পরিচ্ছেদঃ কবর জিয়ারত সুন্নাত 


باب زيارة القبور


زيارة القبور سنة- عن بريدة رضى الله عنه قال قال رسول الله ﷺكنت نهيتكم عن زيارة القبور فزورها ونهيتكم عن لحوم الاضاحى فوق ثلاث فامسكوامابدأ لكم ونهيتكم عن النبيذ الاسقاء فاشربوا فى الاسقية كلها ولاتشربوا مسكرا (رواه مسلم)


ولابد من الاشارة الى ان النبيذ قديما وشرعا وهو كالخشاف لاتمسه النار غير النبيذ المعروف الآن يطبخ- ويترك حتى يسكرو يذهب بالعقل- (العياذ بالله) وهذا محرم قطعا لانه يسكر وما السكر الفرق فالجرعة منه حرام). وسنية الزيارة تعم ماكان منها قريبا او انشئ لها سفر.


    ومن اداب زيارة القبور الدعاء للموتى المدفونين فيها- عن بريدة رضى الله عنه قال كان رسول الله ﷺ يعلمهم اذا خرجوا الى المقابران يقولوا السلام عليكم اهل الديار من المؤمنين والمسلمين وانا ان شاءالله بكم لاحقون اى على الايمان نسئل الله لناولكم العافية (رواه مسلم) .


    لاتزور النساء الشواب القبور خوف الفتنة ولا بأس بذلك للعجائز للاعتبار وقصد التبرك بقبور الصالحين – وبهذا يجمع بين حديثين لعن الله زوّارات القبور (رواه الترمذى وابوداؤد- وحسنه الترمذى) مرّ رسول الله ﷺبامرأة تبكى على قبر (رواه البخارى) .


    يسن جعل علامة للميت بعد دفنه – ولا بأس بكتابة اسمه اذا خيف اختلاطه وضياعه – عن المطلب بن ابى وداعة رضى الله عنه قال لمَّا مات عثمان بن مظعون رضى الله عنه اخرج بجنازته فدفن- فامر النبى ﷺ رجلًا ان يأتيه بحجر فلم يستطع حملها فقام اليها رسول الله ﷺ وحسر عن ذراعيه – قال المطلب قال الذى يخبرنى عن رسول الله ﷺكانى انظر الى بياض ذراعى رسول الله ﷺ حين حسر عنها- ثم حملها فوضعها عند راسه وقال اعلم بها قبراخى وادفن اليه من مات من اهلى (رواه ابوداؤد)


    يسن وضع عرق اخضر على قبر الميت عند زيارتأسّيابه ﷺ.


    حمل الاكاليل مع الجنازة بدعة منكرة وتبذير محرم .


    لاترفع الاصوات أثناء تشييع الميت- ولابأس يحمل الجنازة مع الذكر برفع الصوت فان الميت يسمع ويستأنس بالذكر .


হযরত বুরায়দা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম তবে তোমরা এখন থেকে কবর জিয়ারত কর, আমি তোমাদেরকে তিন দিনের অধিক কোরবানীর গোশত খেতে নিষেধ করেছিলাম; তোমরা এখন থেকে তোমাদের সাধ্যমত যতদিন সম্ভব হয় জমা রাখতে পার; আমি তোমাদেরকে মদের পাত্র দ্বারা পান করতে নিষেধ করেছিলাম; এখন থেকে সব পাত্র ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু মাদ দ্রব্য পান করতে পারবে না। (মুসলিম শরীফ)


