ত্রয়োবিংশ অধ্যায়


ফরজ নামাজের পর



ফরজ সালাতের পর অনেক যিকির আযকার পাঠ করা যায়, এগুলোর মধ্যেঃ


 ১। তিনবার বলাঃ 


أَسْتَغْفِرٌ اللّه


 অতঃপর বলাঃ


اللهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ.


 অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী ইলম, পবিত্র জীবিকা এবং গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থণা করি।’ 


حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ، - اسْمُهُ شَدَّادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ - عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلاَتِهِ اسْتَغْفَرَ ثَلاَثًا وَقَالَ ‏ "‏ اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ الْوَلِيدُ فَقُلْتُ لِلأَوْزَاعِيِّ كَيْفَ الاِسْتِغْفَارُ قَالَ تَقُولُ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ ‏.


সাওবান رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত শেষ করে তিনবার ইসতিগ্‌ফার করতেন এবং বলতেন- “আল্লা-হুম্মা আন্‌তাস্‌ সালা-মু ওয়া মিনকাস্‌ সালা-মু তাবা-রক্‌তা যাল জালা-লি ওয়াল ইকর-ম” (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমিই শান্তিময় এবং তোমার থেকে শান্তি আসে। তুমি কল্যাণময় এবং সন্মান ও প্রতিপত্তির অধিকারী |)।

হাদীস বর্ণনাকারী ওয়ালীদ বলেন- আমি আওযা’ঈকে জিজ্ঞেস করলাম | তিনি (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিভাবে ইস্‌তিগফার করতেন। তিনি বললেন, তিনি (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন- ‘আস্‌তাগ্‌ফিরুল্ল-হ, আস্‌তাগ্‌ফিরুল্ল-হ’ | 

  

(সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১২২১) (ই.ফা. ১২১০)



 ২। তেত্রিশবার করে পাঠ করা-


سُبْحَانَ اللّه

اَلْحَمْدُ للّه

سُبْحَانَ اللّه 

اللّهُ أَكْبَر


أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَتَّابٌ هُوَ ابْنُ بَشِيرٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، وَمُجَاهِدٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: جَاءَ الْفُقَرَاءُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ الْأَغْنِيَاءَ يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي، وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ، وَلَهُمْ أَمْوَالٌ يَتَصَدَّقُونَ وَيُنْفِقُونَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا صَلَّيْتُمْ فَقُولُوا: سُبْحَانَ اللَّهِ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ عَشْرًا، فَإِنَّكُمْ تُدْرِكُونَ بِذَلِكَ مَنْ سَبَقَكُمْ، وَتَسْبِقُونَ مَنْ بَعْدَكُمْ ".


ইব্‌ন আব্বাস رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, কিছু দরিদ্র লোক (একদা) রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে সে বলল, ইয়া রাসুল্লাল্লাহ! ধনীরাও সালাত আদায় করে থাকে যেমনিভাবে আমরা আদায় করে থাকি আর তারাও সিয়াম পালন করে থাকে যেমনিভাবে আমরা পালন করে থাকি, কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে সম্পদ, যা থেকে তারা দান-সদকা করে থাকে এবং গোলাম (কিনে) আযাদ করে থাকে। তখন রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন, যখন তোমরা সালাত আদায় করবে, তখন বলবে, সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবর ৩৩ বার এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ১০ বার। কেননা, এর দ্বারা তোমরা তোমাদের অগ্রবর্তীদের সমপর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারবে এবং তোমাদের পরবর্তী থেকে অগ্রগামী হয়ে যেতে পারবে।

 

(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৩৫৩)


 অতঃপর একবার পাঠ করা-


لا إلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ ؛ وَلَهُ الحَمْدُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.


 অর্থঃ ‘আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর, তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।’ 


حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا غَيْرُ، وَاحِدٍ، مِنْهُمْ مُغِيرَةُ وَفُلاَنٌ وَرَجُلٌ ثَالِثٌ أَيْضًا عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ وَرَّادٍ كَاتِبِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَتَبَ إِلَى الْمُغِيرَةِ أَنِ اكْتُبْ إِلَىَّ بِحَدِيثٍ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ الْمُغِيرَةُ أَنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ عِنْدَ انْصِرَافِهِ مِنَ الصَّلاَةِ ‏ "‏ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ ‏"‏‏.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالَ وَكَانَ يَنْهَى عَنْ قِيلَ وَقَالَ وَكَثْرَةِ السُّؤَالِ، وَإِضَاعَةِ الْمَالِ، وَمَنْعٍ وَهَاتِ، وَعُقُوقِ الأُمَّهَاتِ، وَوَأْدِ الْبَنَاتِ‏.‏ وَعَنْ هُشَيْمٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ قَالَ سَمِعْتُ وَرَّادًا يُحَدِّثُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الْمُغِيرَةِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏


