তৃতীয় পরিচ্ছেদ


(ইলমে গায়ব সম্পর্কে হাদীছ ব্যাখ্যাকারীদের উক্তি সমূহের বর্ণনা)



(১) আইনী শরহে বুখারী, ফতহুল বারী, ইরশাদুস সারী শরহে বুখারী, মিরকাত শরহে মিশকাত প্রভৃতি গ্রন্থে আলোচ্য অধ্যায়ের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে উল্লে­খিত ১নং হাদীছের প্রেক্ষাপট লিখা হয়েছে-

{সম্মাণিত পাঠকবৃন্দ্র! মূল (উর্দু) কিতাবে উক্ত তিন মুহাদ্দিগনের অভিমত আলাদা আলাদা করে দেয়া নেই; আপনাদের প্রয়োজনে তা দেয়া হলো-বাহাদুর}


উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী رحمه الله عليه{ওফাত.৮৫৫হি.} বলেন,


 دلَالَة على أَنه أخبر فِي الْمجْلس الْوَاحِد بِجَمِيعِ أَحْوَال الْمَخْلُوقَات من ابتدائها إِلَى انتهائها، وَفِي إِيرَاد ذَلِك كُله فِي مجْلِس وَاحِد أَمر عَظِيم من خوارق الْعَادة،ـ                               

    

-‘‘এ হাদিস দ্বারা বুঝা গেল, একই মজলিশ বা অবস্থানে রাসূল করীম (ﷺ) সৃষ্টিকূলের আদ্যোপান্ত যাবতীয় অবস্থার খবর দিয়েছিলেন। আর এক মসজলিশে সমস্ত কিছু বর্ণনা করা তাঁর একটি বড় মু’জিযা ছিল।’’ 


উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী رحمه الله عليه বলেন,


 أَيْ أَخْبَرَنَا عَنْ مُبْتَدَإِ الْخَلْقِ شَيْئًا بَعْدَ شَيْءٍ إِلَى أَنِ انْتَهَى الْإِخْبَارُ عَنْ حَالِ الِاسْتِقْرَارِ فِي الْجَنَّةِ وَالنَّارِ ------- إِيرَادِ ذَلِكَ كُلِّهِ فِي مَجْلِسٍ وَاحِدٍ مِنْ خَوَارِقِ الْعَادَةِ أَمْرٌ عَظِيمٌ –                   

  

-‘‘নবী করীম (ﷺ) সৃষ্টির শুরু থেকে একটি একটি করে সর্বশেষ জান্নাত ও জাহান্নামে অবস্থান করা পর্যন্ত বিস্তারিত বিষয় আমাদেরকে অবহিত করেছেন এবং এ বিষয়টি তাঁর একটি বড় মু’জিযা ছিল।’’  


উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী رحمه الله عليه বলেন,


 أَيْ أَخْبَرَنَا عَنِ الْمَبْدَأِ شَيْئًا بَعْدَ شَيْءٍ إِلَى أَنِ انْتَهَى الْإِخْبَارُ عَنْ حَالِ الِاسْتِقْرَارِ فِي الْجَنَّةِ وَالنَّارِ، وَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ أَخْبَرَ فِي الْمَجْلِسِ الْوَاحِدِ بِجَمِيعِ أَحْوَالِ الْمَخْلُوقَاتِ مِنَ الْمَبْدَأِ وَالْمَعَادِ وَالْمَعَاشِ، وَتَيْسِيرُ إِيرَادِ ذَلِكَ كُلِّهِ فِي مَجْلِسٍ وَاحِدٍ مِنْ خَوَارِقِ الْعَادَةِ أَمْرٌ عَظِي                              


-‘‘এ হাদিস দ্বারা জানা যায় নবী করীম (ﷺ)একই অবস্থানে থেকে সমস্ত মাখলুকাতের সৃষ্টির শুরু, জীবন যাপন এবং মৃত্যুর পর পূণর্জীবিত হওয়া বা পরকাল ইত্যাদি বিষয়ে সংবাদ প্রদান করেছিলেন এবং এ বিষয়টি নবী করীম (ﷺ)এর একটি বড় মু’জেযার অন্তর্ভুক্ত।’’  


