৫৩ - بَابُ مَا جَاءَ فِيْ الصَّلَاةِ عَلَى الرَّاحَلةِ

১৫২ - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، أَنَّهُ صَحِبَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْـمَدِيْنَةِ، فَصَلَّىٰ عَلَىٰ رَاحِلَتِهِ قَبْلَ الْـمَدِيْنَةِ يُوْمِيْ إِيْمَاءً إِلَّا الْـمَكْتُوْبَةَ وَالْوِتْرَ، فَإِنَّهُ كَانَ يَنْزِلُ لَهُمَا عَنْ دَابَّتِهِ، قَالَ: فَسَأَلْتُهُ عَنْ صَلَاتِهِ عَلَىٰ رَاحِلَتِهِ، وَوَجْهُهُ إِلَى الْـمَدِيْنَةِ؟ فَقَالَ لِيْ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ  يُصلِّيْ عَلَىٰ رَاحِلَتِهِ تَطَوُّعًا حَيْثُ كَانَ وَجْهُهُ، يُوْمِيْ إِيْمَاءً.


বাব নং ৬৮. ৫৩. বাহনের উপর নামায পড়া


১৫২. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি মক্কা থেকে মদীনা যাওয়ার সময় হযরত ইবনে ওমর (رضي الله عنه)’র সাথী ছিলেন। তিনি নিজের সওয়ারীর উপর বসে মদীনার দিকে মুখ করে নামায আদায় করেন। (রুকু-সিজদার) জন্য তিনি ইশারা করতেন। কিন্তু ফরজসমূহ ও বিতর সওয়ারী থেকে নেমে পড়তেন। মুজাহিদ বলেন, মদীনার দিকে সওয়ারীর মুখ থাকা অবস্থায় (কিবলা থেকে অন্য দিকে) সওয়ারীর উপর নামায পড়া সম্পর্কে আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, রাসূল (ﷺ)  সওয়ারীর উপর নফল নামায আদায় করতেন এ অবস্থায় যে, মুখ যেদিকে হোক না কেন এবং তিনি রুকু ও সিজদা ইশারায় আদায় করতেন।

ব্যাখ্যা: ইমাম শাফেঈ ও আহমদ (رحمة الله)’র মতে সফরে নফল ও বিতর নামায সওয়ারীর উপর পড়া যায়। শুধু ফরয নামায মাটির উপর নেমে আদায় করতে হয়। ইমাম শাফেঈ (رحمة الله) দলীল হিসেবে বুখারী শরীফে হযরত নাফে (رضي الله عنه)’র সূত্রে ইবনে ওমর (رضي الله عنه) বর্ণিত হাদিস পেশ করেন: كان ابن عمر يصلى على راحلته ويوتر عليها “হযরত ইবনে ওমর (رضي الله عنه) সওয়ারীর উপর ‘নামায পড়তেন এবং এর উপর বিতরের নামাযও পড়তেন।”

➥ ইমাম বুখারী (رحمة الله) (২৫৬ হিঃ), বুখারী শরীফ, খন্ড ১, পৃষ্ঠাঃ  ৩৭১, হাদীস নং ১০৪৪, বৈরুত


  ويخبران النبى صلى الله عليه وسلم كان يفعله 

“এবং নবী করিম (ﷺ)  এরূপ করতেন বলে বর্ণনা করতেন।” ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله)’র মতে নফল নামায সওয়ারীর উপর পড়া যাবে তবে বিনা ওযরে ফরয ও বিতর সওয়ারীর উপর পড়া যাবেনা। মাটিতে নেমে পড়তে হবে। তিনি ইবনে ওমর (رضي الله عنه)’র হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন যা তিনটি সহীহ সূত্রে বর্ণিত আছে। প্রথমত মুজাহিদের সূত্রে সুস্পষ্ট বর্ণিত আছে, হযরত ইবনে ওমর বিতর ও ফরয মাটিতে নেমে পড়তেন। দ্বিতীয়ত হোসাইন (رحمة الله)’র সূত্রে ইমাম মুহাম্মদ (رحمة الله)’র মুয়াত্তা গ্রন্থে ৩১৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখিত হাদিস- فاذا كانت الفريضة او الوتر نزل فصلى “যখন ফরয অথবা বিতর নামায হতো তখন মাটিতে অবতরণ করতেন অতঃপর নামায পড়তেন।” তৃতীয়ত হযরত নাফে (رضي الله عنه)’র সূত্রে ইমাম তাহাভী (رحمة الله) উল্লেখ করেছেন,

 كان يصلى على راحلته و يوتر بالارض 

“সওয়ারীর উপর তিনি (নফল) নামায পড়তেন এবং বিতর মাটিতে পড়তেন।” 

মোটকথা সকল ইমামগণের মতে সওয়ারীর উপর নফল নামায পড়া জায়েয। তবে ওয়র বশত ফরয এবং বিতর নামাযও জায়েয আছে।

 
Top