মুগীরাহ ইব্‌নু শু‘বাহ رضي الله عنه-এর কাতিব্‌ ওয়াররাদ رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:


মু‘আবিয়াহ رضي الله عنه মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ رضي الله عنه-কে চিঠি লিখলেন যে, আপনি আমার কাছে একটা হাদীস লিখে পাঠান, যা আপনি রাসুলুল্লাহ ﷺ থেকে শুনেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ رضي الله عنه তাঁর কাছে লিখে পাঠালেন, আশি নিশ্চয়ই নাবী ﷺ-কে সালাত থেকে ফিরার সময় বলতে শুনেছি।


لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.


(অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবূদ নেই। তিনি একক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং হাম্দ তাঁরই। তিনি সবার উপর শক্তিমান। আর তিনি নিষেধ করতেন অনর্থক কথা নিয়ে বাদানুবাদ করা হতে, অধিক প্রশ্ন করা হতে,  মালের অপচয় করা হতে, আর তিনি নিষেধ করেছেন, কৃপনতা ও ভিক্ষা বৃত্তি হতে, মাতাপিতার অবাধ্যতা এবং কন্যাদেরকে জীবন্ত প্রোথিত করা হতে।


হুশায়ম رحمة الله.....আবদুল মালিক رحمة الله হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ওয়াররাদ رضي الله عنه-কে আল মুগীরা رضي الله عنه নবী ﷺ হতে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। 


(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৪৭৩) (ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৯)



 ৩। মাগরিব এবং ফজরের পর ১০ বার করে পাঠ করা-


 لا إلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ ؛ وَلَهُ الحَمْدُ ،يُحْيِي وَيُمِيْتُ ،وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ


অর্থঃ ‘আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর, তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।’


حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الرَّقِّيُّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ قَالَ فِي دُبُرِ صَلاَةِ الْفَجْرِ وَهُوَ ثَانِي رِجْلَيْهِ قَبْلَ أَنْ يَتَكَلَّمَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ عَشْرَ مَرَّاتٍ كُتِبَ لَهُ عَشْرُ حَسَنَاتٍ وَمُحِيَ عَنْهُ عَشْرُ سَيِّئَاتٍ وَرُفِعَ لَهُ عَشْرُ دَرَجَاتٍ وَكَانَ يَوْمَهُ ذَلِكَ فِي حِرْزٍ مِنْ كُلِّ مَكْرُوهٍ وَحَرْسٍ مِنَ الشَّيْطَانِ وَلَمْ يَنْبَغِ لِذَنْبٍ أَنْ يُدْرِكَهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ إِلاَّ الشِّرْكَ بِاللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ ‏.


আবূ যার رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:


রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর তার দুই পা ভাজ করা অবস্থায় (তাশাহুদের অবস্থায়) কোন কথাবার্তা বলার পূর্বে দশবার বলে, “আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শারীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁর জন্য, তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু দান করেন, তিনি সকল কিছুর উপর সর্বশক্তিমান”, তার আমলনামায় দশটি সাওয়াব লেখা হয়, তার দশটি গুনাহ মুছে ফেলা হয় এবং তার সম্মান দশগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। সে ঐ দিন সব রকমের সংকট হতে নিরাপদ থাকবে এবং শাইতানের ধোঁকা হতে তাকে পাহারা দেয়া হবে এবং ঐ দিন শিরকীয় গুনাহ ছাড়া অন্য কোন প্রকারের গুনাহ তাকে সংকটাপন্ন করতে পারবে না।  


(জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৪৭৪)


حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الْجُلاَحِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ شَبِيبٍ السَّبَئِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ‏.‏ عَشْرَ مَرَّاتٍ عَلَى إِثْرِ الْمَغْرِبِ بَعَثَ اللَّهُ لَهُ مَسْلَحَةً يَحْفَظُونَهُ مِنَ الشَّيْطَانِ حَتَّى يُصْبِحَ وَكَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِهَا عَشْرَ حَسَنَاتٍ مُوجِبَاتٍ وَمَحَا عَنْهُ عَشْرَ سَيِّئَاتٍ مُوبِقَاتٍ وَكَانَتْ لَهُ بِعَدْلِ عَشْرِ رِقَابٍ مُؤْمِنَاتٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ لَيْثِ بْنِ سَعْدٍ ‏.‏ وَلاَ نَعْرِفُ لِعُمَارَةَ بْنِ شَبِيبٍ سَمَاعًا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.


