আকাঈদ ও আ’মালের ক্ষেত্রে মুরতাদ এর হুকুম


মাসআলাঃ মুরতাদ এর যবেহকৃত প্রাণীর মাংস আহার করা হালাল নয়। কেননা মুরতাদের কোন মযহাব নেই। মুসলমান যদি কুফরী শব্দ বলে দ্বীন ও মিল্লাতকে গালি দেয় এবং বাজারী ভাষা (অসভ্য) ব্যবহার করে হারামকে হালাল মনে করে তখন সেও মুরতাদ হয়ে যায়। “বরং তাদের অধিকাংশ লোক গাফেল।” 


মাসআলাঃ হযরত সায়্যিদুনা আবু মূসা আশয়ারী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ﷺ) বলেছেন- ক্ষুধার্তকে আহার করাও রোগীর সেবা কর এবং বন্দিকে মুক্তি দাও।২৭৫

 ➥২৭৫. সহীহ বুখারী।


মাসআলাঃ হযরত ইমরান বিন হোসাইন (رضي الله عنه) এর বর্ণনা, আমি ও রাসূল (ﷺ) এর অন্য সাহাবা হুজুর (ﷺ) এর সাথে সফরে ছিলাম। আমাদেরকে অধিক পিপাসায় কাতর করে দিয়েছে, হযরত রাসূলে করীম (ﷺ) ঐ মহিলাকে ডেকে পাঠালেন- যার কাছে ঐ উট ছিল যে উটে দুই তোষক পানি ছিল। উক্ত মহিলাকে আনা হয়েছে। রাসূলের সাহাবারা উহা থেকে পানি নিয়েছে, উক্ত তোষকে যে পানি ছিল উহা বেড়ে যাচ্ছে, অতপর হুজুর (ﷺ) সাহাবায়ে কেরামদেরকে নির্দেশ দিলেন তাদের তোষক আনার জন্য হুজুর (ﷺ) তাদের তোষকও ভরে দিলেন।২৭৬

 ➥২৭৬. সুনানে বায়হাকী, ১০ম খণ্ড, ৩ পৃষ্ঠা।


মাসআলাঃ যদি স্ত্রী অসুস্থ হয় তাহলে স্ত্রীর চিকিৎসা করানো স্বামীর উপর আবশ্যক কিনা, এ মাসয়ালার ব্যাপারে ওলামায়ে দ্বীনের বক্তব্য কি?


(উত্তর) আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থী, স্ত্রীর চিকিৎসা করানো কোন অবস্থাতেই ওয়াজিব নয় হ্যাঁ, অবশ্য ভদ্রতা বা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে চিকিৎসা করানো উচিত, ফাতহুল ক্বদীর, ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা-২০০, কিতাবুন্ নিক্বাহ বাবুন্ নাফক্বা এর মধ্যে উল্লেখ আছে- বক্তার বক্তব্য তার উপর ডাক্তারের ফিস, আল বাহরুর রায়িক, ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা-১৮২ এর মধ্যে আল্লামা ইবনে নুজাইম বলেন- গ্রন্থকার “খরচা” এর শর্তারোপ করেছেন- কেননা স্ত্রীর চিকিৎসা করানো স্বামীর উপর ওয়াজিব হবেনা। অনুরূপভাবে হিন্দিয়া, কিতাবুন্ নিকাহ, বাবুন্ নাফক্বা এর মধ্যেও উল্লেখ আছে।


মাসআলাঃ তাওবা করার দরুণ যিনার শাস্তি রহিত হয় না।২৭৭

 ➥২৭৭. ফতওয়ায়ে ক্বেনিয়া।


মাসআলাঃ তাওবার দরুণ শাস্তি রহিত হয়না।


মাসআলাঃ সালামের উত্তর ফরযে আমলী অর্থাৎ ওয়াজিব।


মাসআলাঃ মাথা ঢেকে পায়খানায় যাওয়া সুন্নাত, খুলা মাথায় পায়খানায় গেলে সুন্নাতের উপর আমল হবেনা।২৭৮

 ➥২৭৮. মি’রাত, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-১৭৮।


মাসআলাঃ যে সমস্ত লোকদের নাম আবদুর রহমান, আবদুর রহীম, আবদুল কুদ্দুস, আবদুল ক্বাদির ইত্যাদি সিফাতে ইলাহীর নামের সাথে নাম রাখা হয়েছে তাকে শুধু কুদ্দুস, ক্বাদীর, রহমান, রহীম ইত্যাদি বলে ডাকা, আহবান করা গুনাহ ও নাজায়েয।


শরহে ফিকহে আকবরে রয়েছে- যে ব্যক্তি কোন সৃষ্টিকে হে কুদ্দুস বলে- এতে নাজায়েয বুঝা যায়। ২৩৮ পৃষ্ঠায়- হ্যাঁ কাউকে সম্মান করে বলা হারাম ও কুফর।

 
Top