জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায়


একজন মুমিন ব্যক্তির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তিলাভ। জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকাই একজন প্রকৃত মুমিনের ধ্যান ও সাধনা হওয়া উচিত। হাদীসে জাহান্নাম হতে বাঁচার উপায় হিসেবে বলা হয়েছে,

-عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةَ يَوْمَ الْعِيدِ، فَبَدَأَ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ، بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلَا إِقَامَةٍ، ثُمَّ قَامَ مُتَوَكِّئًا عَلَى بِلَالٍ، فَأَمَرَ بِتَقْوَى اللهِ، وَحَثَّ عَلَى طَاعَتِهِ، وَوَعَظَ النَّاسَ وَذَكَّرَهُمْ، ثُمَّ مَضَى حَتَّى أَتَى النِّسَاءَ، فَوَعَظَهُنَّ وَذَكَّرَهُنَّ، فَقَالَ: تَصَدَّقْنَ، فَإِنَّ أَكْثَرَكُنَّ حَطَبُ جَهَنَّمَ، فَقَامَتِ امْرَأَةٌ مِنْ سِطَةِ النِّسَاءِ سَفْعَاءُ الْخَدَّيْنِ، فَقَالَتْ: لِمَ؟ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: لِأَنَّكُنَّ تُكْثِرْنَ الشَّكَاةَ، وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ، قَالَ: فَجَعَلْنَ يَتَصَدَّقْنَ مِنْ حُلِيِّهِنَّ، يُلْقِينَ فِي ثَوْبِ بِلَالٍ مِنْ أَقْرِطَتِهِنَّ وَخَوَاتِمِهِنَّ“ 

হযরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি ঈদের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)'র সাথে ছিলাম। মহনবী আযান, ইকামত ব্যতীত নামায পড়ালেন। অতঃপর হযরত বেলাল রা-এর উপর ভর করে দাঁড়ালেন। খোতবার মধ্যে আল্লাহ তায়ালার প্রতি তাকওয়ার আদেশ করলেন এবং তার আনুগত্যের প্রতি উৎসাহ প্রদান করলেন। লোকদের উপদেশ দিলেন। অতঃপর নারীদের দিকে তাশরীফ নিলেন। তাদেরকে ওয়ায ও উপদেশ দিতে গিয়ে বললেন, তোমরা বেশি পরিমাণে দান-সদকা কর। কারণ তোমরা অধিক সংখ্যক জাহান্নামে জ্বলবে। নারীদের মধ্য থেকে অত্যন্ত দূর্বল একজন নারী দাঁড়ালেন। যার মুখমণ্ডল সঙ্কুচিত ছিল। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এর কারণ কী? নবী করিম (ﷺ)ইরশাদ করলেন, এর কারণ হলো, তোমরা নারীরা অভিযোগ বেশি কর এবং স্বামীর অকৃতজ্ঞতাও বেশি কর। একথা শোনার পর নারীরা নিজ নিজ অলঙ্কারসমূহ দান করতে লাগল।” ২৬১

২৬১.মুসলিম, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৯০

  

এ হাদীসের দ্বারা জানা গেল যে, নারীদের অকৃতজ্ঞতার প্রতিকার হলো দান-সদকা করা। অর্থাৎ নারীরা যার কারণে জাহান্নামের উপযুক্ত হবে, দান-সদকার দ্বারা তার প্রতিকার হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে দান-সদকা বড় বড় নেকী বা সাওয়াব এবং উত্তম আমলসমূহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। যার কারণে জাহান্নাম থেকে মুক্তি মিলতে পারে। প্রত্যেক আমলের বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অর্থাৎ ঐ সমস্ত আমলের দ্বারা বিশেষ বিশেষ জিনিসের উপর প্রভাব পড়ে।


যেমন অধিক পরিমাণ

 لاحول ولا قوة الا بالله

এর দ্বারা কষ্ট লাঘব হয়।

استغفار দ্বারা রিজিকের মধ্যে বরকত হয়। উত্তম আচরণের দ্বারা হায়াতের মধ্যে বরকত হয়। শোয়ার সময় সূরা মুলক তেলাওয়াতের দ্বারা কবরের আযাব থেকে মুক্তি মিলে।

 
Top