 (২) ‘মিরকাত শরহে মিশকাত’ এবং ‘শরহে শিফা’য় আল্লামা মোল্লা আলী কারী (রহমতুল্লাহে আলাইহে) রচিত, যুরকানী ‘শরহে মওয়াহেবে’ ও নাসিমুর রিয়াদ্ব শরহে শিফা’ প্রভৃতি ব্যাখ্যাগ্রন্থ সমূহে ৪নং হাদীছের ব্যাখ্যায় লিখা হয়েছে-


وَحَاصِلُهُ اَنَّهُ طُوِىَ لَهُ اَلاَرْضُ وَجَعَلَهَا مَجْمُوْعَةَ كَهَيْئَةِ كَفٍّ فِيْهِ مِرْءَةٌ يَنْظُرْ اِلَى جَمْعِهَا وَطَوَاهَا بِتَقْرِيْبِ بَعِيْدِهَا اِلَى قُرِيْبِهَا حَتَّى اِطَّلَعْتُ عَلَى مَافِيْهَا


-‘‘এ হাদীসের সারমর্ম হচ্ছে- হুযুর আলাইহিস সালামের জন্য পৃথিবীকে সঙ্কুচিত করে দেয়া হয় এবং এমনভাবে একত্রিত করে দেয়া হয়, যেন কেউ এক হাতে আয়না নিয়ে সম্পূর্ণ আয়নাকে দেখছেন। যমীনকে এমনভাবে একত্রিত করে দেয়া হয়, যাতে দূরব র্তী অংশ নিকটব র্তী অংশের একেবারে কাছাকাছি দৃষ্টিগোচর হয়। ফলে পৃথিবীতে যা’ কিছু আছে সবকিছুই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) দেখতে পেয়েছেন ।’’ 

{জুরকানীঃ শরহুল মাওয়াহেবঃ ১০/১২৩পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ.১৪১৭হি.}

  

(৩) ‘মিরকাত শরহে মিশকাত- এ ৫নং হাদীছের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে লিখা হয়েছে-


(فَعَلِمْتُ) ، أَيْ: بِسَبَبِ وُصُولِ ذَلِكَ الْفَيْضِ (مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ) : يَعْنِي: مَا أَعْلَمَهُ اللَّهُ تَعَالَى مِمَّا فِيهِمَا مِنَ الْمَلَائِكَةِ وَالْأَشْجَارِ وَغَيْرِهِمَا، وَهُوَ عِبَارَةٌ عَنْ سَعَةِ عِلْمِهِ الَّذِي فَتَحَ اللَّهُ بِهِ عَلَيْهِ، وَقَالَ ابْنُ حَجَرٍ: أَيْ جَمِيعَ الْكَائِنَاتِ الَّتِي فِي السَّمَاوَاتِ بَلْ وَمَا فَوْقَهَا، كَمَا يُسْتَفَادُ مِنْ قِصَّةِ الْمِعْرَاجِ، " وَالْأَرْضِ " هِيَ بِمَعْنَى الْجِنْسِ، أَيْ: وَجَمِيعَ مَا فِي الْأَرَضِينَ السَّبْعِ، بَلْ وَمَا تَحْتَهَا، كَمَا أَفَادَهُ إِخْبَارُهُ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - عَنِ الثَّوْرِ وَالْحُوتِ اللَّذَيْنِ عَلَيْهِمَا الْأَرَضُونَ كُلُّهَا


-‘‘এ ফয়েয প্রাপ্তির দরুণ আমি আসমান যমীনের মধ্যে যা’ কিছু আছে সবকিছুই জেনে নিয়েছি। অর্থাৎ আসমান যমীনের ফিরিশতাকূল, গাছপালা ও অন্যান্য যা কিছু মহান আল্লাহ জ্ঞাত করিয়েছেন, সবই জেনে নিয়েছি। এটা হচ্ছে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) সেই ব্যাপক জ্ঞানের বর্ণনা, যা’ আল্লাহ তা’আলা তাঁর কাছে ব্যক্ত করেছেন। ইবনে হাজর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জেনে নিয়েছেন সমস্ত সৃষ্টি যা আসমান সমূহে বরং যা আসমানের উপরেও রয়েছে। (এ তথ্য মিরাজের বর্ণনা সম্বলিত হাদীছ থেকে জানা যায়) এবং জেনে নিয়েছেন যা কিছু পৃথিবীতে আছে এবং সে সমস্ত বস্তুও যা পৃথিবীর ৭টি স্তরেই বরং আরো নিচে রয়েছে। একথা সে সমস্ত হাদীছ থেকে বোঝা যায় যে, গুলোতে এমন গাভী ও মাছের অস্তিত্বের কথা বলা হয়েছে, যা’র উপর পৃথিবীর স্তরসমূহ স্থিতাবস্থায় রয়েছে।’’ 

