কাবা শরীফের প্রতি নামায পড়ার বর্ণনা


باب الصلوٰة الى الكعبة المشرفة


الصلوٰة فى الكعبة المعظمة جائزة فرضها ونفلها – خلافا للشافعىؒ فيهما ولمالكؒ فى الفرض لانه صلّٰىﷺفى جوف الكعبة يوم الفتح . ولانها صلوة استجمعت شرائطها لوجود استقبال القبلة لان استيعا بهاليس بشرظ .


فان صلى الامام بجماعة فيها فجعل بعضهم ظهره الى ظهرالامام جاز لانه متوجه الى القبلة – ولا يعتقد امامه على الخطاء بخلاف مسئلة التحرى.


ومن جعل منهم ظهره الى وجه الامام لم تجز صلوٰته لتقدمه على امامه – واذا صلّٰى الامام فى المسجد الحرام فتحلق الناس حول الكعبة وصلوا بصلاة الامام – فمن كان منهم اقرب الى الكعبة من الامام جازت صلوٰته اذا لم يكن فى جانب الامام لان التقدم والتأخر – انما يظهر عند اتحاد الجانب ومن صلى على ظهر الكعبة جازت صلوٰته – خلافا للشافعىؒ لان الكعبة هى العرصة والهواء الى عنان السماء عندنا دون البناء لانه ينقل .


والمعتبر فى القبلة العرصة لاالبناء فهى من الارض السابعة الى العرش (ردالمحتار-صفـ ৪৩২)


 اى ليس المراد بالقبلة الكعبة التى هى البناء المرتفع على الارض – ولذا لونقل البناء الى موضع اخر وصلّٰى اليه لم يجز فلاتجب الصلوٰة الى ارضها – (كما فى الفتاوى الصوفيه عن الجامع الصغير)


الاترى انه لوصلى على جبل ابى قبيس جاز ولابناء بين يديه الاانه يكره لما فيه من ترك التعظيم – وقد وردالنهى عنه عن النبى ﷺ .


وفى البحر ان الكعبة اذا رفعت عن مكانها لزيارة اصحاب الكرامة ففى تلك الحالة جازت الصلوٰة الى ارضها – وايضا قدرفع البناء فى عهدابن الزبير على قواعد الخليل وفى عهد الحجاج ليعيدها على الحالة الاولى والناس يصلون .


فلو صلّٰى فى الجبال العالية والآبار العميقة السافلة جاز كما جاز على سطحها وفى جوفها فلو كان المعتبر البناء لا العرصة لم يجز ذلك الكعبة اسم للعرصة فان الحيطان لووضعت فى مواضع آخر فصلّٰى اليها لايجوز (طحطاوى على مراقى الفلاح) .


والانصاف ماذكره الامام النسفى رحمة الله عليه حين سئل عمّا يحكى ان الكعبة كانت تزوراحدا من الاولياء- هل يجوز القول به ؟ فقال نقض العادة على سبيل الكرامة لاهل الولاية جائز عند اهل السنة – ردالمحتار شرح درالمختار صفـ ৫৫১ فثبت ان الكعبة تذهب الى زيارة الولى .


واماماروىٰ الامام الترمذىؒ فى جامعه عن ابن عمر رضى الله عنهما انه نظر يوما الى الكعبة فقال اعظمك وما اعظم حُرمتك والمؤمن اعظم حرمة عندالله تعالٰى منك .       والله اعلم بالصواب .


কাবা শরীফে ফরয ও নফল উভয় নামায বৈধ। ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) ফরয, নফল উভয় ও ইমাম মালেক (رحمة الله) ফরয নামাযে ভিন্ন মত পোষণ করেন। কেননা হুযুর (ﷺ) মক্কা বিজয়ের দিন কাবা শরীফের ভিতরে নামায পড়েছেন। সেখানে নামায যাহা কিবলামুখী সহ সকল শর্তাবলীর ধারক ও বাহক। কেননা কেবলামুখী শর্ত পূরণের জন্যে পুরাপুরি সম্মুখীন হওয়া শর্ত নয়। ইমাম সেখানে জামাতের সাথে নামায পড়লে তাদের মধ্যে কেউ স্বীয় পিঠকে ইমামের পিঠের দিকে করে দাঁড়ায় তার নামায জায়েয হবে। কেননা সে কেবলামুখী হয়েছেন এবং ইমাম ভুলে আছে বলে ধারণা করেননি। এ মাসয়ালাটি কেবলার দিক হারা ব্যক্তি দিক নির্ণয়ে চিন্তা ভাবনা করার মাসয়ালার বিপরীত। তাদের মধ্য হতে যে ব্যক্তি স্বীয় পিঠ ইমামের সম্মুখ দিকে করবে তার নামায স্বীয় ইমাম থেকে অগ্রগামী হওয়ার কারণে জায়েয হবে না। ইমাম মসজিদে হারামে নামায পড়লে মুক্তাদিগণ কাবার চতুষ্পার্শ্বে কাতার বন্দী হয়ে ইমামের সাথে নামায পড়বে। তাদের থেকে যে ব্যক্তি ইমামের চেয়ে কাবার অধিক নিকটবর্তী হলেও তার নামায জায়েয হবে। কেননা সামনে-পিছনে তখনই প্রমাণ হবে যখন উভয় একই পার্শ্বে দাঁড়াবে। কাবা শরীফের উপরে নামায পড়লে বৈধ হবে। ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) এর বিপরীত মত পোষণ করেন। কেননা কাবা হচ্ছে আঙ্গিনা ও শূন্যে সু-উচ্চ আসমান পর্যন্ত। হানাফীদের মতে শুধু নির্মিত নয়। কেননা উহা পরিবর্তনশীল ও এদিক সেদিক কম বেশীও হয়। কিবলার ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য মত হল- কাবার আঙ্গিনা নির্মিত ঘর নয় উহা নিচে সপ্ত জমি উপরে আরশ মোয়াল্লা পর্যন্ত। (রদ্দুল মোখতার ৪৩২পৃষ্ঠা)


