১১- بَابُ مَا جَاءَ فِي النَّهْيِ عَنِ السَّوْمِ عَلَى السَّوْمِ

٣٣٩- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، عَمَّنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْـخُدْرِيِّ، وَأَبِيْ هُرَيْرَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ ، أَنَّهُ قَالَ: لَا يَسْتَامُ الرَّجُلُ عَلَىٰ سَوْمِ أَخِيْهِ، وَلَا يَنْكِحُ عَلَىٰ خِطْبَةِ أَخِيْهِ، وَلَا تُنْكَحُ الْـمَرْأَةُ عَلَىٰ عَمَّتِهَا وَلَا خَالَتِهَا، وَلَا تَسْأَلُ الْـمَرْأَةُ طَلَاقَ أُخْتِهَا، لِتَكْفَأَ مَا فِيْ صَحْفَتِهَا، فَإِنَّ اللهَ هُوَ رَازِقُهَا، وَلَا تَبَايَعُوْا بِإِلْقَاءِ الْـحَجَرِ، وَإِذَا اسْتَأْجَرْتَ أَجِيْرًا فَأَعْلِمْهُ أَجْرَهُ.



বাব নং ১৭৬. ১১. দরের উপর দর করা নিষিদ্ধ


৩৩৯. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে, তিনি আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) ও আবু হোরায়রা (رضي الله عنه) থেকে, তারা নবী করমি (ﷺ)  থেকে বর্ণনা করেন, তিনি এরশাদ করেন, কোন ব্যক্তি যেন তার ভাইয়ের দরের উপর দর না করে এবং তার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়। আর এমন নারীকে বিবাহ করবেনা যার ফুফু ও খালা তার স্ত্রী। কোন নারী যেন তার বোনের তালাকের কামনা না করে, যাতে তার বরতন বা পেয়ালার বস্তু নিজের মধ্যে ফিরে আসে। কেননা তার রিযিকদাতা আল্লাহ। আর তোমরা পাথর ঢেলে বিক্রি করনা, এবং যখন শ্রমিক নিয়োগ কর, তখন তার পারিশ্রমিক তাকে জানিয়ে দাও। 

(সহীহ ইবনে হিব্বান, ৯/৩৫২/৪০৪৬)


ব্যাখ্যা: হাদিসের প্রথমে দরের উপর দর করা নিষেধ করা হয়েছে। এর পদ্ধতি হলো দু’ ব্যক্তির মধ্যে কোন দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং মূল্য নির্ধারণও হয়েছে শুধু লেন-দেন বাকী আছে, এ সময় অন্য কেউ এসে ঐ দ্রব্যের দরদাম করে তার ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয়ে বিঘ্ন সৃষ্টি করা জায়েয নয়। তবে যদি ক্রয়-বিক্রয়ের কথা চুড়ান্ত না হয়ে থাকে তবে দরদাম করা বৈধ। সুতরাং নিলামে বিক্রি জায়েয আছে।

দ্বিতীয়তঃ কারো বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দেওয়া বৈধ নয় যখন উভয় পক্ষের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে শুধু আকদ বাকী আছে। তবে উভয় পক্ষ সম্মত না হলে অন্য কেউ প্রস্তাব দিলে কোন অসুবিধা নেই।

তৃতীয়তঃ কোন অপরিচিত নারী অন্য কোন নারীর সুখ-সাচ্ছন্দ প্রত্যক্ষ করে হিংসার বশবর্তী হয়ে তার স্বামীকে উদ্বুদ্ধ করা যে, সে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যেন তাকেই বিবাহ করে। যাতে ঐ স্ত্রীর যাবতীয় খোরপোষ ও যাবতীয় আসবাবপত্র তার অধিকারে চলে আসে। এটা জায়েয নয়।কেননা রিযিক দাতা তো আল্লাহ। সুতরাং রিযিকের আশায় বা দরিদ্রতার ভয়ে এরূপ করা অনুচিত।



٣٤٠- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ مَعْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ ، عَنِ النَّبِيِّ ، أَنَّهُ قَالَ: اشْتَرُوْا عَلَى اللهِ، قَالُوْا: وَكَيْفَ ذَلِكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ؟ قَالَ: تَقُوْلُوْنَ: بِعْنَا إِلَىٰ مَقَاسِمِنَا وَمَغانِمِنَا.


৩৪০.অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা মা’ন ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে, তিনি নবী করমি (ﷺ)  থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তোমরা আল্লাহর উপর ভরসা করে ক্রয় কর। সাহাবায়ে কিরাম আরয করলেন- হে আল্লাহর রাসূল! এটা কিভাবে? তিনি বলেন, তোমরা বল যে, আমরা ক্রয় করেছি আমাদের সম্পদ বন্টন হওয়া ও গণিমতের মাল পাওয়া পর্যন্ত।

 
Top