তাবলীগ জামাতের সাথে ঈদের সালাতে কি সাত লাখ নামাজের সওয়াব?


মাসআলাঃ তাবলীগ জামাতের লোকেরা বলে থাকেন যদি ঈদের নামায নিজের গ্রাম ও এলাকা থেকে বাইরে জামাতের সাথে অন্য জায়গায় ঈদগাহে পড়ে তাহলে উহার সাওয়াব সাত লাখ ঈদের সাওয়াব প্রাপ্ত হবে। ইহা সহীহ হাদীস সমূহ দ্বারা প্রমাণিত আছে কিনা? যদি প্রমাণিত থাকে তাহলে কিতাবের বরাত লিখে দিবেন।


উত্তরঃ আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব গ্রন্থে হাফিজ আবদুল আজীম মনজুরী (رحمة الله) হাদীস উল্লেখ করেছেন যে, আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে এক ভাল কাজের সাওয়াব সাত লাখ হয়ে যায়, যখন মানুষ আল্লাহর রাস্তায় বের হয় তখন আল্লাহ তায়ালা যে পরিমাণ সাওয়াব দান করুক তার ভান্ডারে কমতি হবেনা। [আল্লাহ্ তায়ালা অধিক জ্ঞাত] 


অমুসলিম থেকে মসজিদের জন্য চাঁদা নেয়া জায়েয আছে কিনা?


মাসআলাঃ

উত্তরঃ মুসলিমের মসজিদ বানানোর জন্য হিন্দুদের থেকে চাঁদা চাওয়া বড়ই লজ্জাহীনতা, তাই চাঁদা না চাওয়া উচিত।


মাসআলাঃ রাফেজীদের সভা-সমাবেশে মুসলমানগণ যাওয়া এবং মার্সিয়া তথা শোকগাথা শ্রবণ করা, তাদের পক্ষ হতে নজর-নিয়তের বস্তু গ্রহণ করা হারাম। তাদের নজর-নিয়াজ না নেয়া আবশ্যক। ২৭৯

 ➥২৭৯. আহকামে শরীয়ত, ১ম খণ্ড।


মাসআলাঃ হাঁচির উত্তরে اَلْحَمْدُلِلهِ رَبِّ العَالَمِيْن (আল্-হাম্দু লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামিন) বলা জায়েয নাই। কেবলমাত্র اَلْحَمْدُلِلهِ (আল-হামদু লিল্লাহ) বলবে।


ولو عطش فقال الحمدلله رب العالمين لم يجز .  ২৮০

 ➥২৮০. ছেরাজিয়া, হাশিয়ায়ে ক্বাজী খাঁন, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-১০১।


মাসআলাঃ প্রকাশ থাকে যে, মোটা লুঙ্গি পায়ের গোড়ালির উপরে পরিধান করা এটি কোনো হাদীস শরীফের অংশ নয়, বরং সে তথাকথিত রাসূল (ﷺ)-এর সঙ্গে বেআদবীকারী যুল-খুওয়াইছারা যিনি হুযূর নূরে মুজাস্সাম মুস্তফা (ﷺ)’র কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট হয়ে রাগান্বিত অবস্থায় চলে গিয়েছিল। তার পরনে ছিল মোটা চাদর বা লুঙ্গি পায়ের গোড়ালি বরাবর। তখন হুযূর (ﷺ) ইরশাদ করেন যে, তার ভবিষ্যৎ বংশধর ও প্রজন্ম থেকে এ ধরনের গোস্তাখ বা বেআদবের জন্ম হবে। তাই বাস্তবিক পক্ষে খারেজী, ওহাবিদের গোস্তাখি ও বেআদবি সে যুল-খুওয়াইছারা থেকে উত্তরাধিকারী সূত্রে পেয়েছে এবং তাদের আকৃতি-প্রকৃতি চাল-চলন, আচার-আচরণ সবই সে রকমই হয়েছে বা ভাগ্যে জোটেছে যে রকম ছিল যুল-খওয়াইছারা বেআদবের। ২৮১

➥২৮১. হযরতুল আল্লামা মুফতি ফয়েয আহমদ ওয়াইসি (রহঃ)’র রচিত- ‘আল-আহাদিসুন নববীয়্যাহ ফি আলামাতিল ওহাবিয়া’ নামক কিতাব হতে।


