মাযারে ফুল অর্পণ, গিলাফ চড়ান ও বাতি জ্বালান প্রসঙ্গে আলোচনা


এখানে তিনটি মাসায়েল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে-কবরে ফুল অর্পণ, চাদর চড়ান ও বাতি জ্বালান। উলামায়ে আহলে সুন্নাতের অভিমত হলো প্রত্যেক মু’মিনের কবরে সে আল্লাহর ওলী হোক বা গুনাহগার হোক ফুল অর্পণ জায়েয। এবং আওলিয়া, উলামা ও পুণ্যাত্মাদের কবরসমূহের উপর গিলাফ চড়ানও জায়েয। কিন্তু সাধারণ মুসলমানের কবরের উপর নাজায়েয, কেননা এর দ্বারা ওর কোন উপকার হবে না। আর বাতি জ্বালান সম্পর্কে অভিমত হলো যে, সাধারণ মুসলমানের কবরে বিনা প্রয়োজনে বাতি জ্বালানো না জায়েয, তবে প্রয়োজন বোধে জায়েয আছে। আর আওলিয়া কিরামের মাযারে সাহেবে মাযারের শান-মান প্রকাশার্থে বাতি জ্বালানো জায়েয। প্রয়োজনবোধে তিন ধরনের হতে পারে, যেমন রাত্রে লাশ দাফন করতে বাতির প্রয়োজন, তখন জায়েয। রাস্তার পার্শ্বে কবর রয়েছে তাই এজন্যে বাতি জ্বালিয়ে রাখা প্রয়োজন, যেন কেউ হোঁচট না খায় বা কবর জেনে ফাতিহা পাঠ করলো, তাহলে জায়েয। অথবা কোন ব্যক্তি রাত্রে কোন মুসলমানের কবরে গেল এবং সেখানে কুরআন শরীফ ইত্যাদি দেখে পড়ার ইচ্ছা পোষণ করলো, তখন বাতি জ্বালিয়ে রাখা জায়েয। এ তিন অবস্থা ব্যতীত বাতি জ্বালানো যেহেতু অপব্যয় ও ব্যয়বহুলতা মাত্র, তাই নিষেধ। আওলিয়া কিরামের মাযারের উপরোক্ত কোন প্রয়োজন না থাকলেও ওলীর সম্মানে এক বা একাধিক বাতি জ্বালানো জায়েয। বিরোধিতাকারীরা এ তিনটা বিষয়কে না জায়েয মনে করে। তাই এ আলোচনাকে দু’টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে এসবের বৈধতার প্রমাণ করা হয়েছে। এবং দ্বিতীয় অধ্যায়ে এ প্রসংগে উত্থাপিত আপত্তিসমূহের জবাব দেয়া হয়েছে।

 
Top