জামাত বর্জনের কয়েকটি ওজরের বর্ণনা


باب اعذار ترك الجماعة بوجوه


🌱    البر دالشديد والريح والمطرالشديد- عن نافع ان ابن عمر رضى الله عنهما اذّن بالصلوٰة فى ليلة ذات برد وريح ثم قال الاصلوا فى الرحال – ثم قال ان رسول الله ﷺكان يأمر المؤذن اذا كانت ليلة ذات برد ومطر يقول الاصلوا فى الرحال (رواه الشيخان البخارى فى كتاب الاذان ومسلم فى كتاب صلاة المسافرين وقصرها) .


🌱    المرض – وهو عذر مخفف فى بعض الشروط والار كان- فمن باب اولٰى فى ترك الجماعة المقتضية التنقل والمشئ .


🌱    كبرالسن والشيوخة لما فى ذلك من الحرج – قال الله تعالٰى وما جعل عليكم فى الدين حرج (سورة الحج)


🌱    حضور طعام تتوقه نفسه – كان ابن عمر رضى الله عنه يوضع له الطعام وتقام الصلاة فلايأتيها حتى يفرغ وانه يسمع قرأة الامام (رواه البخارى ومسلم)


🌱    اشتغال البال بمدافعة الا خبشين اوالريح او سفرتهيأله – عن عبدالله بن ارقم رضى الله عنه قال سمعت رسول الله ﷺيقول اذا اراد احدكم ان يذهب الى الخلاء واقيمت الصلاة فليبد أبالخلاء (رواه ابوداؤد والترمذى)


🌱    الخوف من ظالم يؤذيه – لان حق العبد مقدم على حق الله تعالٰى رحمةً منه بعباده .


🌱    القيام على مريض يتضررالمريض بغيبته فان فى ذلك حفظ النفس الكريمة على الله تعالٰى .


فائدة : من تخلَّف عن صلاة الجماعة لعذر من الاعذار المذكورة ونيته – حضور الجماعة لولاالعذر كتب الله تعالٰى له اجرالجماعة- لقوله عليه السلام انما الاعمال بالنيات (رواه مسلم) 


🌱    তীব্র শীত, প্রচন্ড বাতাস ও অতিরিক্ত বৃষ্টি- হযরত নাফে (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, হযরত ইবনু ওমর (رضي الله عنه) অতিরিক্ত ঠান্ডা ও প্রচন্ড বাতাস চলাকালীন রাত্রে নামাযের জন্য আযান দিলেন। পরক্ষণে বললেন, সাবধান! তোমরা ঘরে নামায আদায় কর। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রচন্ড ঠান্ডা ও অতিরিক্ত বৃষ্টির রাতে আযানের পর বলে দেয়ার জন্য মুয়াজ্জিনকে নির্দেশ দিতেন, সাবধান! তোমরা ঘরে নামায আদায় করে লও। (উপরোক্ত হাদিসটি শায়খাইন বর্ণনা করেন ইমাম বুখারী কিতাবুল আযানে ও ইমাম মুসলিম কিতাবুল সালাতিল মসাফেরীন ওয়া কাছরিহাতে)


অসুস্থতা- কোন শর্ত ও আরকানের ব্যাপারে একটি সহজ ব্যাপার অতএব উহা জামাত বর্জনের বেলায় যাহা পায়ে হেঁটে দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়- তা সহজতরের দিকে অধিক হওয়া উচিত।


🌱    অতিরিক্ত বয়স ও বৃদ্ধতা- কেননা এমন সময় কষ্ট হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদেরকে ধর্মীয় ব্যাপারে সাধ্যাতীত কষ্ট দেয়া হয়নি।


🌱    খাবার উপস্থিত হওয়া যার প্রতি আত্মার আসক্তি বিদ্যমান- এর দলীল ইব্নু ওমর (رضي الله عنه) এর জন্যে খাবার নেয়া হত এদিকে নামাযের ইকামত দেয়া হত কিন্তু তিনি খাবার প্রয়োজন শেষ না করা পর্যন্ত জামাতে শরীক হতেন না অথচ তিনি ইমামের কেরাত শুনতেছেন। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)


🌱    পায়খানা প্রস্রাব বা পাদবায়ুর গতিরোধে বা সফরে বের হওয়ার ব্যস্ততায় মন অস্থির হলে- আবদুল্লাহ বিন আরকম (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি তোমাদের কেউ টয়লেটে যেতে ইচ্ছা করছে আর এ অবস্থায় নামাযের ইকামত দেয়া হচ্ছে সে প্রথমে টয়লেটে যাবে। (আবু দাউদ ও তিরমিযী শরীফ)


🌱    কষ্টদায়ক জালেমের ভয় হলে- কেননা বান্দার হক আল্লাহ তায়ালার হকের ওপর অগ্রগামী। ইহা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি রহমত স্বরূপ।


🌱    রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকলে- যার অনুপস্থিতিতে রোগীর ক্ষতি হয়। কেননা এতে সম্মানিত আত্মার হেফাযত করার দাযিত্ব যা আল্লাহ তায়ালার ওপর ন্যস্ত। উপকারিতা- উলে­খিত ওজর সমূহ থেকে যে কোন ওজরের কারণে কেউ জামাতে হাজির না হলে কিন্তু তার নিয়ত ওজর না হলে হাজির হওয়ার ছিল; আল্লাহ তায়ালা তার জন্যে জামাতের ছওয়াব লিপিবদ্ধ করে দিবেন। কেননা হুযুর (ﷺ) এরশাদ করেন, ‘‘নিশ্চয় আমলের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল’’। (মুসলিম শরীফ)

 
Top