মাসআলাঃ নামায এমন গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যে, এতে আল্লাহ্ ও বান্দার মাঝে কোনো পর্দা থাকে না, বরং বান্দা তার মুনিবের দরবারে সরাসরি উপস্থিত হয়ে থাকে। তাই নামাযীর জন্য উত্তম যে, উন্নতমানের পোষাক পরিধান করে যাওয়া অথবা কমপক্ষে এমন পোশাক পরা, যা পরে অন্যান্য সভা-সমাবেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে থাকে। তাই তো ফক্বীহগণ বলেছেন যে, পুরানো, অপরিষ্কার পোশাক পরিধান করে নামায পড়া মাকরূহ, নামাযী টুপি রুমাল সঙ্গে নিয়ে মসজিদে যাওয়া উচিৎ। মসজিদে পরিত্যক্ত টুপি পরা মাকরূহ থেকে খালি নয়। শুধুমাত্র গামছা বা রুমাল পরে নামায পড়া মাকরূহ।


মাসআলাঃ লুঙ্গি বা পায়জামা অহংকারের বশীভূত হয়ে গোড়ালির নীচে পরিধান করা মাক্রূহে তাহরীমি। সে কারণে এমতাবস্থায় নামায আদায় করা মাকরূহ, তবে নামায ফাসিদ হবে না। বোখারী শরীফে আছে, ‘লুঙ্গি বা পায়জামার যে অংশ গোড়ালির নীচে ঝুলিয়ে থাকলে পায়ের সে অংশটুকু জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হবে’। (এখানে অংশ বলে পুরো দেহ উদ্দেশ্য এবং তাকাব্বুর বা অহংকার জনিত কারণে মাকরূহ। অহংকার ব্যতীত অন্য কারণে গোড়ালির নীচে ঝুলে পড়লে মাকরূহ হবে না।)২৮২

 ➥২৮২. সহীহ বুখারী, পোষাক অধ্যায়।


মাসআলাঃ মোহরে ফাতেমী আমাদের দেশে প্রচলিত পরিমাপ অনুসারে একশত বিশ তোলা রোপ্য হয়ে থাকে। যা গ্রামের হিসাব অনুপাতে প্রায় ১৩৮০ গ্রাম হয়। ২৮৩

 ➥২৮৩. ফতোয়া মাহমুদিয়া, কিতাবুল নিকাহ, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা-২২৬ ।


মাসআলাঃ উল্লেখ্য যে, শূকর ছাড়া অন্যান্য সকল মৃত প্রাণীর চামড়া দাবাগত করার পূর্বে বিক্রি করা জায়েয নেই। তবে হাড্ডি, চুল, পশম, শিং, লোম ইত্যাদি বিক্রি করার ক্ষেত্রে শরীয়তে অনুমতি রয়েছে। 


হেদায়া গ্রন্থে আছে, ‘মৃত প্রাণীর হাড্ডি, পশম, শিরা, শিং, লোম এগুলো বিক্রি করা এবং এগুলো দ্বারা উপকার হাসিল করা বৈধ। কারণ এগুলোতে জীবন না থাকাতে মৃত্যু প্রবেশ করেনা।’


‘তাবইনুল হাক্বাইক্ব’ গ্রন্থে ইমাম যাইলঈ (رحمة الله) বলেছেন যে, ‘তাব্ইনুল হক্বায়েক্ব গ্রন্থে ইমাম যাইলাঈ (رحمة الله) বলেছেন যে, (হাড্ডি, পশম, শিং, লোম, রগ বিক্রি করা ও এগুলো দ্বারা উপকার লাভ করা বৈধ। যেহেতু এগুলোতে জীবন না থাকাতে মৃত্যু প্রবেশ করে না।) মৃত প্রাণীর চামড়া দাবাগতের পূর্বে বিক্রি করা জায়েয নেই। তবে দাবাগতের পরে বিক্রি ও এ দ্বারা উপকার হাসিল করা জায়েয। বাইয়ুল ফাসেদ অধ্যায়ে রয়েছে যে, মৃত্যু প্রাণীর চামড়া দাবাগতের পূর্বে বিক্রি করা জায়েয নেই, তবে পরে জায়েয়। যেমন- হাড্ডি, পশম, শিং ইত্যাদি বৈধ এবং কাযিখান গ্রন্থেও ‘বাইয়ুল বাতিল’ অধ্যায়ে অনুরূপ রয়েছে। ২৮৪

 ➥২৮৪. তাব্ইনুল হক্বায়েক্ব।


মাসআলাঃ এমন বস্তু যা কোনো প্রকারের পরিবর্তন-পরিবর্ধন ছাড়া বেদ্বীনি বা ধর্মহীনতা এবং পাপাচারের উপকরণ হয়ে থাকে কিংবা অমুসলিমদের জাতীয় নিদর্শন ও পরিচিতি হয়, তা বেঁচা-কেনা করা থেকে বেঁচে থাকা প্রয়োজন ও আবশ্যক। কেননা, ব্যবহারের নিষিদ্ধকরণ ক্রয়-বিক্রয়ের নিষিদ্ধকরণকে আবশ্যক করে, যাতে পাপাচারে সাহায্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত না হয়।


