সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (رضي الله عنه)’র আক্বিদা


কিয়ামত দিবসে উম্মাতগণ কবর থেকে উঠার ধরণ

সায়্যিদুনা হযরত ‘আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, একদিন নাবী পাক (ﷺ) বের হলেন এবং মাসজিদে তাশরিফ আনলেন, হযরত আবূ বকর (رضي الله عنه) এবং হযরত উমর (رضي الله عنه) দু’জন থেকে একজন ডান পাশে এবং অন্যজন বামপাশে ছিলেন। নাবী কারিম (ﷺ) এবং তারা দু’জন একটি কাপড়ের মধ্যে ছিলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ


هَكَذَا نُبْعَثُ يَوْمِ الْقِيَامَةِ


-‘‘কিয়ামাত দিবসে আমরা এভাবেই উঠব।’’  ১৬৪

{১৬৪. খতিব তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ৩/১৭০৯পৃ: হা/৬০৬৩, জামে তিরমিযী, ৬/৫৩ পৃ. হা/৩৬৬৯, ইমাম আসেম, আস-সুন্নাহ, হা/১৪১৮, মুসনাদে বায্যার, হা/৫৮৫২, ইমাম আহমদ, ফাদাইলুস সাহাবা, ১/১০৫ পৃ. হা/৭৭, ইমাম হাকেম তিরমিযি, নাওয়ারিদুল উসূল, ৩/১৪১ পৃ., ইবনে আছির, জামিউল উসূল, হা/৬৪৬০, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ১৩/১৭ পৃ. হা/৩৬১৩০, ইমাম হাকেম নিশাপুরী, আল-মুস্তারাক, ৩/৭১ পৃ. হা/৪৪২৮, এবং হা/৭৭৪৬, তিনি বলেন-

هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ

-‘‘এ হাদিসটির সনদ সহীহ, যদিও বা শায়খাইন বর্ণনা করেননি।’’ তবে আমি বলবো এ সনদটি ‘হাসান’ পর্যায়ের; আর এ বিষয়ক হাদি সহীহ। কেননা এ বিষয়ে আরও অনেক সাহাবী হাদিস বর্ননা করেছেন। সুনানে তিরমিযির এ সনদে ‘সাঈদ বিন মাসলামা’ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি (رحمة الله) বলেছিলেন--‘‘তিনি শক্তিশালী রাবী নন।’’ এ ধরনের উক্তি অনেক ক্ষেত্রে মুহাদ্দিসগণ ‘হাসান’ পর্যায়ের রাবীর ক্ষেত্রে বলে থাকেন। উক্ত রাবীর বিষয়ে আল্লামা যাহাবী (رحمة الله) উল্লেখ করেন-

وَقَالَ اِبْنِ عَدِيٍّ: أَرْجُوْ أَنَّهُ مِمَّنْ لَا يُتْرَكُ حَدِيْثُهُ.

-‘‘ইমাম ইবনে আদি (رحمة الله) বলেন, আমি রাশা রাখি, কেউ তার কোন হাদিস পরিত্যাগযোগ্য বলে গণ্য করেননি।’’ (যাহাবী, তারিখুল ইসলামী, ৫/৮১ পৃ. ক্রমিক. ১৫৯, মুগলতাঈ, ইকমালু তাহযিবুল কামাল, ৫/৩৫১ পৃ. ক্রমিক. ২০৩৯) আল্লামা মুগলতাঈ (رحمة الله) তার জীবনীতে উল্লেখ করেন- وقال الساجي: صدوق -‘‘ইমাম সাজী (رحمة الله) বলেন, তিনি সত্যবাদী।’’ (ইকমালু তাহযিবুল কামাল, ৫/৩৫১ পৃ. ক্রমিক. ২০৩৯)  তিনি আরও উল্লেখ করেন-

