মাসেহ জায়েয হওয়ার শর্তাবলী ও প্রমাণাদির বর্ণনা


بيان شرائط جواز المسح ووجوده


من ذلك ان يكون لابسَ الخفين اوما كان فى معناهما على طهارة كاملة عند الحدث بعد اللبس .


ولا يشترط ان يكون على طهارة كاملة عند اللبس او على طهارة ايضا . وبيانه ان الرجل اذا غسل الرجلين ولبس الخفين – ثم اكمل الوضوء بعد ذلك قبل الحدث – ثم احدث جازله ان يمسح على الخفين – وعلى قول الشافعى ليس له ان يمسح مالم يكمل الوضوء ثم يلبس الخفين بعد ذلك.


ولهذا قال العلماء الحنفية اذا لبس الخفين وهو محدث ثم توضأ وفاض الماء حتى دخل الماء خفيه – ثم احدث جازله ان يمسح عليه .


واجمعوا على انه اذا لبس الخفين بعد غسل الرجلين – ثم احدث قبل ان يكمل الوضوء – ثم توضأ بعد ذلك مسح على الخفين لايجوز عندنا لانعدام الطهارة الكاملة عند الحدث بعداللبس وعنده لانعدام الطهارة الكاملة عند اللبس .


ومن شرائطه الحدث الاصغر – فاما الحدث الاكبر فالمسح فيه غير مشروع لان الجواز باعتبار الحرج ولاحرج فى الحدث الاكبر لان ذلك يشدُّ فى السفر .


ومن الشرائط ان يكون لابساخفا يستر الكعبين فصاعدا وليس به خرق كثير – لان الشروع وردبالمسح على الخفين وما يسترالكعبين ينطلق عليه اسم الخف .


وكذا ما يستر الكعبين وسوى الخف فهو فى معناه نحو المكعب الكبير ولاجر موق (الذى لايبلغ الكعبين جلد يلبس فوق الخف لحفظه) والمشيم وهو نوع من الخف .


মসেহ জায়েয হওয়ার শর্তাবলীর মধ্যে মৌজা বা উহা সমমানের পরিধেয় বস্ত্র পরিধানের পর অযু ভঙ্গের সময় পূর্ণ পবিত্র অবস্থায় থাকা। পরিধানের সময় পরিপূর্ণ পবিত্রতা শর্ত নয় বা পবিত্র অবস্থায় পরিধানও শর্ত নয়। এর বর্ণনা কোন ব্যক্তি উভয় পা ধৌত করার পর মৌজা পরিধান করা। এরপর হাদস যুক্ত হওয়ার পূর্বে অযু পরিপূর্ণ করল অত:পর হাদস হলে তার জন্যে মৌজার ওপর মসেহ করা বৈধ। ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) এর এক রেওয়ায়ত মোতাবেক পরিপূর্ণ অযুর পূর্বে মৌজা পরিধান করলে মসেহ বৈধ হবে না; অযু পূর্ণ করার পর মৌজা পরিধান করতে হবে। এ মর্মে হানাফী উলামাগণ বলেন, হাদস (অযু বিহীন) অবস্থায় কেউ মৌজা পরিধান করে অযু করলে এবং মৌজার ভিতর পানি প্রবেশ করলে অত:পর হাদস যুক্ত হলে তাতে মসেহ করা বৈধ হবে। উভয় পা ধৌত করার পর মৌজা পরিধান করলে এবং অযু পূর্ণ হওয়ার পূর্বে হাদস যুক্ত হলে সর্বমতে মসেহ বৈধ হবে না। হানাফীদের মতে মৌজা পরিধানের পর হাদস যুক্ত হওয়ার সময় পূর্ণ তাহারত অবস্থায় না থাকার দরুণ ও শাফেয়ীদের মতে মৌজা পরিধানের অবস্থায় পূর্ণ তাহরত না থাকার দরুণ।


মসেহ জায়েয হওয়ার শর্তাবলীর মধ্যে হাদসে আছগর যুক্ত হওয়া তবে হাদসে আকবর যুক্ত হলে মসেহ বৈধ হবে না। কেননা জায়েয প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে হয়; হাদসে আকবরে প্রয়োজন হয় না। কেননা উহা সফর অবস্থায় স্বাভাবিক বন্দ থাকে। মসেহ বৈধ হওয়ার শর্তাবলীর মধ্যে এমন মৌজা পরিধান করা যা উভয় গোড়ালিকে ঢেকে নেয় বা অধিকাংশ ঢেকে নেয় এবং এতে অধিক ছিড়া ফাটাও না থাকে; কেননা শরার হুকুম হচ্ছে মৌজার ওপর মসেহ করার; মৌজা শব্দের ব্যবহার হয় এমন মৌজার ওপর যা গোড়ালিকে ঢেকে নেয়। অনুরূপ মৌজার ন্যায় যা গোড়ালিকে ঢেকে নেয় তা মৌজার হুকুমের অন্তর্ভূক্ত। যেমন- বড় মৌজা ও জারমুক যা গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছে না, চামড়ার তৈরী যা মৌজার ওপর মৌজার হেফাজতের জন্যে পরিধান করা হয় এবং মাসিম উহা এক প্রকারের মৌজা।


 
Top