নারী-পুরুষের মৌলিক পার্থক্য


মহান আল্লাহ তা‘আলা অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে নর ও নারীকে সৃষ্টি করেছেন। মৌলিকত্বের দিক দিয়ে নর ও নারী মানুষ। মানুষ হিসেবে সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল আল্লাহর প্রতি ঈমান আনাসহ সকল ইসলামী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা কিন্তু মানুষের মধ্যে এমন এক বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান যার কারণে নর নারীকে ভালোবাসে, নারীর জন্য নরের প্রয়োজনীয়তা অত্যাধিক। শুধু মানুষ নয় সকল জীব-জন্তু বা প্রাণীর মধ্যে ঐ জাতির বিপরীত লিঙ্গের প্রাণী রয়েছে। পৃথিবীতে বংশ বিস্তার, পৃথিবীকে আবাসস্থল হিসেবে মেনে নেবার প্রবণতা সৃষ্টির জন্য একজনের প্রতি আরেকজনের আকর্ষণ অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে দেখা দেয়। আল্লাহ তা‘আলা এ আকর্ষন মিটানোর জন্যে এক জাতির মধ্যে দুই বিপরীতধর্মী লিঙ্গের প্রাণী বা জীবজন্তু সৃষ্টি করেছেন। মানুষরে ক্ষেত্রেও তদ্রূপ। নর অর্থাৎ হযরত আদম (عليه السلام) কে সৃষ্টি করার পর এ প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। তাই আল্লাহ তা‘আলা একই সত্ত্বা দিয়ে বিপরীত লিঙ্গের নারী সৃষ্টি করলেন অর্থাৎ বিবি হাওয়াকে পৃথিবীতে পদার্পণ করলেন। এ বিপরীতধর্মী নর ও নারীর বৈশিষ্ট্যের কারণে বা অবস্থানের কারণে তাদের মধ্যে শারীরিক তারতম্য, রুচির তারতম্য, মেধার তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। আর আল্লাহ তা‘আলাও তাদের অর্থাৎ নারীদের স্বভাব ও চরিত্রের কারণে ঐ ধরনের নির্দেশ ও আদেশ জারি করেছেন তাদের জন্য। মৌলিক ইবাদতের ক্ষেত্রে কোন তারতম্য নেই। তবে পালনের পদ্ধতিগত দিক থেকে মেয়েলী স্বভাবের কারণে নারীদের জন্য এক রকম পদ্ধতি, নরের পুরুষ বৈশিষ্ট্যের কারণে তাদের ইবাদতের পদ্ধতি অন্য রকম। এ পার্থক্য সামান্য। তবে পালনের মৌলিক পদ্ধতিগত ক্ষেত্রে আবার কোন তারতম্য নেই। মৌলিক কথা হল নরকে তাদের বৈশিষ্ট্যের কারণে এক রকম স্বভাব এবং নারীদের মেয়েলী চরিত্রের কারণে আরেক রকম স্বভাব বিদ্যমান। নর ও নারীর এ প্রভেদমূলক অবস্থানকে সকল স্তর থেকে একবাক্যে স্বীকার করা বাঞ্ছনীয়। অবস্থানের মৌলিকত্বকে অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই। এ অবস্থানের প্রাপ্ত অধিকার হরণ করাকে মর্যাদা বিপন্নের পর্যায়ে পড়ে; কিন্তু অবস্থানকে অস্বীকার করে আরেকটি অবস্থানে গিয়ে অধিকার দাবী করা অগ্রাহ্য। কারণ অবস্থানের ক্ষেত্রে যে পার্থক্য রয়েছে তা নরের জন্য যেমন সুবিধাজনক, তেমনি নারীর ক্ষেত্রেও তা সহজতর। আল্লাহ তা‘আলা খুব ভাল করে জানেন নরের জন্য কি রকম আইন তৈরি করা হলে তার জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক হবে। নারীর জন্যও তাদের সুবিধাজনক আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে নরের পাশাপাশি তারা মৌলিক অধিকার ও দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারে। তাই নারী ও নরের যেসব ক্ষেত্রে পার্থক্য দেখা যায় তা অতি সংক্ষেপে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

 
Top