উমারাহ‌ ইবনু শাবীব আস্‌-সাবায়ী رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মাগরিবের নামাযের পর যে লোক দশবার বলে: আল্লাহ তা’আলা ছাড়া কোন মা’বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই, সমস্ত কিছুই তাঁর এবং তিনিই সকল প্রশংসার অধিকারী, তিনিই জীবন দান করেন ও মুত্যু দেন এবং প্রতিটি জিনিসের উপর তিনিই মহা ক্ষমতাশালী”’ আল্লাহ তা’আলা তার নিরাপত্তার জন্য ফেরেশতা পাঠান যারা তাকে শয়তানের ক্ষতি হতে ভোর পর্যন্ত নিরাপত্তা দান করেন, তার জন্য (আল্লাহ তা’আলা অনুগ্রহ) অবশ্যম্ভাবী করার ন্যায় দশটি পূণ্য লিখে দেন, তার দশটি ধ্বংসাত্মক গুনাহ বিলুপ্ত করে দেন এবং তার জন্য দশটি ঈমানদার দাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব রয়েছে।


(জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৫৩৪, সহীহ আত্‌-তারগীব ওয়াত্‌ তারহীব ১/১৬০/৪৭২।)

  


 ১২৫ ৪। একবার পাঠ করা- 


لا إِلَهَ إلا الله وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ له له الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وهو على كل شَيْءٍ قَدِيرٌ اللهم لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ ولا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ ولا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ.


  অর্থঃ ‘আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ তুমি যা প্রদান কর তা বাধা দেয়ার কেউ নেই, আর তুমি যা দেবে না তা দেয়ার মত কেউই নেই। তোমার গযব হতে কোন বিত্তশালী বা পদমর্যাদার অধিকারীকে তার ধন-সম্পদ বা পদমর্যাদা রক্ষা করতে পারবে না।’ 


أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ الْمُسَيَّبِ أَبِي الْعَلَاءِ، عَنْ وَرَّادٍ، قَالَ: كَتَبَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ إِلَى مُعَاوِيَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ دُبُرَ الصَّلَاةِ إِذَا سَلَّمَ: «لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ»


ওয়াররাদ رحمة الله থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, মুগীরা ইব্‌ন শু'বা رضي الله عنه মুআবিয়া رضي الله عنه এর কাছে লিখেছেন যে, রাসুলুল্লাহ ﷺ (প্রত্যেক) সালাতের পর যখন সালাম ফিরাতেন তখন বলতেনঃ


 لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ.

  

(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৩৪২)



 ৫। একবার পাঠ করা- 


لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ .


 অর্থঃ ‘আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। কোন পাপ কাজ ও রোগ-শোক, বিপদ- আপদ হতে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় নেই। আর সৎকাজ করারও ক্ষমতা নেই আল্লাহ ছাড়া। আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, নিয়ামতসমূহ তাঁরই, অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, আমরা তাঁর দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তার জন্য একনিষ্ঠভাবে মান্য করি, যদিও কাফিরদের নিকট তা অপ্রীতিকর।’ 


وَعَن عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ إِذَا سَلَّمَ مِنْ صَلَاتِه يَقُولُ بِصَوْتِهِ الْأَعْلى: لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّهِ، لَا إِلهَ إِلَّا اللهُ وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَو كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ . رَوَاهُ مُسْلِمٌ.