আল্লামা শামী (رحمة الله) বলেছেন, ‘যেসব বস্তু স্বয়ং পাপ, তা বিক্রি করা মাকরূহে তাহরিমী, তা না হলে (স্বয়ং পাপ) তানযিহী- পুরুষের জন্য বিক্ষিপ্ত নক্সা বিশিষ্ট পোশাক বিক্রি করা মাকরূহে তানযিহী। কারণ এটি হারাম পরিধানের জন্য সহযোগী, দর্জিকে হুকুম করা চাই, অশ্লীল, ফাসেকী, আকারের সেলাই ত্যাগ করার জন্য, কারণ এটি তার জন্য মাকরূহ। যেহেতু এটি ফিস্ক, ফাসেকী ও মাজুসীদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ২৮৫

 ➥২৮৫. ফতোয়া শামী, বেচাকেনা অধ্যায়, মাকরূহ পরিচ্ছেদ, খণ্ড-৬, পৃষ্ঠা-৩৯৩।


মাসআলাঃ যদি কোনো মহিলা গর্ভপাত করার জন্য চিকিৎসা করে থাকে, তাতে গর্ভ পরিপূর্ণ আকৃতি বা গঠন হয়ে থাকলে তখন বৈধ হবে না। আর যদি পূর্ণ গঠন না হয়ে থাকে তা হলে বৈধ হবে। তবে আমাদের বর্তমান সময়ে যে কোনো অবস্থায় বৈধ হবে, পূর্ণ গঠনের নমুনা ও নিশানা প্রকাশ হোক বা না হোক। এটার উপর ফতোয়া। যেমন- ‘তাজনীসুল মুলতাক্বাত’ গ্রন্থে বর্ণিত আছে।  


ফতোয়া কোবরায় আছে, ‘যতক্ষণ না গর্ভ সম্পূর্ণ হওয়ার নমুনা প্রকাশ না হয়, ততক্ষণ বৈধ হবে। কারণ তখন উক্ত গর্ভকে সন্তান বলা হবে না। গর্ভ পূর্ণ হওয়ার জন্য একশত বিশ দিনের প্রয়োজন।’ ২৮৬

 ➥২৮৬. দস্তুরুল কুযাত, পৃষ্ঠা-১৭৮।


মাসআলাঃ যদি জমিন মসজিদের জন্য ওয়াক্ফকৃত হয় এবং দোকান মসজিদের অধীনে হয়ে থাকে তা হলে এটি শরয়ী মসজিদ হবে, তা জায়েয। ২৮৭

 ➥২৮৭. হেদায়া, আলমগীরি, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৪৫৫, ফতোয়া শামী, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা-৫৭৩; ফতোয়া মাহমুদীয়া, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৪৯৬।


ফতোয়া শামীতে আছে, ‘ফতোয়া শামীতে আছে যে, ‘বাহারুর রায়েক্ব’ গ্রন্থকার বলেছেন, যার সারমর্ম হলো যে, মসজিদ হওয়ার জন্য উপরের ও নীচের উভয় অংশ মসজিদের হওয়া চায়, যাতে মসজিদের সাথে বান্দার হক্ব সংযুক্ত না থাকে। কুরআনের আয়াতের মর্মানুপাতে إنّ المساجد لله ‘মসজিদসমূহ আল্লাহ্ তা‘আলার জন্যেই’ তবে যদি স্থানটি এমন হয় যে, মসজিদের নীচে ভূ-গর্ভস্থ বা আন্ডারগ্রাউনে দোকান হয়ে থাকে। নামায শুদ্ধ হওয়া মসজিদের স্থিরতার উপর নির্ভর। অতএব এটি এমন হলো যেমন- বাইতুল মুকাদ্দিসের ভূ-গর্ভস্থ তলার মত বা কামরার ন্যায়।


মাসআলাঃ চুলে লাল মেহেদির কলপ লাগানো কোনো প্রকারের মাকরূহ ছাড়া শুদ্ধ ও বৈধ। তবে কালো খিযাব যা চুলের মৌলিক কালোর ন্যায় বুঝা যায় এমন খিযাব মাকরূহে তাহরিমী, তবে মুজাহিদগণের জন্য দুশমন বা শত্রুদেরকে ভীতি প্রদর্শনার্থে জিহাদের অবস্থায় বৈধ। হযরত ইমাম আবু ইউসুফ (رحمة الله)’র মতানুসারে স্ত্রীর সামনে সৌন্দর্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করার অবকাশ রয়েছে। সম্ভবত কালো খিযাব ব্যবহারকারীরা বর্ণিত উক্তির আশ্রয় নিয়ে থাকেন। 


