআত এবং গ্রহণযোগ্য ফিক্বহ ইমাম আবু হানিফার ফিক্বহ। সকল মানুষকেও আমি এর উপর ঐক্যবদ্ধ পেয়েছি। ” [তারিখে বাগদাদঃ পৃ – ১৩/৩৪৭]


❏ ইমামুল হারামাইন জুয়াইনী (رحمة الله), (মৃঃ ৪৭৮ হিঃ) (মক্কা-মদীনা শরীফের ইমাম সাহেব) চার মাযহাবের তাক্বলীদ ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে ‘ইজ্মা’ উল্লেখ করেছেন।”[নুরুল হিদায়া হতে সংকলিত, পৃ – ১০; দেখুনঃ ফয়যুল কাদীরঃ পৃ – ১/২১০; শরহুল মুহায্যাব, নববীঃ পৃ – ১/৯১, আদাবুল মুস্তাফতী অধ্যায়]


❏ ইমাম নববী (رحمة الله) (মৃঃ ৬৭৬ হিঃ) ‘রাওযাতুত তালেবীন’ নামক গ্রন্থে লিখেনঃ “উলামাগণ বলেন, ইজতিহাদে মুতলাক ইমাম চতুষ্টয় পর্যন্ত খতম হয়ে গেছে। তাই তাঁরা ইমাম চতুষ্টয়ের কোন একজনের ‘তাক্বলীদ’ মুসলিম উম্মাহর জন্য ওয়াজিব সাব্যস্ত করে দিয়েছেন।

❏ ওহাবী সালাফী গুরু ইবনে তাইমিয়্যাহ (মৃঃ ৭২৮ হিঃ) লিখেছেনঃ
“মুসলিম উম্মাহর ‘ইজ্মা’ উপেক্ষা করে চার মাযহাবের বিপরীতে কোন মায্হাব রচনা বা গ্রহণ বৈধ হবে না। ” [ফাত্ওয়া-ইবনে তাইমিয়্যাঃ পৃ – ২/৪৪৬]

❏ ইমাম তাহতাবী (رحمة الله) বলেনঃ

 من كان خارجا من هذه المذاهب الأربعة فهو من اهل البدعة والنار 

তথা যে ব্যক্তি এ চার মাযহাব [হানাফী, শাফেয়ী, মালেকী, হাম্বলী] থেকে বেরিয়ে যাবে, সে বিদআতি এবং জাহান্নামী। [তাহতাবী আলাদ্দুর]


❏ আল্লামা ইমাম ইবনে হাজার মক্কী (رحمة الله) (মৃঃ ৯৭৩ হিঃ) তাঁর স্বীয় প্রসিদ্ধ কিতাব ‘ফাত্হুল মুবীন’ এ লিখেনঃ
“ আমাদের যুগের বিশেষজ্ঞদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবু হানীফা, শাফেয়ী, মালেক ও আহমদ বিন হাম্বল – এ চার ইমাম ব্যতীত অন্য কারও তাক্বলীদ (অনুসরণ) জায়িয নয়। ” [ফাত্হুল মুবীনঃ পৃ – ১৯৬]

❏ হযরত মোল্লা’ জিওন (رحمة الله) তাফসীরে আহমাদিয়ায় লিখেছেন,
والإنصاف أن إنحصارالمذاهب فى الأربع فضل إلهى وقبولية من عندالله تعالى لامجال فيها للتوجيهات والأدلة ؛
অর্থঃ ইনসাফ হল, মাযহাব চারের মধ্যে সামীবদ্ধ হওয়া আল্লাহ পাকের দয়া ও তা কবুল হওয়ার দলীল এক্ষেত্রে দলীল ও ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ নেই।

❏ বিখ্যাত উসূলে হাদীস বিশারদ, ইবনি নুজাইম (رحمة الله) (মৃঃ ৯৭০ হিঃ) লিখেনঃ
“ যে ব্যক্তি ইমাম চতুষ্টয়ের বিপরীত মতামত পোষণ করবে সে মুসলিম উম্মাহর ‘ইজমা’ তথা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত-বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হবে। ”
[আল্-আশ্বাহ্ ওয়ান নাযাইরঃ পৃ – ১৩১]

❏ আল্লামা আব্দুল ওয়াহাব শা’রানী (رحمة الله) (মৃঃ ৯৭৩ হিঃ) তাঁর বিখ্যাত কিতাব আল্-মিযানে লিখেনঃ
“ নিজে পথভ্রষ্ট না হওয়া ও অপরকে পথভ্রষ্ট না করার জন্য নির্দিষ্ট মায্হাবের অনুসরণ জরুরী। ”
[ইনতেছারুল হক্ব হতে সংকলিতঃ পৃ – ১৫৩]


