সায়্যিদুনা আবূ সা‘ঈদ খুদরি (رضي الله عنه)'র আক্বিদা


রাসূলে মুখতার (ﷺ)ঃ-


❏হযরত সায়্যিদুনা আবূ সা‘ঈদ খুদরি (رضي الله عنه) বলেন, রাসূল (ﷺ) মিম্বার আলোকিত করে তাশরিফ নিয়ে বলেন-


عَبْدٍ خَيَّرَهُ اللَّهُ بَيْنَ أَنْ يُؤْتِيَهُ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا، وَبَيْنَ مَا عِنْدَهُ


আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এক প্রিয় বান্দাকে এই স্বাধীনতা দিয়েছেন যে, তিনি দুনিয়ার সমস্ত নি‘আমাত নিয়ে নেবেন বা তা আল্লাহর কাছে থাকবে। আল্লাহর সে প্রিয় বান্দা আল্লাহর কাছে থাকাটাই পছন্দ করেছেন। 

এটি শুনে সায়্যিদুনা সিদ্দিকে আকবর (رضي الله عنه) তীব্র বেগে কেঁদে বললেন যে, হে রাসূল (ﷺ)! আপনার কদমে আমার মা-বাপ কুরবান হোক। হযরত আবূ সাঈদ (رضي الله عنه) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর যে প্রিয় বান্দাকে ইখতিয়ার দিয়েছেন তিনি রাসূলে পাক (ﷺ)। আবূ সা‘ঈদ খুদরি (رضي الله عنه) আরো বলেন যে, 


وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ هُوَ أَعْلَمَنَا بِهِ


-‘হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় জ্ঞানী।’  ২০০

{২০০.সহীহ মুসলিম শরীফ, ১/৩৯০ পৃ., হা/৫৫৩, হযরত আবু বকর (রা.)’র ফযিলত অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: باب البزاق في المسجد خطيئة, খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/২২২ পৃ. হা/৭০৯, সুনানে তিরমিযি, ৬/৪৯ পৃ. হা/৩৬৬০, ইমাম বাগভী, শরহে সুন্নাহ, ১৪/৩৮ পৃ. হা/৩৮২১}


আক্বীদা

নাবী পাক (ﷺ) মুখতার নাবী। যে মহান স্বত্ত¡াকে হায়াত-মাউতের ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে, তাঁর ইখতিয়ার থেকে কোন বস্তু বহির্ভূত? (কোন বস্তুই বহির্গত নয়)। 






একশ ব্যক্তির হত্যাকারী এবং তাকে ক্ষমা করাঃ-

হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরি (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসূূল (ﷺ) ইরশাদ করেন যে, তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি নিরান্নব্বই জনকে হত্যা করে। তারপর সে মানুষকে জিজ্ঞাসা করল, সবচেয়ে বড় আলিম কে? তারা একজন বড় রাহেবের সন্ধান দিল। লোকটি রাহেবের কাছে গিয়ে বলল, “আমি নিরন্নব্বই জন মানুষকে খুন করেছি, আমার তাওবা কি কবুল হবে? রাহেব বললেন, “না”। লোকটি তখন রাহেবকে হত্যা করে একশজন পূর্ণ করল। 

অতঃপর লোকটি একজনকে জিজ্ঞাসা করল, এই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় আলিম কে? তখন তাকে এক আলিমের সন্ধান দেয়া হল। লোকটি আলিমের কাছে গিয়ে বলল, আমি একশত জনকে হত্যা করেছি, আমার কী তাওবা কবুল হবে? আলিম বললেন, “হ্যাঁ”, তাওবা কবুলের মাঝে কোন বস্তুুটি বাঁধা আছে?


انْطَلِقْ إِلَى أَرْضِ كَذَا وَكَذَا، فَإِنَّ بِهَا أُنَاسًا يَعْبُدُونَ اللهَ فَاعْبُدِ اللهَ مَعَهُمْ، وَلَا تَرْجِعْ إِلَى أَرْضِكَ 


আলিম আরো বললেন, যাও, অমুক স্থানে যাও, সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদত করতেছেন, তুমিও তাদের সাথে ইবাদত কর, আর পুনরায় তোমার ঘরের দিকে আসবে না। লোকটি রওনা হল। পথিমধ্যে তাকে মৃত্যু পেয়ে বসল। তার মৃত্যুর পর রাহমাত ও আযাবের ফেরেশতাদের মাঝে তার ব্যাপারে মতানৈক্য হল। 

