সায়্যিদুনা ‘ওরওয়াহ বিন মাস‘উদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর আক্বিদা


রাসূল (ﷺ) শ্লেষ্মা মুবারক সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه)-এর মুখে ও শরীরে মালিশ করাঃ-

হযরত ওরওয়া (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, হুদায়বিয়ার সন্ধির স্থলে রাসূল (ﷺ)-এর সাহাবাদের চিন্তিত দেখা গেল। 


قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا تَنَخَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُخَامَةً إِلَّا وَقَعَتْ فِي كَفِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ، فَدَلَكَ بِهَا وَجْهَهُ وَجِلْدَهُ، وَإِذَا أَمَرَهُمْ ابْتَدَرُوا أَمْرَهُ، وَإِذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ عَلَى وَضُوئِهِ


-‘তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ, রাসূল (ﷺ) যখন থুথু বা শ্লেষ্মা মোবারক নিক্ষেপ করতেন তখন কোন না কোন সাহাবী তা নিয়ে নিজেদের চেহারা বা শরীরে মালিশ করতেন। রাসূল (ﷺ) যখন কোন আদেশ করতেন তা পালন করার জন্য সাহাবায়ে কিরাম প্রতিযোগিতা করতেন এবং রাসূল (ﷺ) যখন ওযূ মুবারক করতেন, ওযূ মুবারকের অবশিষ্ট পানি নেয়ার জন্য সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه) এমনভাবে তাড়াহুড়া করতেন, মনে হত একজন তারা পরস্পরে লড়াই করবেন।’ ২৮৬

{২৮৬. সহীহ বুখারী শরীফ, ৩/১৯৩ পৃ. হা/২৭৩১, পরিচ্ছেদ: بَابُ الشُّرُوطِ فِي الجِهَادِ وَالمُصَالَحَةِ مَعَ أَهْلِ الحَرْبِ وَكِتَابَةِ الشُّرُوطِ , ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ৩১/২৪৭ পৃ. হা/১৮৯২৮, সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৪৮৭২)


আক্বিদা

সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه)-এর মুহব্বাত এবং আক্বিদা সূর্য থেকেও অধিক পরিস্কার। তারা রাসূলে আকরাম (ﷺ)-এর শ্লেষ্মা মুবারককেও নিজেদের হাতে নিতেন, চেহারা এবং শরীরে মালিশ করতেন। সাধারণত শ্লেষ্মা মাকরূহ; কিন্তু সরওয়ারে কায়েনাত (ﷺ) অতুলনীয়। এ জন্য রাসূল (ﷺ)-এর শ্লেষ্মা মুবারকও সাধারণ মানুষ থেকে ভিন্ন।


এই শ্লেষ্মা মুবারকরে দুর্গন্ধ ছিল না। তা ছিল বরফ থেকেও অধিক ঠান্ডা, মধু থেকেও অধিক সুগন্ধময়। এখান থেকে এটাও বুঝা গেল যে, সাহাবায়ে কেরাম (رضي الله عنه) প্রিয় নবী (ﷺ) কে সাধারণ মানুষের মত মনে করতেন না বরং অতুলনীয় মনে করতেন। 


❏আ’লা হযরত আজীমুল বরকত, ইমামে আহলে সুন্নত মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত ইমাম শাহ আহমদ রেযা খাঁন বেরলভী (رحمة الله) কতই না সুন্দর বলেন:


تر ے خلق كو حق نے عظيم كہا  ترى خلق كو حق نے جميل كہا

كوئى بتہ سا ہوا نہ ہوگا شہا تير خالق حسن وادا  كى قسم

ترا مسند ناز ہے عرش بريں ترا محرم راز  ہے  روح الا ميں

تو ہى سرور ہر دوجہا ں شہا تيرا مثل نہيں  ہے خدا  كى قسم


-‘আল্লাহ পাক আপনার চরিত্রকে মহান বলেছেন আর আপনার আকৃতিকে করেছেন সুন্দর।

কিছুই আপনার সমতুল্য হতে পারিনি, এও পারবে না আপনার প্রভুর উত্তম ভাবে কার্য সম্পাদনের পথ।

আপনার গৌরবময় সিংহাসন আরশ থেকেও শ্রেয়, আপনার রাজকিয় হারমের মেহমান হলো সায়্যিদুনা জিব্রাইল (عليه السلام)।

আপনি উভয় জাহানের সরদার, আপনার কোন ধরনের উপমা নেই আল্লাহ কসম করে বলছি।’’


 
Top