□ কবীরা গুনাহের কারণে মানুষ কাফির হয় নাঃ

# ব্যাখ্যাসহ

❏ দরসে হাদীসঃ 【হাদীস নং- (৫৩)】

○ অধ্যায়ঃ 【কবীরা গুনাহসমূহ ও মুনাফিক্বীর আলামতসমূহ】

[ﻭﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ ﺛﻠﺚ ﻣﻦ ﺃﺻﻞ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ﺍﻟﻜﻒ ﻋﻤﻦ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺍﻟﻠﻪ ﻻﺗﻜﻔﺮﻩ ﺑﺰﻧﺐ ﻭﻻﺗﺨﺮﺟﻪ ﻣﻦ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺑﻌﻤﻞ ﻭ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﻣﺎﺽ ﻣﺬ ﺑﻌﺜﻨﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺇﻟﻰ ﺃﻥ ﻳﻘﺎﺗﻞ ﺍﺧﺮ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﻣﺔ ﺍﻟﺪﺟﺎﻝ ﻻ ﻳﺒﻄﻠﻪ ﺟﻮﺭ ﺟﺎﺋﺮ ﻭﻻ ﻋﺪﻝ ﻋﺎﺩﻝ ﻭﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ﺑﺎﻷﻗﺪﺍﺭ : ‏( ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺅﺩ )]

৫৩ || হযরত আনাস [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [ﷺ] এরশাদ করেছেনঃ

"তিনটি জিনিস ঈমানের ভিত্তি (টীকাঃ ১)- যে লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ বলে তার থেকে (মুখকে) সংযত রাখা,(টীকাঃ ২) অর্থাৎ নিছক গুনাহর কারণে তাকে কাফির বলাে না (টীকাঃ ৩) এবং না তাকে শুধু কোন আমলের কারণে ইসলামের বাইরে মনে করাে।(টীকাঃ ৪) আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ জারি রয়েছে, যখন থেকে আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন (টীকাঃ ৫) ওই সময় পর্যন্ত যে, এ উম্মতের সর্বশেষ দল দাজ্জালের সাথে জিহাদ করবে।(টীকাঃ ৬) জিহাদকে যালিমের যুলম ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির ন্যায়পরায়ণতা বাতিল করতে পারবে না। (টীকাঃ ৭) আর তাক্বদীরসমূহের উপর ঈমান রাখা।" (টীকাঃ ৮)

【আবূ দাঊদ】

□ উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখায় বলা হয়েছেঃ


                                   

১. 【তিনটি জিনিস ঈমানের ভিত্তি】

◇ টীকাঃ ১. অর্থাৎ যার উপর ঈমানের ভবন প্রতিষ্ঠিত, যেগুলাে ব্যতীত মানুষ মুমিন হতে পারে না।

২. 【যে লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ বলে তার থেকে (মুখকে) সংযত রাখা】

◇ টীকাঃ ২. তাকে কাফির বলে আখ্যায়িত করবে না। 'কালেমা পড়া' মানে সমস্ত ইসলামী আক্বাইদ মেনে নেওয়া। যা আমি বহুবার উল্লেখ করেছি। ইমাম আবু হানীফা [ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ] বলেছেন, “আমরা আহলে ক্বেবলাকে কাফির বলি না।” এ কথার উদ্দেশ্যও এটা। কারাে থেকে কুফরী শব্দ পাওয়া গেলে, কেউ দ্বীনের অপরিহার্য বিষয়াদি, যেগুলাে খবর-ই মুতাওয়াতির কিংবা ইজমা দ্বারা প্রমাণিত, অস্বীকার করলে, মুখে বা কাজে তা করা প্রমাণিত হলে সে আহলে ক্বেবলা থাকে না; বরং কাফির বা মুরতাদ্দ হয়ে যায়। যেমন- ক্বোরআন মজীদকে মাখলূক্ব (সৃষ্ট) বলে মু'তাযিলা সম্প্রদায়, খতমে নুবূয়তকে অস্বীকার করে ক্বাদিয়ানী ও তাদের সহযােগী দেওবন্দীরা এবং যারা হুযূর [ﷺ] সহ সমস্ত নবীর দোআ নিশ্চিত কবুল হওয়াকে অস্বীকার করে অথবা কথায় ও কাজে তার পরিচয় দেয় তারা সবাই আহলে ক্বেবলা বহির্ভূত। [শরহে ফিক্বহে আকবর, উসূলে বয়দভী]