وخرج الحاكم حديثه في المستدرك

-‘‘ইমাম হাকেম নিশাপুরী তার মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন গ্রন্থে (সহীহ হিসেবে) সংকলন করেন।’’(মুগলতাঈ, ইকমালু তাহযিবুল কামাল, ৫/৩৫১ পৃ. ক্রমিক. ২০৩৯) ইমাম দারাকুতনী (رحمة الله) বলেন-  يعتبر به -‘‘তিনি নির্ভরযোগ্য।’’ (দ্বুআফা ওয়াল মাতরুকুন, ক্রমিক. ৬২৮) তাই হাদিসটি কমপক্ষে ‘হাসান’ এর মর্যাদা রাখে। অপরদিকে ইমাম তাবারানী (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَبِي بَكْرٍ، وَعُمَرَ، فَقَالَ: هَكَذَا نُبْعَثُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

-‘‘হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) তাঁর হুজরা শরীফ থেকে বের হয়ে হযরত আবূ বকর এবং উমরের মধ্যেখানে এসে বসলেন, অতঃপর বললেন, কিয়ামাত দিবসে আমরা এভাবেই উঠব।’’ (ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল আওসাত, ৮/১৫৬ পৃ. হা/৮২৫৮, হাইসামী, মাযমাউয-যাওয়াইদ, ৯/৫৩ পৃ. হা/১৪৩৬২, তিনি বলেন সনদটিতে যঈফ রাবী খালেদ ইবনে ইয়াযিদ রয়েছেন। দেখুন-মাযমাউয-যাওয়াইদ, হা/১৭১৬৪) শুধু তাই নয় আল্লামা মুত্তাকী হিন্দী (رحمة الله) এ হাদিসটি সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত একটি সূত্র সংকলন করেন। (মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ১৩/১৭ পৃ. হা/৩৮৯১২) সব মিলিয়ে হাদিসটি ৩ জনেরও বেশী সাহাবী হতে বর্ণিত। তাই সবগুলো সূত্র যঈফ হলেও উসূলে হাদিসের নীতিমালা অনুসারে হাদিসটি ‘হাসান লি গাইরিহী’ হতে কোন অসুবিধা নেই। এ নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার লিখিত ‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’ ১ম খণ্ড দেখুন।}


আক্বিদা

নাবী পাক (ﷺ) কিয়ামত দিবসে উম্মাত যে অবস্থায় কবর থেকে বের হবেন এটাও জানতেন, আর এজন্যই তিনি এই দৃশ্য এবং অবস্থার বর্র্ণনা করেছেন। 

এজন্যই নাবী কারিম (ﷺ) সাহাবায়ে কিরামগণকে বলেছেন-


إِنِّي أَرَى مَا لَا تَرَوْنَ


-‘আমি ওইসব কিছু দেখি যা তোমরা দেখ না।’  ১৬৫

{১৬৫. ইমাম তিরমিযী, আস-সুনান, ৪/১৩৪ পৃ. হা/২৩১২, খতিব তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ৩/১৪৬৯ পৃ:, হা/৫৩৪৭, ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ, ৩৫/৪০৫ পৃ. হা/২১৫১৬, ইমাম ইবনে মাযাহ, আস-সুনান, ৫/২৮৩ পৃ. হা/৪১৯০, হাদিসটি আবু যার গিফারী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত।}


❏আ‘লা হযরত আজিমুল বারকত ইমাম শাহ আহমদ রেযা খাঁন বেরলভী (رحمة الله) বলেন-


عرس تا فرش  ہےجس كے زيہ نگيں

اس كى قاہر  رياست  پہ  لاكوں  سلام


অনুরূপ সায়্যিদুনা হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) এবং হযরত উমর (رضي الله عنه)’র কবর, কিয়ামত এবং জান্নাতের মধ্যে বিশেষ যে নৈকট্য লাভ করবেন তা আর কেউ পাবে না।’




নাজদ থেকে শয়তানের দল বের হবেঃ-


❏সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ বিন ওমর (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, নাবী কারিম (ﷺ) দোয়া করেন-


اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي شَامِنَا، اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي يَمَنِنَا


