49 - بَابُ مَا جَاءَ فِيْ فَضْلِ لَيْلَةِ الْـجُمُعَةِ وَمَنْ مَاتَ فِيْهَا

144 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ قَيْسٍ، عَنْ طَارِقٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «مَا مِنْ لَيْلَةِ جُمُعَةٍ إِلَّا وَيَنْظُرُ اللهُ  إِلَىٰ خَلْقِهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، يَغْفِرُ اللهُ لِـمَنْ لَا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا».


বাব নং ৬৪. ৪৯. জুমার রাত এবং ঐ রাতে মৃত্যুবরণকারীর ফযীলত


১৪৪. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা কায়েস থেকে, তিনি তারেক থেকে, তিনি ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা জুমার প্রত্যেক রাতে সৃষ্টিজগতের দিকে তিনবার রহমতের দৃষ্টিদান করে থাকেন। এ রাতে তিনি ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন যিনি আল্লাহর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে না।

ব্যাখ্যা: এখানে ক্ষমা দ্বারা সগীরা গুনাহের কথা বুঝানো হয়েছে। তবে কেউ কেউ কবীরা গুনাহও ক্ষমা করে দেন বলে মত প্রকাশ করেছেন। তবে হুকুকুল ইবাদ সর্বসম্মতিক্রমে এ বিধানের বহির্ভূত। কারণ এটা ক্ষমা করা না করা বান্দার উপর নির্ভরশীল।


145 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنِ الْـهَيْثَمِ، عَنِ الْـحَسَنِ، عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «مَنْ مَاتَ يَوْمَ الْـجُمُعَةِ وُقِيَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ».


১৪৫. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হায়সাম থেকে, তিনি হাসান থেকে, তিনি হযরত আবু হোরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন মৃত্যুবরণ করবে। সে কবর আযাব থেকে নিরাপদ থাকবে। (মুসনাদে আবি ইয়ালা, ৭/১৪৬/৪১১৩)

ব্যাখ্যা: ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে তিরমিযী ও বায়হাকীর বর্ণনায় ليلة الجمعة অতিরিক্ত রয়েছে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি জুমার দিন অথবা রাতে মৃত্যুবরণ করবে, আল্লাহ তাকে কবর আযাব থেকে রেহাই দেবেন। কোন কোন রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে যে, সে আল্লাহর সাথে এমনভাবে মিলিত হবে যে, তার কোন হিসাব নেয়া হবেনা। হাকেম ও তিরমিযী এর ব্যাখ্যা এভাবে করেছেন যে, জুমার দিন দোযখের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, এর কঠোরতা হ্রাস পায়, এর প্রজ্জলিত অগ্নিশিখা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। সুতরাং এরূপ পবিত্র দিনে কেউ মৃত্যুবরণ করলে, তার সৌভাগ্যের কারণে আযাব রহিত হয়ে যায়।

 
Top