বিষয় নং-৫: দুনিয়ার ভালবাসা সকল পাপের মূল:


“হাদীসের নামে জালিয়াতি” গ্রন্থের ১৭৭ পৃষ্ঠায় উক্ত হাদিসকে অস্বীকার করেছেন। বলেছেন এটা নাকি নেককার আবেদদের কথা। তার আবার কোনো প্রমাণও দেননি যে কোন নেককার আবেদের কথা। এ সম্পর্কে একাধিক হাদিস পাওয়া যায় যেমন- 


বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি (رحمة الله) একটি হাদিস সংকলন করেছেন।


عن عبد الله ابن مسعود قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: أكْبَرُ الكَبائِرِ حُبُّ الدُّنْيا-


-‘‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, দুনিয়ার ভালবাসা (প্রাচুর্যের লালসা) হলো সবচেয়ে বড় পাপ।’’ ১৮

➥১৮. ইমাম দায়লামী : আল-মুসনাদিল ফিরদাউস : ১/৩৬৪ পৃঃ হা/১৪৬৮, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি : জামেউস সগীর : ১/২০৯ পৃঃ হা/১৩৭৫,  ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি : জামেউল আহাদিস, ২/৫৩ পৃঃ হা/৩৮২২, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ৩/১৮৪ পৃঃ হা/৬০৭৪, আজলূনী, কাশফুল খাফা, ১/১৯৯ পৃঃ হা/৫২৪, তিনি বলেন সনদে কিছুটা দুর্বলতা বিদ্যমান। শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর, ১/২০৯ পৃঃ হা/২২৭৪


সনদ পর্যালোচনা:


তাই এটি হাদিস নি:সন্দেহে প্রমাণিত হলো উক্ত রেওয়ায়েতটি কোন আবেদের কথা নয় বরং রাসূল (ﷺ) এরই হাদিস। অনুরূপ শব্দের কাছাকাছি আরও হাদিস পাওয়া যায়। 


যেমন ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি (رحمة الله) আরো একটি হাদিস সংকলন করেন-


عن حسن البصرى ؓ قال قال رسول الله ﷺ : حُبُّ الدُّنْيا رَأسُ كُلِّ خَطِيئَةٍ- و قال السخاوى: هذا حديث اسناد حسن والى الحسن البصرى رفعا مرسلا- 


-‘‘হযরত ‘হাসান’ বসরী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত।  রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, দুনিয়ার ভালবাসা সমস্ত পাপের মূল।’’১৯

➥১৯. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি : জামেউস সগীর : ১/৫৬৬ পৃঃ : হা/৩৬৬২, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি : জামেউল আহাদিস, ৪/২১৪ পৃ: হা/১১১৬৩,  ইমাম সাখাভী : আল-মাকাসিদুল হাসানা : পৃ: ১৭৭ : হা/৩৮৪, আল্লামা আজলূনী : কাশফুল খাফা : ১/৩৪৫ পৃ: হা/১৮৫, ইবনে আছির, জামিউল উসূল,  ৪/৫০৬ পৃঃ হা/২৬০৩, ইবনে ইরাকী, তাখরীযে ইহইয়াউল উলূম, ১/১১০২ পৃঃ সুয়ূতি, আদ্দুরুল মুনতাসিরাহ ফি আহাদিসুল মুনতাসিরাহ, ১/১০৫ পৃঃ হা/১৮৫, শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর, ২/৬৪ পৃঃ হা/৫৭৮২, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ৩/১৯২ পৃঃ হা/৬১১৪


[উক্ত হাদিসটি ইমাম বায়হাকী  তাঁর শুয়াবুল ঈমান গ্রন্থে মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেছেন সাখাভী, ‘হাসান’ বলেছেন।] 

এ হাদিসটি নিয়ে আরও ব্যাপক আলোচনা এ গ্রন্থের দ্বিতীয় খন্ডে করা হয়েছে, পাঠকবৃন্দের সেখানে দেখে নেয়ার অনুরোধ রইল।

 
Top