-‘হে আল্লাহ আমাদের শাম দেশে বারকাত দান করুণ। হে আল্লাহ আমাদের ইয়ামান দেশে বারকত দান করুণ। তখন লোকেরা দাঁড়িয়ে আরয করলেন, হে রাসূল (ﷺ) আমাদের নাজদের জন্য দোয়া করুণ।’ 


নবী কারিম (ﷺ) পুনরায় শাম এবং ইয়ামানের জন্য দোয়া করলেন, অতঃপর নজদ বাসীরা আরয করল, আমাদের নাজদের জন্য দোয়া করুণ। 

রাবী বলেন, তৃতীয়বার যখন বলা হল হে রাসূল (ﷺ) আমাদের নাজদের জন্য দোয়া করুণ। তখন নাবী কারিম (ﷺ) বললেন-


هُنَاكَ الزَّلاَزِلُ وَالفِتَنُ، وَبِهَا يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ


-‘‘সেখানে ভূমিকম্প এবং ফিতনা বের হবে এবং সেখান হতেই শয়তানের শিং বের হবে।’’  ১৬৬

{১৬৬. সহীহ বোখারী শরীফ, ৯/৫৪ পৃ. হা/৭০৯৪, খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ৩/১৭৬৬ পৃ. হা/৬২৭১, ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান, ৬/২২৭ পৃ. হা/৩৯৫৩, ৯/৪৫৮ পৃ. হা/৫৬৪২। }


আক্বিদা

নাবী পাক (ﷺ)’র কাছে পুরো নজদ থেকে যে ফিতনা এবং শয়তানের দল বের হবে সেটার ইলম ছিল। আর এই দলের প্রধান ছিল মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব নাজ্দী। বড় বড় মুহাদ্দিস এবং ব্যাখ্যাকার এই হাদিসের ব্যাখ্যা এটিই নির্ণয় করেছেন। ১৬৭ 

{১৬৭. এমনকি দেওবন্দীদের শায়খে কেরআন আল্লামা আব্দুল হাদী শাহ মানসুরী তার সুপ্রসিদ্ধ কিতাব ‘তাসহিুলুল বুখারী’ তে এ হাদিসের ব্যাখ্যায় লিখেন-

لعل المراد منه قَرْنُ محمد بن عبد الوهاب النجدى-

-‘‘সম্ভবত মহানবী (قَرْنُ) শব্দ দ্বারা মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব নাজদী কে বুঝিয়েছেন।’’ (তাসহিলুল বুখারী, ২১ পৃ., দারুল উলূম তালিমুল কোরআন, মারদান হতে প্রকাশিত।) মক্কা শরীফের অন্যতম মুফতি ও মুহাদ্দিস আল্লামা আহমদ ইবনে যাইনী দাহলান মক্কী (رحمة الله) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় লিখেন-

جاء رواية قرنا الشيطان بصغية التثنية قال بعض العلماء المراد من قرنى الشيطان مسيلمة الكذاب و ابن عبد الوهاب-

-‘‘এক হাদিসের বর্ণনায় এসেছে (قرنا الشيطان) উলামায়ে কেরাম এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, ভণ্ড নবী দাবীদ্বার মুসায়লামাতুল কায্যাব এবং ইবনে আব্দুল ওহ্হাব নাজদী।’’ (ইবনে দাহলান, আদ্-র্দুরুস সানিয়্যাহ, ৫০ পৃ.)}


বিস্তারিত জানতে চাইলে আমার (গ্রন্থকারের) ‘ওহাবী মাযহাব’ নামক কিতাবটি অধ্যয়ন করুণ। 


❏সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) খারিজিদের ব্যাপারে যে দৃষ্টিভঙ্গি রাখতেন, সে ব্যাপারে ইমাম বুখারী (رضي الله عنه) তাঁর বুখারী শরীফে লিখেছেন, 


وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ، يَرَاهُمْ شِرَارَ خَلْقِ اللَّهِ، وَقَالَ: إِنَّهُمُ انْطَلَقُوا إِلَى آيَاتٍ نَزَلَتْ فِي الكُفَّارِ، فَجَعَلُوهَا عَلَى المُؤْمِنِينَ


-‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (رضي الله عنه) খারেজীদেরকে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে সবচাইতে মন্দ জানতেন। তিনি বলতেন এইসব লোক কাফিরদের ব্যাপারে যে আয়াত নাযিল হয়েছে তা মু‘মিনদের উপর চাপিয়ে দিত।’  ১৬৮

{১৬৮. সহীহ বোখারী, ৯/১৬ পৃ. পরিচ্ছেদ: بَابُ قَتْلِ الخَوَارِجِ وَالمُلْحِدِينَ بَعْدَ إِقَامَةِ الحُجَّةِ عَلَيْهِمْ}


আক্বিদা

এমন কতেক লোক রয়েছে যারা কুরআন পড়ে আর কুরআনের যে সব আয়াত কাফেরদের ব্যাপারে নাজিল হয়েছে তা মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়। এরা কারা? 

এখন লক্ষ্য করুণ, যে সব লোক নবীগণ ও ওলীগণের মান মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং তাদের দানের ক্ষমতাকে অস্বীকার করে এবং নিজেদের দলিলের স্বপক্ষে যেসব কুরআনের আয়াত পড়ে সব আয়াত যে ব্যাপারে নাযিল হয়েছে তা নবীগণ ও ওলীগনের উপর চাপিয়ে দেয়। 

আর এরা হল ওই সব লোক যাদের চিহ্নিত করনে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) বলেছেন যে, দুনিয়ার মধ্যে এরা সবচেয়ে মন্দ লোক। 


❏কবি বলেন- 


خدا محفوظ  ركهے ہر بلا سے

خصوصا  خارجيت كى  دبا  سے


-‘হে আল্লাহ, প্রত্যেক মুসিবত থেকে আমাদেরকে হিফাজত করুন,

বিশেষ করে খারিজিদের মহামারী থেকে আমাদেরকে হিফাজত করুন।’





বদ ‘আক্বিদা লোকের রোগের সেবা না করা এবং জানাযা না পড়াঃ- 


❏সায়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (رضي الله عنه) বলেন, নাবীয়ে পাক (ﷺ) ইরশাদ করেন, তাকদীর অস্বীকার কারী (ক্বাদরিয়া) এই উম্মতের মাজুসী (যরোয়ে ষ্টীর ধর্মাবলম্বী)


إِنْ مَرِضُوا فَلَا تَعُودُوهُمْ، وَإِنْ مَاتُوا فَلَا تَشْهَدُوهُمْ

-‘যদি তারা অসুস্থ হয় তবে তাদের সেবা করবে না, এবং তারা যদি মরে যায় তবে তাদের জানাযায় যাবে না।’  ১৬৯

{১৬৯. সুনানু আবি দাউদ, ৪/২২২ পৃ. হা/৪৬৯১, খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/৩৮ পৃ. হা/১০৭, ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ, ৯/৪১৫ পৃ. হা/৫৫৮৪, হা/৬০৭৭, এই হাদিসটি হুবহু এই শব্দে হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে। (সুনানু ইবনি মাযাহ, ১/৬৯পৃ. হা/৯২)}


আক্বিদা

বদ আক্বীদাধারী লোকদের সাথে কোন ধরনের মেলামেশার সম্পর্ক না রাখা চাই। দোয়ায়ে কুনুতের মধ্যে আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করা হয় যে, 


وَنَخْلَعُ نَتْرُكُ مَنْ يَّقْجُرُك


-‘আর যারা আপনার হুকুমের নাফরমানী করে তাদের থেকে আমরা পৃথক থাকি এবং তাদের সাথে মেলামেশা বর্জন করি।’  ১৭০

{১৭০. ইমাম বায়হাকী, আল-মা‘রিফাতুল সুনানি ওয়াল আছার, ৩/১১০ পৃ. হা/৩৯০৮ এবং আস-সুনানুল কোবরা, ২/২৯৯ পৃ. হা/৩১৪৪, ইমাম তাহাভী, শরহে মা‘আনীল আছার, ১/২৪৯ পৃ. হা/১৪৭৫}





