জনাব মুফতী সাহেব 
السلام علیکم ورحمةاللہ و برکاتہ
জনাব মুফতী সাহেব আমরা মাগরাই সমাজের তরফ হইতে কয়েক টি জিঙ্গাসা নিয়ে আপনার কাছে এসেছি।
(১) রমজান মাসে তারাবির নামাজ মাগরাই সমাজের জামে মসজিদে সব দিন হয়ে এসেছে এবং সমাজে অবস্থিত কয়েকটি ওয়াক্তিয়া মসজিদেও হয়ে এসেছে সব দিনধরে।
 বর্তমানে জালসায় এক মুফতী সাহের ফতুয়া দেন যে জামে মসজিদের অর্থভান্ডার থেকে ওয়াক্তিয়া মসজিদের তারাবি বাবদ মৌলানার বেতন বা অন্নান্য খরচ দেওয়া যাবে না।
আমাদের জিঙ্গাসা এটা ঠিক না ভুল?
(২) জামে মসজিদে তারাবি হচ্ছে-তাছাড়াও ওয়াক্তিয়া মসজিদে তারাবির নামাজ হওয়া ঠিক না ভুল?
বিঃদ্রঃ-মাগরাই মসাজ সাত শত পরিবারের মসস্ত ধরনের সাহাথ্যে যথা-
(ক) সাপ্তাহিক মুঠি
 (খ) বিভিন্য ধরনের চাঁদা ইত্যাদি নিয়ে পরিচালিত হয়ে এসেছে
 (গ) মসজিদের নামে সকলের সহযোগিতায়  ক্রয় করা কিছু জমি (আমবাগান ও রয়েছে)
وعلیکم السلام ورحمتہ اللہ وبرکاتہ
উত্তর:-(১) জি হাঁ। এক মসজিদের আসবাবপত্র বা টাকা পয়সা শরীয়ত মোতাবেক যুক্তি সিদ্ধতা ব্যতীত অন্য কোন জামে মসজিদে বা ওয়াক্তিয়া মসজিদে দেওয়া কিংবা ইমামের বেতন বা অন্নান্য খরচ বহন করা জায়েয নয়। 
ফিক্বহে হানাফীর বিখ্যাত কিতাব, রাদ্দুল মোহতার, দ্বিতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা নং:-৩৫৮ এ লিখা আছে-
لایجوز نقلہ ونقل مالہ الی مسجد اخر
অর্থাৎ:- এক মসজিদ এবং মসজিদের সম্পত্তি অন্য মসজিদে পরিবর্তন করা জায়েয নয়। 
আর আলা হযরত ইমাম আহমাদ রেযা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন-
اگر ایک مسجد میں لوٹے حاجت سے زائد ہوں اور دوسری مسجد میں نہیں تو اسکے لوٹے اسمیں بھیجنے کی اجازت نہیں۔
অর্থাৎ:- যদি এক মসজিদে লোটা প্রয়োজন থেকেও বেশী হয় এবং অন্য মসজিদে লোটার প্রয়োজন হয় তবুও ঐ মসজিদের লোটা অন্য মসজিদে পাঠানোর অনুমতি নেই।
(ফাতাওয়া রেজবিয়া, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা নং:-৩৮৪)
ایک مسجد کی چیز دوسری مسجد میں بھی عاریت دینا جائز نہیں۔
অর্থাৎ:- এক মসজিদের জিনিস অন্য মসজিদেও ধারস্বরুপ দেওয়া জায়েয নয়।
 (ফাতাওয়া রেজবিয়া, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা নং:-৮৫৫)
যেহেতু এক মসজিদের সম্পত্তি, লোটা জিনিসপত্র ইত্যাদি অন্য মসজিদেও দেওয়া জায়েয নয়। সেহেতু জামে সমজিদের টাকা অন্য কোন মসজিদের ইমামকে তারাবীর বেতন বাবদ দেওয়াও জায়েয নয়।
(ফাতাওয়া আমজাদিয়া, তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা নং:-৪২ এ লিখা আছে-
چندہ دینے والے جس مقصد کیلئے چندہ دیں اس مقصد میں  وہ  رقم صرف کی جاسکتی ہے دوسرے میں صرف کزنا جائزنہیں۔
অর্থাৎ:-চাঁদা দেনেওয়ালা যেই উদ্দেশ্যে চাঁদা দেবেন ঐ উদ্দেশ্যেই টাকা খরচ করা যাবে অন্য কাজে খরচ করা জায়েয নয়।
অতত্রব সাপ্তাহিক মুঠি এবং বিভিন্ন ধরনের চাঁদা ও আমবাগান যদি শুধুমাত্র প্রশ্নে উল্লেখিত জামে মসজিদের উদ্দেশ্যে হয় তবে ওয়াক্তিয়া মসজিদে কিংবা ইমামকে বেতন বাবদ দেওয়া জায়েয নয়। 
(ফাতাওয়া ফাক্বিহে মিল্লাত, দ্বিতীয় খন্ড,পৃষ্ঠা নং:-১৬৬)
(নোট:- ওয়াক্তিয়া মসজিদের ইমামগণের বেতনের জন্য আলাদা করে চাঁদা নিবেন। যার ফান্ড আলাদা থাকবে।)
(২) তারাবীর নামায সঠিক হওয়ার জন্য জামে মসজিদ হওয়া শর্ত নয়। যেমন জামে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাযের জামাত হওয়া সত্ত্বেও ওয়াক্তিয়া মসজিদে পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামায সঠিক তেমনি তারাবীর নামাযও মসজিদে সঠিক।
(ফিক্বহের কেতাবাদী)
মুফতী:- মোহাঃ আখতার আলী নাঈমী
প্রেন্সিপাল
দারুল উলুম আশরাফুল আউলিয়া, 
কালিয়াচক, মালদহ
 
Top