কয়েকজন বন্ধু মিলে আড্ডায় বসলেন। কোনো একজনের প্রতি ইঙ্গিত করে, তাকে বিভিন্ন কথা-বার্তা বা ইশারার মাধ্যমে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলেন। হোক রসিকতার ছলে বা তার প্রতি অন্তরের বিদ্বেষ থেকে।

অথবা এমন কোনো বন্ধু যে আজকের আড্ডায় অনুপস্থিত। তার অনুপস্থিতিতে তার সম্পর্কে এমনসব কথা আলোচনা করলেন, যা সে শুনলে কষ্ট পেত। শুধু বন্ধুদের আড্ডায় নয়, কয়েকজন লোক একসাথে জড়ো হলে এটা হওয়া বর্তমানে খুবই স্বাভাবিক ব্যপার।

কাউকে সামনা-সামনি বা পেছনে, কথা-বার্তায় হোক বা ইশারা-ইঙ্গিতে কষ্ট দেয়া ইসলামে নিষিদ্ধ। যারা এরূপ করবে তাদের জন্য রয়েছে দূর্ভোগ। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো— তিনজন এক জায়গায় উপস্থিত থাকলে, যেকোনো দুজনকে কানাকানি করে কথা বলতেও নিষেধ করেছেন। যেন তৃতীয়জন কষ্ট না পায়।

'সূরা আল-হুমাযাহ' আমাদেরকে এটাই জানান দেয়, যারা কাউকে সম্মুখে বা পশ্চাতে নিন্দা করে তাদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ। 'দুর্ভোগ প্রত্যেকের যে সামনে নিন্দাকারী ও পেছনে গীবতকারী।' [১] তাফসীর কারকগন বলেন, এই আয়াতে 'হুমাযাহ' শব্দ দিয়ে বুঝানো হয়েছে পেছনে গীবত কারীকে। আর 'লুমাযাহ' শব্দ দিয়ে বুঝানো হয়েছে সম্মুখে কাউকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য কারীকে। উভয়ের জন্যই রয়েছে লাঞ্চনা ও ভয়াবহ শাস্তি।

'সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে।' 'আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি?' 'এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি,' 'যা হৃদয় পর্যন্ত পৌছবে।' 'এতে তাদেরকে বেঁধে দেয়া হবে,' 'লম্বা লম্বা খুঁটিতে।' [২]

আল্লাহ আমাদেরকে মানুষের অন্তরে কষ্ট দেয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।

Reference:
[১] সূরা হুমাযাহ, আয়াত- ১।
[২] সূরা হুমাযাহ, আয়াত: ৪-৯।
 
Top