৪০ টি আয়াতে আল্লাহ ও রাসুলের নাম একসাথে পাশাপাশি

🖋কৃতঃ হাফেজ আব্দুল জলিল (রহ.)


যেমনঃ- 

(১) وَمَنۡ يُّطِعِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ يُدۡخِلۡهُ جَنّٰتٍ تَجۡرِىۡ مِنۡ تَحۡتِهَا الۡاَنۡهٰرُ خٰلِدِيۡنَ فِيۡهَا‌

“যে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অনুগত হবে, তিনি তাকে জান্নাতে  প্রবেশ করাবেন যেগুলোর  তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।“ (নিসা-১৩)


(২) وَمَنۡ يَّعۡصِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ وَيَتَعَدَّ حُدُوۡدَهٗ  يُدۡخِلۡهُ نَارًا خَالِدًا فِيۡهَا 

“আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হবে, তাকে তিনি জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন।“ (নিসা-১৪)


(৩) يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ  اٰمَنُوۡۤا اَطِيۡعُوۡا اللّٰهَ وَاَطِيۡعُوۡا الرَّسُوۡلَ وَاُولِىۡ الۡاَمۡرِ مِنۡكُمۡ‌ۚ

”হে ঈমানদারগণ, তোমরা  আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসুলের আনুগত্য  করো  এবং তোমাদের মধ্যে উলিল আমরেরও।” (নির্দেশ দাতা) (নিসা-৫৯)


(৪) فَاِنۡ تَنَازَعۡتُمۡ فِىۡ شَىۡءٍ فَرُدُّوۡهُ اِلَى اللّٰهِ وَالرَّسُوۡلِ

”যদি তোমরা কোন  বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহনে বিবাদে  লিপ্ত হও -  তাহলে উক্ত বিষয়টির ফায়সালা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের কাছে ন্যাস্ত করো।” (নিসা-৫৯)


(৫) مَنۡ يُّطِعِ الرَّسُوۡلَ فَقَدۡ اَطَاعَ اللّٰهَ‌ۚ

”যে রাসুলের আনুগত্য  করে, সে মূলতঃ  আল্লাহরই আনুগত্য করলো” (নিসা-৮০)


(৬) يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ  بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا

”যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলগণকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলগণের মধ্যে তারতম্য করতে ইচ্ছা করে এবং বলে- আমরা কিছু মানি- কিছু মানিনা এবং আল্লাহ ও রাসূলগণের মধ্যবর্তী তৃতীয় রাস্তা উদ্ভাবন করতে চায়- তারাই পাক্কা কাফের।” (নিসা-১৫০)


(৭) اِنَّمَا جَزٰٓؤُا الَّذِيۡنَ يُحَارِبُوۡنَ  اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ وَيَسۡعَوۡنَ فِىۡ الۡاَرۡضِ فَسَادًا اَنۡ يُّقَتَّلُوۡۤا اَوۡ يُصَلَّبُوۡۤا

”যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের বিরূদ্ধে সংগ্রাম করে এবং জমীনে ফাছাদ সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে কতল করা অথবা ফাঁসিতে চড়ানো।” (মায়েদা-৩৩)


(৮) قُلِ الۡاَنۡفَالُ لِلّٰهِ وَالرَّسُوۡلِ‌ۚ

”বলুন হে প্রিয় হাবীব! যুদ্ধেপ্রাপ্ত সম্পদের মালিক হচ্ছেন  আল্লাহ্  ও  তাঁর  রাসূল  [ﷺ]।” (আন্-ফাল-১)


(৯) وَمَنۡ يُّشَاقِقِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ فَاِنَّ  اللّٰهَ شَدِيۡدُ الۡعِقَابِ‏

”যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হয়,  নিঃসন্দেহে (তাদের জন্য) আল্লাহর শাস্তি অতি কঠোর।” (আনফাল-১৩)


(১০) فَاضۡرِبُوۡا فَوۡقَ الۡاَعۡنَاقِ وَاضۡرِبُوۡا مِنۡهُمۡ كُلَّ بَنَانٍؕ‏ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمۡ شَآقُّوۡا اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ‌

”হে  ফেরেশতাগণ, তোমরা  বদরের যুদ্ধে কোরাইশ কাফিরদের গর্দানের শাহ্নগে  এবং তাদের শরীরের  জোড়ায় জোড়ায় আঘাত হানো। কেননা, তারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হয়ে গেছে।” (আনফাল-১৩)


