৭- بَابُ مَا جَاءَ فِي النَّهْيِ عَنْ صِيَامِ أَيَّامِ التَّشْرِيْقِ

٢١٨- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَبْدِ الْـمَلِكِ، عَنْ قَزْعَةَ، عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ  نَهَىٰ عَنْ صِيَامِ ثَلَاثَةِ أَيَّامِ التَّشْرِيْقِ. وَبِهِ: أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ  نَهَىٰ عَنْ صِيَامِ الْيَوْمِ الَّذِيْ يُشَكُّ فِيْهِ مِنْ رَمَضَانَ.


বাব নং ৯৬:৭  আইয়্যামে তাশরীকে রোযা রাখা নিষেধ


২১৮. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আব্দুল মালিক থেকে, তিনি কায‘আ থেকে, তিনি আবু সাঈদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ)  আইয়্যামে তাশরীকের তিনদিন (১১, ১২ ও ১৩ যিলহজ্ব) রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন।

একই সূত্রে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (ﷺ)  ঐ দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন, যেদিন রমযান কিনা সন্দেহ সৃষ্টি হয়। 

(সুনানে বায়হাকী কুবরা, ৪/২০৮/৭৭৪২)


ব্যাখ্যা: يوم الشك বা সন্দেহের দিন বলা হয়- ২৯ শে শাবান মেঘ বা ধুলিবালির কারণে চাঁদ দেখা না যাওয়ার কারণে যদি সন্দেহ হয় যে, এই রাত কি পহেলা রমযানের না শাবানের ৩০ তারিখের? সুতরাং এর পরের দিনটি হল সন্দেহের দিন।


❏এই দিন রোযা না রাখার ব্যাপারে আরো অনেক হাদিস রয়েছে। তিরমিযী, নাসাঈ ও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি এই দিন রোযা রাখে, সে যেন আবুল কাসিম (দ.) ’র সাথে নাফরমানী করল। তবে নফল রোযা রাখতে পারবে। কেননা অন্য হাদিসে নফল রোযা রাখাকে এই নিষেধাজ্ঞার বহির্ভূত বলে উলে­খ করা হয়েছে। যেমন- 


قوله عليه السلام لا تقدموا رمضان بصوم يوم اويومين الارجل كان يصوم صومًا فيصومه 


“তোমরা রমযানের একদিন বা দু‘দিন পূর্বে রোযা রাখবে না। তবে ঐ ব্যক্তি যে সব সময় নফল রোযা রাখতে অভ্যস্ত তারা ঐ দিন রোযা রাখতে পারবে।”১৭৪  

➥  মুসান্নিফে ইবনে আবি শায়বা, খন্ড ৩, পৃষ্ঠাঃ  ২৩, হাদীস নং ৯১২৯, বৈরুত

 
Top