সারকথা হল- কিবলা বলতে উদ্দেশ্য সুউচ্চ নির্মিত কাবা যা জমিনের ওপর বিদ্যমান তাহা নয়। তাই সে নির্মাণ নকল করে অন্য স্থানে নেয়া হলে এবং সেদিক হযে নামায পড়লে জায়েয হবে না। সুতরাং উহার জমিনের দিকে নামায ওয়াজিব হবে না। আপনি কি দেখছেন না! জাবলে আবু কুবাইসে নামায পড়লে বৈধ হবে কিন্তু তার সম্মুখে কোন নির্মাণ নেই তবে এমন করলে মাকরূহ হবে। কেননা এতে সম্মান বর্জন করা হচ্ছে। নিশ্চয় এ ব্যাপারে নবী (ﷺ) এর পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।


বাহার নামক গ্রন্থে বিদ্যমান- কেরামতের অধিকারী মহান ব্যক্তির সাক্ষাতের জন্যে কাবা শরীফ স্বীয় স্থান হতে উঠে গেলে সে অবস্থায় উহার জমিনের দিকে নামায পড়া বৈধ হবে। হযরত ইবনে জুবাইরের (رضي الله عنه) সময়ে হযরত খলীলুল্লাহ (আ.) কর্তৃক নির্মাণকৃত সীমা ও আকৃতি উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল এবং হাজ্জাজের সময়ে তা পূর্বের অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করে নির্মাণ করা হয়েছিল অথচ মানুষ তখনও তাঁর দিকে হয়ে নামায পড়ত। কেউ সুউচ্চ পাহাড়ে ও অতিশয় গভীর কূপে নামায পড়লে বৈধ হবে। যেমন- এর ছাদে ও ভিতরে বৈধ হয়। যদি আঙ্গিনা কাবা না হয়ে নির্মাণই কাবা হত উহা বৈধ হত না। কাবা হল আঙ্গিনা- এজন্যে দেয়ালগুলো অন্যত্রে সরানো হলে সেদিক (দেয়ালের দিক) হয়ে নামায পড়লে বৈধ হবে না। (তাহাবী আলা মারাকিল ফালাহ) 


ন্যায়পরায়ণযোগ্য কথা হল ইমাম নফসী (رحمة الله) এর সে কাহিনী যাহা তিনি প্রশ্নোত্তরে বর্ণনা করেছেন। কথিত আছে, অবশ্যই কাবা শরীফ কোন মহান ব্যক্তির সাক্ষাতে যায়- এ ধরণের কথিত কাহিনী কি বৈধ হবে? উত্তরে তিনি বলেন, অলৌকিকভাবে বেলায়তের অধিকারী মহান ব্যক্তির সম্মানার্থে গমন আহলে সুন্নাতের মতে বৈধ। (রদ্দুল মুখতার শরাহ দররুল মোখতার ৫৫১ পৃষ্ঠা) 


সুতরাং প্রমাণিত হল যে কাবা শরীফ আল্লাহর অলির সাক্ষাতে গমন করেন।


ইমাম তিরমিযী (رحمة الله) স্বীয় জামেতে হযরত ইবনে ওমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন, তিনি একদা কাবা শরীফের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেন, তোমার মহাত্ম! কিসে তোমাকে এ মহাত্ম দান করেছেন? অথচ মুমিন বান্দা আল্লাহর নিকট তোমার চেয়ে অধিক সম্মানিত। আল্লাহ তায়ালাই প্রকৃত তথ্য সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত।

 
Top