(ইলমে গায়ব) স্বীকার ও অস্বীকার জ্ঞাপক আয়াত ব্যবহারের বর্ণনাঃ



✦পবিত্র কুরআনে করিম দ্বারা প্রমাণিত যে-

(আসমান ও জমিনে আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কেউ গায়ব জানেন না।) 


✦কুরআন করীম এটাও স্পষ্টভাবে বিবৃত করছে,

 

وما كان الله ليطلعكم على الغيب ولكن الله يجتبي من رسله من

 

(আল্লাহ তাঁর নির্বাচিত রাসুলদের ব্যতীত কারাে উপর গায়ব প্রকাশ করেন না।)

➤সূরা জ্বিন: আয়াত ২৬-২৭


✦এটাও ইরশাদ করেছেন-

তিনি (মুহাম্মদ (ﷺ) গায়বের ব্যাপারে কার্পণ্য করেন না।) 

➤ সূরা তাকভীর, আয়াত-২৪


✦আরাে ইরশাদ হয়েছে, 

(হে নবী, আপনি যা জানতেন না, আল্লাহ তা আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন, আপনার উপর তাঁর করুণা মহান)। 

➤সূরা নিসা ১১৩


✦আরাে ইরশাদ হয়েছে--


الغيب نوحية إليك وما كنت لديهم إذا جمعوا أمرهم وهم يمكرون و

 

(এটা গায়বের সংবাদ, যা আমি আপনার কাছে ওহী করেছি, আপনি তাদের নিকট ছিলেন না, যখন তারা স্বীয় কর্মে জড়াে হয়েছে এবং তারা প্রতারণা করেছে।) 


✦আল্লাহ তায়ালা আরাে বলেন-


و ما کنت لديهم اذ يلقون اقلامهم أيهم يكفل مريم وكنت لديهم إذ يختصمون.


এগুলাে গায়বের সংবাদ, যা আমি আপনার প্রতি অবতারণ করেছি, আপনি তাদের নিকট ছিলেন না, যখন তারা স্বীয় কলমগুলাে নিক্ষেপ করেছিলাে যে, তাতে কে মরিয়মকে প্রতিপালন করবে এবং আপনি তাদের নিকট ছিলেন না, যখন তারা ঝগড়া করছিলাে।) 


✦আল্লাহ তায়ালা আরাে ঘােষণা করেছেন- 

(এগুলাে গায়বের সংবাদ, যা আমি আপনার নিকট ওহী করেছি।) 


এ সম্পর্কিত আরাে অনেক আয়াত রয়েছে। সুতরাং আমাদের প্রতিপালক (আল্লাহ) যিনি (গায়ব সম্পর্কে) এমনভাবে নিষেধ করেছেন, যা অস্বীকার করা যায়না, আর প্রমাণও এমনভাবে করেছেন, যাতে কোন সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না। সুতরাং স্বীকৃতি ও অস্বীকৃতি (নফী ও ইছবাত) উভয় প্রকার আয়াতই সঠিক, সবই বিশ্বাসের। যে কেউ এ উভয় প্রকার আয়াতের কোন একটিকে অস্বীকার করে সে কুরআনকেই অস্বীকার করে। অতএব, যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের জন্য ইলমে গায়ব (অদৃশ্য জ্ঞান) সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে যে, কোন কারণেই তা স্বীকার করে না, তাহলে সে স্বীকৃতিবাচক আয়াতগুলােই অস্বীকার করেছে। আর শর্তহীনভাবে (অদৃশ্য জ্ঞান) এমনভাবেই স্বীকার করে যে, কোনভাবেই তা অস্বীকার করে না, তাহলে সে ঐ আয়াতগুলাের সাথে কুফর করে যাতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা হয়েছে। আর মুমিনগণ সব আয়াতের উপরই বিশ্বাস স্থাপন করেন। এতে তারা কখনাে। ভিন্নমত পােষণ করেন না। অথচ স্বীকৃতি-অস্বীকৃতির হুকুমতাে একত্রে বর্তায়। 

এ কারণে উভয়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্র তালাশ করা অপরিহার্য।  (এ মূলনীতির ভিত্তিতে) আমি মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে বিশ্লেষণের ময়দানে ঝাঁপ দিচ্ছি এবং যারা প্রতারণা ও ধােকাবাজির আশ্রয় গ্রহণ করেছে, তাদের উপর দৃঢ়তার সাথে দন্ডায়মান হয়ে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করছি।

 
Top