(০১) দুনিয়ার জমিনে সমাজে  বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী লোকেরা বানরের  আকৃতিতে।
(০২) দুনিয়ার জমিন থেকে হারাম বস্তু ভক্ষণকারী লোকেরা শুকরের আকৃতিতে উঠবে।
(০৩) দুনিয়ার জমিনে অন্যায়ভাবে বিচারকারীগন অন্ধের আকৃতিতে উঠবে।
(০৪) মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকারী লোকেরা আগুনে পুড়ে ক্ষত-বিক্ষত দেহাকৃত নিয়ে উঠবে।
(০৫) যে সব আলেম লোকদের কথায় এবং কাজে মিল ছিল না তাদের মুখ হতে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকবে। কারন তার জিহ্বা লম্বা হয়ে বুক পর্যন্ত ঝুলতে থাকবে, জিহ্বাকে ছোট করার জন্য জিহ্বা কাটার কারণে রক্ত প্রবাহিত হওয়া অবস্থায় উঠবে।
(০৬) ইবাদাত-বন্দেগীতে অহংকারী লোকেরা অন্ধ এবং বোবা হয়ে উঠবে।
(০৭) জিনাকার লোকদের  দু’পা মাথার চুলের সাথে কপালের উপর বেঁধে দেওয়া হবে, এ অবস্থায় তারা হাশরের মাঠে উঠবে।
(০৮) মসজিদে বসে যেসব লোক গল্পগুজব করেছে সে সকল লোকেরা মাতাল অবস্থায় উঠবে।
(০৯) চোগলখোরদের জিহ্বা অনেক দূর লম্বা করে উঠান হবে।
(১০) আল্লাহ্‌র নির্দেশ অমান্যকারীরা ও নির্দেশ আদায়ের ব্যাপারে অবহেলাকারী লোকেরা মাতালের মত এদিক-সেদিক হেলা-দোলা অবস্থায় উঠবে।
(১১) নিন্দুক, দুর্নাম রটনাকারী, চোগলখোর লোকেরা গন্ধকের জামা পরিহিত অবস্থায় উঠবে।
(১২) সুদখোর লোকেরা শুকরের আকৃতিতে উঠবে।
(লেখকঃ- ইমাম গাযযালী রহঃ /   কিতাবঃ- মরণের আগে ও পরে, পৃষ্ঠাঃ- ৪৯)
 
Top