‘আবদুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়র رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ তাঁর সলাতের সালাম ফিরানোর পর উচ্চকন্ঠে বলতেন, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া আলা-কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর, লা-হাওলা ওয়ালা-ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ, লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়ালা-না’বুদু ইল্লা- ঈয়্যাহু, লাহুন নি’মাতু, ওয়ালাহুল ফাযলু, ওয়ালাহুস সানা-উল হাসানু, লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু মুখলিসীনা লাহুদ্দীন, ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন” (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মা’বুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোন শারীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর এবং তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাশীল। কোন অন্যায় ও অনিষ্ট হতে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় নেই এবং কোন সৎ কাজ করারও ক্ষমতা নেই একমাত্র আল্লাহ ﷻ'র  ইচ্ছা ছাড়া। আল্লাহ ছাড়া সত্যিাকার কোন মা’বূদ নেই, আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করি, যাবতীয় নি’আমত ও অনুগ্রহ একমাত্র তাঁরই পক্ষা থেকে এবং উত্তম প্রশংসাও তাঁর। আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মা’বুদ নেই। আমরা তাঁর দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তাঁর জন্য একনিষ্ঠভাবে মান্য করি, যদিও কাফিরদের নিকট তা অপ্রীতিকর।


সহীহ : মুসলিম ৫৯৪, يَقوْلُ بِصَوْيَه لْأَ عْلى শব্দটি মুসনাদে শাফি‘ঈর। কিন্তু সহীহ মুসলিমের শব্দ হলো يهلل بهن। 


(মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ৯৬৩)



 ৬। একবার পাঠ করা-


اللَّهُمَّ أعِنَّا عَلَى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ.


অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! তোমার স্মরণ, শুকরিয়া এবং উত্তম ইবাদত করার ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য কর।’


حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ حَيْوَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، سَمِعَ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيَّ، عَنِ الصُّنَابِحِيّ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: أَخَذَ بِيَدِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «يَا مُعَاذُ» ، قُلْتُ: لَبَّيْكَ، قَالَ: «إِنِّي أُحِبُّكَ» ، قُلْتُ: وَأَنَا وَاللَّهِ أُحِبُّكَ، قَالَ: «أَلَا أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ تَقُولُهَا فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاتِكَ؟» قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: " قُلِ: اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ "


মুআয ইবনে জাবাল رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:


নবী ﷺ আমার হাত ধরে বললেনঃ হে মুআয! আমি বললাম, আমি আপনার নিকট হাযির। তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি বললাম, আল্লাহ ﷻ'র  শপথ আমিও আপনাকে ভালোবাসি। তিনি বলেনঃ আমি কি তোমাকে কয়েকটি কালেমা শিখিয়ে দিবো না যা তুমি তোমার প্রত্যেক নামাযের পর বলবে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলেনঃ তুমি বলো, “হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সাহায্য করো তোমার যিকির করতে, তোমার প্রত কৃতজ্ঞ হতে এবং উত্তমরূপে তোমার ইবাদত করতে”। 


(আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৬৯৫, আবু দাউদ,নাসাঈ,তাবারানী)



 ৭। পাঠ করা-


اللَّهُمَّ إنِّي أعُوذُ بِكَ مِنَ البُخْلِ، وَأَعوذُ بِكَ مِنَ الجُبْنِ، وَأعُوذُ بِكَ أنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ العُمُرِ، وَأعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ.


অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট কাপুরুষতা, আমার জীবনের খারাপ অবস্থায় ফেরত যাওয়া, দুনিয়ার ফিতনা এবং কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থণা করছি।’


 আল্লাহম্মুা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়া আউযুবিকা আন উরাদ্দা আরযালিল উমুরি ওয়া আউযুবিকা মিন ফিতনাতিত দুন্ইয়া- ওয়া আউযুবিকা মিন আযা-বিল ক্বাবর।


حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ ـ رضى الله عنه ـ كَانَ يَأْمُرُ بِهَؤُلاَءِ الْخَمْسِ، وَيُحَدِّثُهُنَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ‏"‏‏.‏


সা'দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি পাঁচটি কার্য থেকে আল্লাহ‌র আশ্রয় প্রার্থনা করার নির্দেশ দিতেন এবং তিনি তা নবী ﷺ থেকেই বর্ণনা করতেন। তিনি দু'আ করতেন : হে আল্লাহ‌! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কৃপণতা থেকে, আমি আশ্রয় চাচ্ছি কাপুরুষতা থেকে, আমি আশ্রয় চাচ্ছি অবহেলিত বার্ধক্যে উপনীত হওয়া থেকে, আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি দুনিয়ার বড় ফিত্‌না (দাজ্জালের ফিত্‌না) থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের শাস্তি হতে।


(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৩৭০) (ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১৭)



 ৮। একবার পাঠ করা- 


رَبِّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ أوْ تَجْمَعُ عِبَادَكَ.