রাহমাতের ফেরেশতারা বললেন, এই লোকটি তাওবা করতেছে এবং তার অন্তর আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করে আছে। অন্যদিকে আযাবের ফেরেশতারা বলেন, লোকটি বিলকুল নেক আমল করেনি। 

অতঃপর মানুষের ছদ্মভেসে একজন ফেরেশতা আসলেন, তারা তাকে নিজেদের মধ্যে বিচারক মনোনিত করলেন। 

মনোনিত ফেরেশতা বললেন, 


قِيسُوا مَا بَيْنَ الْأَرْضَيْنِ، فَإِلَى أَيَّتِهِمَا كَانَ أَدْنٰى فَهُوَ لَهُ، فَقَاسُوهُ فَوَجَدُوهُ أَدْنٰى إِلَى الْأَرْضِ الَّتِي أَرَادَ


উভয় জমিনের মাঝে পরিমাপ কর। লোকটি যে জমীনের অধিক নিকটবর্তী হবেন, সে অনুযায়ী হুকুম হবে। 

পরিমাপ করে দেখা গেল, তিনি ওই জমীনের নিকটবর্তী, যেখানে যাওয়ার জন্য তিনি ইচ্ছে করেছেন। তখন রাহমাতের ফেরেশতারা তাকে নিয়ে গেলেন।  ২০১

{২০১. সহীহ মুসলিম শরীফ, ৪/২১১৮পৃ., হা/২৭৬৬, ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, ৮/৩১ পৃ. হা/১৫৮৩৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬১১, ইবনে আছির, জামেউল উসূল, ২/৫১৩ পৃ. হা/৯৮৭, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ৪/২০২ পৃ. হা/১০১৫৭, ইমাম মুনযিরী, তারগীব ওয়াত তারহীব, ৪/৫০ পৃ. হা/৪৭৬৭}


আক্বিদা

আল্লাহর ওলীদের আস্তানার দিকে সফর করে আল্লাহর রাহমাত ও বারকাত লাভ করা যায়। তওবা করার জন্যও আল্লাহর ওলীদের আস্তানায় হাজিরা দেয়া প্রয়োজন। কেননা তা রাহমাত ও বারকাতের স্থান। তাদের বারকাতে মাগফিরাত পাওয়া যায়। হযরত আবূ সাঈদ খুদরি (رضي الله عنه)’র অপর রিওয়ায়েত-


فَكَانَ إِلَى الْقَرْيَةِ الصَّالِحَةِ أَقْرَبَ مِنْهَا بِشِبْرٍ، فَجُعِلَ مِنْ أَهْلِهَا 


-‘তিনি (যিনি একশজন হত্যা করে তাওবার জন্য গিয়েছেন) কনিষ্টাঙ্গুলী পরিমিত স্থান বরাবর নেককার বান্দাদের বস্তির কাছাকাছি ছিলেন।’  ২০২

{২০২. সহীহ মুসলিম শরীফ, ৪/২১১৯পৃ., হা/২৭৬৬, ইবনে আছির, জামেউল উসূল, ২/৫১৩ পৃ. হা/৯৮৭}






গোস্তাখে রাসূূলের বংশধরের আলামতঃ-

সায়্যিদুনা হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরি (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, আমরা রাসূল (ﷺ)’র দরবারে উপস্থিত ছিলাম। রাসূল (ﷺ) কিছু সম্পদ বন্টন করতেছিলেন। 

বানি তামিম গোত্রের যুলখুয়াইছারা নামক একব্যক্তি আসল। সে বলল, হে রাসূল ইনসাফ করুণ। তার এ অসৌজন্যমূলক আচরণ দেখে রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমার ধ্বংস হোক, আমি যদি ইনসাফ না করি, তবে কে ইনসাফ করবে? 

হযরত ওমর (رضي الله عنه) বললেন, হে রাসূল (ﷺ) আমাকে অনুমতি দেন, আমি তার শিরচ্ছেদ করব। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, 


دَعْهُ، فَإِنَّ لَهُ أَصْحَابًا يَحْقِرُ أَحَدُكُمْ صَلاَتَهُ مَعَ صَلاَتِهِمْ، وَصِيَامَهُ مَعَ صِيَامِهِمْ، يَقْرَءُونَ القُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ


-‘তাকে ছেড়ে দাও, তার সাথে কিছু সাথী হবে তাদের নামাযের সামনে তোমাদের নামায তুচ্ছ মনে হবে, তাদের রোযার সামনে তোমাদের রোযা ছোট মনে হবে। তারা কুরআন তিলাওয়াত করবে কিন্তু কুরআন তাদের কন্ঠনালীর নিচে যাবে না। তারা দ্বীন থেকে এভাবে বের হয়ে যাবে যেভাবে শিকারি থেকে তীর বের হয়ে যায়। এই তীরের নিচে বা বল­মে কোন কিছু (রক্ত বা অন্যান্য কিছু) লাগবে না।’ 


হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরি (رضي الله عنه) বলেন- 


فَأَشْهَدُ أَنِّي سَمِعْتُ هَذَا الحَدِيثَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَشْهَدُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَاتَلَهُمْ وَأَنَا مَعَهُ


-‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি এই হাদিস রাসূল (ﷺ) থেকে শুনেছি এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত আলী বিন আবি তালিব (رضي الله عنه) এসব লোকদের সাথে জিহাদ করেছেন। আমি তাঁর সাথে ছিলাম।’  ২০৩

{২০৩. খতিব তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ২/১০৫৪ পৃ: হা/৩৫৫৩, সহীহ বুখারী শরীফ, ৪/২০০ পৃ. হা/৩৬১০, ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান, ৪/২৪৪ পৃ. হা/৪৭৬৮।}


আক্বিদা

গোস্তাখে রাসূলের নামায, রোযা এবং অন্যান্য ইবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। রাসূলে কারিম (ﷺ) তাদের আলামত, আমাল এবং তাদের পরিণামও বলেছেন। এটাও বুঝা গেল যে, কোন নামাযি বা রোযাদার যদি বেআদব বা গোস্তাখে রাসূল হয়, তবে তারা ইসলামের সীমা থেকে বাইরে আছে। গোস্তাখি ও বেআদবি লেখা এবং কথাবার্তার মাধ্যমেই হয়ে থাকে আমালের মাধ্যমে নয়। 






শপথ করে অদৃৃশ্যের সংবাদ দেয়াঃ-

সায়্যিদুনা হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরি (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, আমরা রাসূল (ﷺ)’র সাথে বের হলাম। রাসূল (ﷺ) ওয়াদিয়ে আফ্ফান এর মধ্যে দাঁড়ালেন এবং কয়েক রাত সেখানে অপেক্ষা করলেন। তখন কোন কোন মানুষ বলতে শুরু করলেন, আমরা তো এখানে কিছুই করছি না। আমাদের ঘর খালি, আমাদের পরিবার একা। আমরা আমাদের ঘরকে নিরাপদ মনে করি না এ সংবাদ রাসূল (ﷺ)’র কাছে পৌঁছলে তিনি বলেন- 


وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا فِي الْمَدِينَةِ شِعْبٌ وَلَا نَقْبٌ إِلَّا عَلَيْهِ مَلَكَانِ يَحْرُسَانِهَا حَتَّى تَقْدَمُوا إِلَيْهَا


ঐ স্বত্ত¡ার শপথ! যার কুদরাতের হাতে আমার প্রাণ মাদিনা মুনাওয়ারার এই গিরিপথ এবং প্রত্যেক রাস্তার উপর দু’জন ফেরেশতাকে পাহারা দেয়ার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। যতক্ষণ না তোমরা মাদিনায় পৌঁছবে তারা ততক্ষণ পাহারা দিবে। এরপর রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করলেন, মদিনা মুনাওয়ারার দিকে স্থানান্তরিত হও, আর আমরা যখন মদিনা মুনাওয়ারায় পৌঁছলাম, ঐ স্বত্ত¡ার শপথ, যার নামে শপথ করা হয়, এখনো আমরা যুদ্ধের সরাঞ্জম রাখিনি বানূ গাতফান হামলা শুরু করে দিল।  ২০৪

{২০৪. ২০৪.খতিব তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ৩/১৬৫৫পৃ: হা/৫৯০১, সহীহ মুসলিম শরীফ, ২/১০০১, হা/১৩৭৪।}


আক্বিদা

সাহাবায়ে কিরাম রাসূল (ﷺ)-এর ইলমে গায়বের সংবাদ হলফ করে বর্ণনা করেছেন এবং হাকীকতে তাঁরা এটি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথেই হলফ বা শপথ করতেন। তাহলে আজ যারা রাসূল (ﷺ)-এর ইলমে গায়ব জানাকে শিরক বলছেন তাদের ফাতওয়ায় সাহাবায়ে কিরামের হলফ বা শপথের কি হবে? আল্লাহ তা‘আলা এ সমস্ত লোকদের থেকে মুসলমানদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমিন।






কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু হবে তার সংবাদ পরিবেশনঃ- ২০৫

{২০৫. সম্পাদক কর্তৃক সংযোজিত।}


❏ইমাম আহমদ (رحمة الله) সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-


عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقَامًا فَحَدَّثَنَا بِمَا هُوَ كَائِنٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ


-“হজরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) বলেন, রাসূল (ﷺ) আমাদের মাঝে একটি স্থানে দাঁড়ালেন, অতঃপর তিনি সেখান থেকে কিয়ামত পর্যন্ত এর মাঝে যা কিছু হবে তা সব কিছু বললেন।” ২০৬

{২০৬. মুসনাদে আহমদ, ১৭/২২৭ পৃ. হা/১১১৪৩; মুসনাদে জামে, হা/৪৫৯৯}


আক্বিদা

এ হাদিসে পাক থেকে জানা গেল রাসূল (ﷺ) কিয়ামত পর্যন্ত সব কর্মের বিষয়েই অবগত আছেন, আর এটি তার অন্যতম একটি মু‘জিযা। মহান রব তা‘য়ালা আরও ইরশাদ করেন-


اَلرَّ حْمَنُ. عَلَّمَ الْقُرْاَنَ. خَلَقَ الْاِنْسَانَ- عَلَّمَهُ الْبَيَانَ. 


-‘‘ব্যাখ্যা বহুল অনুবাদঃ দয়াবান আল্লাহ তা’আলা স্বীয় মাহবুবকে কুরআন শিখিয়েছেন, মানবতার প্রাণতুল্য হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁকে সৃষ্টির পূর্বাপর সব কিছুর তাৎপর্য বাতলে দিয়েছেন।’’ ২০৭

{২০৭.সূরা  রাহমান, আয়াতঃ ১-৪}


❏ইমাম বাগভী (رحمة الله) আয়াতের ব্যাখ্যা করা হয়েছে নিম্নরূপ,


خَلَقَ الْاِنْسَانَ اَىْ مُحَمَّدً عَلَيْهِ السَّلاَمُ عَلَمَّهُ الْبَيَانَ. يَعْنِىْ بَيَانَ مَاكَانَ وَمَا يَكُوْنَ


-‘‘আল্লাহ তা’য়ালা মানবজাতি তথা মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁকে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্ত বিষয়ের বর্ণনা শিক্ষা দিয়েছেন।’’ ২০৮

{২০৮.ইমাম বাগভী, মা‘লিমুত তানযিল, ৪/৩৩১পৃ.}


❏‘তাফসীরে খাযেনে’ এ আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখা হয়েছে,


قِيْلَ اَرَادَ بِالْاِنْسَانِ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ عَلَّمَهُ الْبَيَانَ يَعْنِىْ بَيَانَ مَاكَانَ وَمَايَكُوْنَ لِانَّهُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ نَبِّى عَنَ خَبْرِ الْاُوَّلِيَنَ وَالْاَخِرِيْنَ وَعَنْ يَوْمِ الدِّيْنِ.


-‘‘বলা হয়েছে যে, (উক্ত আয়াতে) ‘ইনসান’ বলতে হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে বোঝানো হয়েছে। তাঁকে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সব বিষয়ের বিবরণ শিক্ষা দেয়া হয়েছে। কেননা, তাঁকে পূর্ববতী ও পরবর্তীদের ও কিয়ামতের দিন সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।’’  ২০৯

{২০৯.ইমাম খাযিনঃ তাফসীরে খাযিনঃ ৪/২০৮ পৃ.}


ইমাম বাগভী (رحمة الله)ও উপরের অনুরূপ ব্যাখ্যা করেছেন। ২১০ 

{২১০.ইমাম বাগভী, মা‘লিমুত তানযিল, ৪/৩৩১পৃ.}


❏ইমাম ইবনে জাওযী (رحمة الله) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেন-


أنه محمّد صلّى الله عليه وسلم، علّمه بيان كلّ شيء ما كان وما يكون، قاله ابن كيسان.


-‘‘ইমাম ইবনে কায়সান (رحمة الله) বলেন, এ আয়াতে ইনসান বলতে মুহাম্মদ (ﷺ) কে বুঝানো হয়েছে। বায়ান বা বর্ণনা বলতে সব কিছু অর্থাৎ যা হয়েছে এবং ভবিষৎতে যা হবে তা আল্লাহ নবীজিকে শিক্ষা দিয়েছেন।’’ ২১১

{২১১.ইমাম যওজী, যাদুল মাইসীর, ৪/২০৬পৃ.}

 
Top