বিদআতীদের সালাম না দেয়াঃ-


❏সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (رضي الله عنه) বলেন যে, একব্যক্তি তাঁর কাছে এসে বলল-


إِنَّ فُلَانًا يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ


-‘অমুক ব্যক্তি আপনাকে সালাম দিয়েছে।’ তখন 


❏আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) বললেন- 


بَلَغَنِي أَنَّهُ قَدْ أَحْدَثَ، فَإِنْ كَانَ قَدْ أَحْدَثَ، فَلَا تَقْرَأْ عَلَيْهِ السَّلَامَ


-‘আমার কাছে খবর এসেছে যে, ব্যক্তিটি বিদআতি হয়ে গেছে, আর সে বাস্তবে যদি বিদ‘আতি হয়ে থাকে তবে তাকে আমার সালাম দিওনা।’  ১৭১

{১৭১. সুনানু দারিমী, ১/৩৮৮ পৃ. হা/৪০৭}


আক্বিদা

বিদআতি লোকদের সাথে মেলামেশা, চলাফেরা, তাদেরকে সালাম দেয়া এবং সালামের উত্তর না দেয়া চাই। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-


يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ


-‘কিয়ামাতের মায়দানের কারো চেহেড়া হবে উজ্জল, আর কারো চেহেড়া হবে কালো।’ 

(সূরা আলি ইমরান, আয়াত নং-১০৬) 

উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (رضي الله عنه) বলেন- 


عَنْ اِبْن عُمَرْ عَنْ النَّبِي ﷺ فِي قَوْلِهِ تَعَالٰى { يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ} قَالَ: تَبْيَضُّ وُجُوهٌ أَهْلِ السُّنَّةِ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ أَهْلِ الْبِدْعِ


-‘‘{ইমাম খাতিবে বাগদাদি (رحمة الله) তাঁর তারিখে বাগদাদে, ইমাম মালেক, ইমাম দায়লামি সংকলন করেন} হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। এ আয়াত ‘কিয়ামাতের মায়দানের কারো চেহেড়া হবে উজ্জল, আর কারো চেহেড়া হবে কালো।’ 

(সূরা আলে ইমরান, ১০৬ এর) ব্যাখ্যা স্বরূপ তিনি রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে তারাই হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত। আর আহলে বিদআতী বা দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুখ হবে কালো হবে।’’  ১৭২

{১৭২. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, তাফসীরে দুররুল মানসূর, ২/২৯১পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, তাহের পাটনী, তাযকিরাতুল মাওদ্বুআত, ১/৮৪পৃ.}


আহলে সুন্নাতের অনুসারী আলিমদের চেহারা নূরানী ও উজ্জ্বল হবে। যে সব লোক নিজেদের বিদআতি হওয়ার উপর পর্দা দেয়ার লক্ষ্যে আহলে সুন্নাতের আলেমদেরকে বিদআতী বলে তাদের চেহারা দেখা হবে আর হযরত ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه)’র তাফসিরের মধ্যে তাদের সনাক্ত করনের প্রমাণ দেখ।  ১৭৩

{১৭৩. সকল দেওবন্দী ও আহলে হাদিসদের মান্যবড় আল্লামা ইবনে কাসির (رحمة الله) পবিত্র কোরআনের এ আয়াতের ব্যাখ্যায় সাহাবি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)‘র উক্তি বর্ণনা করেছেন-

وَتَبْيَضُّ وُجُوهُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ

-‘‘কিয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জল হবে তারা হল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী।’’ (ইবনে কাসির, তাফসীরে ইবনে কাসীর, ২/৭৯পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ. ১৪১৯হি.) এছাড়া আরও দেখুন-(ইমাম আবি হাতেম, আত্-তাফসীর, ৩/৭২৯পৃ. হাদিস, ৩৯৫০, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, তাফসীরে আদ্-দুররুল মানসূর, ২/২৯১পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, ইমাম আবি হাতেম, আত্-তাফসীর, ৩/৭২৯পৃ., শাওকানী, ফতহুল ক্বদীর,  ১/৪২৫পৃ. দারু ইবনে কাসির, দামেস্ক, বয়রুত, প্রকাশ.১৪১৪হি.) এ আয়াতের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তাফসির জানতে আমার লিখিত ‘আকায়েদে আহলে সুন্নাহ’ গ্রন্থের শুরুতে দেখুন।





