সায়্যিদুনা আবূ যার গিফারী (رضي الله عنه)'র) আক্বিদা


সমস্ত জাহান থেকে উত্তম ও মর্যাদাবানঃ-


❏ইমাম দারিমী (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-


عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ عَلِمْتَ أَنَّكَ نَبِيٌّ حَتَّى اسْتَيْقَنْتَ؟ فَقَالَ: يَا أَبَا ذَرٍّ أَتَانِي مَلَكَانِ وَأَنَا بِبَعْضِ بَطْحَاءِ مَكَّةَ فَوَقَعَ أَحَدُهُمَا عَلَى الْأَرْضِ، وَكَانَ الْآخَرُ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: أَهُوَ هُوَ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ زِنْهُ بِرَجُلٍ، فَوُزِنْتُ بِهِ فَرْجَتُتهُ، ثُمَّ قَالَ: فَزِنْهُ بِعَشَرَةٍ، فَوُزِنْتُ بِهِمْ فَرَجَحْتُهُمْ، ثُمَّ قَالَ: زِنْهُ بِمِائَةٍ، فَوُزِنْتُ بِهِمْ فَرَجَحْتُهُمْ ثُمَّ قَالَ: زِنْهُ بِأَلْفٍ، فَوُزِنْتُ بِهِمْ فَرَجَحْتُهُمْ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِمْ يَنْتَثِرُونَ عَلَيَّ مِنْ خِفَّةِ الْمِيزَانِ، قَالَ: فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: لَوْ وَزَنْتَهُ بِأُمَّتِهِ لَرَجَحَهَا


সায়্যিদুনা আবু যার গিফারী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, আমি রাসূল (ﷺ) কে আরয করলাম যে, আপনি কীভাবে এবং কখন দৃঢ়ভাবে অবগত হলেন যে, আপনি আল্লাহর নবী (ﷺ)?  ১৯২

{১৯২. এ হাদিসের ব্যাখ্যায় হাদ্দিসগণ বলেছেন হাদিসের মমার্থ হলো যে কখন আপনার একিন হলো আপনি নবুয়ত প্রচারের সময় হচ্ছে বা আসছে। ভিন্ন অর্থ গ্রহণ করলে অনেক সহীহ হাদিসের মুখালেফ হবে। ইমাম তিরমিযি (رحمة الله) সংকলন করেন-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتٰى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُوَّةُ؟ قَالَ: وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالجَسَدِ

-‘‘হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরাম বললেন, কখন আপনার উপর নাবুয়ত নির্ধারিত হয়? তিনি বলেন, আদম (عليه السلام) এর রুহ এক জায়গায় আর দেহ আরেক যায়গায় ছিল।’’ (ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান, ৫/৫৮৫ পৃ. হা/৩৬০৯, ইমাম তিরমিযি একে হাসান বলেছেন, আর আহলে হাদিস আলবানী একে সহীহ বলে তাহকীক করেছেন।) 

ইমাম হাকিম নিশাপুরী (رحمة الله) সংকলন করেন-

عَنْ مَيْسَرَةَ الْفَخْرِ، قَالَ: قُلْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَتَى كُنْتُ نَبِيًّا؟ قَالَ: وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ

-‘‘হযরত মায়সারা আল-ফাজর (رضي الله عنه) বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) এর কাছে জানতে চাইলেন যে, আপনি কখন নাবী হয়েছেন? তিনি বলেন, আদম (عليه السلام) যখন রুহ এবং দেহ আলাদা অবস্থানে ছিল।’’ (ইমাম হাকিম, আল-মুস্তাদরাক, ২/৬৬৫ পৃ. হা/৪২০৯, ২০/৩৫৩ পৃ. হা/৮৩৪)}


তিনি (ﷺ) বললেন, হে আবু যার, আমি মক্কা মুকাররমার একটি উপত্যাকার মধ্যে ছিলাম। দুুজন ফেরেশতা আসলেন, একজন যমিনে অবতরণ করলেন আর অন্যজন আসমান ও জমীনের মাঝখানে ছিলেন। তাদের মধ্য হতে একজন বললেন, ওনিই তিনি? দ্বিতীয় জন বললেন, হ্যাঁ। এক ফেরেশতা বললেন, তাঁকে একজন  মানুষের সাথে ওযন (পরিমাপ) করুন। 

