মৃতকে দাফন করার পর কবরের নিকট মুস্তাহাব


المستحب عند القبر بعد دفن الميت


يستحب بعدا الفراغ من الدفن ان لايسرع اهل الميت واصحابه فى مغادرة القبر – بل ينبغى ان يمكثوا بقدر ماينحر جزور ويوزع لحمها يقر أون القران ويدعون للميت بالمغفرة وبالعون على لقاء الملكين والتثبيت عند السوال .


عن عثمان رضى الله عنه قال كان رسول الله ﷺ اذا فرغ من دفن الميت وقف عليه فقال استغفر والا خيكم وسلوا له التثبيت فانّه الان يسال (رواه ابوداؤد)


وعن عبدالله بن العلاء ابن اللجلاج عن ابيه قال قال لى ابى اللجلاج ابو خالد رضى الله عنه يابنى اذا أنا مِتّ فالحدنى – فاذا وضعتنى فى لحدى فقل بسم الله وعلى ملة رسول الله – ثم شن على التراب شنا- ثم اقرأ عند راسى بفاتحة القرة وخاتمتها- فانى سمعتُ رسول الله ﷺ يقول ذلك (رواه الطبرانى . واسناده صحيح . ورجاله موثقون) 


وعن عمرو بن العاص رضى الله عنه انه قال لابنه عبدالله رضى الله عنهما وهو فى سياق الموت اذا أنامتّ فلاتصحبنى نائحة ولانارا- فاذا دفنتمونى فشنوا علىّ شناصبوا بسهولة – ثم اقيموا حول قبرى قدر ماينحر جزور ويقسم لحمها حتى استأنس بكم واعلم ماذا اراجع به رسل ربى (رواه مسلم كتاب الايمان)


ومن شاء لقن الميت بعد دفنه الظاهر قوله عليه السلام لقنوا موتاكم لا اله الا الله (رواه مسلم) .


ويكفى ان يقول يافلان بن فلان اذكرما كنت عليه من قول لا اله الاالله محمد رسول الله ﷺ وقل رضيت بالله رباباالاسلام دينًا وبمحمد ﷺ نبيا فان الميت يسمع ويستأنس بالذكر .   والله ورسوله اعلم .


মৃতের দাফনকার্য শেষ করার পর তার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব তাড়াহুড়া করে কবরের নিকট হতে চলে না আসা মুস্তাহাব। বরং একটি উট নাহার করতে ও উহার গোস্ত বন্টন করতে যে পরিমাণ সময় লাগে সে পরিমাণ সময় কোরআন তেলাওয়াত করা, মাগফিরাতের দোয়া করা ও মুনকার-নাকিরের প্রশ্নোত্তরে অটল থাকার জন্য দোয়া করা উচিত। 


হযরত ওসমান (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাফন কার্য শেষে তার পার্শ্বে দাঁড়াতেন এবং বলতেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য মাগফিরাতের দোয়া কর এবং তার জন্য অটল থাকার দোয়া কর কেননা এখনই তাকে প্রশ্ন করা হবে। (আবু দাউদ শরীফ)


হযরত আব্দুল্লাহ বিন আ’লা বিন লাজলাজ হতে, তিনি স্বীয় পিতা হতে বর্ণনা করেন, আমাকে আবু লাজলাজ আবু খালেদ বলেছেন, হে প্রিয় বৎস ! আমি মৃত্যুবরণ করলে আমার জন্যে লাহাদ নিয়মে কবর করবে ও সেথায় রাখাবস্থায় বলবে, বিস্মিল্লাহে আলা মিল্লাতে রাসূলিল্লাহ অত :পর আমার ওপর পুরাপুরিভাবে মাটি ঢেলে দিবে তারপর আমার মাথার নিকট সূরা বাকারার শুরু শেষের আয়াতগুলো পাঠ করবে। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে উহা বলতে শুনেছি। (তাবরানি শরীফ এর সনদ ও বারীগায়ে বিশুদ্ধ)


হযরত আমর বিন আস (رضي الله عنه) স্বীয় পুত্র আবদুল্লাহ (رضي الله عنه)কে মৃত্যুশয্যায় শায়িত অবস্থায় বলেন, আমি মৃত্যুবরণ করলে আমার সাথে কোন কান্নারত মহিলা যেন না যায় এবং কোন আগুনও যাতে সাথে না থাকে। তোমরা আমার দাফন কার্য শেষ করার সময় মাটি আস্তে ধীরে ঢালবে। অত:পর আমার চতুপার্শ্বে একটি উট জবেহ করে উহার গোস্ত বন্টন করার সমপরিমাণ দাঁড়াবে যাতে আমি তোমাদের সাথে থেকে ভীতি দূর করতে পারি এবং জানতে পারি আমার প্রভূর পক্ষ হতে প্রেরিত দত কিভাবে ফিরে যায়। (মুসলিম শরীফ কিতাবুল ঈমান)


হুযুর (ﷺ) এর প্রকাশ্য বাণী অনুযায়ী মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর তালকীন করতে চাইলে করতে পার। নবী করিম (ﷺ) বলেন, তোমরা তোমাদের মৃতকে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর তালকীন কর। (মুসলিম শরীফ) 


এতটুকু বলাও যথেষ্ট হবে, হে অমুকের পুত্র অমুক, তুমি স্মরণ কর, তোমার আক্বিদা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ এবং তুমি বল, আমি সন্তুষ্ট আল্লাহ তায়ালা আমার প্রভূ হিসাবে, ইসলাম আমার দিন হিসাবে ও মুহাম্মদ (ﷺ) আমার নবী হিসাবে। অবশ্যই মৃত ইহা শুনতে পায় এবং সাথে সাহস পায় ও ভীতি দূরীভূত হয়। আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূলই অধিক জ্ঞাত।

 
Top