৬- بَابُ مَا جَاءَ فِيْ النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الصَّمْتِ وَعَنْ صَوْمِ الْوِصَالِ

٢١٦- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَدِيٍّ، عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ، عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، أَنَّ النَّبِيَّ  نَهَىٰ عَنْ صَوْمِ الْوِصَالِ، وَصَوْمِ الصَّمْتِ.


বাব নং ৯৬. ৬. নিরবতার রোযা এবং লাগাতার রোযা রাখা নিষেধ


২১৬. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আদী থেকে, তিনি আবু হাযিম থেকে, তিনি আবু শা‘সা থেকে, তিনি আবু হোরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করিম (ﷺ)  লাগাতার রোযা রাখা এবং নিরব থাকার রোযা রাখা থেকে নিষেধ করেছেন।


ব্যাখ্যা: صوم وصال হলো- অব্যাহতভাবে রোযা রাখা এবং রাতের বেলায়ও কিছু না খাওয়া। صوم صمت হলো রোযা অবস্থায় সারাদিন কোন কথাবার্তা না বলে চুপ থাকা। রাসূল (ﷺ)  صوم وصال থেকে উম্মতকে নিষেধ করেছেন। এটা কেবল নবী করিম (ﷺ) ’র জন্য বৈধ ছিল। তাঁর দেখা-দেখিতে অন্যরাও এই রোযা রাখা আরম্ভ করলে তিনি বলেন- তোমাদের মধ্যে আমার মত কে আছ? আমাকে আমার প্রভূ পানাহার করান। সুতরাং জমহুর ওলামাদের মতে এই রোযা উম্মতের জন্য নাজায়েয। ইমাম আহমদ (رحمة الله) ব্যতীত তিনজন ইমাম থেকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। আর صوم صمت ইহুদীদের ধর্মীয় রীতি বিধায় ইসলামী শরীয়তে এই আমল থেকে বাঁচার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কেননা বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্য রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।


٢١٧- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَىٰ، عَنِ الْـمُهَاجِرِ، عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، قَالَ: نَهَىٰ رَسُوْلُ اللهِ عَنْ صَوْمِ الصَّمْتِ، وَصَوْمِ الْوِصَالِ.


২১৭. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা শায়বান থেকে, তিনি ইয়াহিয়া থেকে, তিনি মুহাজির থেকে, তিনি আবু হোরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  নিরবতার রোযা ও লাগাতার রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন।

 
Top