ই’তিকাফের বর্ণনা



মাসআলাঃ ওযর ব্যতিত ই’তিকাফের স্থান হতে বের হওয়া হারাম। 


মাসআলাঃ পুরুষের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ মসজিদ ই’তিকাফের স্থান। আর মহিলার ক্ষেত্রে নিজ ঘরের সেই স্থান বা জায়গা যেখানে সে ই’তিকাফ রয়েছে।


মাসআলাঃ দু’ প্রকারের জরুরী অবস্থা ব্যতিত ই’তিকাফের স্থান হতে বের হওয়া যাবে না। (১) খাবারের জন্য। যদি ই’তিকাফের স্থানে খাবার আনার ব্যবস্থা না থাকে। পায়খানা-প্রস্রাবের জন্য। (২) জানাবাতের গোসলের জন্য। অর্থাৎ গোসল ওয়াজিব হলে গোসল করার জন্য ই’তিকাফের স্থান হতে বের হওয়া যাবে।


মাসআলাঃ ই’তিকাফের জন্য কয়েকটি জিনিস আবশ্যক। (১) পুরুষের ক্ষেত্রে মসজিদ আর মহিলাদের জন্য ঘরে দশ দিন ই’তিকাফ থাকা। (২) ই’তিকাফের নিয়ত করা। কেননা ই’তিকাফের নিয়ত করা ব্যতিত দশ দিন কেউ মসজিদ কিংবা ঘরে অবস্থান করলে ই’তিকাফ হবে না। ই’তিকাফের জন্য নিয়ত শর্ত।


মাসআলাঃ রমযান শরীফ ব্যতিত অন্য যে কোন সময় নফল ই’তিকাফের অনুমতি রয়েছে।


মাসআলাঃ মুস্তাহাব তথা নফল ই’তিকাফের জন্য রোযা রাখা শর্ত নয়। তবে সুন্নাত ই’তিকাফ যা রমযান শরীফের শেষের দশ দিন রাখা হয়। উক্ত ই’তিকাফ যদি নষ্ট হয়ে যায় (ভঙ্গ হয়ে যায়) তাহলে ভঙ্গ হওয়া দিনগুলোর ই’তিকাফের কাযা আদায় করতে হলে রোযা সহকারে আদায় করতে হবে। আর নযর তথা মান্নতকৃত ই’তিকাফের ক্ষেত্রে যেরকম নিয়ত করা হয় সেইভাবে পুরো করতে হবে। অর্থাৎ যদি মান্নাতের ই’তিকাফের ক্ষেত্রে রোযা সহকারে রাখার নিয়ত করে তাহলে রোযা রাখা আর অন্যথায় রোযা ছাড়া আদায় করবে।  ১২৮

➥১২৮. ফতোয়ায়ে শামী।

 

মাসআলাঃ ই’তিকাফ তিন প্রকার। যথা- (১) মুস্তাহাব (২) সুন্নাত (৩) ওয়াজিব।


মুস্তাহাব ই’তিকাফ যে কোন সময়ে করা যাবে। সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্ কেফায়া, যা রমযান শরীফের শেষ দশ দিন আদায় করা হয়ে থাকে। আর ওয়াজিব ই’তিকাফ হচ্ছে মান্নাতকৃত ই’তিকাফ। যা নিয়ত অনুযায়ী করতে হবে।


মাসআলাঃ যদি কোন কারণ বশতঃ যেমন- ২০১৮ সালে পবিত্র রমজান মাসে বন্যার পানি উঠাতে অনেক মসজিদে পানি উঠার কারণে কিংবা অন্য কোন প্রাকৃতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ই’তিকাফ ভঙ্গ হলে কিংবা ই’তিকাফ থাকতে না পারলে এমতাবস্থায় পরবর্তীতে ই’তিকাফ কাযা করা উত্তম। কাযা না করলেও কোন ধর্তব্য হবে না।


মাসআলাঃ মহিলাদের ক্ষেত্রে মসজিদে ই’তিকাফ করা মাকরূহে তাহরীমি। বরং তাদের জন্য উত্তম স্থান হচ্ছে যেখানে সে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে থাকে সে স্থান। আর যদি কোন স্থান নির্ধারিত না থাকে, সেক্ষেত্রে ঘরের যে কোন একটি স্থান পবিত্র ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে ঐ স্থানে ই’তিকাফ থাকবে।

 
Top