অর্থঃ ‘হে আমার রব! ঐ দিনের আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করুন, যেই দিন আপনি আপনার বান্দাদের সবাইকে একত্রিত করবেন।’


وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ ابْنِ الْبَرَاءِ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْبَبْنَا أَنْ نَكُونَ عَنْ يَمِينِهِ يُقْبِلُ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ - قَالَ - فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏ "‏ رَبِّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ - أَوْ تَجْمَعُ - عِبَادَكَ ‏"‏ ‏.


বারা ইবনু ‘আযিব رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ‌ ﷺ -এর পিছনে সলাত আদায় করতাম তখন পিছনে তাঁর ডান দিকে দাঁড়ানো পছন্দ করতাম যাতে তিনি ঘুরে বসলে আমাদের দিকে মুখ করে বসেন। বারা ইবনু ‘আযিব বলেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, “হে আমার রব! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুনরায় জীবিত করবে; অথবা বলেছেন, একত্রিত করবে সেদিনের 'আযাব থেকে আমাকে রক্ষা কর।”

  

(সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৫২৭) (ই.ফা. ১৫১২)



 ৯। কুরআনের শেষ তিনিটি(ইখলাস, ফালাক্ব এবং সুরা নাস) সূরা পাঠ করা প্রত্যেকটি সূরা ফজর এবং মাগরিবের পর তিনবার পাঠ করা এবং অন্যান্য সালাতের পর একবার করে পাঠ করা। 


حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ أَبِي أَسِيدٍ الْبَرَّادِ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خُبَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ خَرَجْنَا فِي لَيْلَةِ مَطَرٍ وَظُلْمَةٍ شَدِيدَةٍ نَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُصَلِّيَ لَنَا فَأَدْرَكْنَاهُ فَقَالَ ‏"‏ أَصَلَّيْتُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا فَقَالَ ‏"‏ قُلْ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ ‏"‏ قُلْ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ ‏"‏ قُلْ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَقُولُ قَالَ ‏"‏ ‏{‏ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ‏}‏ وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي وَحِينَ تُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ ‏"‏ ‏.


মু’আয ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু খুবাইব رضي الله عنه হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, এক বর্ষণমুখর খুবই অন্ধকার কালো রাতে আমাদের সলাত পড়াবার জন্য আমরা রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে খুঁজছিলাম। আমরা তাঁকে পেয়ে গেলাম। তিনি বললেনঃ বলো। আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় তিনি বললেন, বলো। আমি কিছই বললাম না। তিনি আবার বললেনঃ বলো। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ‌র রাসুল! কি বলবো? তিনি বললেনঃ তুমি সন্ধ্যায় ও সকালে উপনীত হয়ে তিনবার সূরাহ কুল হুয়াল্লাহু (সূরা ইখলাস), সূরাহ নাস ও ফালাক্ব পড়বে; এতে তুমি যাবতীয় অনিষ্ট হতে রক্ষা পাবে।


(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫০৮২, তিরমিযী, নাসায়ী।)



 ১০। আয়াতুল কুরসী পাঠ করা- 


اَللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاو ;َاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ.



حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ إِيَاسٍ، عَنْ أَبِي السَّلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَبَا الْمُنْذِرِ أَىُّ آيَةٍ مَعَكَ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ أَعْظَمُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَبَا الْمُنْذِرِ أَىُّ آيَةٍ مَعَكَ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ أَعْظَمُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ ‏{‏ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ ‏}‏ قَالَ فَضَرَبَ فِي صَدْرِي وَقَالَ ‏"‏ لِيَهْنِ لَكَ يَا أَبَا الْمُنْذِرِ الْعِلْمُ ‏"‏ ‏.


উবাই ইবনু কা‘ব رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহ ﷻ'র  কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই অধিক জ্ঞাত। তিনি আবার বলেন, হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহ ﷻ'র  কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি বললাম, “আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম” (আয়াতুল কুরসী)। তখন তিনি আমার বুকে (হালকা) আঘাত করে বলেনঃ হে আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক।


(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪৬০,  মুসলিম।)

  


 ১১। এই আযকার গুলো সালাতে স্থানেই পাঠ করা, স্থান পরিবতর্ন না করে।


 এছাড়াও আযকার সমূহ রয়েছে যা আপনারা হিসনুল মুসলিম থেকে দেখে নিতে পারেন, উপরোক্ত অধিকাংশ দো’আ গুলোর অর্থও আপনারা সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন।

 
Top