2 – بَابُ مَا جَاءَ فِيْ فَضْلِ التَّفَقُّهِ فِي الدِّيْنِ

33 – قَالَ أَبُوْ حَنِيْفَةَ: وُلِدْتُ سَنَةَ ثَمَانِيْنَ، وَحَجَجْتُ مَعَ أَبِيْ سَنَةَ سِتٍّ وَتِسْعِيْنَ، وَأَنَا ابْنُ سِتَّ عَشْرَةَ سَنَةً، فَلَـمَّا دَخَلْتُ الْـمَسْجِدَ الْـحَرَامَ، وَرَأَيْتُ حَلَقَةً عَظِيْمَةً، فَقُلْتُ لِأَبِيْ: حَلَقَةُ مَنْ هَذِهِ؟ فَقَالَ: حَلَقَةُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْـحَرْثِ بْنِ جَزْءٍ الزُّبَيْدِيِّ صَاحِبِ النَّبِيِّ ، فَتَقَدَّمْتُ فَسَمِعْتُهُ يَقُوْلُ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ، يَقُوْلُ: «مَنْ تَفَقَّهَ فِيْ دِيْنِ اللهِ كَفَاهُ اللهُ تَعَالَىٰ مَهَمَّهُ وَرَزَقَهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ».


বাব নং ১৩. ২. ইলমে ফিকহ অর্জনের ফযিলত


৩৩. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা বলেন, আমি ৮০ হিজরি সনে জন্মলাভ করেছি এবং আমার পিতার সাথে ৯৬ হি. সনে হজ্ব করেছি। এসময় আমার বয়স হয়েছিল ১৬ বছর। যখন আমি মসজিদে হারামে গেলাম সেখানে অনেক লোকদেরকে পরিবেষ্টন হয়ে বসে থাকতে দেখেছি। আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞাসা করলাম এই বৈঠক কার? উত্তরে বললেন, রাসূল (ﷺ)  এর সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হারেস ইবনে জাযা যুবাইদী (رضي الله عنه)’র বৈঠক। তখন আমি অগ্রসর হলাম এবং তাঁকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ)  কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর দ্বীনের পরিপূর্ণ জ্ঞান শিখল আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট এবং আল্লাহ তাকে এমন রিযিক দান করবেন যা তার কল্পনায়ও আসবেনা। (আল জামেউল কবীর, ১/২২৪৪৮/৪৫৪৭)

ব্যাখ্যা: যারা আল্লাহর ওয়াস্তে দ্বীনের জ্ঞানার্জন করে তাকওয়া অর্জন করে এবং দ্বীনের কাজে নিয়োজিত থাকে আল্লাহ তায়ালা তাদের রিযিকের গায়েবী ব্যবস্থা করে দেন। যেমন পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আছে, 

 وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا ، وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ

“যারা আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহর তাদের জন্য মুক্তির পথ বের করে দেন আর তাদেরকে এমন রিযিক দেন যা তাদের ধারণায়ও আসবেনা।” (সূরা তালাক, আয়াত, ২-৩)

খতীব বাগদাদী (رحمة الله) তার তারীখে বাগদাদ গ্রন্থে যিয়াদ ইবনে হারেস আবদানী (رضي الله عنه) থেকে মারফু হাদিস বর্ণনা করেন, যাতে রয়েছে, من طلب العلم تكفل الله رزقه অর্থ: “যে জ্ঞানার্জন করল আল্লাহর তার রিযিকের দায়িত্ব নিলেন।”

34 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ إسْمَاعِيْلَ، عَنْ أَبِيْ صَالِحٍ، عَنْ أُمِّ هَانِئٍ ، قَالَتْ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «يَا عَائِشَةُ! لِيَكُنْ شِعَارُكِ الْعِلْمَ وَالْقُرْآنَ».


৩৪. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা ইসমাঈল থেকে, তিনি আবু সালেহ থেকে, তিনি উম্মে হানী (رضي الله عنه) থেকে, তিনি রাসূল (ﷺ)  থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ)  হযরত আয়েশা (رضي الله عنه)কে সম্বোধন করে বলেন, হে আয়েশা! তুমি ইলম ও কুরআনকে আবশ্যক করে নাও।

 
Top