জানাযার বিধানাবলীর বর্ণনা


بيان من احكم الجنازة


    من ادرك مع الامام تكبيرة واحدة فى صلوٰة الجنازة اتم الصلوٰة مع الامام واذا سلم الامام لم يسلم وقضى باقى التكبيرات كما يفعل المسبوق فى صلوٰة العيدين فاتته بعض تكبيرات الزوائد .


    المسلمون شهداء الله فى الارض فعليهم بالثناء بالخير على المسلم الميت لعل الله يقبل شهادتهم فيه- عن ابن عمر رضى الله عنهما قال قال رسول الله ﷺ ايما مسلم شهدله اربعة بخير ادخله الله الجنة قلنا وثلاثة؟ قال وثلاثة قلنا واثنان؟ قال واثنان- ثم لم نسئاله عن الواحد (رواه البخارى)


    الطفل اذا استهل نزل الى الارض حيا وعلامة الحياة صوت اوحركة لارجفة يسمى ويغسل ويورث ويصل عليه والّا لا- عن جابر رضى الله عنه قال الطفل لايصلى عليه ولايرث ولايورث حتى يستهل (رواه الترمذى)


    من مات له قريب كافر غسله كما يغسل الثوب النجس اودفعه الى اهل ملته ليدفنوه- اما المرتد فلا يغسل من اهل المسلمين- وليس له اهل فى الكفرة فلا يغسل ولايصلى عليه ولا يدفن فى مقابرالمسلمين- وما اكثر المرتدين فى المسلمين؟


    لابأس بتقبيل الميت للمحبة والتبرك فقد قبل ابوبكر رضى الله عنه رسول الله ﷺ بعد موته- وقال طبت حياوميتا .


    السنة ان يصنع اقاربِ الميت وجيرانه طعامًا لاهل الميت ويد فعوهم الى تناوله.


عن عبدالله بن جعفر رضى الله عنه قال لماجاء نعى جعفر قال عليه السلام اصنعو الآل جعفر طعاما فقد اتاهم مايشغلهم (رواه ابودؤد باب الجنائز)


    الذين يسندون الجدران ويقفون حزانى اثناء الصلوٰة على الميت يحرمون الميت دعاء هم . ويحرمون انفسهم اجرالصلوٰة عليه .


    الحكومة الاسلامية لاتضيع للحى حقه على الميت المدين- المر هون بدينه فى القبربل تدفع الدين عنه الى الدائن فاين فى الدنيا نظام كالاسلام يحفظ الحقوق على كل حالٍ .


    السنة المشى اَمام الجنازة وخلفها – عن عبد الرحمن بن ابزى قال كنت امشى فى جنازة فيها ابوبكر وعمر وعلى فكان ابوبكر وعمر يمشيان اَمامها – وعلى يمشى خلفها يدى فى يده- فقال على رضى الله عنه اما ان فضل الرجل الذى يمشى خلف الجنازة على الذى يمشى آمامها كفضل صلوٰة الجماعة على صلوٰة الفذ (تنها- اكيلا) وانهما ابوبكر وعمر ليعلمان مثل ذلك الذى اعلم ولكنهما سهلان يسهلان على الناس (رواه احمد) .


    القيام للجنازة منسوخ قال على رضى الله عنه كان رسول الله ﷺ يأمرنا بالقيام فى جنازة ثم جلس بعدذلك وامرنا بالجلوس (رواه البخارى) .


ويسن تسنيم القبر- رفعه على الارض قليلا كسنام الناقة- ليعرف فيزار ويكرم فلا يجلس عليه ولايهان .


عن سفيان التمار رضى الله عنه انه رأى قبر النبى ﷺ مسنّما (رواه البخارى وابوداؤد) .


وعنه ايضا دخلت البيت الذى فيه قبر النبى ﷺ فرأيت قبر النبى عليه السلام وقبر ابى بكر وعمر مسنّمة (رواه ابن ابى شيبة) .


    ولايجصص القبرولا يبنى عليه للزينة – عن جابر رضى الله عنه قال نهى رسول الله ﷺ ان يجصص القبروان يبنى عليه وان يقصد عليه (رواه مسلم وابو داؤد) .


قال القارى وابن عابدين وهما من كبار فقهاء المذهب : النهى عن البناء على القبور لكراهة ان كان فى ملكه لما فى ذلك من اضاعة المال .


