৩- بَابُ مَا جَاءَ فِي اللَّعْنِ عَلَى اكْلِ الرِّبَا

٣٢٨- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ، عَنِ الْـحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ ، قَالَ: لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ  آكِلَ الرِّبَا وَمُوْكِلَهُ.


বাব নং ১৩৬. ৩.  সুদ খোরের উপর অভিশাপ


৩২৮. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আবু ইসহাক থেকে, তিনি হারিস থেকে, তিনি হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, সুদ গ্রহণকারী ও সুদ প্রদানকারীর উপর রাসূল (ﷺ)  অভিশাপ দিয়েছেন। 

(বুখারী, ৫/২২২২/৫৬১৭)


ব্যাখ্যা: ইমাম আহমদ, দারে কুতনী, তিবরানী আওসাত ও কবীরে আব্দুল্লাহ ইবনে হানযালা থেকে মারফু হাদিস বর্ণনা করেন যে, জেনে শুনে এক দিরহাম সমান সুদ খেলে, ছত্রিশটি যিনার চেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। 


❏বায়হাকী শুআবুল ঈমান কিতাবে ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত হাদীসে এ বাক্যটিও বেশী আছে, যে ব্যক্তি হারামের মালের দ্বারা দেহের গোশত বানিয়েছে সে আগুনে নিমজ্জিত হওয়ার উপযোগী হবে। মুসলিম শরীফসহ অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও সাক্ষ্যদানকারীর উপর রাসূল (ﷺ)  অভিশাপ দিয়েছেন।

ইসলামী শরীয়তে সুদকে ধর্মীয় ও সামাজিক সর্বনাশা ব্যাধি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আল্লাহ ও রাসূল (ﷺ)  এর পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তারা জিন গ্রস্থ রোগীর মত উম্মাদ ও দিশাহারা অবস্থায় কিয়ামতের ময়দানে দাঁড়াবে। সুতরাং সকল মুসলমান একমত যে, সুদ বেশী হোক বা কম হোক তা হারাম।

 
Top