যখন আমাকে একজন মানুষের সাথে ওযন করা হল, আমার ওযন ভারী হল, ফেরেশতা বললেন, তাকে দশজনের সাথে ওযন করুন, তখন আমার ওযন ভারী হল। ফেরেশতা বললেন, তাকে একশত জনের সাথে ওযন করুন, তখনও আমার ওজন ভারী হল। ফেরেশতা পুনরায় বললেন, তাকে এক হাজার জনের সাথে ওযন করুন, তখনও আমার ওযন ভারী হল। 

ফেরেশতা এই অবস্থা দেখে খুশি হলেন। এরপর উপরের ফেরেশতা বললেন, তাকে ওযন করা হতে বিরত থাক, কেননা, তাকে যদি তাঁর সমস্ত উম্মতের সাথেও পরিমাপ করো তবেও তিনি ভারী হবে।  ১৯৩

{১৯৩. খতিব তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ৩/১৬০৮পৃ: হা/৫৭৭৪, সুনানে দারমী, ১ম খণ্ড, ১৬৪ পৃ. হা/১৪, ইমাম হাইসামী, মাজমামউয যাওয়ায়েদ, ৮/২৫৬ পৃ., হা/১৩৯৩১। এ হাদিসটির সনদ সহীহ। ইমাম হাইছামী (رحمة الله) বলেন-

رَوَاهُ الْبَزَّارُ، وَفِيهِ جَعْفَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ كَبِيرٍ، وَثَّقَهُ أَبُو حَاتِمٍ الرَّازِيُّ وَابْنُ حِبَّانَ وَتَكَلَّمَ فِيهِ الْعُقَيْلِيُّ، وَبَقِيَّةُ رِجَالِهِ ثِقَاتٌ رِجَالُ الصَّحِيحِ.

-‘‘ইমাম বায্যার (رحمة الله) সনদটি সংকলন করেছেন আর সনদে ‘জাফার ইবনে আব্দুল্লাহ বিন উসমান বিন কাবীর’ রয়েছেন; আর তাকে ইমাম আবু হাতেম, ইমাম ইবনে হিব্বান সিকাহ বলেছেন। ইমাম উকাইলী (رحمة الله) তার বিষয়ে কথাবার্তা বলেছেন। এছাড়া সনদের বাকি রাবীগণ সহীহ বুখারীর রাবী।’’ তাই বলা যায় এই হাদিসের সনদ সহীহ।}


আক্বিদা

নাবী পাক (ﷺ) সমস্ত জাহান থেকে উত্তম ও মর্যাদাবান। তাঁর বরাবর কেউ নেই। যে সব মানুষ সাদৃশ্যের দাবি করে স্পষ্টত তারা বাতিল আক্বিদার উপর। 


❏কবি বলেন-


وہر ميں سے  تو بڑا تجہ سے   بڑى خدا كى ذات

قائم  ہے  تيرى ذات سے سارا  نظام كائنات


-‘আর সকলের মধ্যে তুমিই বড়, আর তোমার থেকে বড় হলেন আল্লাহর পবিত্র সত্ত¡া, গোটা দুনিয়ার সকল নিয়ম কানুন তোমার সত্তার বদৌলতেই বিদ্যমান।’




মিশর বিজয়ের সংবাদঃ-


❏হযরত আবু যার গিফারী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন যে, 


إِنَّكُمْ سَتَفْتَحُونَ مِصْرَ


‘তোমরা মিশর জয় করবে।’ আর মিশর এমন শহর যার মধ্যে ক্বিরাতের মুদ্রার প্রচলন রয়েছে। তোমরা মিশর জয় করবে এর বাদশাদের সাথে সুন্দর আচরণ করবে।  ১৯৪

