৯- بَابُ مَا جَاءَ فِي مَا يَجُوْزُ لِلْمُحْرِمِ قَتْلُهُ

٢٣٨- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنْ رَسُوْلِ اللهِ ، قَالَ: «يَقْتُلُ الْـمُحْرِمُ الْفَأْرَةَ وَالْـحَيَّةَ وَالْكَلْبَ الْعَقُوْرَ وَالْـحِدَأَةَ وَالْعَقْرَبَ».


বাব নং ১০৭. ৯. মুহরিমের জন্য যা মারা বৈধ


২৩৮. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা নাফে থেকে, তিনি ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে, তিনি রাসূল (ﷺ)  থেকে বর্ণনা করেন, তিনি এরশাদ করেন, মুহরিম ব্যক্তি ইদুঁর, সাপ, কুকুর, চিল ও বিচ্ছু মারতে পারবে। 

(দারেকুতুনী, ২/২৩১/৬৫)


ব্যাখ্যা: যে সব জন্তু ইহরাম অবস্থায় মারা বৈধ, এগুলোর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন হাদিস রয়েছে। কোন হাদিসে كلب এর সাথে عفور উলে­খ আছে, অর্থাৎ পাগলা কুকুর। কোন হাদিসে سبع অর্থাৎ হিংস্র জন্তু অতিরিক্ত আছে। আবার কোন হাদিসে غراب (কাক) অতিরিক্ত যোগ করা হয়েছে। কোন দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলোকে মারা জায়েয তা নিয়ে ওলামায়ে কিরামের মধ্যে সামান্য মতপার্থক্য আছে। 


❏ইমাম শাফেঈ (رحمة الله)’র ধারণা হলো- এসব জন্তু খাওয়া যায় না, আর যেগুলো খাওয়া যায়না ঐগুলোকে মারা মুহরিমের জন্য বৈধ। আর এতে কোন ফিদ্য়া দিতে হবেনা। ইমাম মালিক (رضي الله عنه)’র ধারণা হলো-এ গুলো ক্ষতিকারক জন্তু। আর প্রত্যেক ক্ষতিকারক জন্তুকে মুহরিম ব্যক্তি মারতে পারবে। সুতরাং যেসব জন্তু ক্ষতিকারক নয় যেমন শিয়াল, বিড়াল এবং বাজ্জু ইত্যাদিকে মারা মুহরিমের জন্য জায়েয নয়। যদি এগুলোকে মারে তবে তাঁর মতে ফিদ্য়া দিতে হবে। কুকুর সর্ম্পকে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ কেউ এর দ্বারা কুকুর বুঝিয়ে থাকেন। আওযাঈও ইমাম আবু হানিফা (رضي الله عنه) থেকে এটাই বর্ণিত আছে এবং শিয়ালও এই বিধানের অন্তুর্ভূক্ত। ইমাম যুফার (رحمة الله)’র মতে এতে কেবল শিয়ালই উদ্দেশ্যে।


 
Top