আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে...
 (প্রসঙ্গ সূরাআল ইমরানের ১০৪ নং আয়াতের ভিত্তিতে তাবলীগ করা সবার জন্যপ্রযোজ্য নয়)
রাসূল (সা:)অনেক আগেইএকটি ভবিষ্যত বাণীকরে গিয়েছেন এই দলটির সম্পর্কে আসূণ দেখি আমার প্রিয়নবী (সা:)কি বলেছেন-সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা উনারা বলেন যে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন.আমার বিদায়ের পর পূর্ব দেশগুলির মধ্যে হতে কোন একটি দেশ হতে আমার উম্মতের ভিতরহতে একটি দল বের হবে.এই দলের সদস্যগন হবে অশিক্ষিত এবং মূর্খ.এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলেসেও হয়ে যাবেমূর্খের মত.তাদেরবক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের.তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ানকারো হবে না.তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত সুন্দর.তাদেরনামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজাদেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ নগন্য মনে করবে.তাদের আমল দেখেতোমাদের আমলকে হেয়মনে করবে.তারাকুরআন শরীফ পড়বেকিন্তু তা তাদেরগলার নিচে যাবেনা.তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না.এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুকনা কেন,কখনোইএদের দলে যাবেনা.
কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলামথেকে খারীজ.দ্বীনহতে বহির্ভূত.তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনোধনুকের নিকট ফিরেআসে না.তেমনিএরা দ্বীন থেকেবেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে,কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না-দলীল-ফতহুল বারী১২ তম খন্ড৩৫০ পৃষ্ঠা.মিরকাত শরীফ ৭ম খন্ড১০৭ পৃষ্ঠা.এবং মজার বিষয় উল্লেখ্য হাদীস শরীফ খানাবাংলাদেশের দেওবন্দী দের অন্যতম শায়খুল হাদীসমৃত আজিজুল হক তার মাসিক পত্রিকা " রহমানী পয়গাম" এপ্রিল/২০০৩ সংখ্যার ১২৪৭ নং জিজ্ঞাসা-জবাবে সহীহ বলে উল্লেখ করছে.সম্মানত পাঠকগণ আশাকরি এই হাদীসের ভিত্তিতে এই দলটির আগমন তাদের আমীরগন কেমনহবেন তা খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ পেয়েছে এখন আমি সূরা আল ইমরানের ১০৪ নয় আয়াতটির তাফসীর এর ব্যখ্যা লিখছি তাফসীরে মাযহারী তাফসীরে ইবনে কাসিরতাফসীরে তাবারী এবং তাফসীরে কানযুল ঈমানএর পরিপ্রেক্ষিতে আমি শুধুআমার মত করে লিখলাম ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন-সূরা আল ইমরানে বলা আছে-তোমাদের মধ্যে এমন এক দল হউক যাহারা কল্যানের দিকে আহবানকরিবে এবং সতকার্য়ের নির্দেশ দিবে অসতকার্য়ের নিষেধ করিবেইহারাই সফলকাম-ইহারমুল তাফসীর বা মর্ম হলো-সত কাজের আদেশ দেওয়াএবং অসত কাজেনিষেধ দেওয়া হলোফরযে কেফায়া.ফরযেকেফায়া হলো যেই কাজটি সকল মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যাক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কিন্তু সবাইনা করে কিছুসংখ্যাক লোক সেই কাজটি করলে সবারপক্ষ থেকে সেটিআদায়া হয়ে যায়.কেননা কাজ সকলের উপর ফরজ নয় কারণ আদেশ নিষেধ জারিকরার জন্য এলমেশরীয়তের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ের উপর যাচাইবাচাই যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন আর সবাইএই যোগ্যতার অধিকারী নয়.যদি এই আয়াত সকল মুসলিমদের উদ্দেশ্য বিবৃতী হয়েছেকিন্তু এই আয়াতের মাঝখানে-তোমাদের মধ্যে একটি দল-একথাবলে নির্দিষ্ট এলমে শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম জানেওয়ালা লোকদেরকে বুঝানো হয়েচেযেমন তাফসীরে ইবনেকাসিরে ইস: ফা:এর ২য় খন্ডে৫৬৬ পৃ:বলা আছে এই আয়াতটি মুলত ফকীহগণ-মুজতাহিদ বা আলেম সমাজজাতীয় শ্রেণীর লোকদের জন্য প্রযোজ্য হয়েছে যেমন-আমাদের ভারতবর্ষে হযরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী (:)এবং আমাদের বাংলাদেশে ৩৬০ আওলিয়ার প্রধান হযরত শাহজালাল (:)এবং আরো অনেকেই.মুলত ওনারাই আমাদের দেশে এসে ইসলামের শরীয়তের হুকুম আহকামসহ খানকার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে ইসলাম প্রচার করে গিয়েচেন. কিন্তু আফেসাস বর্তমান যামানার যারা তাবলীগ করেনতাদের অধিকাংশ লোককেই দেখি মুর্খ যারাজীবনে কোরান হাদীসখুলেচে কিনা আমারসন্দেহ আছে আবারতাদের দেখা যায় মাস দুয়েক গেলেপড়ে তারা আবারসেই দলের আমিরশায়খ হয়ে যায় এটাই কি তাবলীগ. আর এটা কি কোরান হাদীসপরিপন্থী নয় যারাইসলামের লেবাশ পড়ে সকল কর্মকান্ড করে যাচ্ছে তাদের কি অবস্থা হবে আল্লাহ পাক ভাল জানেন.সম্মানিত পাঠকগণ আশাকরি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন তাবলীগ কাদের জন্যপ্রযোয্য আর কাদেরজন্য প্রযোয্য না গাট্টি নিয়ে স্ত্রী সন্তান সন্তানাদির খোজ খবর না নিয়েমসজিদে মসজিদে মাসেরপর মাস দৌড়ানোর নাম তাবলীগ নয়.আসূল আমরা সবাইআমাদ্রর প্রাণ প্রিয়রাসূল (সা:) ওনারতাবলীগ কি ছিল কিভাবে আমরা সেই তাবলীগের মাধ্যমে ইসলামপেলাম ভারতবর্ষে কাদের কারণে আমার আজ মুসলিম বলে পরিচয়দেয় এবং কাদেরকারণে আজ আমরামুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করি আসূনআমরা তাদের তাবলীগকে অনুসরণ করে আল্লাহ রাসূলকে পাওয়ার আশাকরি-আল্লাহ আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূ্ন্নী খানকাশরীফ

 
Top