اِنَّ اَّبَا ھُرَیْرَۃَ قَالَ، قَالَ رَسُولُ اللّٰہِ صَلَّی اللّٰہ تَعَالیٰ عَلَیْہِ وَسَلَّم: سَتَکُوْنُ فِتَنٌ 
الْقَاعِدُ فِیھَا خَیْرٌ مِنْ الْقاءِمِ، وَالئقَاءِمُ فِیھَا خَیْرٌ مِنَ المَّاشِیِ، وَالئمَاشِیِ فِیھَا خَیْرٌ مِنَ السَّاعِیِ، مَنْ تَشَرَّفَ لَھَا تَسْتَشْرِفُہُ، وَمَنْ وَجَدَ فِیھَا  مَلْجَأً فَلْیَعُذُ بِہِ
(صحیح البخاری،جلد:۱،ص:۸۰۵، صحیح مسلم شریف ص:۹۸۳، کتاب الفتن وأشراط الساعۃ، مجلس البرکات)
অনুবাদ:-হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে, নবীজী বলেছেন যে, অচিরে মহামারী ছড়িয়ে পড়বে, যাতে উপবিষ্ট  ব্যক্তি দণ্ডায়মান ব্যক্তির চেয়ে উত্তম হবে, দণ্ডায়মান ব্যক্তি চলমান ব্যক্তির থেকে উত্তম হবে, চলমান ব্যক্তি উত্তম হবে ধাবমান ব্যক্তির থেকে। যে ব্যক্তি এই মহামারীকে দেখতে যাবে স্বয়ং মহামারী তাকে দেখবে( অর্থাৎ মহামারী তাকে আক্রমণ/আক্রান্ত করবে) আর যে ব্যক্তি তার থেকে নিরাপদে থাকার জায়গা পাবে সে যেন আশ্রয় গ্রহণ করে। (সহীহ্ বুখারী শরীফ,১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা নং ৫০৮/সহীহ্ মুসলিম শরীফ, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা নং ৩৮৯)

উক্ত হাদীসে ফিতনা (فتنة) শব্দের অর্থ বিপদ-আপদ , মহামারী ও পরীক্ষা। নিঃসন্দেহে কোরোনা ভাইরাস এক ধরনের মহামারী, বিপদ ও পরীক্ষা। এর মানে যে ব্যক্তি যত বেশী বাইরে ঘোরাঘুরি করবে তার পরীক্ষায় পতিত হবার সম্ভাবনা ততই বেশী হবে। আর যে ব্যক্তি যতটা বিচ্ছিন্ন ও একা থারবে সে ততটাই নিরাপদে থাকবে। ঘুমন্ত ব্যক্তি সব চেয়ে বেশী বিচ্ছিন্ন ও একা থাকে তাই সে সর্বাধিক নিরাপদ ।
আজ দুনিয়াবাসী কোরোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন ও একাকী (Quarantining) থাকার সুন্দর পদ্ধতি উপস্থাপন করেছে, যা প্রিয় নবীর অমূল্য বাণীর সুন্দর পালন। সুতরাং মুসলিম সমাজ প্রিয় নবীর নির্দেশিকার প্রতি আমল করতঃ নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করবে। দুআ, তৌবা-ইসতেগফার ও কোরান শরীফ পাঠে মগ্ন থাকবে।আর বেশী বেশী করে حَسْبُنَا اللّٰہَ وَ نِعْمَ الْوَکِیْل  ও لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّۃَ اِلَّا بِاللّٰہِ     পাঠ করবে। 
(অনূদিত : আল-জামিয়াতুল আশরাফীয়া, আজমগড়, উঃ প্রঃ কর্তৃক সম্প্রচারিত প্যাড থেকে কপিকৃত )
 ইতি
মুফতী আমজাদ হোসেন সিমনানী
 
Top