4- بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّوَقُّفِ فِيْ ذَرَارِيِّ الْـمُشْرِكِيْنَ

6 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ هُرْمُزَ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ، قَالَ: «كُلُّ مَوْلُوْدٍ يُوْلَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ، فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ، وَيُنَصِّرَانِهِ»، قِيْلَ: فَمَنْ مَاتَ صَغِيْرًا يَا رَسُوْلَ اللهِ؟ قَالَ: «اَللهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوْا عَامِلِيْنَ».


বাব নং ৪:  মুশরিকদের সন্তান-সন্তুতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান থেকে নিরব থাকা 


৬. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আবদুর রহমান ইবনে হুরমুয আ’রজ থেকে, তিনি হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন জন্মগ্রহণকারী প্রত্যেক সন্তান স্বীয় স্বভাবের উপর জন্মগ্রহণ করে। অতঃপর তার পিতা-মাতাই তাকে ইহুদী কিংবা নাসারা বানায়। রাসূল (ﷺ)  কে প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! সন্তান যদি শিশু অবস্থায় মারা যায় তাদের কি হুকুম? উত্তরে তিনি বলেন, আল্লাহই ভাল জানেন যে, সে বেঁচে থাকলে কিরূপ আমল করত। অর্থাৎ আল্লাহর ইলমের ভিত্তিতে তাদের জান্নাত- জাহান্নাম নির্ধারিত হবে। (আবু দাউদ ৪/৩৬৬/৪১১৬)


ব্যাখ্যা: উক্ত হাদিসে একটি মতপার্থক্য মাসয়ালার প্রতি ইঙ্গিত বহন করে। মাসয়ালাটি হল, কাফেরদের নাবালেগ অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী সন্তানরা শরীয়তের দৃষ্টিতে কি কাফের না মু‘মিন, তারা কি দোযখী না জান্নাতী? কেউ কেউ বলেন, ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আল্লাহ তায়ালার উপর নির্ভরশীল। এটি ইমাম শাফেঈ (رحمة الله)’র মত। ইমাম মালেক (رحمة الله) থেকে এব্যাপারে কোন মত প্রকাশ পায়নি তবে তার শিষ্যরা বলেছেন, মুসলমানের সন্তানরা জান্নাতে যাবে আর মুশরিকদের সন্তানরা আল্লাহর ইচ্ছের উপর নির্ভরশীল। ইমাম আহমদ (رحمة الله)’র মতে মুশরিকদের মৃত্যুবরণকারী সন্তানরা দোযখে রয়েছে। আর ইমাম আ‘যম আবু হানিফা (رحمة الله) এ ব্যাপারে নিরব রয়েছেন। কেননা কোনটাকে অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত করা যাবে না। সুতরাং এমন বিষয়ে কোন অকাট্য ফায়সালা না দিয়ে নিরব থাকাই উত্তম।


 
Top