শুধু কালেমা পাঠ ও কাবা ঘরের দিকে মুখ ফেরানাে ঈমানের জন্য যথেষ্ট নয়। মুনাফিক্বরা এ দু’টি কাজ করতাে, কিন্তু তারপরও কাফির ছিলাে। হুযুর [ﷺ] এরশাদ করেছেন, “আমার উম্মতের মধ্যে ৭৩টি ফের্কা হবে। একটি ব্যতীত সবাই জাহান্নামী।” খারেজীদের সম্পর্কে বলেছেন যে, "তারা অত্যন্ত নামাযী এবং ক্বোরআন পাঠকারী হবে, কিন্তু দ্বীন থেকে এমনভাবে দূরে থাকবে, যেমনিভাবে নিক্ষিপ্ত তীরফলক ধনুক থেকে বের হয়ে যায়।" এ ব্যাখ্যার সমর্থন পরবর্তী বিষয়বস্তু থেকেও পাওয়া যায়।

৩. 【অর্থাৎ নিছক গুনাহর কারণে তাকে কাফির বলাে না】

◇ টীকাঃ ৩. এতে খারেজীদের খণ্ডন করা হয়েছে, যারা কবীরা গুনাহকে কুফর এবং গুনাহগারকে কাফির বলে থাকে।

এ বাক্যটি পূর্ববর্তী বিষয়বস্তুর ব্যাখ্যা। অর্থাৎ গুনাহ্ হচ্ছে অপকর্ম করা, কুফর নয়। স্মর্তব্য যে, কোন কোন গুনাহ্ কুফরের আলামত। এ জন্য ফোক্বাহা-ই কেরাম ওইসব কর্মকাণ্ডকে কুফর বলে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন- পৈতা বাঁধা, মুর্তিকে সাজদা করা, ক্বোরআন করীমকে ময়লায় নিক্ষেপ করা, হুযূরের কোন জিনিসের প্রতি বিদ্রুপ করা, বেআদবী করে হুযূরের পবিত্র কণ্ঠস্বরের উপর নিজের কণ্ঠস্বর উঁচু করা, মহান রব এরশাদ ফরমাচ্ছেন- [ﻟَﺎ ﺗَﻌْﺘَﺬِﺭُﻭﺍ ﻗَﺪْ ﻛَﻔَﺮْﺗُﻢ ﺑَﻌْﺪَ ﺇِﻳﻤَﺎﻧِﻜُﻢْ] (তােমরা মিথ্যা অজুহাত রচনা করােনা, তােমরা মুসলমান হয়ে কাফির হয়ে গেছাে।) [৯:৬৬, তরজমা: কানযুল ঈমান] আরাে এরশাদ ফরমাচ্ছেন- [ﻓَﻠَﺎ ﻭَﺭَﺑِّﻚَ ﻟَﺎ ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ...] (সুতরাং [হে মাহবূব!] আপনার রবের শপথ। তারা মুসলমান হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত পরস্পরের ঝগড়া-বিবাদের ক্ষেত্রে আপনাকে বিচারক মানবে না।...আল-আয়াত। [৪:৬৫] আরাে এরশাদ ফরমাচ্ছেন- [ﺃَﻥ ﺗَﺤْﺒَﻂَ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟُﻜُﻢْ] (অর্থাৎ যেন কখনাে তােমাদের আমলগুলাে নিস্ফল না হয়ে যায়...।) [৪৯:২, তরজমান: কানযুল ঈমান]

এ সকল গুনাহ এ কারণে কুফর, এগুলো তাদের অন্তরস্থ কুফরের আলামত। সুতরাং আলােচ্য হাদীস শরীফ ও ক্বোরআন মজীদ পরস্পর বিরােধী নয়।।

৪. 【এবং না তাকে শুধু কোন আমলের কারণে ইসলামের বাইরে মনে করাে।】

◇ টীকাঃ ৪, এতে মু'তাযিলাদের খণ্ডন করা হয়েছে, যারা বলে থাকে যে, কবীরা গুনাহকারী মু'মিনও নয়, কাফিরও নয়; বরং মধ্যখানে আলাদা একটা স্তরে- ‘ফাসিক্ব’; অথচ কুফর ও ইসলামের মধ্যখানে কোন স্তর নেই। আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআতের আক্বীদা হলাে, ‘ফাসিক্ব’ হলো দুর্বল মু'মিন, কাফির নয়। সুতরাং ‘ফাসিক্ব’ পৃথক কোন স্তর নয়।