{মোল্লা ক্বারীঃ মেরকাতুল মাফাতিহঃ ২/৬০৯ পৃ.দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ. ১৪২২হি.}


❏‘আশিয়াতুল লুময়াত শরহে মিশকাত’ গ্রন্থে উপরোক্ত ৫নং হাদীছের ব্যাখ্যায় লিখা হয়েছে-


عبادت است ازحصول تمام علوم جزوى وكلى واحاطه ان


-‘‘এ হাদীছে তাঁর বিশিষ্ট ও সামগ্রিক জ্ঞান অর্জনের ও উহার পরিব্যাপ্তির কথা বলা হয়েছে।’’ 

{শায়খ আব্দুর হক মুহাদ্দিস দেহলভীঃ আশিয়াতুল লুমাতঃ ১/৩৫৭ পৃ.}

  

(৪) আশিয়াতুল লুময়াত শরহে মিশকাতে ৭নং হাদীছ সম্পর্কে বলা হয়েছে-


پس ظاهرشد مراهر چيز ازعلوم وشناختم همه را،


-‘‘আমার কাছে প্রত্যেক ধরনের জ্ঞান প্রতিভাত হয়েছে এবং আমি সবকিছুই জেনে নিয়েছি।’’ 

{শায়খ আব্দুর হক মুহাদ্দিস দেহলভীঃ আশিয়াতুল লুমাতঃ ১/৪৫০ পৃ.}

  

❏আল্লামা যুরকানী (রহমতুল্লাহে আলাইহে) ‘শারহুল মাওয়াহিব’ গ্রন্থে উক্ত ৭নং হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন-


اَىْ اَظْهِرَ وَكُشِفَ لِىَ الدُّنْيَا بِحَيْثُ اَحَطْت بِجَمِيْعِ مَافِيْهَا فَاَنَا اَنْظُرُ اِلَيْهَا وَاِلَى مَاُهَو َكائِنَّ فِيْهَا اِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ كَاَنَّمَا اَنْظُرُ اِلَى كَفِّىْ هَذِهِ اِشَارَةٌُ اِلَى اَنَّهُ نَظَرَحَقِيْقَةً دُفِعَ بِهِ اَنَّهُ اُرِيْدَ بِالنَّظَرِ الْعِلْمُ


-‘‘আমার সামনে দুনিয়াকে প্রতিভাত করা হয়েছে, উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে, যার ফলে আমার দৃষ্টি উহার সমস্ত বস্তুকে পরিবেষ্টন করেছে। সুতরাং, আমি পৃথিবীকে এবং যা কিছু কিয়ামত পর্যন্ত এ পৃথিবীতে হবে, এমনভাবে দেখতে পেয়েছি, যেমনিভাবে আমার এ হাতকে দেখতে পাচ্ছি। এখানে এ কথারই ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে যে, হুযুর আলাইহিস সালাম বাস্তবরূপেই দেখেছেন। অতএব, একথা আর বলা চলবে না যে نظر (নযর) শব্দ বলতে জ্ঞানকে বোঝানো হয়েছে।’’ 

{জুরকানীঃ শরহুল মাওয়াহেবঃ ১০/১২৩পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ.১৪১৭হি.}

  

(৫) ইমাম আহমদ বিন মুহাম্মদ ইবনে শিহাবুদ্দীন কুস্তালানী (রমতুল্লাহে আলাইহে) তাঁর ‘মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়ায়’ ৮নং হাদীছের ব্যাখ্যায় বলেছেন-


وَلَاشَكَّ اَنَّ اللهَ قَدْ اَطْلَعَهُ عَلَى اَزْيَدَ مِنْ ذَلِكَ وَاَلْقَى عَلَيْهِ عِلْمَ الْاَوَّلِيْنَ وَالْاَخِرِيْنَ


-‘‘এতে কোন সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ তা’আলা হুযুর আলাইহিস সালামকে এর থেকে (৮নং হাদীছে বর্ণিত বিষয়সমূহ) আরও অধিক বিষয়ে অবহিত করেছেন এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-কে  পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সবার জ্ঞান দান করেছেন।’’ 