(১১) يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا اسۡتَجِيۡبُوۡا لِلّٰهِ وَلِلرَّسُوۡلِ اِذَا دَعَاكُمۡ

”হে মু’মিনগণ, তোমরা আল্লাহ-রাসুলের ডাকে সাড়া দাও  - যখনই  রাসূল তোমাদেরকে ডাকেন।” (আন্-ফাল-২৪)


(১২) وَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّمَا غَنِمۡتُمۡ مِّنۡ شَىۡءٍ فَاَنَّ لِلّٰهِ خُمُسَهٗ وَلِلرَّسُوۡلِ

”হে মু’মিনগণ! জেনে নাও- তোমরা গণিমতের মাল হিসাবে যা কিছু পেয়েছো- তার পঞ্চমাংশের খাস মালিক হচ্ছেন আল্লাহও  তাঁর রাসূল।” (আন্-ফাল-৪১)


(১৩) بَرَآءَةٌ مِّنَ اللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖۤ اِلَى الَّذِيۡنَ عٰهَدتُّمۡ مِّنَ الۡمُشۡرِكِيۡنَ

”আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ হতে সম্পর্কচ্ছেদ করা হলো মুশরিকদের সাথে।” (তাওবা-১)


(১৪) وَأَذَانٌ مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الأَكْبَرِ أَنَّ اللّهَ بَرِيءٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ وَرَسُولُهُ

”আর হজ্বে আকবরের দিনে  আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ হতে এই ঘোষণা করা হলো যে, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল [ﷺ] মুশরিকদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।”  (তওবা-৩)


(১৫) وَلَمۡ يَتَّخِذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ وَلَا رَسُوۡلِهٖ وَلَا الۡمُؤۡمِنِيۡنَ وَلِيۡجَةً‌ؕ

”যারা আল্লাহ্, তাঁর রাসূল ও মু’মিনগণ ব্যতিত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসাবে  গ্রহণ করা থেকে বিরত না রয়েছে”- (সেসব মুনাফিকদেরকে এমনিতে ছেড়ে দেয়া হবে না)। (তওবা-১৬)


(১৬) وَلَا يُحَرِّمُوۡنَ مَا حَرَّمَ اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗ 

(”যুদ্ধ করো তাদের বিরুদ্ধে)- যারা হারাম মনে করেনা ঐ জিনিসকে- যা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল [ﷺ] হারাম ঘোষনা করেছেন” (তাওবা-২৯)।


(১৭) وَمَا مَنَعَهُمۡ اَنۡ تُقۡبَلَ مِنۡهُمۡ نَفَقٰتُهُمۡ اِلَّاۤ اَنَّهُمۡ كَفَرُوۡا بِاللّٰهِ وَبِرَسُوۡلِهٖ

”মুনাফিকদের দান কবুল  না হওয়ার একমাত্র কারণ হলো- তারা আল্লাহও  তার রাসূলকে অস্বীকার করছে।” (তাওবা-৫৪)


(১৮) وَلَوۡ اَنَّهُمۡ رَضُوۡا مَاۤ اٰتٰٮهُمُ اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗۙ

”কতই না ভাল হতো- যদি মুনাফিকরা আল্লাহ্ ও তাঁর   রাসূল প্রদত্ত্ব গণিমতের সম্পদে রাযী থাকতো”’। (তাওবা-৫৯)


(১৯) وَقَالُوۡا حَسۡبُنَا اللّٰهُ سَيُؤۡتِيۡنَا اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ وَرَسُوۡلُهٗ 

(আর মুনাফিকরা যা  পেয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট থেকে)- ”যদি তারা বলতো-আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আপন অনুগ্রহে যা দিয়েছেন- এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট- তাহলে কতই না ভাল  হতো।” (তাওবা-৫৯)


(২০) وَاللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗۤ اَحَقُّ اَنۡ يُّرۡضُوۡهُ اِنۡ كَانُوۡا مُؤۡمِنِيۡنَ

”আল্লাহ্  এবং তাঁর রাসূলকে রাজী রাখাই  অত্যাবশ্যক - যদি তার মু’মিন হয়ে  থাকে।” (তাওবা-৬২)


(২১) اَلَمۡ يَعۡلَمُوۡۤا اَنَّهٗ مَنۡ يُّحَادِدِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ فَاَنَّ لَهٗ نَارَ جَهَنَّمَ خٰلِدًا فِيۡهَا‌ؕ

”তারা কি একথা অবগত নয় যে, যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের সাথে শত্রুতা করেছে- তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন।” (তাওবা-৬৩)