{১৯৪. সহীহ মুসলিম শরীফ, ৪/১৯৭০পৃ: হা/২৫৪৩, পরিচ্ছেদ: بَابُ وَصِيَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَهْلِ مِصْرَ , খতিব তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ৩/১৬৬২ পৃ:, হা/৫৯১৬, ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ৩৫/৪০৯ পৃ. হা/২১৫২০, ইবনে আছির, জামেউল উসূল, ৬/৪৯১ পৃ. হা/৪৭০২, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ১১/৩৬৮ পৃ. হা/৩১৭৬৭}


আক্বিদা

রাসূলে কারিম (ﷺ) তাঁর সাহাবাদেরকে অদূর ভবিষ্যতে নির্ধারিত সংঘটিতব্য ঘটনার বিবরণ ও অবস্থা সম্পর্র্কে সংবাদ দিয়েছেন। 

কিন্তু সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه) রাসূল (ﷺ)’র পবিত্র দরবারে এই প্রশ্ন করেননি যে, “আপনি কিভাবে ভবিষ্যতের সংবাদ দিচ্ছেন?” অথচ আল্লাহর বাণী হচ্ছে, “আগামীকাল কি সংঘঠিত হবে, তা আমি ছাড়া কেউ জানেন না।” সাহাবায়ে কিরামগণ তো পবিত্র কুরআন সম্পর্কে অধিক জানতেন। 

সাহাবায়ে কিরামের আক্বিদা ছিল যে, আল্লাহ তা‘আলা যে জ্ঞানের কথা বলেছেন তা হল জাতি বা সত্তাগত ইল্ম যা, আমি ছাড়া আর কেউ জানেন না যে, আগামীকাল কি হবে।

আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আক্বিদাও সেটি যা সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه)’র আক্বিদা, যে নাবী কারিম (ﷺ)’র ইলম হল আতা‘ঈ বা দানকৃত জাতি বা সত্তাগত নয়। 




উম্মাতের আমল হুযূর (ﷺ)’র সামনে পেশ করা হয়ঃ-


❏হযরত আবু যার গিফারী (رضي الله عنه)’র থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন- 


عُرِضَتْ عَلَيَّ أَعْمَالُ أُمَّتِي حَسَنُهَا وَسَيِّئُهَا


-‘‘আমার নিকট আমার উম্মাতের ভাল মন্দ আমল পেশ করা হয়।’’  ১৯৫

{১৯৫. সহীহ মুসলিম শরীফ, ৪/১৮৫৪ পৃ. হা/২৩৮২, পরিচ্ছেদ: بَابُ مِنْ فَضَائِلِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , ইমাম বুখারী, আস-সহীহ, ৫/৫৭পৃ: হা/৩৯০৪, খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ৩/১৬৭৯ পৃ. হা/৫৯৫৭}


আক্বিদা

রাসূলে পাক (ﷺ)’র নিকট উম্মাতের ভাল মন্দের আমল পেশ করা হয় আর তিনি তাদেরকে চেনেন। 





কিয়ামত পর্যন্ত যা হবে সব বলে দেয়াঃ-

হযরত আবু যর গিফারী (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) এক বিশাল খুতবাতে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু হবে সব কিছু সে খুতবায় বললেন। তিনি আরও বলেন-


لَقَدْ تَرَكْنَا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَمَا يُحَرِّكُ طَائِرٌ جَنَاحَيْهِ فِي السَّمَاءِ إِلَّا ذَكَّرَنَا مِنْهُ عِلْمًا


-‘‘হুযুর আলাইহিস সালাম আমাদেরকে এমনভাবে অবহিত করেছেন যে, একটা পাখীর পালক নাড়ার কথা পর্যন্ত তাঁর বর্ণনা থেকে বাদ পড়েনি।’’ ১৯৬

{১৯৬. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, আল-মুসনাদঃ ৫/১৫৩ পৃ. হাদিস/২১৩৯৯, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, আল-মুসনাদঃ ৩৫/৩৪৬পৃ., হা/২১৪৩৯, ইমাম তাবরানী, মু’জামুল কাবীর, ২/১৫৫ হাদিস/১৬৪৭, ইমাম আবু ই’য়ালা, আল-মুসনাদ, ৯/৪৬ হাদিস/৫১০৯, ইমাম বায্যার, আল-মুসনাদ, ৯/৩৪১ পৃ., হাদিস/৩৮৯৭, ইমাম আবু দাউদ তায়লসী, আল-মুসনাদ, ১/৩৮৫পৃ., হা/৪৮১) শায়খ হুসাইন সালেম আসাদ মুসনাদে আবি ই‘য়ালার তাহকীক করতে গিয়ে এ হাদিসের তাহকীকে বলেন- إسناده صحيح -‘‘এ হাদিসের সনদটি সহীহ।’’ (দারুল মামুন লিলতুরাস, দামেস্ক, সিরিয়া হতে প্রকাশিত।)}


