জানাযার নামাযের পদ্ধতি


كيفية الصلوٰة على الجنازة


يقوم الامام بحذاء الميت ذكرا كان او انثىٰ – ويصف المصلون خلفه كما فى الصلوٰة- ثم يكبر مع رفع اليدين – ويقرأ دعاء الثناء- وجاز قرأة الفاتحة بقصدالثناء والدعاء .


ثم يكبر تكبيرة ثانية دون رفع اليدين ويقرأ الصلوٰت الابراهيمية – ثم تكبيرة ثالثة ويدعو للميت مثل دعاء رسول الله ﷺ- اللهم اغفرلحيتا وميتنا وشاهدنا وغائبنا وصغيرنا وكبيرنا وذكرنا وانثانا- اللهم من احييته منافاحيه على الاسلام ومن توفيته منا فتوفه على الايمان- اللهم لاتحرمنا اجره ولاتفتنا بعده (رواه ابوداؤد والترمذى) .


ويضيف ما امكن اللهم اغفرله وارحمه وعافه واغفر عنه واكرم نزله ووسع مدخله واغسله بالماء والثلج والبرد- ونقه من الخطايا كما ينقى الثوب الابيض من الدنس وابدله دار اخيرامن داره واهلا خيرا من اهله وزوجا خيرا من زوجه وادخله الجنة واعذه من عذاب القبر ومن عذاب النار (رواه مسلم) وفيه اللهم اغفرله وارحمه – وفى رواية وقِه فتنةَ القبر وعذابَ النّار.


وان كان الميت طفلا فلا يستغفرله لانه لاذنب له ولكن يقول اللهم اجعله لنا فرطا وذخر اواجعله لناشافعا مشفعًا – ثم يكبر تكبيرة رابعة واستحسن بعضهم ان يقول بعدها – ربنا اتنا فى الدنيا حسنة وفى الاخرة حسنة وقنا عذاب النار – ثم يسلم بعدها عن يمينه ويساره والمصلون ورآءه يكبرون ويقرأون كتكبير الامام وقرأته والفرق بين الامام وبين من يصلى خلفه – جهر الامام بالتكبيرات وبالسلام دون المصلين ورآءه عن جابر رضى الله عنه – ان رسول الله ﷺ صلّى على اصحمة النجا- شى فكبر أربعًا (رواه البخارى) . 


فضلها :


عن ابى هريرة رضى الله عنه قال رسول الله ﷺمن اتبع جنازة مسلم ايمانا واحتسابا وكان معه يصلى عليها ويفرغ من دفنها فانه ترجع من الاجر بقيراطين كل قيراط مثل جبل اُحد- ومن صلى عليها ثم رجع قبل ان تدفن فانه يرجع بقيراط (رواه البخارى) .


قال كُريب عن عبدالله بن عباس رضى الله عنهما انه مات ابن له بقديد او بعسفان فقال ياكريبُ انظر مااجتمع له الناس قال فخرجت فاذاناس قداجتمعواله فاخبرته فقال تقول هم اربعون؟ قلت نعم قال اخرجوه فانى سمعت رسول الله ﷺ يقول مامن رجل مسلم يموت فيقوم على جنازته اربعون رجلا لايشر كون بالله شيئاالاشفّعهم الله فيه (رواه مسلم)


وعن مالك بن هبيرة رضى الله عنه قال سمعت رسول الله ﷺيقول مامن مسلم يموت فيصلى عليه ثلاثة صفوف من المسلمين الااوجب. فقال مالكؒ اذا استقلّ اهل الجنازة جزّاهم ثلاثة صفوف لهذا الحديث (رواه ابوداؤد كتاب الجنائز باب فى الصفوف على الجنازة) .


মৃত পুরুষ হউক বা নারী হউক ইমাম মৃতের বরাবর দাঁড়াবে এবং মুসল্লী তার পিছনে নামাযের মত কাতার বন্দী হবে। অত:পর দুনো হাত উত্তোলনসহ তাকবীর বলবে ও ছানার দোয়া পড়বে। ছানা ও দোয়ার নিয়তে সূরা ফাতেহা পড়া বৈধ হবে। অত:পর দুনো হাত উত্তোলন ব্যতীত দ্বিতীয় তাকবীর বলবে ও দরূদে ইব্রাহিমী পড়বে। অত:পর তৃতীয় তাকবীর বলে মৃতের জন্যে দোয়া করবে রাসূলে খোদা (ﷺ) যে রকম দোয়া করেছেন সে রকম দোয়া করবে। হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত, মৃত, উপস্থিত, অনুপস্থিত, ছোট-বড়, পুরুষ ও নারী সকলকেই ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে যারা জীবিত তাদেরকে ইসলামের ওপর জীবিত রাখুন এবং যাদেরকে মৃত্যু দান করবেন তাদেরকে ঈমানের ওপর মৃত্যু দান করুন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে উহার বিনিময় থেকে বঞ্চিত করো না এবং এর পরে ফিতনায় নিক্ষেপ করো না। তাদেরকে সম্ভাব্য আতিথেয়তা দান করুন। (আবু দাউদ ও তিরমিযী শরীফ)


হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন, দয়া করুন, নিরাপদে রাখুন, তার অপরাধ মার্জনা করুন, তার অবতরণ স্থান সম্মানিত করুন, তার প্রবেশস্থল প্রশস্ত করুন, তাকে বরফের ন্যায় ঠান্ডা পানি দ্বারা ধৌত করুন, তাকে ভুল-ভ্রান্তি থেকে এভাবে পরিস্কার করুন যেভাবে সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিস্কার করা হয়, তাকে তার ঘরের চেয়েও উত্তম ঘর পরিবর্তন করে দিন, তার পরিবারের চেয়ে উত্তম পরিবার দান করুন, তাকে জান্নাতে দাখিল করুন এবং তাকে কবর ও দোযখের আযাব থেকে মুক্তি দান করুন। (মুসলিম শরীফ) এতে বিদ্যমান- হে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন, দয়া করুন। অন্য বর্ণনায় তাকে কবরের ফিতনা ও দোযখের আযাব থেকে হেফাযত করুন।


মৃত শিশু হলে তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করবে না। কেননা তার গুনাহ নেই। তবে বলবে- হে আল্লাহ! তাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী সঞ্চিত করুন এবং আমাদের জন্য সুপারিশকারী ও সুপারিশ গৃহীত ব্যক্তি হিসাবে পরিণত করুন। অত:পর চতুর্থ তাকবীর বলবে। কেউ কেউ এরপর এ দোয়া পাঠ করাকে পছন্দ করেছেন- হে আমাদের প্রভু! আমাদেরকে ইহকাল ও পরকালে কল্যাণ দান করুন ও দোযখের শাস্তি থেকে মুক্তি দান করুন। অত:পর ডানে-বামে সালাম পেশ করে নামায শেষ করবেন। মুসলি­গণ তার পিছনে তাকবীর বলবে এবং ইমাম যাহা পাঠ করেছে সেগুলো পাঠ করবে। ইমাম ও মুসলি­দের মধ্যে পার্থক্য হল- ইমাম তাকবীর ও সালাম উচ্চস্বরে বলবে এবং মুসলি­রা তার পিছনে মনে মনে আস্তে আস্তে বলবে। 


হযরত জাবের (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসহিমাতুন নাজ্জাসীর নামায চার তাকবীরের সাথে পড়েছেন। (বুখারী শরীফ)


হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে কল্যাণ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে কোন মুসলিমের জানাযায় উপস্থিত হয় এবং নামায ও দাফন পর্যন্ত তার সাথে অবস্থান করে সে দু’কিরাত সাওয়াব সহ প্রত্যাবর্তন করে। প্রত্যেক কিরাত উহুদ পাহাড় সমতুল্য। যে নামায পড়ে দাফনের পূর্বে প্রত্যাবর্তন করে সে এক কিরাত নিয়ে প্রত্যাবর্তন করে। (বুখারী শরীফ)


হযরত কুরাইব (رضي الله عنه) হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তার এক ছেলে কদীদ কিংবা ইসফান ইন্তেকাল করেন। অত:পর তিনি বলেন, হে কুরাইব, তুমি তার জানাযায় কত লোক জমায়েত হয়েছে দেখ। তিনি বলেন, আমি বের হয়ে দেখলাম লোকজন তার জন্যে একত্রিত হয়েছে। এ খবর আমি তাকে বললাম। তিনি বললেন, তুমি কি বলতেছ তারা আনুমানিক চলি­শ জন? আমি উত্তর দিলাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমরা তাকে বের কর। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি যে কোন মুসলমান মারা গেলে তার জানাযায় এমন চলি­শ জন লোক হাজির হলে যারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে না অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তাদের সুপারিশ তথা দোয়া কবুল করে মৃত ব্যক্তিকে মুক্তি দান করবেন। (মুসলিম শরীফ)


হযরত মালেক বিন হুবাইরা (رضي الله عنه) বলেন, আমি হুযুর (ﷺ)কে বলতে শুনেছি, যে কোন মুসলমান ইন্তেকাল করলে তার নামাযে জানাযায় মুসলমানরেদ তিন কাতার শরীক হলে অবশ্যই তাদের সুপারিশ মৃত ব্যক্তির জন্যে আবশ্যক হয়ে যাবে। এ জন্যে ইমাম মালেক (رحمة الله) বলেন, জানাযায় উপস্থিত লোকজন কম হলে তাদেরকে তিন কাতারে ভাগ ভাগ করে নিতে। (ইমাম আবু দাউদ জানায়েজ অধ্যায়ে জানাযার কাতারবন্দী পরিচ্ছেদে রেওয়ায়ত করেন)

 
Top