(২২) اَغۡنٰٮهُمُ اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗ مِنۡ فَضۡلِهٖ‌ۚ

”আল্লাহ  ও তাঁর প্রিয় রাসূল আপন অনুগ্রহে তাদেরকে ধনী বানিয়েছে।” (তাওবা-৭৪)


(২৩) وَاِذَا  دُعُوۡۤا اِلَى اللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖ لِيَحۡكُمَ بَيۡنَهُمۡ اِذَا فَرِيۡقٌ مِّنۡهُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ

”যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল মোনাফিকদেরকে আহবান  করেন তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দিতে, তখন তাদের একটি দল  মুখ ফিরিয়ে নেয়।” (ছুরা নূর-৪৮)


(২৪) أَفِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ أَمِ ارْتَابُوا أَمْ يَخَافُونَ أَن يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ وَرَسُولُهُ 

“মুনাফিকরা কি ভয় পায়  যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তাদের প্রতি অবিচার করবে?” (নূর-৫০)


(২৫) اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖ 

“প্রকৃত মুমিনতো তারাই- যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছে।“ (নূর-৬২)।


(২৬) وَلَمَّا رَاَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الۡاَحۡزَابَۙ قَالُوۡا هٰذَا مَا وَعَدَنَا اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗ 

(খন্দকের যুদ্ধে শত্রুসৈন্য দেখে সাহাবীগণ বলে উঠলেন) - “এরই তো আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন  আল্লাহ্   ও তাঁর রাসূল।” (আহযাব-২২)


(২৭) وَصَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَمَا زَادَهُمْ إِلَّا إِيمَانًا وَتَسْلِيمًا 

(সাহাবীগণ আরো বললেন) - “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্য বলেছেন। এতে  তাদের ঈমান ও আত্মসমর্পনের মনোভাব আরো বৃদ্ধি পেলো।” (আহযাব-২২)


(২৮) وَإِن كُنتُنَّ  تُرِدْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الْآخِرَةَ فَإِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْمُحْسِنَاتِ مِنكُنَّ أَجْرًا عَظِيمًا

“হে নবীপত্নীগণ, তোমরা যদি ভোগবিলাস ত্যাগ করে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল এবং আখেরাতকে প্রাধান্য  দাও,  তাহলে তোমাদের পূতঃ পবিত্রজনদের জন্য আল্লাহ্  তায়ালা বিরাট পুরস্কার তৈরী করে রেখেছেন।” (আহযাব-২৯)


(২৯) وَمَن يَقْنُتْ مِنكُنَّ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ وَتَعْمَلْ صَالِحًا نُّؤْتِهَا أَجْرَهَا مَرَّتَيْنِ وَأَعْتَدْنَا لَهَا رِزْقًا كَرِيمًا

“হে ঃপত্নীগণ, তোমাদের মধ্যে যিনি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অনুগত হবে এবং নেক আমল  করবে, আমি  তাঁকে ডাবল পুরস্কার দেবো।” (আহযাব-৩১)


(৩০) وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٍ وَّلَا مُؤۡمِنَةٍ اِذَا قَضَى اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗۤ اَمۡرًا اَنۡ يَّكُوۡنَ لَهُمُ الۡخِيَرَةُ مِنۡ اَمۡرِهِمۡؕ 

“কোন বিষয়ে  আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল নির্দেশ দেয়ার পর ঐ বিষয়ে কোন ঈমানদার পুরুষ এবং কোন ঈমানদার নারীর ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার নেই।” (আহযাব-৩৬)

(যায়েদ ইবনে হারেছার (رضي الله عنه) সাথে বিবি যয়নব (رضي الله عنه)-এর  বিবাহের ব্যাপারে তাঁর ভাই আবদুল্লাহর আপত্তি সম্পর্কে এই উক্তি)।


(৩১) وَمَنۡ يَّعۡصِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلٰلاً مُّبِيۡنًاؕ‏ 

“আর যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হবে- তারা  স্পষ্ট  গোমরাহীর মধ্যে পতিত হয়ে গিয়েছে।” (আহযাব-৩৬)


(৩২) اِنَّ الَّذِيۡنَ يُؤۡذُوۡنَ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ لَعَنَهُمُ اللّٰهُ فِىۡ الدُّنۡيَا وَالۡاٰخِرَةِ 

“যারা আল্লাহ্ ও তাঁর প্রিয় রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও পরকালে লা’নত  করবেন বা অভিশপ্ত করবেন।” (আহযাব-৫৭)