সমগ্র দুনিয়া হাতের তালুতেঃ- ১৭৪

{১৭৪. সম্পাদক কর্তৃক সংযোজিত।}


❏হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,


إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ رَفَعَ لِيَ الدُّنْيَا فَأَنَا أَنْظُرُ إِلَيْهَا وَإِلَى مَا هُوَ كَائِنٌ فِيهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ كَأَنَّمَا أَنْظُرُ إِلَى كَفِّي هَذِهِ. 


-‘‘আল্লাহ তা’য়ালা আমার সামনে সারা দুনিয়াকে তুলে ধরেছেন। তখন আমি এ দুনিয়াকে এবং এতে কিয়ামত পর্যন্ত যা’ কিছু হবে এমনভাবে দেখতে পেয়েছি, যেভাবে আমি আমার নিজ হাতকে দেখতে পাচ্ছি।’’ ১৭৫

{১৭৫. ইমাম আবূ নাঈমঃ হিলইয়াতুল আউলিয়াঃ ৬/১০১ পৃ. ইমাম জালালুদ্দীন সূয়তীঃ খাসায়েসুল কোবরাঃ ২/১৮৫ পৃ., ইমাম তাবরানীঃ মু‘জামুল কাবীরঃ ১৩/৩১৮পৃ., হা/১৪১১২, মুত্তাকী হিন্দিীঃ কানযুল উম্মালঃ ১১/৪২০ হাদিসঃ ৩১৯৭১, ইমাম কাস্তাল্লানীঃ মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়াঃ ৩/৯৫ পৃ., মুত্তাকী হিন্দীঃ কানযুল উম্মালঃ ১১/১৩৭৮ হাদিসঃ ৩১৮১০, ইমাম হায়সামীঃ মাযমাউয যাওয়াইদঃ ৮/২৮৭ পৃ., হা/১৪০৬৭, (এ হাদিসটির সনদের ব্যাপারে অনেক বাতিলপন্থী আপত্তি তুলেছেন। তাদের আপত্তির দাঁতভাঙা জবাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হাদিস শাস্ত্রের উপর গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’’ ১ম খণ্ডের ৫০৭-৫০৮ পৃষ্ঠা দেখুন।)}


আক্বিদা

এ হাদিস থেকে বুঝা গেল সমগ্র দুনিয়া আমার দয়াল নবিজীর হাতের তালুতে, তিনি আমাদের সবার অবস্থা অবলোকন করেন। 


❏ইমাম যুরকানী (رحمة الله) ‘শারহুল মাওয়াহিব’ গ্রন্থে লিখেন,


اَىْ اَظْهِرَ وَكُشِفَ لِىَ الدُّنْيَا بِحَيْثُ اَحَطْت بِجَمِيْعِ مَافِيْهَا فَاَنَا اَنْظُرُ اِلَيْهَا وَاِلَى مَاُهَو َكائِنَّ فِيْهَا اِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ كَاَنَّمَا اَنْظُرُ اِلَى كَفِّىْ هَذِهِ اِشَارَةٌُ اِلَى اَنَّهُ نَظَرَ حَقِيْقَةً دُفِعَ بِهِ اَنَّهُ اُرِيْدَ بِالنَّظَرِ الْعِلْمُ