আক্বিদা

উক্ত সাহাবী হযরত আবূ যার গিফারী (রাদিআল্লাহু আনহু) বর্ণনা থেকে বুঝা গেল আল্লাহর নাবী (ﷺ) এক বক্তব্যে কিয়ামত পর্যন্ত যা হবে সব কিছু তিনি বলে দিয়েছেন, আর এটি দয়াল নবীজির বড় একটি মু‘জিযা। তাঁর জন্য মহান রব দীর্ঘ সময়কে সংকচিত করে দিয়েছেন এবং তাকে অধিক পরিমানে ইলমে গায়ব দান করেছেন। ১৯৭

{১৯৭. সম্পাদক কর্তৃক সংযোজিত।}





রাসূল (ﷺ) এমন কিছু দেখতেন, শুনতেন যা সাহাবায়ে কিরাম দেখেননি এবং শুনেনিঃ-


❏ইমাম তিরমিযি ও ইবনে মাযাহ (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-


عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ: إِنِّي أَرَى مَا لَا تَرَوْنَ، وَأَسْمَعُ مَا لَا تَسْمَعُونَ،


-“হযরত আবু যার গিফারী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমি যা দেখি তোমরা তা দেখনা এবং আমি যা শুনি তোমরা তা শুননা।”  ১৯৮

{১৯৮. মুসনাদে আহমদ, হা/২১৫১৬; সুনানে ইবনে মাজাহ, হা/৪১৯০; তিরমিজি শরীফ, হা/২৩১২; ইমাম হাকিম, আল-মুস্তাদরাক, হা/৩৮৮৩; ইমাম আবু নুয়াইম: হিলইয়াতুল আউলিয়া, ২/২৩৬ পৃ:; ইমাম বায়হাক্বী, শুয়াইবুল ঈমান, হা/৭৬৪; ইমাম বাগভী: শরহে সুন্নাহ, হা/৪১৭২; মুসনাদে বায্যার, হাদিস নং ৩৯২৫; বায়হাক্বী, আস-সুনানুল কোবরা, হা/১৩৩৩৭; ইবনে আছির, জামেউল উছুল, হাদিস নং ১৯৮৫; ইমাম মিয্যী, তুহফাতুল আশরাফ, হা/১১৯৮৬; শায়খ ইউসুফ নাবহানী: ফাতহুল কাবীর, হা/৪৫১৭; জামেউল ফাওয়াইদ, হাদিস নং ৯৬৬০, ইমাম হাকিম নিশাপুরী (رحمة الله) হাদিসটিকে ‘সহীহ্’ বলেছেন। ইমাম তিরমিযি (رحمة الله) হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন। এমনকি স্বয়ং নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন (সহীহ্ জামেউস সগীর ওয়া যিয়াদা, হা/১১২৭)।}


❏ইমাম তিরমিজি (رحمة الله) বলেছেন-


وَفِي البَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَعَائِشَةَ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَأَنَسٍ.


-“এ বিষয়ে হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه), আয়েশা (رضي الله عنه), ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এবং আনাস (رضي الله عنه) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে।” 

(সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২৩১২)।


আক্বিদা

অতএব, সাহাবায়ে কিরাম এমন অনেক কিছু দেখেননা ও শুনেননা তা প্রিয় নবীজি (ﷺ) তা দেখতে পান এবং শুনতে পান। আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে, সৃষ্টি জগতের সকল কিছু রাসূল (ﷺ) দেখেন ও শুনেন। ১৯৯

{১৯৯. সম্পাদক কর্তৃক সংযোজিত।}

 
Top