সায়্যিদুনা আবূ হুমাইদ সা‘ঈদী (رضي الله عنه)'র আক্বিদা


রাতে ঘন অন্ধকার আসবে

সায়্যিদুনা হযরত আবূ হুমাইদ সা‘ঈদী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, আমরা রাসূল (ﷺ)’র সাথে তাবুক যুদ্ধে গিয়েছি। ওয়াদিল কুরা নামে এক মহিলার বাগানে পৌঁছেছি। রাসূল (ﷺ) বললেন, এই বাগানে ফল কত হবে তা অনুমান কর। রাসূল (ﷺ) এবং আমরা অনুমান করলাম যে দশ আওসাক (ষাট মন)। রাসূল (ﷺ) মহিলাটিকে বলেন, সংখ্যাটি স্মরণ রাখবে, আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা তোমার কাছে ফিরে আসা পর্যন্ত। অতঃপর আমরা তাবুকে পৌঁছলাম। রাসূল (ﷺ) বললেন,


سَتَهُبُّ عَلَيْكُمُ اللَّيْلَةَ رِيحٌ شَدِيدَةٌ، فَلَا يَقُمْ فِيهَا أَحَدٌ مِنْكُمْ فَمَنْ كَانَ لَهُ بَعِيرٌ فَلْيَشُدَّ عِقَالَهُ فَهَبَّتْ رِيحٌ شَدِيدَةٌ، فَقَامَ رَجُلٌ فَحَمَلَتْهُ الرِّيحُ حَتَّى أَلْقَتْهُ بِجَبَلَيْ طَيِّئٍ


-‘‘আজকে রাত্রে অধিক বাতাস আসবে। তোমাদের কেউ দাঁড়াবে না। যাদের কাছে উট আছে, উটগুলোকে রশি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রাখবে। তারপর ঘনময় অন্ধকার রাত আসলো। এক ব্যক্তি দাঁড়ালে তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে ‘তাই’ নামক স্থানের দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করলো। অতঃপর আমরা ফিরে এসে ওয়াদিয়াতুল ক্বোরায় পৌঁছেছি।’’ 


فَسَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَرْأَةُ عَنْ حَدِيقَتِهَا كَمْ بَلَغَ ثَمَرهَا فَقَالَتْ عَشَرَةَ أَوْسُقٍ


-‘‘অতঃপর রাসূল (ﷺ) বাগানের মহিলা মালিককে জিজ্ঞাসা করলেন ফলের পরিমাণ কত? তিনি বললেন, দশ আওসাক (ষাট মন)।’’ ২৭০

{২৭০.

ক. সহীহ মুসলিম শরীফ, ৪/১৭৮৫ পৃ. হা/১৩৯২, রাসূল (ﷺ) মু’জেযা অধ্যায়।

খ. খতিব তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ৩/১৬৬২ পৃ. হা/৫৯১৫

গ. ইমাম বায়হাকী, দালিলুন নুবুওয়াত, ২/৫২০পৃ.।}


আক্বিদা

রাসূল (ﷺ)’র কাছে গায়বের ইলম রয়েছে, এজন্যই তিনি পূর্বে বলেছেন, 


سَتَهُبُّ عَلَيْكُمُ اللَّيْلَةَ رِيحٌ شَدِيدَةٌ


-‘‘আজকে রাতে তীব্র বাতাস বইবে।’’ সুতরাং এরূপই হয়েছিল। এটাও প্রমাণিত যে, যাওয়ার সময় বলেছিলেন, বাগানের ফল দশ আওসাক। পরিমাপ করার পর দেখা গেল দশ আওসাক হয়েছে। এর থেকে বুঝা গেল রাসূল (ﷺ)’র ইলমে গায়বের বিষয়টি দিবালোকের সূর্যের ন্যায় স্পষ্ট।


সুতরাং নাবী কারীম (ﷺ)’র ইলমে গায়বকে অস্বীকার করা বেদ্বীনী এবং কুরআন-সুন্নাহর বিরোধীতা বৈ কিছুই নয়। আল্লাহ হেফাজত করুন। আমীন।

 
Top