{ইমাম আহমদ কুস্তালানীঃ মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়াঃ ৩/১৩০পৃ., মাকতুবাতুত্-তাওফিকহিয়্যাহ, কাহেরা, মিশর, তৃতীয় পরিচ্ছেদ।}

  

❏হযরত মোল্লা আলী কারী (রহমতুল্লাহে আলাইহে) ১৭ নং হাদীছ সম্পর্কে বলেন-


(يُخْبِرُكُمْ بِمَا مَضَى) ، أَيْ: بِمَا سَبَقَ مِنْ خَبَرِ الْأَوَّلِينَ مِمَّنْ قَبْلَكُمْ (وَمَا هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكُمْ) أَيْ مِنْ نَبَأِ الْآخِرِينَ فِي الدُّنْيَا وَمِنْ أَحْوَالِ الْأَجْمَعِينَ فِي الْعُقْبَى


-‘‘হুযুর (আলাইহিস সালাম) তোমাদেরকে পূর্বব র্তী লোকদের অতীত ঘটনাবলীর সংবাদ দিচ্ছেন, তোমাদের পরব র্তী লোকদের খবর দিচ্ছেন, অর্থাৎ ইহকালীন পরকালীন যাবতীয় বিষয়ের সংবাদ পরিবেশন করছেন।’’ 

{মোল্লা আলী ক্কারীঃ মেরকাতঃ ৯/৩৮২৩পৃ. হাদিসঃ ৫৯২৭}

  

(৬) মিরকাতে ১৯নং হাদীছ প্রসঙ্গে লিখা হয়েছে-


فِيهِ مَعَ كَوْنِهِ مِنَ الْمُعْجِزَاتِ دَلَالَةٌ عَلَى أَنَّ عِلْمَهُ تَعَالَى مُحِيطٌ لِلْكُلِّيَّاتِ وَالْجُزْئِيَّاتِ مِنَ الْكَائِنَاتِ وَغَيْرِهَا


-‘‘এ হাদীছের মধ্যে প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এর মুজিযার উপলব্ধির সাথে সাথে একথাও বোঝা যায় যে, হুযুর আলাইহিস সালামের জ্ঞান সৃষ্টির যাবতীয় বিষয়কে এককভাবে ও সামগ্রিকরূপে পরিবেষ্টন করে রয়েছে।’’ 

{মোল্লা আলী ক্কারীঃ মেরকাতঃ ৮/৩৪১৬ পৃ. হাদিসঃ ৫৪২২}


হাদীছবেত্তাগণের এসব ইঙ্গিত থেকে বোঝা গেল যে, হুযুর আলাইহিস সালাম সমস্ত জগতকে এবং এতে সৃষ্টির প্রথম দিন থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য যাবতীয় বিষয়কে এমনভাবে অবলোকন করছিলেন, যেমনভাবে কেউ নিজ হাতে আয়না নিয়ে আয়নাতে তাকাচ্ছেন। উল্লে­খ্য যে, লওহে মাহফুজও জগতে’র অন্তভুর্ক্ত। দ্বিতীয়তঃ এও জানা যায় যে, সমস্ত পূর্বব র্তী ও পরব র্তী জ্ঞানীদের অর্থাৎ আম্বিয়া কিরাম, ফিরিশতা ও আওলিয়ার জ্ঞান রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-কে দান করা হয়েছে। নবীগণের মধ্যে হযরত আদম (আলাইহিস সালাম) হযরত ইব্রাহীম খলীল (আলাইহিস সালাম) ও হযরত খিযির (আলাইহিস সালাম) ও অন্তভুর্ক্ত আছেন। আর ফিরিশতাদের মধ্যে আরশ বহনকারী ও লওহে মাহফুজের দায়িত্বে নিয়োজিত ফিরিশতাগণও অন্তভুর্ক্ত রয়েছেন, যাদের জ্ঞান ‘যা’ হয়েছে ও ‘যা’ হবে ইত্যাদি বিষয় পরিব্যাপ্ত। তাহলে হুযুর আলাইহিস সালাম জ্ঞানের পরিব্যাপ্তি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করার কোন অবকাশ আছে কি? রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) জ্ঞানের সুবিস্তৃতি পরিধির মধ্যে পঞ্চ عُلُوْمِ خَمْسَة জ্ঞানও অন্তভুর্ক্ত হয়ে গেছে।

 
Top