-‘‘আমার সামনে দুনিয়াকে প্রতিভাত করা হয়েছে, উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে, যার ফলে আমার দৃষ্টি উহার সমস্ত বস্তুকে পরিবেষ্টন করেছে। সুতরাং, আমি পৃথিবীকে এবং যা কিছু কিয়ামত পর্যন্ত এ ধরাতে হবে, এমনভাবে দেখতে পেয়েছি, যেমনিভাবে আমার এ হাতকে দেখতে পাচ্ছি। এখানে এ কথারই ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে যে, হুযুর আলাইহিস সালাম বাস্তবরূপেই দেখেছেন। অতএব, একথা আর বলা চলবে না যে نظر (নযর) শব্দ বলতে জ্ঞানকে বোঝানো হয়েছে।’’ ১৭৬

{১৭৬. ইমাম জুরকানী, শারহুল মাওয়াহেব, ১০/১২৩পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ.১৪১৭হি.}






জানাযা শেষ হতে দেখলে যা করণীয়ঃ- ১৭৭

{১৭৭. সম্পাদক কর্তৃক সংযোজিত।}


❏ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (رحمة الله) সংকলন করেন-


عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ قَالَ: كَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا انْتَهَى إِلَى جِنَازَةٍ وَقَدْ صُلِّيَ عَلَيْهَا دَعَا وَانْصَرَفَ وَلَمْ يُعِدِ الصَّلَاةَ


-‘‘বিশিষ্ট তা’বেয়ী না’ফে (رحمة الله) বর্ণনা করেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) তিনি যদি কোনো জানাযায় উপস্থিত হয়ে দেখতেন যে, সালাতুল জানাযা আদায় করা হয়ে গেছে, তাহলে তিনি (আদায় কৃত জানাযার) পর দোয়া করে ফিরে আসতেন, পুনরায় সালাত (জানাযা) আদায় করতেন না।’’ ১৭৮

{১৭৮. ইমাম আব্দুর রায্যাক, আল-মুসান্নাফ : ৩/৫১৯ পৃ. হাদিস, ৬৫৪৫, মুফতি আমিমুল ইহসান, ফিকহুস-সুনানি ওয়াল আছার, ১/৪০০পৃ. হাদিসঃ ৩১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, তিনি বলেন হাদিসটির সনদ সহীহ। }


আক্বিদা

সাহাবায়ে কেরামদের আক্বিদা ছিল যে জানাযা না পেলেও মৃত ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের করণীয় রয়েছে, তাই জানাযার পর যেহেতু আর জানাযা হয় না তাই তারা দোয়া করতেন। 


❏শামসুল আয়িম্মা ইমাম সারখসী (رحمة الله) {ওফাত.৪৮৩হি.} তাঁর বিখ্যাত ‘মবসুত শরীফে’ “মাইয়্যাতের গোসল” শীর্ষক অধ্যায়ে একটি হাদিস সংকলন করেন-


مَا رُوِيَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - وَابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - أَنَّهُمَا فَاتَتْهُمَا الصَّلَاةُ عَلَى جِنَازَةٍ فَلَمَّا حَضَرَا مَا زَادَا عَلَى الِاسْتِغْفَارِ لَهُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - فَاتَتْهُ الصَّلَاةُ عَلَى جِنَازَةِ عُمَرَ فَلَمَّا حَضَرَ قَالَ: إنْ سَبَقْتُمُونِي بِالصَّلَاةِ عَلَيْهِ فَلَا تَسْبِقُونِي بِالدُّعَاءِ لَهُ 


-‘‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) এবং হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে উভয়ে এক জানাযায় গিয়ে জানাযার নামায না পেয়ে মায়্যিতের জন্য ইস্তাগফার পড়লেন বা দোয়া করলেন। একদা হযরত উমর (رضي الله عنه) এর জানাযা যখনই শেষ হয়ে গেল তখন হযরত আবদুল্লাহ বিন সালাম (رحمة الله) আসলেন তিনি বললেন হে আমার সাথীরা ! তোমরা আমাকে নামাজে মাসবুক করেছো তবে জানাযার পর দোয়াতে আমাকে মাসবুক (বাদ দিয়ে) করো না (এসো আমরা সবাই মিলে দোয়া করি)।’’  ১৭৯