❏ শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ দেহলভী (رحمة الله) (মৃঃ ১১৭৬ হিঃ), লা-মায্হাবীদের কাছেও যিনি গ্রহণযোগ্য, তাঁর সুপ্রসিদ্ধ কিতাব হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগায় লিখেনঃ “ সু-বিন্যস্ত গ্রন্থবদ্ধ এ চার মায্হাবের উপর সকল ইমামগণের ‘ইজ্মা’ তথা ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।" [হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগাঃ পৃ – ১/১২৩]


❏ ওহাবী সালাফী গুরু মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব নজদী এর মায্হাবঃ লা-মায্হাবীরা দাবী করে থাকে যে, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওহহাব নজদীও লা-মায্হাবী ছিলেন। কিন্তু তিনি একজন হাম্বলী মায্হাবের অনুসারী ছিলেন এবং তিনি নিজেই স্বীয় মায্হাব সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন। [আল-হাদিয়াতুস্ সুন্নাহঃ পৃ – ৯৯]

❏ সাথে সাথে চার মায্হাবের যে কোন একটির ত্বাকলীদ করা যাবে এবং এই চার মায্হাব ছাড়া অন্য কোন মায্হাবের অনুসরণ করা যাবে না বলেও তিনি মত প্রকাশ করেছেন। 

[তারীখু নাজদ-আলূসীঃ পৃ – ৫৪-৫৬; ছিয়ানাতুল্ ইনসানঃ পৃ – ৪৭১১]


হাদিস শাস্ত্রের ইমামগণের মাযহাব

——————————————



✹১। ইমাম বুখারী (رحمة الله) ➠ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।

সুত্রঃ 

ক.নবাব ছিদ্দিক হাসান খানঃ আবজাদুল উলুম পৃষ্ঠা নং ৮১০, 

খ.নবাব ছিদ্দিক হাসান খানঃ আলহিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৮৩।

গ.শাহ ওয়ালিউল্লাহ (رحمة الله) লিখিত আল-ইনসাফ পৃষ্ঠা নং ৬৭। 

ঘ.আল্লামা তাজ উদ্দীন সুবকী (رحمة الله) লিখিত ত্ববকাতুশ শাফেয়ী পৃষ্ঠা নং ২/২।


✹২। ইমাম মুসলিম (رحمة الله) ➠ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।

[নবাব ছিদ্দিক হাসান খানঃ আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।]


✹৩। ইমাম তিরমিজী (رحمة الله) নিজে মুজ্তাহিদ ছিলেন।➠ তবে হানাফী ও হাম্বলী মাজহাবের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।

[শাহ ওয়ালিউল্লাহ (رحمة الله) লিখিত আল-ইনসাফ পৃষ্ঠা নং ৭৯।]


✹৪। ইমাম নাসাঈ (رحمة الله) ➠ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী ছিলেন। [নবাব ছিদ্দিক হাসান খানঃ আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৯৩]


✹৫। ইমাম আবু দাউদ (رحمة الله) ➠ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী ছিলেন। [নবাব ছিদ্দিক হাসান খানঃ আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।]


▪ আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী (رحمة الله) ইবনে তাইমিয়ার উদ্দৃতি দিয়ে ইমাম আবু-দাউদ (رحمة الله)কে ➠ শাফেয়ী বলে উল্লেখ করেছেন। [ফয়জুল বারী ১/৫৮]


✹৬। ইমাম ইবনে মাজাহ (رحمة الله) ➠ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী। [ফয়জুলবারী ১/৫৮।]


অন্যান্য ইমামগণের মাজহাব আহলে হাদিস নেতা নবাব ছিদ্দীক হাসান খান সাহেবের আল-হিত্তা কিতাব থেকে।

————————————————


✹৭। মিশকাত শরিফ প্রণেতা ➠শাফেয়ী, [পৃঃ১৩৫]

✹৮। ইমাম খাত্তাবী (رحمة الله) ➠ শাফেয়ী, [পৃঃ ১৩৫]

✹৯। ইমাম নববী (رحمة الله) ➠ শাফেয়ী, [পৃঃ ১৩৫]

✹১০। ইমাম বাগভী (رحمة الله) ➠ শাফেয়ী, [পৃঃ ১৩৮]

✹১১। ইমাম ত্বহাবী (رحمة الله) ➠ হানাফী [পৃঃ১৩৫]

✹১২। বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (رحمة الله) ➠ হাম্বলী, [পৃঃ ৩০০]

✹১৩। ইবনে তাইমিয়া ➠ হাম্বলী, [পৃঃ ১৬৮]