(৩৩) إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا - لِتُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُعَزِّرُوهُ  وَتُوَقِّرُوهُ وَتُسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا 

“হে প্রিয় রাসূল, আমি আপনাকে চাক্ষুস স্বাক্ষী (হাযির-নাযির), জান্নাতের সুসংবাদদাতা ও  জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শনের ক্ষমতা দিয়ে প্রেরণ করেছি - যাতে তোমরা (মানুষ) আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আন,  রাসূলকে সাহায্য করো, তাঁকে উচ্চমানের সম্মান  প্রদর্শন করো এবং সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর সালাত পাঠ করো।” (আল-ফাত্হঃ ৮-৯)


(৩৪) يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُقَدِّمُوۡا بَيۡنَ يَدَىِ اللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖ‌ 

“হে ঈমানদারগণ,  তোমরা আল্লাহ্ রাসুলের সামনে আগ  বাড়িয়ে কিছু  করোনা।”  (হুজুরাত-১)


(৩৫) اٰمِنُوۡا بِاللّٰهِ  وَرَسُوۡلِهٖ وَاَنۡفِقُوۡا  مِمَّا جَعَلَكُمۡ مُّسۡتَخۡلَفِيۡنَ فِيۡهِ‌ؕ 

“তোমরা ঈমান আনো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপর- আর ব্যয় কর ঐ সম্পদ থেকে- আল্লাহ যার উত্তরাধিকারী করেছেন তোমাদেরকে।” (ছুরা হাদীদ-৭)


(৩৬) وَمَا لَكُمۡ لَا تُؤۡمِنُوۡنَ  بِاللّٰهِ‌ۚ وَالرَّسُوۡلُ يَدۡعُوۡكُمۡ لِتُؤۡمِنُوۡا بِرَبِّكُمۡ 

“তোমাদের কি হলো যে, তোমরা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস  স্থাপন করছোনা? - অথচ  রাসূল [ﷺ] তোমাদেরকে আহবান জানাচ্ছেন - যাতে তোমরা তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আন।” (হাদীদ-৮)


(৩৭) وَالَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ أُوْلَئِكَ هُمُ  الصِّدِّيقُونَ وَالشُّهَدَاء عِندَ رَبِّهِمْ

“যারা আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুলের উপর ঈমান এনেছে, তারাইতো আল্লাহর নিকট সিদ্দিক ও শহীদ বলে গণ্য।” (হাদীদ-১৯)


(৩৮) اِنَّ الَّذِيۡنَ يُحَآدُّوۡنَ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ كُبِتُوۡا 

“যারা আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুলের বিরুদ্ধাচারণ করে- তারা অপদস্ত হয়েছে।” (মুজদালাহ-৫)


(৩৯) لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ

“হে প্রিয় রাসূল, যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী - এমন কাউকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর প্রিয়  রাসুলের বিরুদ্ধাচরণকারীর সাথে   বন্ধুত্ব স্থাপনকারীরূপে পাবেননা।” (মুজাদালাহ-২২, তাঁদের উপাধী রাদিয়াল্লাহু আনহু)


(৪০) وَلِلّٰهِ الۡعِزَّةُ وَلِرَسُوۡلِهٖ وَلِلۡمُؤۡمِنِيۡنَ وَلٰكِنَّ الۡمُنٰفِقِيۡنَ لَا يَعۡلَمُوۡنَ 

“শক্তি  ও সম্মান তো আল্লাহ ও রাসুলের এবং মোমিনদের প্রাপ্য - কিন্তু মুনাফিকরা তার ভেদ জানেনা।” (ছুরা মুনাফিকুন-৮)


নোটঃ ‘আল্লাহ ও  রাসুলের  নাম একসাথে পাশাপাশি’-এর প্রমাণস্বরূপ কোরআন  মজিদ থেকে মাত্র ৪০টি আয়াত  উল্লেখ করা হলো। কোরআনের সর্বত্র আল্লাহ-রাসুলের নাম একসাথে এসেছে। খোদ  ঈমানী কালেমায় “আল্লাহ ও মুহাম্মদ” নাম একসাথে পাশাপাশি রয়েছে। এর মধ্যখানে “এবং” অব্যয়টি নেই। এতেই বুঝা  যায়-আল্লাহ-রাসূল কত ঘনিষ্ট।


কি সাধ্য আছে মোর-গাইতে নবীর গান

কলম মোর ধন্য হলো-লিখে নবীর শান।

 
Top