সায়্যিদুনা ইবনু আ’য়িয (رضي الله عنه)'র আক্বিদা


আক্বিদার বিশুদ্ধতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

সায়্যিদুনা ইবনু আ’য়িয (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসূলে পাক (ﷺ) একটি জানাযায় তাশরিফ নিলেন, জানাযা আরম্ভ হওয়ার পূর্বে হযরত ওমর (رضي الله عنه) আরয করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই ব্যক্তির জানাযা না পড়া চাই। রাসূল (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, কেন? আরয করলেন, লোকটি গুনাহগার এবং ফাজির। রাসূল (ﷺ) উপস্থিত সাহাবাদের দিকে মনোনিবেশ করে বললেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি এই ব্যক্তিকে ইসলামের কোন আমল করতে দেখেছো? একজন বললেন, হ্যাঁ, দেখেছি ইয়া রাসূল (ﷺ), একদিন সে আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দিয়েছিল। তখন রাসূলে কারিম (ﷺ) তার জানাযা পড়িয়ে তার কবরে গেলেন, তার কবরে মাটি দিয়ে বললেন-


أَصْحَابُكَ يَظُنُّونَ أَنَّكَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ وَأَنَا أَشْهَدُ أَنَّكَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ


-‘‘তোমার সাথীরা ধারণা করেছিল যে, তুমি জাহান্নামি। কিন্তু আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি জান্নাতি।’’ তারপর বললেন, হে ওমর,


إِنَّكَ لَا تُسْأَلُ عَنْ أَعْمَالِ النَّاسِ وَلَكِنْ تُسْأَلُ عَنِ الْفِطْرَةِ


-‘‘তোমার নিকট মানুষেরা আমল কর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে না; বরং মানুষের আক্বিদা (বিশ্বাস) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে।’’ ২৬৫

{২৬৫. খতিব তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ২/১১৩৩ পৃ. হা/৩৮৬০, পরিচ্ছেদ: كتاب الْجِهَاد, ইমাম বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান, ৬/১৪৬ পৃ. হা/৩৯৮৮, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ৪/৪৫৫ পৃ. হা/১১৩৫৬ }


আক্বিদা

মাহবূবে খোদা রাসূলে কারিম (ﷺ) জানতেন যে, মৃত ব্যক্তি জান্নাতি, এজন্যই তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন। এটাও বুঝা গেল যে, আমলের মধ্যে যদিও বা কোন কমতি থাকে তবে তেমন সমস্যা নেই। কিন্তু আক্বিদা শুদ্ধ হওয়া চায়। যার আক্বিদা শুদ্ধ নয়, তার আমল কোন উপকার দেবে না। ২৬৬

{২৬৬. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত, ৬/২৪৯৮ পৃ. হা/৩৮৬০}

 
Top