হিজড়ার বর্ণনা



মাসআলাঃ হিজড়ার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ নির্ণয় করা জটিল হলে তাকে গোসল দেয়া যাবেনা বরং তায়াম্মুম করাতে হবে। ২৩৪

 ➥২৩৪. ফতোয়ায়ে শামী, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৮০৭।


মাসআলাঃ হিজড়া নামাযে ইমামের পিছনে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যখানে দাঁড়াবে।


মাসআলাঃ খুনসায়ে মুশকল যদি মহিলার কাতারে দাঁড়িয়ে নামায পড়ে তাহলে উক্ত হিজড়ার উচিত- স্বীয় নামায পুণরায় পড়ে নেয়া। আর যদি পুরুষের কাতারে দাঁড়িয়ে নামায পড়ে তাহলে যত পুরুষ উক্ত হিজড়ার ডানে, বামে, পিছনে ও এক বরাবর দাঁড়িয়েছে তারা স্বীয় নামায পুণরায় পড়ে দিবে। আর হিজড়ার নামায শুদ্ধ হয়েছে।২৩৫

 ➥২৩৫. খুলাসাতুল মাসায়িল, পৃষ্ঠা-১৩৯।


মাসআলাঃ হিজড়া যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার নিকটবর্তী হয় তাহলে সে কোন পুরুষ ও মহিলা গোসল করার সময় উপস্থিত হওয়া জায়েয নেই।


মাসআলাঃ হিজড়া ও পুরুষত্বহীন লোকের হুকুম এক।


মাসআলাঃ জেনে নেয়া উচিত যে, খুনসা এর শাব্দিক অর্থ হিজড়া, বহুবচন খুনাস, ইন্নান অর্থ পুরুষত্বহীন যিনি মহিলার প্রতি ধাবিত হয়না।   ২৩৬

 ➥২৩৬. মিফতাহুল লুগাত।


ইন্নানা ঐ মহিলাকে বলে যার কাছে পুরুষের চাহিদা থাকেনা। ইন্নান অর্থ পুরুষত্বহীন। যে পুরুষ মহিলার কাজের উপযুক্ত না হয় অর্থাৎ সহবাস করতে অক্ষম হয়।  ২৩৭

 ➥২৩৭. লুগাতে কিছওয়ারী।


খুনসা ঐ ব্যক্তিকে বলে যার পুঃলিঙ্গ ও স্ত্রী লিঙ্গ উভয়টি হয় বা উভয়টি না হয়। হিজড়া যদি পুঃলিঙ্গ দিয়ে পেশাব করে তাহলে সে পুরুষ হিসেবে গণ্য হবে। নতুবা মহিলা হিসেবে ধর্তব্য হবে। আর যদি উভয় রাস্তা দিয়ে পেশাব করে তাহলে যে রাস্তা দিয়ে প্রথমে পেশাব আসে উহা ধর্তব্য হবে। যদি উহার মধ্যেও সমান হয় তাহলে ইমাম আবু হানীফা (رحمة الله) উহাকে পুরুষ বা মহিলা বলতে অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন। ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ (رحمة الله) বলেছেন- যে রাস্তা দিয়ে পেশাব বেশী আসে সে অনুযায়ী পুরুষ বা মহিলার হুকুম দেয়া হবে। যদি হিজড়া বা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর দাড়ি উঠে তাহলে সে পুরুষ। আর মহিলাদের ন্যায় স্তন প্রকাশ পায় বা স্তনে দুধ চলে আসে বা গর্ভবর্তী হয়ে যায় তাহলে মহিলা। উক্ত চিহ্ন সমূহ থেকে কোন চিহ্ন প্রকাশ না পায় তাহলে উক্ত হিজড়া খুনসায়ে মুশকল এর অন্তর্ভূক্ত।


মাসআলাঃ ইমাম আবু হানীফা (رحمة الله) এর মতে ‘হিজড়া’ মহিলাদের ন্যায় অংশ পাবে। ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ (رحمة الله) এর মতে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের অংশের অর্ধেক পাবে। এর চেয়ে আরো অধিক বিধি-বিধান জানার জন্য ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ইত্যাদি দেখুন। ২৩৮

 ➥২৩৮. আলমগীরী, ১০ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৪০০; কিতাবুল খুনসা, ফসলে দুওয়াম।

 
Top