✹১৪। ইবনে কায়্যিম ➠ হাম্বলী, [পৃঃ১৬৮]

✹১৫। ইমাম আব্দুল বার (رحمة الله) ➠ মালেকী, [পৃঃ১৩৫]

✹১৬। ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) ➠ হানাফী, [পৃঃ১৬০]

✹১৭। শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) ➠ হানাফী, [পৃঃ ১৬০-১৬৩]

✹১৮। ইমাম ইবনে বাত্তাল ➠ মালেকী, [পৃঃ২১৩]

✹১৯। ইমাম হালাবী (رحمة الله) হানাফী [পৃঃ২১৩]

✹২০। ইমাম শামসুদ্দীন আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুদ দায়েম (رحمة الله) শাফেয়ী, [পৃঃ২১৫]

✹২১। ইমাম বদরুদ্দীন আঈনী (رحمة الله) হানাফী, [পৃঃ২১৬]

✹২২। ইমাম যারকানী (رحمة الله) শাফেয়ী, [পৃঃ ২১৭]

✹২৩। ইমাম ক্বাজী মুহিব্বুদ্দীন (رحمة الله) ➠ হাম্বলী, [পৃঃ ২১৮]

✹২৪। ইমাম ইবনে রজব (رحمة الله) ➠ হাম্বলী, [পৃঃ২১৯]

✹২৫। ইমাম বুলকিনী (رحمة الله) ➠ শাফেয়ী, [পৃঃ ২১৯]

✹২৬। ইমাম মার্যুকী (رحمة الله) ➠ মালেকী [পৃঃ ২২০]

✹২৭। ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (رحمة الله) ➠ শাফেয়ী, [পৃঃ২২০]

✹২৮। ইমাম কুস্তলানী ➠ শাফেয়ী, [পৃঃ২২২]

✹২৯। ইমাম ইবনে আরাবী ➠ মালেকী, [পৃঃ ২২৪]

✹৩০। ইমাম কাজী আয়াজ (رحمة الله) ➠ মালেকী 



এখন কি তাহলে উল্লেখিত ইমাম, মণীষীদেরকে মাজহাব মানার কারণে বর্জন করতে হবে? (নাউযুবিল্লাহ)

 



তাবেঈরা যে ৪ সাহাবীর অনুসরণ করতেন
—————————————————


❏ ইবনুল কাইয়্যিম লেখেন -
দ্বীন, ফিক্বহ এবং ইলম উম্মতের মাঝে ছড়িয়েছে ৪ জন সাহাবীর এবং তাদের ছাত্রদের দ্বারা, তাঁরা হলেন-

১. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه)
২. হযরত যায়েদ বিন সাবিত (رضي الله عنه)
৩. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه)
৪. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)
উম্মতের ইলম অধিকাংশ-ই এই ৪ জনের বা তাদের শাগরেদদের থেকে এসেছে।।

❏ মদিনা-ওয়ালারা ইলম পেয়েছেন ➠ হযরত যায়েদ বিন সাবিত (رضي الله عنه) এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) এর সাথে উনাদের ছাত্রদের থেকে, 


❏ মক্কা-ওয়ালারা ইলম পেয়েছেন ➠ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এবং উনার ছাত্রদের থেকে, আর 


❏ ইরাক-ওয়ালারা ইলম পেয়েছেন ➠ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) এবং উনার ছাত্রদের থেকে।।

❏ ইমাম ইবনে জারীর (رحمة الله) বলেছেন - হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) এবং এক সাহাবীদের জামাত হযরত যায়েদ বিন সাবিত (رضي الله عنه) এর মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে, যদি কোনো বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কোন মতামত না পেলে যায়েদ বিন সাবিত (رضي الله عنه) এর মাযহাব অনুযায়ী ফতোয়া দিতেন। [ই'লামুল মুওয়াকক্বীন আর রাব্বীল আ'লামীন - খণ্ড ২য়, পৃষ্ঠা ৩৮]



মন্তব্যঃ

১. ১০৪খানা আসমানী কিতাবের মাঝে বড় কিতাব ৪টি।
২.অসংখ্য মালাইকার মাঝে বড় ফেরেশতা ৪ জন।
৩.লাখো সাহাবীর মাঝে খুলাফায়ে রাশেদীন ৪ জন।
৪.আর লাখো সাহাবীর মাঝে দ্বীনের ইলমকে উম্মতের মাঝে ছড়িয়েছেন ৪জন ফকিহ সাহাবী।
৫.ঠিক তেমনি সকল মাসলা-মাসায়েল উসূল আর ফুরু সহকারে সুবিন্যস্ত করেছেন আর প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন ৪ মাযহাবের ইমাম।


 
Top