দরূদ শরিফ পাঠের ফযিলত
 🖋 Kawsar Hossain 

রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত ও সালাম পাঠের  বহু ফযিলত রয়েছে। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম নিজেই বলেছেন: 

1. হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল্লাল্লাহু  সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা আমার উপর দরুদ পড়ো। কারণ যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পড়ে আল্লাহ তায়ালা তার উপর দশবার রহমত নাজিল করেন। 
                                                                     (মুসলিম, সহিহ হা.ন-৪০৮ ,তিরমিযি,সুনান হা.ন-৪৮৫)

2. হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূল্লাল্লাহ (সঃ) বলেছেন : কেয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নৈকট্য লাভ করবে আমার ঐ উম্মত, যে আমার উপর বেশি দরুদ পাঠ করবে।
                                                                                      (তিরমিযি,হা.ন-৪৮৪, ইবনে হাব্বান,হা.ন-৯১১)

3. হযরত আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুল্লাল্লাহ (সঃ) বলেছেন : প্রতি জুমার দিন আমার উপর বেশি করে দরূদ পাঠ করো। কেননা, আমার উম্মতের দরূদ প্রতি জুমাবার আমার কাছে পেশ করা হয়। আর আমার ঐ উম্মতের মধ্যে কেয়ামতের দিন সে আমার সবচেয়ে বেশি নৈকট্য লাভ করবে যে আমার উপর বেশি দরূদ পাঠ করবে।
                                                                           (হায়সামি,সুনানুল কবরা,৩:২৮৯)

4. হযরত আনাস (রঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল্লাল্লাহ (সঃ) বলেন : যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পড়বে আল্লাহ তার উপর দশবার রহমত নাজিল করবেন। তার দশটি গুনাহ মাফ করবেন এবং দশটি মর্যাদা বা পদবি বৃদ্ধি করবেন।
                                                                                      (মুসলিম,সহিহ,১:১৭৫)

5. হযরত উবাই ইবনে কাব্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আমি রাসূল্লাল্লাহ (সঃ) খেদমতে নিবেদন করলাম, আমি চাই আপনার উপর  বেশি দরূদ পড়তে, আপনি আমায় বলুন, আমি আমার দোয়ার মধ্যে কতো অংশ আপনার উপর দুরূদ পড়বো ? বললেন, যতো ইচ্ছা, আমি আরজ করলাম,পুরো দিনের এক চতুর্থাংশ ? তিনি বলেন, যতো চাও, যদি বেশি করো তাহলে তা  তোমার জন্য উত্তম। আমি আরজ করলাম , পুরো দিনের অর্ধেক সময় ? বললেন, যতো ইচ্ছা আর যদি করো তা তোমার জন্য উত্তম। আমি আরজ করলাম, দুই তৃতীয়াংশ । বললেন, যতোই চাও আর যদি বেশি করো তাহলে তা  তোমার জন্য উত্তম হবে। তিনি বললেন, যদি আমি জরূরি ইবাদত ছাড়া আমার দোয়ার পুরোটা সময়ই দুরূদের জন্য নির্দিষ্ট করি ? তখন প্রিয় নবী বললেন :           
যদি তুমি এমনটি করো তাহলে এটা তোমার সক্ল চিন্তা ও প্রয়োজন পূরনের জন্য যথেষ্ট হবে। আর তোমার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে । 
                                                   (তিরমিযি,সুনানে হাদিস নং-২৪৫৭। আহমদ,মুসনাদ,৫:১৩৪)

6. হযরত আবদুল রহমান বিন আউফ হতে বর্ণিত । রাসূল্লাল্লাহ (সঃ) বলেছেন, জিব্রাইল আমার সাথে সাক্ষাৎ করে আমাকে সুসংবাদ দিলেন যে, আল্লাহ তায়ালা ঘোষনা করেছেন, যে ব্যক্তি আপনার উপর দরূদ পবে আমি তার উপর রহমত নাজিল করবো আর যে আপনার উপর সালাম আরজ করবে আমি তার উপর শান্তি বর্ষন করবো। এ সংবাদ শুনে আমি কৃতঙ্গতা সিজদা করলাম ।
                                                                                  (মুসতাদরাক,১:৫৫০(পুরাতন সং) হা.দ ২০১৮( নতুন সং)

7.  হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলে আকবার (সাঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি রাসূল্লাল্লাহ (সাঃ) উপর একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তায়ালা এবং তার ফেরেস্তারা তার উপর সত্তরবার রহমত বর্ষন করেন। 
                         (তিরমিযি,সুনান – ২:১৮৫)
 
Top