{১৭৯.     ইমাম সরখ্সী , আল-মবসুত, ২/৬৭পৃ.,আল্লামা আবু-বকর বিন মাসউদ কাসানী, বাদায়ে সানায়ে, ১/৩১১পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়াহ, বয়রুত, লেবানন।।}





রাসূল (ﷺ)-এর রওজা যিয়ারতকারীর ফযিলতঃ- ১৮০

{১৮০. সম্পাদক কর্তৃক সংযোজিত।}


❏ইমাম দারাকুতনী, ইবনে খুজায়মা, বায়হাকী (رحمة الله)সহ এক জামা‘আত ইমামগণ সংকলন করেন-


عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ زَارَ قَبْرِي وَجَبَتْ لَهُ شَفَاعَتِي 


-“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে আমার রওযা মোবারক যিয়ারত করবে তার জন্য আমার শাফায়াত অনিবার্য।”  ১৮১

{১৮১.ইমাম বায়হাকী : শুয়াবুল ঈমান : ৬/৫১.পৃষ্ঠা, হাদিস,৩৮৬২, কাজী আয়াজ আল-মালেকী, আশ্-শিফা শরীফ : ২/৮৩ পৃষ্ঠা, দারাকুতনী, আস-সুনান, ৩/৩৩৪পৃ., হাদিস,২৬৬৫, মুয়াস্সাতুল রিসালা, বয়রুত, লেবানন, বায্যার, আল মুসনাদ, ২/২৪৮ পৃষ্ঠা, হাকিম তিরমিযী, নাওয়ারিদুল উসূল ফি আহাদিসুর রুসুল, ২/৬৭ পৃষ্ঠা, ইস্পাহানী, তারগীব ওয়াত তারহীব, ২/২৭পৃ. হা/১০৮১,আদি, আল-কামিল, ৮/২৬৯ পৃষ্ঠা, ক্রমিক.১৮৩৪, ও ৪/১৯০-১৯১ পৃষ্ঠা, ইমাম সুয়ূতি, জামিউল আহাদিস, ২০/৩৪৮পৃষ্ঠা, হাদিস,২২৩০৪, সুয়ূতি, জামিউস-সগীর : ২/৬০৫ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৮৭১৫, ইমাম হায়সামীঃ মাযমাউয যাওয়াইদঃ ৪/২ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৫৮৪১, ও কাশফুল আতহার, ২/৫৭ পৃ. হাদিসঃ ১১৯৮, কাস্তালানী,মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়াঃ ২/৫৭১, ইমাম তকি উদ্দিন সুবকীঃ শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারাতিল খায়রি আনামঃ ১৫পৃষ্ঠা, মুফতী আমিমুল ইহসানঃ ফিকহুস সুনানি ওয়াল আছারঃ ১/৪১৩ পৃঃ হাদিসঃ ১১৭৯, ই.ফা.বা. হতে প্রকাশিত, মুত্তাকী হিন্দীঃ কানযুল উম্মালঃ ১৫/৬৫১ পৃ. হাদিসঃ ৪২৫৮৩}


❏আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) আরো বলেন-


رواه الدارقطني وغيره وصححه جماعة من أئمة الحديث


-‘ইমাম দারেকুতনীসহ অন্যান্য ইমামগণ উক্ত রেওয়ায়েতকে বর্ণনা করেছেন এবং এক জামাত ইমামগণ উক্ত হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।’’ ১৮২

{১৮২.আল্লামা মোল্লা ক্বারীঃ শরহে শিফাঃ ২/১৫০পৃ.}

আক্বিদা

এ হাদিসে নবীজি তাঁর রওযা যিয়ারতের জন্য সফর করার উৎসাহ দিয়েছেন। 


❏আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় লিখেছেন-

)وَجَبَتْ لَهُ شفاعتي) أي حقت وثبتت

-‘‘(তার জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব) অর্থাৎ তার জন্য আমার হক এবং শাফায়াত দৃঢ় হয়ে গেল।’’ ১৮৩

{১৮৩.আল্লামা মোল্লা ক্বারীঃ শরহে শিফাঃ ২/১৫০পৃ.}


 
Top