প্রিয় নবী (ﷺ) এর শারীরিক গঠন

🖋মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম আশরাফী


নবী করীম (ﷺ) আল্লাহ পাকের জাতি নূরের জ্যোতি থেকে সৃষ্টি হয়ে মানব রুপে দুনিয়ায় এসেছেন। তাই নবী পাক (ﷺ) এর শারীরিক গঠনও বাহ্যিক ভাবে আমাদের মতো। আমাদের যেমন হাত, পা, নাক, চোখ, কান, মাথা, শরীর রয়েছে নবীজিরও তেমন হাত, পা, নাক, চোখ, কান, মাথা শরীর রয়েছে। বাহ্যিক ভাবে নবীজি দেখতে আমাদের মতো হলেও নবীজির শারীরিক গঠনের মধ্যে এমন সব বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা দুনিয়ার অন্য কোন মানুষের নেই। নিম্নে তার কিছু দৃষ্টান্ত পেশ করা হলো- 


নবীজির নূরানী চেহারা মুবারকঃ  


নূরনবী (ﷺ) এর নূরানী চেহারা মুবারকের সৌন্দর্য এমন ছিল যে তার বর্ণনা গিয়ে কেউ বলেছেন আলোকউজ্জল সূর্যের ন্যায় আবার কেউ বলেছেন পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায়। হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে এসেছে, “তিনি বলেন- রাসুলুল্লার (ﷺ) এর চেয়ে সুন্দর কোন কিছুই আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি।” এখানে দেখা যাচ্ছে যে, হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) শুধু মানুষের সাথে তুলনা দেননি, তিনি বলেছেন ‘কোন কিছুই আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি’। অর্থাৎ আল্লাহর সৃষ্টি জগতের কোন কিছুই নবীজির চেয়ে সুন্দর নয়। ইমাম বায়হাকী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হযরত আবু ইসহাক থেকে বর্ণনা করেছেন, “একদা এক হামাদানী মহিলা আমাকে বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে হজ¦ করেছি। তা শুনে আমি তাকে বললাম তাহলে তাঁর চেহারা মুবারকের বর্ণনা দাও দেখি। তখন মহিলাটি বললেন, তাঁর চেহারা মুবারক পূর্ণিমার শশীর ন্যায় সুন্দর। আমি এরুপ সৌন্দর্য পূর্বেও দেখিনি। পরেও দেখিনি।” 

মাওয়াহেবুল লাদুনিয়া কিতাবে আছে, “হুজুর পাক (ﷺ) যখন আনন্দিত হতেন, তখন তাঁর চেহারা মুবারক আয়না সদৃশ হয়ে যেতো। এমনকি দেয়ালের দরজার নকশা এবং অন্য মানুষের চেহারার প্রতিবিম্ব তাতে ঝলমল করতে থাকতো।”

 
Top