৫. 【আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ জারি রয়েছে, যখন থেকে আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন】

◇ টীকাঃ ৫. মদীনা ত্বাইয়্যেবাহ’র দিকে। কেননা, হিজরতের পূর্বে জিহাদ ফরয ছিলাে না।।

৬. 【ওই সময় পর্যন্ত যে, এ উম্মতের সর্বশেষ দল দাজ্জালের সাথে জিহাদ করবে।】

◇ টীকাঃ ৬. অর্থাৎ হযরত ঈসা [ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ] ও ইমাম মাহদী [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] মুসলমানদের সাথে নিয়ে দাজ্জাল ও তার দলের বিরুদ্ধে তলােয়ার দ্বারা জিহাদ করবেন। কেননা, হযরত ঈসা [ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ] হুযূর [ﷺ]’র উম্মত হবেন। যেহেতু দাজ্জালের পরে সমগ্র দুনিয়া মুসলমান হয়ে যাবে; কোন কাফির থাকবে না এবং হযরত ঈসা [ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ] ও ইমাম মাহদী [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ]’র ওফাতের কিছু সময় পর দুনিয়ায় কুফরই থাকবে। কোন মু’মিন থাকবে না, সেহেতু এ জিহাদই সর্বশেষ জিহাদ হবে। এরপরে কোন জিহাদ হবে না।

স্মর্তব্য যে, যদিওবা পূর্ববর্তী কোন কোন শরীয়তেও জিহাদ ছিলাে, কিন্তু ইসলামী জিহাদ ও এর নীতিমালা হুযূর [ﷺ] থেকে আরম্ভ হয়ে দাজ্জালের হত্যা পর্যন্ত থাকবে। সুতরাং আলােচ্য হাদীসের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি নেই।

৭. 【জিহাদকে যালিমের যুলম ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির ন্যায়পরায়ণতা বাতিল করতে পারবে না।】

◇ টীকাঃ ৭. অর্থাৎ প্রত্যেক ইনসাফকারী ও যালিম বাদশাহ'র সাথে মিলে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করাে। এ'তে ইঙ্গিতে দু’টি মাসআলা বলা হয়েছে:

এক. জিহাদের জন্য ইসলামী বাদশাহ অথবা আমীরুল মুসলিমীনের উপস্থিতি বা নির্দেশ জিহাদ ওয়াজিব হবার জন্য পূর্বশর্ত।

দুই. ফাসিক বা পাপিষ্ট বাদশাহ’র অধীনে বা আহ্বানে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা আবশ্যক।

সাহাবা-ই কেরাম হাজ্জাজ ইবনে ইয়ূসুফের মত ফাসিক্ব শাসকের সাথে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন।

এতে ক্বাদিয়ানীদের খণ্ডন করা হয়েছে, যারা বলে থাকে যে, মির্যা ক্বাদিয়ানী জিহাদ রহিত করে দিয়েছে। জিহাদ নামাযের মত সুস্পষ্ট-সুদৃঢ় দলীল দ্বারা প্রমাণিত ও রহিত হবার অনুপযােগী ইবাদত। জিহাদ ব্যতীত কোন জাতি জীবিত থাকতে পারে না। মহান রব এরশাদ ফরমাচ্ছেন-

[ﻭَﻟَﻜُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻘِﺼَﺎﺹِ ﺣَﻴَﺎﺓٌ]

“এবং ক্বিসাসের মধ্যে তােমাদের জীবন নিহিত রয়েছে।”

[২:১৭৯, তরজমা: কানযুল ঈমান]

৮. 【আর তাক্বদীরসমূহের উপর ঈমান রাখা।】

◇ টীকাঃ ৮. তাক্বদীরের পূর্ণ আলােচনা আমার কিতাব ‘তাফসীর-ই না'ঈমী’র তৃতীয় পারায় দেখুন। এখানে শুধু এতটুকু বুঝে নিন যে, যা কিছু হচ্ছে, সবই আল্লাহর ইলম ও তাঁর ইচ্ছায় হচ্ছে। আমরা আমাদের আমলগুলাের অর্জনকারী মাত্র; খালিক্ব বা স্রষ্টা নই।

সুতরাং আমরা অর্জনের ক্ষেত্রে ইখতিয়ারপ্রাপ্ত এবং ‘খলক্ব’ বা সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে অক্ষম। আমরা না ‘ক্বাদির-ই মুত্বলাক্ব বা নিঃশর্তভাবে সক্ষমও নই, আবার ‘মাজবূর-ই মাহাদ্ব’ বা (নিছক পাথরের মত) অক্ষমও নই।

□ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যা সম্বলিত টীকা পেতে সার্চ করুনঃ

f/Ishq-E-Mustafa ﷺ

【সূত্রঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, কৃত- মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী আশরাফী বদায়ূনী, বঙ্গানুবাদঃ মাওলানা আব্দুল মান্নান, ১ম খন্ড, পৃ. (৭৩-৭৪), হাদীস নং-৫৩ এবং টীকাঃ (৪৩-৫০) দ্রব্যষ্ট, প্রকাশনায়ঃ ইমাম আহমদ রেযা রিসার্চ একাডেমী, চট্টগ্রাম।


□ 'নিফাক্ব' খতম হয়ে গেছে। এখন হয়তো ইসলাম, নতুবা কুফরঃ

                                       

❏ দরসে হাদীসঃ 【হাদীস নং- (৫৬)】

○ অধ্যায়ঃ 【কবীরা গুনাহসমূহ ও মুনাফিক্বীর আলামতসমূহ】

【 ﻭﻋﻦ ﺣﺬﻳﻔﺔ ﻗﺎﻝ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻨﻔﺎﻕ ﻛﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻋﻬﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ ﻓﺎﻣﺎ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﻓﺎﻧﻤﺎ ﻫﻮ ﺍﻟﻜﻔﺮ ﻭﺍﻹﻳﻤﺎﻥ - ‏( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ )】

হযরত হুযায়্ফা [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ (টীকাঃ ১)

❝নিফাক্ব (কপটতা) হুযূর [ﷺ]’র যামানায় ছিলাে, কিন্তু বর্তমানে হয়তাে কুফর নতুবা ঈমান -এ দু'টিই রয়েছে।❞ (টীকাঃ ২)

【বােখারী শরীফ】

□ উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখায় বলা হয়েছেঃ


                                   

১. 【হযরত হুযায়্ফা [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] হতে বর্ণিত,】

◇ টীকাঃ ১. তাঁর পবিত্র নাম হুযায়ফা। উপনাম আবূ আবদুল্লাহ্ ‘আবাসী। তাঁর পিতা হাসীল। তাঁর পিতার উপাধী ‘ইয়ামান।' তিনি হুযূর [ﷺ]’র গােপন রহস্যাদির ধারক ছিলেন। হিজরি ২৫ সনে হযরত ওসমান গনী [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ]'র শাহাদাতের চল্লিশ দিন পর মাদা-ইনে তিনি ইন্তিকাল করেন। সেখানেই তাঁর মাযার শরীফ অবস্থিত।

২. 【নিফাক্ব (কপটতা) হুযূর [ﷺ]’র যামানায় ছিলাে, কিন্তু বর্তমানে হয়তাে কুফর নতুবা ঈমান -এ দু'টিই রয়েছে।】

◇ টীকাঃ ২. অর্থাৎ হুযূর [ﷺ]’র যামানায় সাময়িক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মুনাফিক্বদেরকে হত্যা করা হয়নি। যদিও তাদের কাছ থেকে কুফরির আলামতসমূহ প্রকাশ পেয়েছিল, যাতে কাফিররা আমাদের গৃহযুদ্ধ থেকে সুযােগ নিতে না পারে। ওই যামানায় তিন প্রকারের মানুষ গণ্য হতো। কাফির, মু'মিন ও মুনাফিক্ব। হুযূর [ﷺ]’র পরে ‘নিফাক্ব’ বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। হয়তাে কুফর নতুবা ইসলাম। যদি কারাে কাছ থেকে কুফরের আলামত দেখা যায়, তাকে হত্যা করা যাবে, অপ্রকাশ্য কাফিরকেও। কেননা, সে মুরতাদ্দ।

[লুম'আত ও মিরক্বাত ইত্যাদি।]

【সূত্রঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, কৃত- মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী আশরাফী বদায়ূনী, বঙ্গানুবাদঃ মাওলানা আব্দুল মান্নান, ১ম খন্ড, পৃ. ৭৬, হাদীস নং-৫৬ এবং টীকাঃ ৬৩ এবং ৬৪ দ্রব্যষ্ট, প্রকাশনায়ঃ ইমাম আহমদ রেযা রিসার্চ একাডেমী, চট্টগ্রাম।]

 
Top