নাভিজ যার প্রতি ইঙ্গিত অত্যাবশ্যকীয়, ইহা অনেক পুরাতন, শরাহ মোতাবিক বরফের ন্যায় যাকে আগুনে স্পর্শ করেনি। বর্তমানে প্রসিদ্ধ নাভিজ যা আগুনে পাকানো হয় মদ নয়। যে নাভিজ এমনভাবে রাখা হয় যেগুলো পান করলে মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে যায়; আল্লাহ তায়ালার কাছে এগুলো থেকে রক্ষা করার জন্যে আশ্রয় কামনা করি এ জাতীয় মদ নিঃসন্দেহে হারাম। এ জন্যে যে, এতে নেশা এসে যায় এবং নেশা জাতীয় বস্তু কম বেশীর পার্থক্য ব্যতীত হারামই হয়। সুন্নাত জিয়ারতের পদ্ধতি ব্যাপক, এর মধ্যে এক শ্রেণী হল নিকটবর্তী দ্বিতীয়টি দূরবর্তী যার জন্যে সফরের প্রয়োজন হয়। কবর জিয়ারতের আদাব হতে- সেখানে দাফনকৃত মৃতদের জন্যে দোয়া করা। যেমন- 


+হযরত আবু বুরাইদা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদেরকে এ শিক্ষা দিতেন যখন তাঁরা কবরস্থানে যেতেন; তাঁরা যেন বলে তোমাদের শান্তি বর্ষিত হউক। হে মুমিনগণ ও মুসলিম ঘরের অধিবাসীগণ, আমরা অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার হুকুমে তোমাদের সাথে একত্রিত হব এবং আমরা আল্লাহ তায়ালার নিকট আমাদের ও তোমাদের জন্যে ক্ষমার প্রার্থনা করছি। (মুসলিম শরীফ)


    যুবতী মহিলারা ফিতনায় লিপ্ত হওয়ার আশংকায় জিয়ারতে বের হবে না। তবে বৃদ্ধাদের জন্যে পূণ্যবানদের কবর থেকে বরকত লাভের লক্ষ্যে গমনে কোন অসুবিধা নেই। ইহার দ্বারা উভয় হাদীসের বিরোধ মীমাংসা করা যায়। এক হাদীসে নবী করিম (ﷺ) কবর জিয়ারতকারিনী মহিলাদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন।


(তিরমিযী ও আবু দাউদ শরীফ, ইমাম তিরমিযী এ হাদীসকে হাসান বলেছেন) অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কবরে ক্রন্দনরত মহিলাকে অতিক্রম করে গিয়েছিলেন। (বুখারী শরীফ)


মৃত ব্যক্তির দাফনের পর পরিচিত চিহ্ন রাখা সুন্নাত। অন্যান্যদের সাথে মিলে যাওয়ার আশংকায় বা অপরিচিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে নাম লিখে রাখাতে কোন অসুবিধা নেই। হযরত মুত্তালিব বিন আবি ওদ্দায়ের হাদীস দ্বারা প্রমাণিত; তিনি বলেন, যখন হযরত ওসমান বিন মজয়ুন (رضي الله عنه) ইন্তেকাল করার পর জানাযায় বের করে দাফন শেষে নবী করিম (ﷺ) এক ব্যক্তিকে একটি পাথর আনার জন্যে বললেন। লোকটি পাথর বহন করতে অপারগ হলে তিনি সেদিকে এগিয়ে আসলেন এবং উভয় বাহুর কাপড় গুটায়ে নিলেন। রাবী মুত্তালিব বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, আমি যেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উভয় বাহুর সাদা দেখতেছি যখন তা হতে কাপড় গুটায়ে নিয়েছিলেন; অত:পর তা বহন করেন এবং তার মাথার নিকট উহা রেখে বলেন, আমি ইহা দ্বারা আমার ভাইয়ের কবর চিহ্নিত করতেছি ও আমার গোত্রের অন্যান্যদেরকে তার পার্শ্বে দাফন করা হবে। (আবু দাউদ শরীফ)


জিয়ারতের সময় মৃতের কবরে তাজা ডাল রাখা সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দ্বারা কবরবাসীকে শান্তনা দিয়েছিলেন। জানাযার সাথে খাবার নিয়ে যাওয়া নিকৃষ্ট বিদআত ও হারাম অপচয়। মৃতকে বিদায় দেয়ার সময় উচ্চস্বরে আওয়াজ করবে না। তবে উচ্চস্বরে জিকির করলে কোন দোষ নেই কেননা মৃত জিকিরের আওয়াজ শুনতে পায় এবং এতে সে আত্মতৃপ্তি অনুভব করে।


 
Top