‘যখিরা’ গ্রন্থকার বলেছেন যে, কালো খিযাব জিহাদের সময় মুজাহিদের জন্য শত্রুদের দৃষ্টিতে ভয়ানক প্রদর্শনের জন্য মাহমুদ বা প্রশংসনীয় সকল ইমামের ঐক্যমতে।


স্বীয় স্ত্রীর নিকট সৌন্দর্য্য দেখানোর জন্য কালো হিযাব ব্যবহার করা অধিকাংশ মাশায়েখে কিরামের মতে মাকরূহ। তবে কিছু কিছু ইমামের মতে মাকরূহ ছাড়াই বৈধ। যেমন- হযরত ইমাম আবু ইউসুফ (رحمة الله) হতে বর্ণিত।


তিনি বলেন, তাদের সৌন্দর্য্য বা সাজ-সজ্জা যেমন আমাদের আশ্চর্যান্বিত করে, তেমনি আমাদের সাজ-সজ্জা এবং সৌন্দর্য্যও তাদেরকে আশ্চর্যান্বিত ও আকর্ষণ করে।২৮৮

➥২৮৮. ফতোয়া শামী, খণ্ড-৫; ফতোয়া মাহমুদিয়া, খণ্ড-৫, পৃষ্ঠা-১২৩।


ইমাম আ‘লা হযরত শাহ আহমদ রেযা (رحمة الله) বলেছেন, লাল ও হলদে খিযাব ভাল এবং হলদে উত্তম। কাল হিযাবকে হাদীস শরীফে কাফিরদের খিযাব বলা হয়েছে।


অপর এক হাদীসে আছে যে, কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্ তা‘আলা কালো খিযাব ব্যবহারকারীর মুখমন্ডল কৃষ্ণবর্ণের করে দিবেন। সুতরাং এটি হারাম। অতএব জায়েযের ফতোয়া বাতিল ও প্রত্যাখ্যাত। ২৮৯

 ➥২৮৯. আহকামে শরীয়াত, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১২৩; রচয়িতা ইমাম আ‘লা হযরত শাহ আহমদ রেযা খান (রহঃ)।


মাসআলাঃ ধুমপান করা মাকরূহ। ধুমপান করে মুখ পরিষ্কার না করে মসজিদে যাওয়া নিষেধ। যাতে এর দুর্গন্ধে অন্যান্য লোকজনের কষ্ট না হয়। ২৯০

 ➥২৯০. ফতোয়া মাহমুদিয়া, খণ্ড-৫, পৃষ্ঠা-১২২; ফতোয়া শামী, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৪৪৪।


মাসআলাঃ যে সকল বস্তু চলমান অবস্থায় পানাহার করা প্রথাগতভাবে মন্দ ও গর্হিত স্বভাব বুঝায় না, সে সকল বস্তু উক্ত অবস্থায় পানাহার করাতে শরীয়তে তার শাহাদত বা সাক্ষ্য অগ্রাহ্য হবে না। যেমন- উল্লেখ আছে যে, ‘তবে যদি কেউ পানি, ফল-ফ্রুটস্ রাস্তায় পানাহার করলে তার আদালত বা সততায় কোনো ক্ষতি বা ত্রুটি আসবে না। কারণ লোকজন পানাহারকে মন্দ স্বভাব ও খারাপ আচরণ মনে করে না। ২৯১

 ➥২৯১. ফতোয়া শামী, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা ৩৭৩, ফতোয়া মাহমুদিয়া, খণ্ড-৫, পৃষ্ঠা- ১২৫।


মাসআলাঃ কুরআন মাজিদ তেলাওয়াতকারী এবং পানাহারে লিপ্ত ব্যক্তিকে সালাম দেয়া মাকরূহ এবং এমন সালামের জবাব দেয়াও ওয়াজিব নয়।


ফতোয়া শামী গ্রন্থে আছে, ‘জওয়াব প্রদানে অপারগ ব্যক্তিকে সালাম দেয়া মাকরূহ। যেমন- খাওয়াতে ব্যস্ত ব্যক্তিকে অথবা শরীয়ত পালনে মগ্ন ব্যক্তিকে যেমন- নামাযীকে কিংবা কুরআন তিলাওয়াতকারীকে সালাম দেয়া মাকরূহ। এহেন অবস্থায় যদি সালাম দিয়ে থাকলে উক্ত সালামের জবাব দেয়া ওয়াজিব নয়। ২৯২

 ➥২৯২. ফতোয়ায়ে শামী।

 
Top