وللحرمة ان كان فى المقبر المسبلة التى جعلت سبيلا لما فى ذلك من الحجر والتضييق – وقداباح بعض السلف البناء على قبور المشايخ والعلماء والصالحين – ليزورهم الناس ويستريحوا بالجلوس فيه (مرقات وردالمحتار)


    যে জানাযার নামাযে ইমামের সাথে এক তাকবীর পায় সে ইমামের সাথে নামায আদায় করবে; ইমাম সালামের মাধ্যমে নামায শেষ করলে সে সালাম ফিরাবে না বরং সে বাকী তাকবীর সমূহ আদায় করবে যেভাবে মাসবুক দুনো ঈদের নামাযে করে যার কিছু অতিরিক্ত তাকবীর অপহৃত হয়ে গিয়েছে।


    মুসলমানরা জমিনে আল্লাহ তায়ালার সাক্ষী; সুতরাং তাদের ওপর আবশ্যক অপর মৃত মুসলমানের প্রশংসা করা; হয়ত: আল্লাহ তায়ালা তাদের শাহাদত (সুপারিশ) কবুল করে মৃতকে মুক্তি দান করবেন। 


+হযরত ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসূলে খোদা (ﷺ) এরশাদ করেন যে কোন মুসলমান যার ভদ্রতার সাক্ষ্য অপর চারজন মুসলমান প্রদান করে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাত দান করবেন। আমরা আরজ করলাম, তিনজনে প্রদান করলে? তিনি উত্তর দিলেন তিনজনে প্রদান করলেও। আমরা আবার আরজ করলাম, দু’জনে প্রদান করলে? তিনি উত্তরে বললেন, দু’জনে প্রদান করলে অত:পর আমরা একজনের ব্যাপারে আরজ করিনি। (বুখারী শরীফ)


    জীবিত নবজাত শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পর ক্রন্দন করলে নাম রাখা হবে, গোসল দেয়া হবে, উত্তরাধিকার করা হবে ও বংশীয় সম্পর্ক হবে। ক্রন্দন না করলে ঐগুলোর কিচুই হবে না। জীবিতের নিদর্শন- কান্না করা বা নড়াচড়া করা। কম্পন করা জীবিতের নিদর্শন নয়। 


+হযরত জাবের (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, নবজাত শিশু ক্রন্দন না করা পর্যন্ত তার নামায পড়া যাবে না, সে কারো ওয়ারিশ হবে না এবং তার ওয়ারিশও কেউ হবে না। (তিরমিযী শরীফ)


    যে ব্যক্তি কাফের আত্মীয় স্বজন রেখে মারা যায় তাকে অপবিত্র কাপড় ধোয়ার মত গোসল দেয়া হবে বা তার ধর্মীয় লোকদের কাছে তাকে দাফন করার জন্য সোপর্দ করা হবে; তবে ধর্মত্যাগীকে কোন মুসলমান গোসল করাবে না। তার কোন কাফের আত্মীয় না থাকলেও তাকে গোসল দেয়া যাবে না, তার নামায পড়া যাবে না এবং তাকে মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করাও যাবে না। ধর্মত্যাগীগণ কতই নিকৃষ্ট মুসলমানদের নিকট? ভালবাসার টানে ও বরকত হাসিলের উদ্দেশ্যে মৃতকে চুম্বন করলে কোন দোষ নেই। 


+যেমন হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) হুযুর (ﷺ)কে তাঁর ইন্তেকালের পর চুম্বন করেছেন এবং বলেন, জীবিত অবস্থায় ও ইন্তেকাল অবস্থায় একই ধরণের করতে পেরে। মৃত ব্যক্তির আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীগণ খাবার তৈয়ার করে মৃত ব্যক্তির পরিবার পরিজন পৌঁছায়ে দেয়া সুন্নাত। 


