10 - بَابُ مَا جَاءَ فِيْ ذَمِّ الْقَدْرِيَّةِ

18 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنِ الْـهَيْثَمِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «يَجِيءُ قَوْمٌ يَقُوْلُوْنَ: لَا قَدْرَ، ثُمَّ يَخْرُجُوْنَ مِنْهُ إِلَى الزَّنْدَقَةِ، فَإِذَا لَقِيْتُمُوْهُمْ فَلَا تُسَلِّمُوْا عَلَيْهِمْ، وَإِنْ مَرِضُوْا فَلَا تَعُوْدُوْهُمْ، وَإِنْ مَاتُوْا فَلَا تُشَيِّعُوْهُمْ، فَإِنَّهُمْ شِيْعَةُ الدَّجَّالِ وَمَجُوْسُ هَذِهِ الْأُمَّةِ، حَقَّ عَلَى اللهِ أَنْ يُلْحِقَهُمْ بِهِمْ فِي النَّارِ».


বাব নং ১০: কদরীয়া সম্প্রদায়ের প্রতি নিন্দা


১৮. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হায়শাম থেকে, তিনি নাফে থেকে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন- এমন এক সম্প্রদায় আসবে যারা বলবে তাকদীর বলতে কিছুই নেই। তারা ইসলাম থেকে বেরিয়ে গিয়ে যিন্দিক হয়ে যাবে। যদি তোমরা তাদেরকে পাও তবে তাদেরকে সালাম দিওনা। তারা যদি অসুস্থ হয় তবে তাদের সেবা করতে যেওনা। তারা যদি মারা যায় তাদের জানাযায় শরীক হইওনা। কেননা তারা হল দাজ্জালের সহযোগী ও এই উম্মতের মজূসী। আল্লাহর আদেশ দ্বারা সাব্যস্ত যে, তাদেরকে দাজ্জালের সাথে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (প্রাগুক্ত, ১/২৫৮৭০/২১৭)

ব্যাখ্যা: উক্ত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, জবরিয়া, কদরীয়াসহ আরো যত বাতিল ফের্কা আছে এদের সাথে সালাম-কালাম সহ যাবতীয় আচার-ব্যবহার নিষিদ্ধ। এগুলো যেহেতু এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের হক। কিন্তু এসব বাতিল ফের্কা হল কাফির বিধায় এদের কোন অধিকার কোন মুসলমানের উপর নেই। সুতরাং এদের সাথে সকল মুয়ামেলা নিষিদ্ধ। 


19 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «يَجِيءُ قَوْمٌ يَقُوْلُوْنَ: لَا قَدْرَ، ثُمَّ يَخْرُجُوْنَ مِنْهُ إِلَى الزَّنْدَقَةِ، فَإِذَا لَقَيتُمُوْهُمْ فَلَا تُسَلِّمُوْا عَلَيْهِمْ، وَإِنْ مَرِضُوْا فَلَا تَعُوْدُوْهُمْ، وَإِنْ مَاتُوْا فَلَا تَشْهَدُوْا جَنَائِزَهُمْ، فَإِنَّهُمْ شِيْعَةُ الدَّجَّالِ وَمَجُوْسُ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَحَقًّا عَلَى اللهِ تَعَالَىٰ أَنْ يُلْحِقَهُمْ بِهِمْ فِي النَّارِ».


১৯. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা না‘ফে থেকে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন, এমন এক সম্প্রদায় আগমণ করবে যারা তাকদীরকে অস্বীকার করবে, ফলে তারা নাস্তিক হয়ে যাবে। যখন তোমরা তাদের সাক্ষাত পাবে তখন তাদেরকে সালাম দিওনা। যদি তারা অসুস্থ হয় তাদের সেবা করোনা। যদি মরে যায় তাদের জানাযায় অংশগ্রহণ করোনা। কেননা তারা দাজ্জালের সাথী এবং এই উম্মতের মুজসী। আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে জাহান্নামে দাজ্জালের সাথে মিলিয়ে দেবেন। (প্রাগুক্ত)

20 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ سَالِـمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ، قَالَ: «لَعَنَ اللهُ الْقَدْرِيَّةَ»، وَقَالَ: «مَا مِنْ نَبِيٍّ بَعَثَهُ اللهُ تَعَالَىٰ قَبْلِيْ إِلَّا حَذَّرَ أُمَّتَهُ مِنْهُمْ وَلَعَنَهُمْ».

২০. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা সালিম থেকে, তিনি ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা কদরীয়া সম্প্রদায়ের উপর লা’নত করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমার পূর্বে এমন কোন নবী প্রেরিত হননি যারা আপন আপন উম্মতদেরকে কদরীয়া সম্প্রদায় সম্পর্কে সাবধান করেন নি এবং তাদের উপর লা’নত প্রদান করেননি। অর্থাৎ আমার পূর্বের সকল নবী-রাসূলগণ স্বীয় উম্মতগণকে কদরীয়া সম্প্রদায় সম্পর্কে সাবধান করেছিলেন এবং তাদের উপর অভিশাপ করেছেন।


21 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيْهِ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «لَعَنَ اللهُ الْقَدْرِيَّةَ، وَمَا مِنْ نَبِيٍّ وَلَا رَسُوْلٍ إِلَّا لَعَنَهُمْ، وَنَهَىٰ أُمَّتَهُ عَنِ الْكَلَامِ مَعَهُمْ».


২১. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আলকামা থেকে, তিনি ইবনে বুরাইদা থেকে, তিনি তার পিতা বুরাইদা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা কদরীয়া সম্প্রদায়ের প্রতি লা’নত করেছেন। ইতিপূর্বে নবী-রাসূল (ﷺ)যাঁরা এসেছিলেন সকলেই তাদের উপর অভিশাপ দিয়েছেন এবং নিজ নিজ উম্মতদেরকে তাদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছেন।

22 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «الْقَدْرِيَّةُ مَجُوْسُ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَهُمْ شِيْعَةُ الدَّجَّالِ».

২২. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা না‘ফে থেকে, তিনি ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন, কদরীয়া সম্প্রদায় হল এই উম্মতের মজূসী তথা নাস্তিক। এরা দাজ্জালের সহযোগী। (আবু দাউদ, ৪/৩৫৭/৪৬৯৩)

 
Top