+হযরত আবদুল্লাহ বিন জাফর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত জাফর (رضي الله عنه) মৃত্যু সংবাদ পৌঁছার পর হুযুর (ﷺ) এরশাদ করেন, তোমরা জাফরের (رضي الله عنه) পরিবার পরিজনের জন্যে খাবার প্রস্তুত কর, কেননা তাদের অতীব ব্যস্ততার বিষয় পৌঁছেছে। (আবু দাউদ শরীফ, জানায়েয পরিচ্ছেদ) যারা জানাযা চলাকালীন দেয়ালে হেলান দিয়ে চিন্তিত অবস্থায় বসে থাকে তারা মৃতকে তাদের দোয়া থেকে বঞ্চিত করল ও নিজেরাও নামাযের ফজিলত ও সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হল। জীবিত ব্যক্তির কোন হক (অধিকার) মৃত ব্যক্তির ওপর থাকলে ইসলামী সরকার উহা ধ্বংস করবে না বরং উহা পরিশোধ করে দিবে। ইসলামে যেভাবে সামাজিক শৃংখলা ও নীতিমালা সার্বক্ষণিক মানুষের অধিকার রক্ষায় সচেতন, সমগ্র বিশ্ব জগতে অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে কি? জানাযার আগে পিছনে হেঁটে চলা সুন্নাত। 


+হযরত আবদুর রহমান বিন আরজি হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একটি জানাযায় চলছিলাম যাতে হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) ও ওমর (رضي الله عنه) আগে চলছিলেন এবং হযরত আলী (رضي الله عنه) জানাযার পিছনে চলছিলেন। আমার হাত হযরত আলী (رضي الله عنه) এর হাতে ছিল। হযরত আলী (رضي الله عنه) বললেন, জানাযার পিছনে চলার ফজিলত আগে চলার চেয়ে তত বেশী। একাকী নামায পড়ার চেয়ে জামাতের সাথে নামায পড়াতে যতবেশী। আমি যা জানি আবু বকর ও ওমর (رضي الله عنه) অবশ্যই জানেন। তবে তাঁরা ইহা মানুষের সহজ করণের জন্যে করছেন। (আহমদ ইহা রেওয়ায়ত করেছেন)


    জানাযার জন্যে দন্ডায়মান হওয়া বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। হযরত আলী (رضي الله عنه) বরেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জানাযার জন্য দাঁড়ানো আমাদেরকে নির্দেশ দিতেন; পরবর্তীতে তিনি বসেছিলেন এবং আমাদেরকে বসার নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারী শরীফ)


কবরকে উটের ছুটের ন্যায় করা সুন্নাত। জমি থেকে সামান্য উঁচু করে উটের ছুটের ন্যায় করা যাতে জিয়ারত করা যায় এবং সম্মানার্থে তার ওপর বসা যাবে না ও অবমাননা করা যাবে না।


+সুফিয়ান তিমার (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, অবশ্যই তিনি হুযুর (ﷺ) রওজা শরীফকে উটের ছুটের ন্যায় দেখেছেন। (বুখারী শরীফ ও আবু দাউদ শরীফ)


+অন্য বর্ণনায় তিনি বলেন, আমি নবী করিম (ﷺ) সে ঘরে দাখিল হয়েছি যাতে তাঁর রওজা শরীফ বিদ্যমান; আমি তথায় নবী করিম (ﷺ) হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) ও ওমর (رضي الله عنه) এর কবরগুলোকে উটের ছুটের ন্যায় দেখেছি। (ইবনু আবি শায়বা ইহা রেওয়ায়ত করেছেন)


    কবরকে চুনকাম করবে না ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যে ঘর করবে না। হযরত জাবের (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- হুযুর (ﷺ) কবরে চুনকাম করতে, কবরের ওপর ঘর করতে ও উহার ওপর কিছু করার ইচ্ছা করতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম ও আবু দাউদ শরীফ)


হানাফী মজহাবের প্রসিদ্ধ দু’জন ফকিহ মোল্লা আলী কারী ও ইবনে আবেদীন কবরের ওপর দালান নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন; যদিও নিজস্ব মাল দ্বারা হয়, কারণ এতে মালের অপচয় হয়, তাই মাকরূহ। সেখানে মাসবালাহ কিংবা দান বাক্স রাখলে মান সম্মানের প্রশ্ন থাকার কারণে এতে নিষিদ্ধ ও সংকীর্ণতার কারণ বিদ্যমান। তবে ইহা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে ফকির, মিসকিন ও অসহায়দের জন্যে নির্দিষ্ট। কতিপয় সলফে সালেহীনগণ জিয়ারতের সুবিধার্থে ও মানুষের বিশ্রাম নেয়ার উদ্দেশ্যে মশায়েখে কিরাম, সালেহীন ও উলামায়ে কিরামের কবরে ইহা বৈধ বলেছেন। (মিরকাত, রদ্দুল মোখতার)

 
Top